লক্ষ্মীপুর আদালতে আইনজীবীদের হামলায় ৪ বিচারপ্রার্থী আহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
লক্ষ্মীপুর আদালতে আইনজীবীদের হামলায় ৪ বিচারপ্রার্থী আহত

লক্ষ্মীপুর আদালতে আইনজীবীদের হামলায় ৪ বিচারপ্রার্থী আহত

  • Font increase
  • Font Decrease

লক্ষ্মীপুর জজ আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ৪ জনকে মারধর করেছেন আইনজীবীরা। সোমবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আইনজীবী সৈয়দ ফখরুল আলম নাহিদসহ তার ৮-১০ জন সহকর্মী এ হামলা চালায়।

ঘটনার ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আইনজীবী আরীফুন নবী চৌধুরী রাসেল।

এসময় যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি আনিছ কবির লাঞ্চিত হয়।

মারধরে আহতরা হলেন, মোহাম্মদ উল্লাহ (৬০), তার স্ত্রী আফরোজা বেগম (৫০), মেয়ে মাহিয়া আক্তার (২২) ও ছেলে আব্বাস হোসেন (২৮)। তারা রামগতি উপজেলার পশ্চিম চর কলাকোপা গ্রামের বাসিন্দা। কোর্ট পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে এজলাসে নিয়ে যান।

আইনজীবী নাহিদ জেলা কৃষকদলের সাবেক সদস্য সচিব ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলমের ছেলে।

আহতরা জানায়, আইনজীবী নাহিদদের সঙ্গে তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। নাহিদদের একটি মামলায় ঘটনার সময় তারা আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। নাহিদ আগ থেকে হামলার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে আইনজীবীরা তাদের ওপর হামলা করেছে।

সাংবাদিক আনিছ কবির বলেন,খবর পেয়ে পেশাগত কাজে ঘটনাস্থলে গেলে অভিযুক্ত আইনজীবি নাহিদ ও তার সহকর্মী রাসেল আমার উপর চড়াও হয়। এছাড়া আমাকে দেখে নেবে বলে শাসিয়ে দেয়।

অভিযুক্ত আইনজীবী ফখরুল আলম নাহিদ বলেন, আমি এসব ঘটনার কিছুই জানি না।

লক্ষ্মীপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল হুদা পাটওয়ার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি।

প্রসঙ্গত, গেল ১১ জুন সন্ধ্যায় চর কলাকোপা গ্রামে জমি সক্রান্ত বিরোধের সালিসি বৈঠকে প্রতিপক্ষের লোকজন আইনজীবী নাহিদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে ওই ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করেন।

   

নারীদের গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণে সুপারিশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নারীদের গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণে সুপারিশ করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ‘মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন- কমিটির সভাপতি সাগুফতা ইয়াসমিন। কমিটির সদস্য ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি), মো. আব্দুল আজিজ, শাহিদা তারেখ দীপ্তি, পারুল আক্তার, মোসা. তাহমিনা বেগম, মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান, রেজিয়া ইসলাম এবং সাবেরা বেগম বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে একাদশ জাতীয় সংসদের ৪১তম বৈঠকের গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহসহ গত বৈঠকের কার্যবিবরণী নিশ্চিতকরণ ও বাস্তবায়ন অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

কমিটি নারীর গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে। এছাড়া, ইউনিয়ন পর্যায়ে কিশোর-কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ক্যারাটে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমটি বেগবান করতে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে ডিপিপি আরও বাস্তবসম্মত করা এবং পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং যৌন হয়রানি বন্ধের আইন সম্বলিত প্রচারণা বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়।

কমিটি ৭১ টিভিতে প্রচারিত কিশোর-কিশোরী ক্লাব সম্পর্কিত নেতিবাচক রিপোর্টটি তদন্তের মাধ্যমে ভুল প্রমাণিত হওয়ায় চ্যানেলটির সিইওকে চিঠি প্রদানের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়সহ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

