সহসা কমছে না বিদ্যুতের লোডশেডিং!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সহসা কমছে না বিদ্যুতের লোডশেডিং!

সহসা কমছে না বিদ্যুতের লোডশেডিং!

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমে যখন দেশের মানুষের ত্রাহী অবস্থা তখন সারাদেশ থেকেই বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। অনেক জায়গায় দিনে ও রাতে দফায় দফায় লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে। পাবনা থেকে একজন তার ফেসবুকে লিখেছেন পনের দফায় লোডশেডিংয়ের কথা।

হঠাৎ করেই শুরু হওয়া লোডশেডিং কবে দূর হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কেউই কিছু বলতে পারছেন না। তবে লোডশেডিংকে শৃঙ্খলায় আনার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার সেল’র মহাপরিচালক মোহম্মদ হোসাইন।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমাদের বুঝতে হবে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিকে ভুলে গেলে চলবে না। ইউক্রেন যুদ্ধের পর জ্বালানির বাজারের যে অবস্থা এখানে আমাদের কারও হাত নেই। যে এলএনজি ৫ ডলারে পাওয়া যেতে সেটুকু কিনতে হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ ডলারে। জার্মানি, ইতালির মতো উন্নত রাষ্ট্র লোডশেডিং করতে বাধ্য হচ্ছে।

জার্মানিতে কি যখন তখন লোডশেডিং করা হয়? জবাবে বলেন, আমরা লোডশেডিংকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনার পরিকল্পনা নিয়েছি। যাতে গ্রাহকরা আগে থেকেই প্রস্তুতি রাখতে পারেন। দিনে পনের দফায় লোডশেডিং প্রসঙ্গে বলেন, দেখেন কোথাও টানা দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করা কঠিন। ২ ঘণ্টা লোডশেডিং করা হলে ফ্রিজের খাবার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আবার একটানা ফ্যান ছাড়া থাকাও কষ্টের। তাই টানা ৩০ মিনিটের বেশি লোডশেডিং না করার বিষয় শৃঙ্খলায় আনার পরিকল্পনা চলেছে।

অতীতে তুলনামুলক রাতে কম লোডশেডিং হতো। এখন মধ্য রাতেও কেনো লোডশেডিং হচ্ছে? এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এখন চাহিদার প্যাটানটা বদলে গেছে। পিক আওয়ারের (রাত ৯টা) কাছাকছিই থাকছে ভোররাতেও চাহিদা। ৪ জুলাই রাত ৯টায় উৎপাদন করা হয়েছে ১২ হাজার ২৩৬ মেগাওয়াট, ওই দিন ভোর ৪টায় ১১ হাজার ৫৯১ মেগাওয়াট। অতীতে দেখা যেতো ভোর রাতের দিকে ৬ থেকে ৭ হাজার মেগাওয়াটের নিচে চাহিদা নেমে আসত।

তিনি বলেন, ১৪’শ এমএমসিএফডির মতো গ্যাস সরবরাহ পেলে সমস্যা হতো না। কয়েকমাস আগেও ১ হাজারের উপর গ্যাস পাওয়া গেছে। এখন ৯’শ এমএমসিএফডির নিচে নেমে এসেছে। সে কারণে গ্যাস ভিত্তিক অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র বসে থাকছে। বাধ্য হয়ে ব্যয়বহুল জ্বালানি তেল ব্যবহার করেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। ৪ জুলাই রাত ৯ টায় ৪ হাজার ৮০৯ মেগাওয়াট গ্যাস দিয়ে, তেল ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫ হাজার ৪৯৫ মেগাওয়াট, কয়লা থেকে ৭৯৭, হাইড্রো থেকে ১২২ মেগাওয়াট এবং আমদানি থেকে ১ হাজার ১৩ মেগাওয়াট। ওই সময়ে চাহিদার প্রাক্কলন ছিল ১৫ হাজার মেগাওয়াটের মতো।

ঠিক কবে নাগাদ এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি আসবে এমন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেননি। তিনি বলেছেন, আমরা চেষ্টা করছি সর্বোচ্চ আন্তরিকতা নিয়ে। বিশ্ববাজার এখন যে দাম বিরাজ করছে, তা স্বাভাবিক বলা যায় না। পরিস্থিতি যাই থাকুক একটি প্রক্রিয়ার মধ্যে একটা সিস্টেম গড়ে উঠবে। তার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হবে আমাদেকও।

