উত্তরা লেকে হচ্ছে না দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ, ব‍্যয় কমছে ১৬০ কোটি টাকা



আরমান হেকিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

উত্তরা লেক উন্নয়ন প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও ব‍্যয় সংকোচনের কারণে প্রকল্প থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে হাতিরঝিলের আদলে তিনটি দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণের উদ‍্যোগ। এর ফলে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা কমে প্রকল্পের সংশোধিত ব‍্যয় দাঁড়াচ্ছে ৯০ কোটি ৭৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকায়।

তিনটি ব্রিজ নির্মাণের উদ‍্যোগ বাদ দেওয়ায় ১৬০ কোটি টাকা ব‍্যয় কমলেও প্রথম সংশোধনীতে মূল প্রকল্পের ব‍্যয় বাড়ছে ৫৪ কোটি ৪০ লাখ ৯১ হাজার টাকা। প্রকল্পের মূল ব‍্যয় ছিল ৩৭ কোটি ৩২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন‍্য প্রকল্পটি উত্থাপন করা হবে। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী (বাস্তবায়ন) উজ্জল মল্লিক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, উত্তরা লেক উন্নয়ন প্রকল্পে হাতিরঝিলের আদলে তিনটি দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণের কথা ছিল। এছাড়া আরও কিছু ব্যয়বহুল উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফলে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ২৫০ কোটি টাকা (প্রকল্পের মূল ব‍্যয় ছিল ৩৭ কোটি ৩২ লাখ ৯৭ হাজার টাকা)। কিন্তু ব্রিজ তিনটি হচ্ছে না। ফলে প্রকল্পের ব্যয় কমে ৯০ কোটি টাকা হচ্ছে। এছাড়া ব্রিজসহ কিছু কাজ বাদ দেওয়া হচ্ছে।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উত্তরা লেক দখল হওয়া থেকে রক্ষা করে লেকের চারপাশে হাঁটার সুবিধা এবং ডাইভারশন ড্রেনেজের মাধ্যমে দূষণ প্রতিরোধকরণ ও পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য উন্নয়ন করা সম্ভব হবে বলে পরিকল্পনা কমিশন মত দেয়।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মূল প্রকল্পটি জুলাই ২০১৪ থেকে জুন ২০১৬ মেয়াদে বাস্তবায়নের কথা। এর পরে জুন ২০১৯ পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। তারপরও প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন না হওয়ায় জুন ২০২০ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। জুন ২০২০ পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ২৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা, বাস্তব অগ্রগতি ৮০ শতাংশ। প্রকল্পের অবশিষ্ট কাজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য জুন ২০২৩ পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। ফলে ধাপে ধাপে প্রকল্পের মেয়াদ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৭ বছর।

প্রকল্প সংশোধনের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে- লেকের পানি পরিচ্ছন্নকরণ, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, মাটি ভরাট, তীর সংরক্ষণ, স্লাজ অপসারণ, অফিস ইক্যুইপমেন্ট, ইন্সপেকশন পিট নির্মাণ, পরিবেশগত সমীক্ষা, অফিস ব্যবস্থাপনা ব্যয়, পরামর্শক ব্যয়, ওয়াকওয়ে ও অন্যান্য স্থাপনা মেরামত ও সংরক্ষণ অঙ্গের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি করা হবে। রিটেইনিং ওয়াল, ক্যাচ পিট নির্মাণ এবং ওয়েস্ট বিন স্থাপন ইত্যাদি অঙ্গ নতুনভাবে সংযোজন। (সেতু নির্মাণ, বক্স কালভার্ট নির্মাণ, আরবরিকালচার, যানবাহন ক্রয়, বিদ্যমান কালভার্ট পুনর্বাসন ও ডিওয়াটারিং ইত্যাদি অঙ্গ বাদ দেওয়া এবং প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধি করা।

