নির্মাণ কাজ বন্ধ, কাদা-পানিতে একাকার সড়ক

নির্মাণ কাজ বন্ধ, কাদা-পানিতে একাকার সড়ক
ময়মনসিংহের গৌরীপুরের মাওহা ইউনিয়নের কুমড়ি-নহাটা আঞ্চলিক সড়কের বক্স কেটে কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বৃষ্টি হলেই সড়কটি কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়। তখন সড়কে চলাচল করতে গিয়ে গ্রামবাসী, স্কুল শিক্ষার্থী ও যানবাহন চালকদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্থানীয়রা জানান এই সড়কটি হয়ে উপজেলার কুমড়ি, পাজুহাটি, চল্লিশা কড়েহা, লোনাপাড়া, বাঢ়া, সিংচাপুর ও কেন্দুয়া উপজেলার ভূঁইয়াপাড়া, হোসেননগর, দইলা সহ ১০/১২ গ্রামের মানুষ চলাচল করে। তিন মাস ধরে সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টি হলেই সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। তখন যানবাহন চালকরা যেতে চান না। বিকল্প পথে যেতে দ্বিগুণ ভাড়ার পাশাপাশি কয়েক কিলোমিটার ঘুরতে হয় গ্রামবাসীকে।
উপজেলা প্রকৌশলীর (এলজিইডি) কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে ২০২১ সালের ২০ ডিসেম্বর কুমড়ি বাজার থেকে নহাটা বাজার পর্যন্ত ১৪০০ মিটার সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয়। আইআরডিপি প্রকল্পের আওতায় সড়কের নির্মাণ ব্যয় ১ কোটি ২৪ লাখ ১ হাজার ১ শত ৬১ টাকা। নির্মাণ কাজ করছেন মেসার্স শহীদ এন্টারপ্রাইজ।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে সড়কের নির্মাণ কাজে পাথর দিয়ে ছয়টি ইউড্রেন নির্মাণ করার কথা রয়েছে। কিন্ত ইউড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে সুড়কি দিয়ে। নির্মাণ কাজ শুরুর পর সড়কটি বক্স কেটে বালু ফেলা হয়। কিন্ত কাজ বন্ধ থাকায় বর্ষার বৃষ্টিতে কোথাও কোথাও পানি জমে সড়কটি হয়ে গেছে ছোট খালের মত। বিকল্প পথ না থাকায় স্কুল শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীকে বাধ্য হয়েই কাদাপানি মাড়িয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। কুমড়ি থেকে সড়কের শুরুর অংশে রয়েছে সখিনা বিবির সমাধি। সড়কের বেহালদশার কারণে দর্শনার্থী ও ভ্রমাণ পিপাসু মানুষ ঐতিহাসিক এই স্থানটি পরিদর্শন করতে গিয়ে দুর্ভোগে পড়ছে।
মাওহা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহপ্রচার সম্পাদক শাহজাহান কবির বলেন সড়কের ইউড্রেন ও প্যালাসাইটিং নির্মাণে অনিয়ম হয়েছে। কাজ বন্ধ থাকায় বর্ষায় সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা হয়। যান চলাচলের জন্য স্থানীয় চালকরা নিজ উদ্যোগে সড়কে বালু ফেললেও বৃষ্টিতে সেই বালু সরে যাওয়ায় ফের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মাওহা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আল ফারুক বলেন সড়কের বেহালদশার কারণে দুই উপজেলার প্রায় দশ/বারোটি গ্রামের মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি আমি উপজেলা সমন্বয় কমিটির মাসিক সভায় উপস্থাপন করছি। কিন্তু এখনো কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম বলেন সড়কের নির্মাণ কাজে কোন অনিয়ম হয়নি। ইউড্রেন পাথরের বদলে সুড়কি দিয়ে করা হয়েছে। তাই আমরা সুড়কির বিল নিবো। বর্ষার বৃষ্টির কারণে সড়কের কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্রæত কাজ শুরু হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবু সালেহ মোঃ ওয়াহেদুল হক বলেন পাথরের পরিবর্তে সুড়কি দিয়ে দিয়ে ইউড্রেন নির্মাণের বিষয়টি জানার পর রিভিশনের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বৃষ্টির জন্য কাজ বন্ধ ছিল।দ্রুত কাজ শুরুর জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।