অন্যদিক বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী অনেকদিন ধরেই বলে আসছেন। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতির কারণে দু’টি জটিলতা বাংলাদেশের সামনে। একটি হচ্ছে পণ্যের উচ্চমূল্য, আরেকটি হচ্ছে পণ্যের প্রাপ্যতা। অনেক উন্নত দেশ ডলার নিয়ে বসে আছে দাম যা হোক তাদের গ্যাস চাই। আমরা গ্যাস চাই আবার দামও কম চাই। বিষয়টি খুবই জটিল সে কারণে গ্রাহকদের মিতব্যায়ী হতে হবে। গ্যাসের ঘাটতি মোকাবেলা করা হতো তেল দিয়ে সেই তেলের দামও চড়া।

বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যুতের উৎপাদন (আমদানিসহ) সক্ষমতা রয়েছে ২১ হাজার ৩৯৬ মেগাওয়াট। এরমধ্যে কয়লা ভিত্তিক ১ হাজার ৬৮৮ মেগাওয়াট, গ্যাস ভিত্তিক ১০ হাজার ৮৭৮, ফার্নেস অয়েল ভিত্তিক ৫ হাজার ৯২৫, ডিজেল ভিত্তিক ১ হাজার ২৮৬, একমাত্র জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাইয়ে ২৩০, আমদানি ১ হাজার ১৬০ ও সৌর বিদ্যুৎ থেকে ২২৯ মেগাওয়াট। ৪ জুলাই রাতে গ্যাস দিয়ে অর্ধেকের ও কম অর্থাৎ ৪ হাজার ৮০৯ মেগাওয়াট উৎপাদন করা হয়েছে।

পেট্রোবাংলার তথ্যে দেখা গেছে ৪ জুলাই গ্যাস সরবরাহ করা হয় ২ হাজার ৭৩৫ এমএমসিএফডি। ওই দিন বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২ হাজার ২৫২এমএমসিএফডির বিপরীতে সরবরাহ করা হয় মাত্র ৮৭৯ এমএমসিএফডি, সার উৎপাদনে ৩১৬ এমএমসিএফডির বিপরীতে ১৩৪, ননগ্রিডে ৮৭.৪ এবং অন্যান্য খাতে ১ হাজার ৬৩৩ এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হয়।

তবে গ্যাসের যে সংকটের কথা বলা হচ্ছে অনেকেই এরসঙ্গে দ্বিমত পোষন করেছেন। তারা বলেছেন, আমাদের সিস্টেমে কমবেশি ৩ হাজার এমএমসিএফডি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এরমধ্যে ২৩’শ দেশীয় গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে বিদেশ থেকে গড়ে প্রায় ৮’শ এমএমসিএফডি গ্যাস আমদানি করা হতো।

আমদানিকৃত এলএনজির মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির আওতায় ৭’শর মতো আর মাত্র ১’শ আমদানি করা হয় স্পর্ট মার্কেট থেকে। দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির গ্যাসের দাম বাড়েনি, দাম বেড়েছে শুধু স্পর্ট মার্কেটে। যে কারণে স্পর্ট মার্কেট থেকে গ্যাস না আনার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। মাত্র ১’শ গ্যাস আসছে না বলে এমন ভয়াবহ অবস্থা হতে পারে এ কথা অনেকেই বিশ্বাস করতে চান না।

   

রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৩ জনকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ছয়টা থেকে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদকদ্রব্য উদ্ধারসহ তাদেরকে আটক করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ৫৩২৫ পিস ইয়াবা, ১৮৬ গ্রাম হেরোইন, ৪ কেজি ৮২৫ গ্রাম গাঁজা ও ২০০টি ইনজেকশন উদ্ধার করা হয়েছে বলে জা‌নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ।

ডিএমপির নিয়মিত মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এ অ‌ভিযান প‌রিচালনা করা হয়েছে বলে জানানো হয়। সেই সঙ্গে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৫টি মামলা রুজু হয়েছে বলেও জানানো হয়।

;

