গভীর রাতে বাসে যাত্রীবেশে ডাকাতি, ধর্ষণ

ছবি: সংগৃহীত
কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। একইসঙ্গে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রীদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে মারধর ও সম্পদ লুটপাট শেষে এক নারী যাত্রীকে ধর্ষণ করেছে ডাকাতদল। ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এমন ঘটনা ঘটেছে বুধবার (৩ আগস্ট) ভোরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়ায়। যাওয়ার সময় রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালুর স্তূপে বাসটি উল্টে রেখে যায় ডাকাতদল।
জানা গেছে, আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ওই সদস্যরা টানা তিন ঘণ্টা যাত্রীদের ওপর এমন ভয়াবহ অত্যাচার চালায়।
কুষ্টিয়ার বড়াইগ্রাম থেকে ঈগল পরিবহনের বাসটি ৩০-৩৫ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে মঙ্গলবার ছেড়ে আসার পথে এমন ঘটনা ঘটে।
নাটোরের বড়াইগ্রামের বাসিন্দা ফল ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান হাবিব ওই বাসের নিয়মিত যাত্রী। বাসের সুপার ভাইজার রাব্বি ও হেলপার দুলাল তার পূর্বপরিচিত। কিন্তু এই বাসের চালক নতুন ছিলেন। তিনি বড়াইগ্রামের তরমুজ চত্বর থেকে আমড়া, কাঁঠাল ও তালসহ বিভিন্ন ফল ঢাকার গুলশানে নিয়ে যেতে বাসে উঠেন।
হাবিবুর রহমান জানান, বাসটি সিরাজগঞ্জের কাছাকাছি দিবারাত্রি হোটেলে নৈশভোজের জন্য যাত্রা বিরতি দেয়। পরে রাত দেড়টার দিকে আবার যাত্রা শুরু করে। পথে কাঁধে ব্যাগ বহন করা ১০-১২ জন তরুণ যাত্রী বাসে ওঠেন। এ সময় বাসের সবাই প্রায় ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। বাসটি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হওয়ার পর যাত্রীবেশে থাকা ওই ডাকাতদল অস্ত্রের মুখে একে একে ঘুমন্ত যাত্রীদের বেঁধে ফেলেন। প্রত্যেক যাত্রীর চোখ ও মুখ বেঁধে চালককেও জিম্মি করে বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় তারা। পাঁচ মিনিটের মধ্যে সব যাত্রীর কাছ থেকে মোবাইল, টাকা, গহনা লুট করে নেয়। তারপর এক নারী যাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ডাকাতদলের সদস্যরা।
তিনি আরও জানান, পরে বাস বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরিয়ে ও তিন ঘণ্টার মতো নিয়ন্ত্রণে রাখে। শেষে পথ পরিবর্তন করে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া জামে মসজিদের পাশে বালির ঢিবিতে বাস উঠিয়ে ডাকাত দল নেমে যায়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজহারুল আমিন বলেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত কাজ চলছে। বাসের এক যাত্রীকে বাদী করে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।