প্রকল্পের মূল ডিপিপি প্রণয়নকালে কোনো মাস্টারপ্লান বা স্টাডি রিপোর্ট ছিল না। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের পর প্ৰণীত মাস্টার প্ল্যান, জরিপ এবং বাস্তব প্রয়োজনের ফলে লেকের পানি পরিচ্ছন্নকরণ, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, মাটি ভরাট ও তীর সংরক্ষণ কাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এছাড়া স্লাজ অপসারণ, অফিস ইকুইপমেন্ট, ইন্সপেকশন পিট নির্মাণ, পরিবেশগত সমীক্ষা, অফিস ব্যবস্থাপনা ব্যয়, পরামর্শক ব্যয়, ওয়াকওয়ে ও নানা স্থাপনা মেরামত ও সংরক্ষণের পরিমাণ ও ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। বাস্তব প্রয়োজনের নিরিখে রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ, ক্যাচ পিট নির্মাণ এবং ওয়েস্ট বিন স্থাপন কাজ যুক্ত হয়েছে।

বাস্তবতার নিরিখে সেতু নির্মাণ, বক্স কালভার্ট নির্মাণ, আরবরিকালচার, যানবাহন, বিদ্যমান কালভার্ট পুনর্বাসন এবং ডিওয়াটারিং বাদ দেওয়া হয়েছে।

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হলো ভূমি অধিগ্রহণ ও স্থাপনার ক্ষতিপূরণ ১ দশমিক ২০ একর; ওয়াকওয়ে নির্মাণ ৪ হাজার ১৭০ মিটার, মাটি ভরাট কাজ ৬২ হাজার ঘনমিটার; তীর সংরক্ষণ কাজ সাড়ে ২৮ হাজার মিটার। স্লাজ অপসারণ ২ লাখ ৫০ হাজার ঘনমিটার।

প্রকল্পের আওতায় ৯০০ মিটার আইসিসি পাইপ স্থাপন, ১২৭টি ইন্সপেকশন পিট নির্মাণ করা হবে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় গ্রাস টার্ফিং ক্যাচপিট, লেকের পানি পরিচ্ছন্ন, ওয়েস্ট বিন স্থাপন, ওয়াল ও বিদ্যুৎতায়নের কাজ করা হবে।

প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য— লেকগুলো বেদখল থেকে রক্ষা করা; লেকের পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ কাজ; প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নয়নের মাধ্যমে মহানগরীর নান্দনিক সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা; লেকের চারপাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করে পথচারীদের হাঁটার সুযোগ তৈরি করা; ব্রিজ নির্মাণের মাধ্যমে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন সাধন করা; ডাইভারশন ড্রেনেজের মাধ্যমে লেকের দূষণ প্রতিরোধকরণ ও লেকের পানির গুণগত মানের উন্নতিকরণ এবং চিত্তবিনোদন সুবিধার উন্নয়ন করা।

   

শত শত কোটি টাকার প্রকল্পেও বদলায়নি ট্রাফিক ব্যবস্থা



রাজু আহম্মেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
শত শত কোটি টাকার প্রকল্পেও বদলায় নি ট্রাফিক ব্যবস্থা

শত শত কোটি টাকার প্রকল্পেও বদলায় নি ট্রাফিক ব্যবস্থা

  • Font increase
  • Font Decrease

নেত্রকোনা জেলার মো. ফেরদৌস হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন বাংলাদেশ পুলিশে। চাকরি জীবনের ২২ বছরের প্রায় ১০ বছরেই দায়িত্ব পালন করেছেন ট্রাফিক বিভাগে। বিশ্বের ছোট-বড় বেশিরভাগ দেশেই ট্রাফিক ব্যবস্থায় রিমোট কন্ট্রোল লাইট অথবা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হলেও বাংলাদেশে এখনো ভরসা ফেরদৌস হোসেনদের হাতের ইশারা।

ফলে প্রতিনিয়ত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ঝুঁকি নিয়েই গাড়ির সামনে দাঁড়াতে হয় ফেরদৌস হোসেনের মতো এ-বিভাগের দায়িত্বরত সবাইকে। কখনো কখনো হাতের ইশারার এই ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে হতে হয় দুর্ঘটনার শিকার। রোদ অথবা বৃষ্টি যাই হোক। ডিজিটাল বাংলাদেশে এখনো দায়িত্ব পালনে দু-পায়ের উপর ভর দিয়ে খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকাই বড় দায়িত্ব ফেরদৌস হোসেনের।