ফেনীতে বেড়েছে তরমুজ চাষ, শত কোটি টাকা বিক্রির আশা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার উপকূলীয় চরাঞ্চলের মাটি এবং আবহাওয়া তরমুজের জন্য বেশ উপযোগী। প্রতিবছর ধারাবাহিক ভাবে চাষ হচ্ছে তরমুজ। প্রতি বছর কৃষকদের তরমুজ চাষে আগ্রহ যেমন বাড়ছে তেমনি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তরমুজের ব্যবসা। এই অঞ্চলের তরমুজ অনেক বড় এবং সুস্বাদু হওয়ায় বাজারেও রয়েছে এর বেশ চাহিদা। এ উপজেলায় ৩ হাজার ৮৫০জন কৃষক এ বছর তরমুজ চাষ করেছেন।

কৃষি বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, এ বছর সোনাগাজীর ৫৭৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। আবাদকৃত জমিতে ৩০ হাজার ২০৯ মেট্রিকটন তরমুজ উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবহাওয়া- বাজার অনুকূলে থাকলে এবং শিলা বৃষ্টি না হলে এবছর চাষকৃত জমি থেকে ১০৭ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে আশা করছেন কৃষক এবং কৃষি বিভাগ।

সোনাগাজীর ৫৭৫ হেক্টর জমিতে আবাদকৃত তরমুজের মধ্যে ২২৫ হেক্টর জমিতে বাঙ্গালিংক জাত, ১৪৬ হেক্টর জমিতে গৌরি জাত, ব্ল্যাক বেরী জাত ৫৫ হেক্টর, ভিক্টর সুপার জাত ৮৪ হেক্টর, ওপেন সুগার ৫৬ হেক্টর এবং ১০ হেক্টর জমিতে অন্যান্য জাতের তরমুজ চাষ হয়েছে।

কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কানি  (৩৯.৬৬৯ শতক) প্রতি সর্বনিম্ন খরচ ১ লাখ টাকা এবং বিক্রি আড়াই লাখ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত। কৃষক পর্যায় থেকে হিসেব করলে এর পাইকারি বাজার মূল্য ৩০-৩৫ টাকা কেজি ধরলেও ৫৭৫ হেক্টর জমিতে ১০৭ কোটি ৪৫ লাখ ৩৫ হাজার ৪৬৫ টাকার তরমুজ বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তারা।

নোয়াখালীর সুবর্ণচর থেকে আসা আমান উল্লাহ নামে এক তরমুজ চাষী জানান, ১০ জন সম্মিলিত ভাবে সোনাগাজী চরদরবেশে ৫৬ কানি জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। কানি প্রতি (৩৯.৬৬৯ শতক) খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা এবং আবহাওয়া ঠিক থাকলে কানিতে তরমুজ বিক্রি করা যাবে ৩ লাখ টাকার। এ বছর সোনাগাজীতে তরমুজ চাষে বিপ্লব ঘটেছে বলে জানান এ কৃষক।

সোনাগাজী আমিরাবাদ ইউনিয়নের স্থানীয় তরমুজ চাষী মিলন জানান, গত বছর ৩৫ একর জমিতে তরমুজ চাষ করে কানি প্রতি ৩ লাখ থেকে সাড়ে ৩ লাখ বিক্রি করেছিলেন। গতবার লাভবান হওয়ায় এবার চাষের পরিমাণ বাড়িয়ে ১০০ একরে তরমুজ আবাদ করেছেন। এবার কানিতে ১ লাখ টাকার অধিক খরচ করে এর ২ গুণ বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করেন এই কৃষক।


কৃষি বিভাগ জানায়, পূর্বে এসব জমি রবি মৌসুমে খালি পড়ে থাকতো। ২০১৭ সালে এই উপজেলায় পরীক্ষামূলক তরমুজ চাষে অভাবনীয় সাফল্য পায় এক কৃষক। পরবর্তীতে ২০১৯ সালে ৮-১০ জন কৃষক চাষ করে। এভাবে উপজেলায় তরমুজ চাষের ধারাবাহিকতা শুরু হয়ে ২০২০ সালে ১০৫ হেক্টর জমিতে, ২০২১ সালে ৩১৭ হেক্টর জমিতে, ২০২২ সালে ৩৪৫ হেক্টর জমিতে এবং ২০২৩ সালে ৫৭০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের তরমুজ চাষ করা হয়। গত বছর শিলা বৃষ্টি এবং অতি বৃষ্টির কারণে কিছু পরিমাণ ফলন নষ্ট হলেও ৫০ কোটি টাকার তরমুজ বিক্রি হয়েছিল।

