উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মোংলা (বাগেরহাট)
তক্ষক উদ্ধারের পর সুন্দরবনে অবমুক্ত
জাতীয়
মোংলায় একটি তক্ষক উদ্ধারের পর তা আবার সুন্দরবনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (০৩ আগস্ট) সকালে উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাজিকরখন্ড এলাকা থেকে তক্ষকটি উদ্ধার করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সেলিম। পরে তিনি ওই তক্ষকটি বনবিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধারা স্টেশনের আওতাধীন বরইতলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, বরইতলা ফরেস্ট অফিস সংলগ্ন বাজিকরখন্ড এলাকার সদস্য মো. সেলিম তার এলাকা থেকে তক্ষকটি উদ্ধার করে আমাদের কাছে দেন। এরপর বনবিভাগের বন্যপ্রাণী উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তাকারী ভিটিআরটি ও সিপিজি'র সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বরইতলা ক্যাম্প সংলগ্ন বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। তক্ষকটি লম্বায় ৭ ইঞ্চির মত।
তিনি বলেন, দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী গিট্টু মানিকের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় অস্ত্র আইনের একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি ছিল। দীর্ঘ ১০ বছর পলাতক থাকার পর অবশেষে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
উল্লেখ্য, শিবির ক্যাডার সাজ্জাদের অন্যতম সহযোগী গিট্টু মানিক এর আগে ২০১১ সালের ১১ জুলাই নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানা এলাকা থেকে একে-৪৭ রাইফেল অস্ত্র ও দুই সহযোগীসহ গ্রেফতার হয়েছিল।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, অসহনীয় মাত্রার শব্দ মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে তাই শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করছে।
বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তরে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত ‘শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে অংশীজনের ভূমিকা' শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটি সফল করতে সকল ক্ষেত্রে অযথা শব্দ সৃষ্টি করা থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। এবিষয়ে নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যকেও সচেতন করতে হবে। শিশুদেরকে শৈশব থেকেই শব্দসচেতন করে গড়ে তুলতে পাঠ্যসূচিতে বিষয়টি অন্তর্ভুক্তির জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শব্দদূষণ রোধে সরকারের উদ্যোগের সাথে সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা পেলে দেশের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে পরিবেশ অধিদপ্তর “শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্প” বাস্তবায়ন করছে। এপ্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রমে সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য শিক্ষার্থী, পরিবহন চালক/শ্রমিক, কারখানা ও নির্মাণ শ্রমিক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, ইমাম, শিক্ষক, বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি সহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। টেলিভিশন, বেতার, প্রিন্ট মিডিয়ায় সচেতনামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। সরকার ঘোষিত নীরব এলাকা শব্দদূষণ মুক্ত করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন, বিআরটিএসহ বিভিন্ন সংস্থার একযোগে কাজ করবে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে শব্দদূষণ বিধিমালা যুগোপযোগী করা হবে। এ বিষয়ে দেশের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ মতো কাজ করা হবে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ডা: প্রাণ গোপাল দত্ত প্রমুখ।
সরকারি দপ্তরে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে পালনীয় নির্দেশনা জারি
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সরকারি দপ্তরে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে পালনীয় নির্দেশনা জারি
জাতীয়
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় সরকারি অফিস আদালতে বিদ্যুতের সাশ্রয়ী ব্যবহার নিশ্চিত করতে সরকার নির্দেশনা জারি করেছে।
বুধবার (১৭ আগস্ট) সরকারি এক তথ্য বিবরণীতে এ নির্দেশনার কথা জানানো হয়েছে।
নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য এলইডি লাইট ব্যবহার করা, আলোর উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির জন্য দেয়ালে উপযুক্ত রং ব্যবহার করা, সিঁড়ি, ওয়াশরুম, ওয়েটিং রুম, করিডোরসহ কমন স্পেসে মানুষের উপস্থিতিতে জ্বলে/নেভে এমন লাইটিং সিস্টেম ব্যবহার করা, বিল্ডিং কোডে উল্লিখিত কোন কাজে কত মাত্রার উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে হবে তা অনুসরণ করা, বৈদ্যুতিক বাল্ব নিয়মিত পরিষ্কার রাখা, দিনের আলোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা।
এসির ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর উপরে রাখা, এসি ব্যবহারের সময় কক্ষের দরজা-জানালা ভালোভাবে বন্ধ রাখা, জানালায় দুই স্তর বিশিষ্ট কাঁচ বা পর্দা ব্যবহার করা, এসির ফিল্টার নিয়মিত পরিষ্কার করা, বছরে কমপক্ষে একবার এসির সার্ভিসিং করানো, এসির ডাক্ট বা পাইপের লিকেজ পরীক্ষা করা, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও ইনভার্টারযুক্ত এসি ও ফ্রিজ ব্যবহার করা।
এছাড়াও নির্দেশনার মধ্যে রয়েছে- বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও বাতাস বেশি তৈরি হয় এমন ফ্যান ব্যবহার করা, কাজ ছাড়া অফিসের চালু কম্পিউটার ও ল্যাপটপ পাওয়ার সেভিং মুডে রাখা, ডেস্কভিত্তিক প্রিন্টার ও স্ক্যানার ব্যবহারের পরিবর্তে নেটওয়ার্কের আওতায় কম যন্ত্রপাতি ব্যবহার উৎসাহিত করা ইত্যাদি।
বাজারের শৃঙ্খলা ফেরাতে নির্বাচনের দাবি ব্যবসায়ীদের
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
বাজারের শৃঙ্খলা ফেরাতে নির্বাচনের দাবি ব্যবসায়ীদের
জাতীয়
বাজারের শৃঙ্খলা ফেরাতে এবং পরিচালনা কার্যক্রমের ধারা অব্যাহত রাখতে দ্রুত সময়ের মধ্যে তফশীল ঘোষণা করে নির্বাচন কার্যক্রম সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির বহরপুর বাজারের সহস্রাধিক সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে বহরপুর বাজার বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ স্মারকলিপিটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে হস্তান্তর করেন। স্মারকলিপিতে বাজারের ১৬৫ জন ব্যবসায়ী স্বাক্ষর রয়েছে।
স্মারকলিপিতে দেখা যায় অনুলিপি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবুল কালাম আজাদ ও বহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রেজাউল করিম বরাবরও রয়েছে। স্মারকলিপি পাওয়ার বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আম্বিয়া সুলতানা।
স্মারকলিপিতে ব্যবসায়ীরা উল্লেখ করেন, বিগত ৪ বছর পূর্বে বহরপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পরিষদ গঠিত হয়। বিধিমোতাবেক সেই মেয়াদ ২০২১ সালের নভেম্বরের ১৭ তারিখে শেষ হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে মেয়াদের প্রায় ১ বছর অতিবাহিত হতে চললেও নতুন করে কমিটি গঠনের কোন উদ্যোগ নেই। ফলে বাজারের পরিচালনার সকল কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে এবং বাজারের শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে।
এমতাবস্থায় দ্রুত সময়ের মধ্যে বণিক সমিতির নির্বাচনের তফসিল ঘোষণাপূর্বক নির্বাচন কার্যক্রম সম্পন্ন করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বহরপুর বাজারের সাধারণ ব্যবসায়ীরা।
বহরপুর বাজার বণিক সমিতির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, বর্তমান বাজারের কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে প্রায় এক বছর হতে চললো। কিন্তু অদৃশ্য কারণে নির্বাচন হচ্ছে না। বর্তমান কমিটিতে যারা রয়েছেন তারা বিগত চার বছরের মধ্যে একটিও সাধারণ মিটিং করেননি।
স্বারকলিপিতে স্বাক্ষরিত একাধিক ব্যবসায়ী বার্তা২৪.কমকে বলেন, দীর্ঘদিন কোন সাধারণ মিটিং এবং বণিক সমিতির নির্বাচন না হওয়াতে ভেঙে পড়েছে বাজারে শৃঙ্খলা। আমরা সাধারণ ব্যবসায়ীরা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় রয়েছি। সহস্রাধিক দোকানের রাতের নিরাপত্তায় রয়েছেন মাত্র ১২ জন পাহাড়াদার। যেখানে প্রয়োজন কমপক্ষে ২২-২৫ জনের। আমরা রাতে দোকানের চিন্তায় ঘুমাতে পারি না।
বর্তমান মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির দপ্তর সম্পাদক খোন্দকার মিরাজুল রহমান মিরাজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ভাই এই বাজার পরিচালনা কমিটির কোন গঠনতন্ত্রই নেই। আমাদের নির্বাচনে যারা আহবায়ক কমিটি ছিলেন তারা তাদের মতো করা যে গঠনতন্ত্র সেটি রয়েছে। এটাও ফলো করা হয় না। কি বলব আমাদের শপথ অনুষ্ঠানই হয়নি।
দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন স্বারকলিপিটি আমি পেয়েছি।