ফেরদৌস হোসেন বলেন, রোদ হোক বৃষ্টি হোক সরকারি কাজের জন্য আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়। কখনো কখনো দুর্ঘটনার শিকারও হতে হয়। তবে আধুনিক ব্যবস্থা থাকলে আমাদের কষ্ট কম হতো। সাথে জীবনের ঝুঁকিও কমতো।


শুধু ফেরদৌস হোসেনই নন। যানজটের শহর ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে এমন করুণ গল্প প্রায় ২ হাজার ৭০০-র বেশি পুলিশ সদস্যের। এতে জনসম্পদ অপচয়ের পাশাপাশি বিপুল অর্থও ব্যয় হচ্ছে সরকারের।

জনসম্পদ অপচয়ের পাশাপাশি ভোগান্তি পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষও। হাতের ইশারায় নিয়ন্ত্রণের ফলে অতিরিক্ত সময় রাস্তায় বসে থাকতে হচ্ছে অনেককে। পাশাপাশি পথচারীদের ঝুঁকিও ক্রমশ বাড়ছে ঢাকার সড়ককে।

প্রাইভেট কারচালক সামসুল হক বলেন, চলন্ত অবস্থায় দায়িত্বরত পুলিশদের দেখা যায় না। তাদের হাতের ইশারা কখনো কখনো চোখে পড়ে না । এর জন্য আমাদের জরিমানা গুনতে হয়। এছাড়া যখন তখন মানুষ রাস্তা পার হচ্ছে। এতে দুর্ঘটনাও ঘটছে। আধুনিক ব্যবস্থা থাকলে এসব এড়ানো যেত।

তথ্য অনুসারে, ২০০১-০২ অর্থবছরে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের (ডিইউটিপি) আওতায় ৭০টি ইন্টারসেকশনে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল স্থাপন করা হয়। এছাড়া ২০১২-২৩ অর্থবছরে ‘ক্লিন এয়ার অ্যান্ড সাসটেইনেবল এনভায়রনমেন্ট’ (কেস) প্রকল্পের আওতায় আবারও ২৯টি ইন্টারসেকশনে ডিজিটাল ট্রাফিক সিস্টেম ব্যবস্থা বসানো হয়। এই প্রকল্পেও ছিল বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা। এসব প্রকল্পেরে দেখভালের দায়িত্ব ছিল দুই সিটি করপোরেশনের। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব প্রকল্প দেখেনি আলোর মুখ। অল্প কদিনেই অচল হয়ে পড়ে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থা।

২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকার ঢাকার ৪৩টি ট্রাফিক সিগন্যাল সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয় কেস প্রকল্পের আওতায়। এর ফলে শুধুমাত্র গুলশান দুই সিগন্যালে লাল ও সবুজ বাতি জ্বললেও বাকিগুলোর সবই অকেজো।


ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা বলছেন, গত দুই দশকে এসব প্রকল্পে শুধু ট্রাফিক ইন্টারসেকশন আর সিগন্যাল স্থাপনেই খরচ হয়েছে প্রায় পৌনে দুইশ কোটি টাকা। তবে এত টাকা খরচ করেও রাজধানীর সড়ক সংযোগে আসেনি নিয়ন্ত্রণ। অথচ ১১৫টির বেশি ট্রাফিক সিগন্যালসহ আরও ৫৫০টির মতো স্থানে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের ভরসা হাতের ইশারা দিতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশ। তথ্য বলছে, শুধু যানবাহন চলাচলের ইশারা দিতেই বছরে বিপুল সংখ্যক ট্রাফিক পুলিশের বেতন দিতে সরকারে প্রায় ৪৪০ কোটির বেশি টাকা ব্যয় হচ্ছে। তবে আধুনিকায়ন করা গেলে সড়কের দুর্ঘটনা কমার সাথে ট্রাফিক পুলিশদের ঝুঁকি কমে আসবে, সাথে সরকারের বিপুল অর্থ ও জনশক্তি সঞ্চয় হবে।

এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিটি ইন্টারসেকশনে কম পক্ষে চার জন পুলিশ সদস্য কাজ করে। যদি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার হয় সে ক্ষেত্রে আমাদের জনশক্তি কম অপচয় হবে পাশাপাশি আমাদের যে ঝুঁকি তা কমে আসবে।