এ বিষয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্রনাথ জানান, ফেনীর সোনাগাজীর চরাঞ্চলে বিস্তীর্ণ ভূমি রয়েছে। যার ফলে এখানকার মাটি এবং আবহাওয়া তরমুজ চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। তিন মাসের মধ্যে ফলন পাওয়া যায়। পরিচর্যার খরচের তুলনায় আয় বেশি হওয়াতে চাষিরা তরমুজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।

তিনি বলেন, হেক্টর প্রতি তরমুজের ফলন হয় ৫০ হতে ৬০ মেট্রিক টন। কানি প্রতি (৩৯.৬৬৯ শতক) খরচ হয় ১ লক্ষ টাকা এবং বিক্রি হয় ৩ লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকার মত। খরচের তুলনায় ২ গুণ থেকে ৩ গুণ বেশি লাভ হয়। জমি থেকেই তরমুজ বিক্রি হয়ে যায় এখানে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালীসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকাররা এসে সরাসরি ক্ষেত থেকে তরমুজ নিয়ে যায়।

কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আল-আমিন শেখ বলেন, গত বছর অতিবৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির কারণে কিছুটা ক্ষতি হয়েছিল। এবার চাষ বেড়েছে, যদি এই মৌসুমে শিলা বৃষ্টির প্রভাব না পড়ে তাহলে শতকোটি টাকা আয় সম্ভব হবে। কৃষি বিভাগ মূল্য নির্ধারণ এবং বাজারজাতকরণ না করলেও পর্যবেক্ষণে সর্বনিম্ন ৩০ টাকা কেজি দরে অথবা কানি প্রতি দর আড়াই লাখ টাকা ধরা হলেও এর বাজার মূল্য হয় ৯০ কোটি টাকা।

তবে লাভের বিপরীতে তরমুজ চাষে শতকরা ৫০ শতাংশ ঝুঁকি রয়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, তরমুজ চাষে হঠাৎ ক্ষতির সম্ভাবনা শতকরা ৫০ শতাংশ। চাষি ঝুঁকি নিয়ে এবং আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে চাষ করে থাকেন।

এবিষয়ে কৃষকরা জানান, তরমুজ চাষে আগ থেকে কোন কিছু নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। সব ঠিক থাকলে একবারে ৩ থেকে ৪ গুণ পর্যন্ত আয়ের সুযোগ থাকে। না হলে তাদের জমি বর্গা নেওয়া এবং রোপনসহ আনুষাঙ্গিক খরচের টাকা পর্যন্ত তুলতে পারেন না।

কালাম নামে একজন বলেন, গতবছর বৃষ্টির কারণে পানিতে সব তরমুজ ভেসে উঠে ৷ এতে আমার লাভ তো দূরে থাক যা খরচ করেছি তাও উঠেনি।

উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা প্রতাপ চন্দ্রনাথ বলেন, তরমুজ চাষে যেমন রয়েছে আয় তেমনি রয়েছে ঝুঁকিও। যদি তরমুজ চাষ পদ্ধতি অনুযায়ী না হয় এবং আবহাওয়া অনুকূলে পাওয়া না যায় তাহলে কিছু তরমুজ চাষি এবেবারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে সঠিক সময়ে ওষুধ না দেওয়া, পোকার আক্রমণ, অতি বৃষ্টি, শিলা বৃষ্টি, গাছ মারা যাওয়া। এর মধ্যে অতি বৃষ্টি ও শিলা বৃষ্টি হলে ফলন নষ্টে প্রভাব ফেলে বেশি। এসব বিষয়ে কৃষকদের সচেতন থাকার পরামর্শ দেন এ কর্মকর্তা।

;

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ

  • Font increase
  • Font Decrease

আজ ১৯শে মার্চ। মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে জয়দেবপুরের সর্বস্তরের ছাত্র জনতা পাক-হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু করেছিলেন। প্রতিবছর এই দিনে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। এবারও দিবসটি পালন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

ঊনিশে মার্চ উদযাপন পরিষদের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১৯ মার্চের বীরত্বকে অমর করে রাখতে ১৯৭২-১৯৭৩ সালে গাজীপুরের চৌরাস্তায় একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়। ‘জাগ্রত চৌরঙ্গী’ নামের এই ভাস্কর্য মুক্তিযুদ্ধের প্রথম ভাস্কর্য।