;

জামালপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জামালপুর
জামালপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

জামালপুরে হিট স্ট্রোকে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোকে গোলাম রাব্বানী (৪৮) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। নিহত রব্বানী উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।

তিনি গুঠাইল বাজারে মরিচের ব্যবসা করতেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন, ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এ এম আবু তাহের।

পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে নিজ বাড়িতেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ব্যবসায়ী গোলাম রাব্বানী।

পরে তাকে স্থানীয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন।

ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এ এম আবু তাহের বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে আনার আগেই মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা ধারণা করছি অতিরিক্ত গরমের কারণেই উনার মৃত্যু হয়েছে।

;

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, হবিগঞ্জ
মর্তুজা হাসান

মর্তুজা হাসান

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

সোমবার (২৩ এপ্রিল) রাত আড়াইটায় হবিগঞ্জ শহরের চিড়াকান্দি এলাকার নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জানা যায়, ২০১৭ সালে আজমিরীগঞ্জ থানায় মর্তুজা হাসানের বিরুদ্ধে দায়ের করা এক মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এর আগে, ২০১৮ সালের ৪ আগস্ট আদালত থেকে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয় উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসানের নামে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় ওয়ারেন্ট থাকা সত্বেও প্রকাশ্যে ছিলেন।

মর্তুজা হাসান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, উপজেলা চেয়ারম্যানকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।

আগামী ৮ মে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মর্তুজা হাসান একজন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। তাকে গ্রেফতারের পর এলাকায় আলোচনার ঝড় বইছে।

;

জোরপূর্বক একীভূতকরণ ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তড়িঘড়ি ও জোরপূর্বক একীভূতকরণকে ব্যাংকিং খাতে অব্যাহত দায়মুক্তির নতুন মুখোশ বলে মন্তব্য করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

সংস্থাটি মনে করে, প্রস্তাবিত একীভূতরকরণের মাধ্যমে খেলাপি ঋণে জর্জরিত দুর্বল ব্যাংকের মন্দ ঋণ ব্যবস্থাপনা এবং জবাবদিহি সংক্রান্ত বিষয়গুলোতে যে ধরনের অস্পষ্টতা তৈরি করা হয়েছে, তা সংকটের মূল সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে ঋণখেলাপি ও জালিয়াতির জন্য দায়ী মহলকে ‘দায়মুক্তি’ প্রদানের নামান্তর।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মতামত প্রকাশ করেছে টিআইবি।

টিআইবি জানায়, ব্যাংকিং খাতের দুর্বল ব্যাংকগুলো রক্ষার নামে কেন্দ্রীয় ব্যাংক একীভূতকরণের পথে হাঁটতে শুরু করেছে, যা আর্থিক খাতে সংকট মোকাবিলায় বৈশ্বিক চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বিবেচিত হওয়ার কথা। কিন্তু সংবেদনশীল ও জটিল এই কাজটি করতে আর্ন্তজাতিকভাবে অনুসৃত মানদণ্ড ও রীতিনীতি, এমনকি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিজের ঘোষিত নীতিমালা না মেনে তড়িঘড়ি করা হচ্ছে। স্বেচ্ছাচারীভাবে চাপিয়ে দেওয়া কয়েকটি ব্যাংক একীভূতকরণের ঘোষণা এবং এ প্রক্রিয়ায় থাকা ভালো ব্যাংকগুলোর অস্বস্তি, একীভূত হতে কোনো কোনো দুর্বল ব্যাংকের অনীহা, সব মিলিয়ে ব্যাংকিং খাতে শঙ্কা, অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা গভীরতর করেছে। যা একীভূতকরণের পুরো প্রক্রিয়াটিকে শুরুর আগেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত একীভূতকরণ নীতিমালা অনুযায়ী, যে কোনো দুর্বল ব্যাংক চলতি বছরের মধ্যে স্বেচ্ছায় একীভূত হওয়ার আগ্রহ প্রকাশপূর্বক নিজস্ব সম্পদ ও দায়-দেনা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তালিকাভুক্ত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে মূল্যায়ন করে প্রকাশ করার কথা। যা বিবেচনায় নিয়ে সবল কোনো ব্যাংক দুর্বল ব্যাংকটিকে স্বেচ্ছায় একীভূত করার উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ রাখা রয়েছে।