এদিকে ঢাকার চারটি ইন্টারসেকশনে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিস্টেম বসানোর আরেকটি উদ্যোগ নিয়েছিল ডিটিসিএ। এতে ব্যয় হয় ৫২ কোটি টাকা। দুই সিটি করপোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ চারটি স্থানে ইনটেলিজেন্ট ট্রাফিক সিস্টেম (আইটিএস) নিয়ে কাজ করে ডিটিসিএ। পরীক্ষামূলক ভাবে বসানো এসব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন ট্রাফিক লাইট উত্তর সিটি করপোরেশনের মহাখালী ও গুলশান-১ ইন্টারসেকশনে সফটওয়্যারের অভাবে দাঁড়িয়ে আছে প্রদর্শন হিসেবে। দক্ষিণের যন্ত্রপাতি তো খোয়া গেছে।


প্রশ্ন হলো দুই দশকে এত সব প্রকল্পের ব্যর্থতা কার? নতুন পরিকল্পনাই বা কি দুই সিটি করপোরেশনের?

দুই দশকে প্রায় পৌনে দুইশত কোটি টাকার সব প্রকল্পই ছিল পাইলট প্রকল্প। পাইলট প্রকল্পে সফলতা না আসায় মুল প্রকল্প নেওয়া হয়নি। তাই ব্যর্থতার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক এনফোর্সমেন্ট অফিসার মো. সেলিম খান বলেন, এর আগের সব প্রকল্পই ছিল পাইলট প্রকল্প। এখানে ব্যর্থতা বা সফলতার নয়। প্রকল্পগুলোতে ভালো সম্ভাবনা না থাকায় পরে মূল প্রকল্প নেওয়া হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা আরও একটি পাইলট প্রকল্প নিয়ে কাজ করছি। এআই বেইজড। আশা করি আগামী দুই মাসের মধ্যে সফলতা আসবে। এর পর আমরা এটা নিয়ে কাজ করব।

এ বিষয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থার দেখভালের দায়িত্বে থাকা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বরত কারো বক্তব্য পাওয়া না গেলেও উত্তর সিটি করপোরেশনের মাথাব্যথা নেই আগের প্রকল্প নিয়ে। তবে নতুন করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন উত্তর সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম।

তিনি বলেন, আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে পাইলটিং করছি গুলশান-২ এ। ইতোমধ্যে আমরা সফলতাও পেয়েছি। এবার ডিজিটাল নয় হবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বেইজড। এর পর যত প্রকল্প হবে । সব এআই দিয়ে চলবে। আমরা সে দিকে এগুচ্ছি।

;

বরিশালে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী ও অংশীজনের সাথে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ও উন্নয়ন সাংবাদিকতা’ শীর্ষক ঘণ্টাব্যাপী মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩) এপ্রিল নগরীর বিএম কলেজ রোডস্থ বরিশাল বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার সম্মেলন কক্ষে আঞ্চলিক তথ্য অফিস, পিআইডি, বরিশাল কার্যালয়ের আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জাবেদ ইকবাল ডিপিআইও, পিআইডি বরিশাল এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন- বরিশাল সরকারি বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আমিনুল হক।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- বরিশাল জেলা তথ্য অফিস পরিচালক মো. রিয়াদুল ইসলাম, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে স্থানীয় বিপ্লবী বাংলাদেশ পত্রিকার সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ, বরিশাল প্রেসক্লাব দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি কাজী আল মামুন, বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেস ক্লাব সভাপতি কাজী আবুল আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি সাধারণ সম্পাদক ও বৈশাখি টিভি প্রতিনিধি মিথুন সাহা, যমুনা টিভি বরিশাল ব্যুরো কাউসার হোসেন, বাসস প্রতিনিধি দেবব্রত দত্ত ফিল্ম, মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবসহ সভাপতি প্রিন্স প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় অতিথিরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ‘৪১ সালে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ করার ঘোষণাই দেননি তিনি। এর বাস্তবায়নের জন্য সকল পর্যায়ে তিনি কাজ করে যাচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জিত হলে সেই সাথে এদেশের গণমাধ্যমকর্মীরা স্মার্ট হওয়ার পাশাপাশি তাদের পেশাদারিত্ব বেড়ে যাবে। এর জন্য আমাদের সকলকে এদেশটাকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করার করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় বরিশাল প্রেসক্লাব, বরিশাল রিপোর্টার্স ইউনিটি, বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাব সদস্য, বরিশাল বেতার ও বরিশালে কর্মরত জাতীয়, স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার ৫০ জন গণমাধ্যমকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