এই উপলক্ষে বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে শহীদদের কবর জিয়ারত ও আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চে দেওয়া ভাষণে ‘তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে,’ এই মন্ত্রবলে বলিয়ান হয়ে ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে মহান মুক্তিযুদ্ধ শুরুর আগেই ঢাকার অদূরে জয়দেবপুরে অকুতোভয় মুক্তিকামী বাঙালিরা সশস্ত্র সেনাবাহিনীর সামনে প্রথমবার রুখে দাঁড়িয়েছিল। হাজার-হাজার জনগণ অবতীর্ণ হয়েছিল সেই সম্মুখযুদ্ধে।

১৯৭১ সালের ১৯ মার্চে ঢাকা ব্রিগেড হেডকোয়ার্টার থেকে আকস্মিকভাবে পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ার জাহান জেবের নেতৃত্বে পাকিস্তানি রেজিমেন্ট জয়দেবপুরের (গাজীপুর) দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টকে নিরস্ত্র করার জন্য পৌঁছে যায়। এ খবর জানা-জানি হতেই বিক্ষুদ্ধ জনতা জয়দেবপুরে এক প্রতিরোধ সৃষ্টি করে। সশস্ত্র পাকিস্তানি সেনাবাহিনী জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করলে অকুস্থলেই শহীদ হন অনেকে। এটি ছিল মুক্তিযুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ মার্চ জয়দেবপুরের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে নিজ হাতে লিখে একটি বাণী দিয়েছিলেন। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এই বাণী বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

ওই সময় বাণীতে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৯ শে মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে আরো একটি স্মরণীয় দিন। ওইদিন পাক মিলিটারি বাহিনী জয়দেবপুরে ক্যান্টনমেন্টে অবস্থিত দ্বিতীয় বেঙ্গল রেজিমেন্টের জওয়ানদের নিরস্ত্র করার প্রয়াস পেলে জয়দেবপুর থানা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের যৌথ নেতৃত্বে কৃষক, ছাত্র, জনতা সবাই বিরাট প্রতিরোধের সৃষ্টি করে। ফলে, মিলিটারির গুলিতে তিনটি অমূল্য প্রাণ নষ্ট হয় এবং বহু লোক আহত হয়।’

বাণীতে তিনি বলেন, ‘আমি তার কয়েকদিন মাত্র পূর্বে ৭ই মার্চ তারিখে ডাক দিয়েছিলাম, যার কাছে যা আছে, তাই দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোল। জয়দেবপুরবাসীরা তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। আমি তাদের মোবারকবাদ জানাই।’

তিনি বলেন, ‘কোন মহৎ কাজই ত্যাগ ব্যতিত হয় না। জয়দেপুরের নিয়ামত, মনু, খলিফা ও চান্দনা চৌরাস্তায় হুরমতের আত্মত্যাগও বৃথা যায় নাই। শহীদদের রক্ত কখনো বৃথা যায় না। তাই আজ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের ফলে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘দেশকে স্বাধীন করার সংগ্রাম শেষ হয়েছে। আসুন আজ আমরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশ গড়ার সংগ্রামে লিপ্ত হই।’ তিনি জয় বাংলা বলে বাণীটি শেষ করেন।

সূত্র: বাসস

 

;

চার ঘণ্টা পর পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪, টাঙ্গাইল
চার ঘণ্টা পর পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক

চার ঘণ্টা পর পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভা‌বিক

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধ‌ু সেতুপূর্ব রেল‌স্টেশ‌নে লাইনচ‌্যুত হওয়া পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ব‌গি দুর্ঘটনার চার ঘণ্টা পর উদ্ধার ক‌রে‌ছে রেলও‌য়ে কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (১৮ মার্চ) দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটের দি‌কে পঞ্চগড় এক্স‌প্রেস ট্রেনের ক্ষ‌তিগ্রস্থ ব‌গি রেল প্রক‌ল্পের ক্রেনের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।

বঙ্গবন্ধ‌ু সেতুপূর্ব স্টেশন মাস্টার খায়রুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ট্রেন‌টি দুর্ঘটনার পর প্রথমে ব‌গিগু‌লো স‌রি‌য়ে নেওয়া হয়। এরপর ক্ষ‌তিগ্রস্ত ব‌গি ক্রেন দি‌য়ে উপ‌রে তু‌লে লাইনে তোলা হয়। এরপ‌র ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এখন বি‌ভিন্ন স্টেশ‌নে আটকে পড়া ট্রেনগু‌লো ছেড়ে আসছে।

 

;