;

উপজেলা ভোট

সাত চেয়ারম্যান, ৯ ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৭ চেয়ারম্যান, ৯ ভাইস চেয়ারম্যান, ১০ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। চূড়ান্ত তালিকা আসলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ইসি থেকে এই তথ্য জানা গেছে। 

ইসি জানায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতরা হলেন- বালিয়াডাঙ্গী(ঠাঁকুরগাও) উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান। হাকিমপুর (দিনাজপুর)- উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সাঘাটা (গাইবান্ধা) উপজেলা চেয়ারম্যান, বেড়া (পাবনা) উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, সিংড়া (নাটোর) উপজেলা চেয়ারম্যান, কুষ্টিয়া সদরের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিনাভোটে নির্বাচিত।

বাগেরহাট সদরে ৩টি পদ, মুন্সীগঞ্জ সদর- ৩টি পদ, শিবচর (মাদারীপুর)-৩টি পদে বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। বড়লেখা (মৌলভীবাজার) উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, পরশুরাম (ফেনী)- ৩টি পদ, সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান, কক্সবাজার সদরের ভাইস চেয়ারম্যান, রোয়াংছড়ি (বান্দরবান) উপজেলা চেয়ারম্যান, কাউখালী (রাঙামাটি) উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বিনাভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। 

;

তীব্র গরমে পানি বিতরণ করছে শাহবাগ থানা পুলিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশজুড়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র দাবদাহ। অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জনজীবন। তীব্র তাপপ্রবাহে প্রতিদিনই মারা যাচ্ছে মানুষ। হাসপাতালেও বেড়েছে রোগীর সংখ্যা। এরকম তাপপ্রবাহের মধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে পানি এবং স্যালাইন বিতরণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে রাজধানীর ঢাকার শাহবাগ থানার পুলিশ সদস্যরা।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তাজির রহমানের নেতৃত্বে রিকশা চালক, বাসের হেলপার, বাসের যাত্রীসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে পানি এবং স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

তীব্র দাবদাহের মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে পানি এবং স্যালাইন পেয়ে পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে সাধারণ মানুষ বলেন, এই তীব্র গরমের মধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে পানি এবং স্যালাইন বিতরণ অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটি কাজ।


সাধারণ মানুষ আরও বলেন, আমরা চাই পুরো দেশজুড়ে এভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে পানি এবং স্যালাইন বিতরণ করা হোক।

এসময় শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তাজির রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, তীব্র দাবদাহের কারণে হিট স্ট্রোক করে মানুষ মারা যাচ্ছে। এজন্য আমরা মানুষের মধ্যে পানি বিতরণ করছি। আমরা চাই মানুষের ভিতরে পানি খাওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠুক। আমাদের ডিএমপি কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশে আমরা সবার মধ্যে পানি বিতরণ করছি।

শাহবাগ থানার পেট্রোল ইন্সপেক্টর সরদার বুলবুল আহমেদ বলেন, আমরা বিনামূল্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে পানি এবং স্যালাইন বিতরণ করছি। মানুষের বিপদে পুলিশ সবসময় ছিল, আছে এবং থাকবে। আমরা ক্ষুদ্র সামর্থ্যের ভিতর থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রচন্ড দাবদাহে মানুষ যাতে পানি পান করে সেজন্য আমরা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করছি। যতদিন পর্যন্ত দাবদাহ থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের পক্ষ থেকে পানি এবং স্যালাইন বিতরণ চলমান থাকবে।

সমাজের সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা পথচারী আছেন; অসহায় ও দরিদ্র মানুষ আছেন, আমরা যেন সবাই তাদের পাশে দাঁড়াই।

;