প্রাথমিক এই প্রক্রিয়াটি ব্যর্থ হলেই কেবল কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক জোরপূর্বক একীভূতকরণের উদ্যোগ নেওয়ার কথা- মনে করিয়ে দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, একটি দুর্বল ব্যাংক ছাড়া কোনো ব্যাংকই নিজ উদ্যোগে একীভূত হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি, আবার এ প্রক্রিয়ায় নাম আসা সবল ব্যাংকগুলো স্বীয় উদ্যোগে স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে এতে যুক্ত হতে সম্মত হয়েছে তাও নয়। অর্থাৎ পুরো প্রক্রিয়াটি প্রথম থেকেই স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা ঘোষিত নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাছাড়া, দুর্বল ব্যাংকের সম্পদ ও দায়-দেনার পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন ছাড়া আপাত সবল ব্যাংকের ঘাড়ে একীভূতকরণের নামে ঋণখেলাপি ও জালিয়াতির বোঝা চাপিয়ে দেওয়া কতটুকু যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত? অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়, যা ঘটছে তা ক্যান্সার চিকিৎসায় প্যারাসিটামল প্রয়োগের নামান্তর। একীভূতকরণের নামে একদিকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ ও জালিয়াতির জন্য যারা দায়ী তাদের যেমন সুরক্ষা দিয়ে খেলাপি ঋণের সংস্কৃতিকে গভীরতর করা হচ্ছে, অন্যদিকে সবল ব্যাংকগুলোর সাফল্যের পরিণামে খারাপ ব্যাংক হজম করিয়ে দেওয়ার জোর প্রচেষ্টা চলছে। যা অস্বস্তি ও শঙ্কার নতুন বাতাবরণ ছড়িয়ে দিয়েছে পুরো খাতে।

দুর্বল ব্যাংককে বাঁচানোর এই প্রক্রিয়া হিতে বিপরীত হবে কি-না আশঙ্কা প্রকাশ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, একীভূতকরণের আলোচনায় সরকারি-সরকারি, বেসরকারি-সরকারি এবং বেসরকারি-বেসরকারি তিন ধরনের ব্যাংকই রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোন বিবেচনায় এই ব্যাংকগুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একীভূত করার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে, কিংবা কোন সবল ব্যাংকের সঙ্গে কোন দুর্বল ব্যাংক একীভূত হবে, তা কিভাবে ঠিক করা হয়েছে- তাও স্পষ্ট নয়। আবার, একীভূত হওয়ার আলোচনার বাইরে থাকা বেশ কয়েকটি ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দিয়ে টিকিয়ে রাখা হয়ছে। অন্যদিকে, দুর্বল দুটি ব্যাংকের দায়িত্ব নিতে যাওয়া সবল বলে পরিচিত সরকারি দুটি ব্যাংকের নিজেদের খেলাপি ঋণের পরিমাণও বেশ বড়। এমন বাস্তবতায় ব্যাংকিং খাতের মূল সমস্যা মোকাবিলায় কার্যকর জবাবদিহি-ভিত্তিক সুশাসন নিশ্চিত করা ছাড়া, শুধু একীভূত করলেই সংকট মোকাবিলা করা যাবে বা গ্রাহক স্বার্থ রক্ষা পাবে কিংবা খেলাপি ঋণ কমে আসবে- এমন ভাবনা সত্যিই অলীক।

একীভূতকরণ নীতিমালায় দুর্বল ব্যাংকের পরিচালকদের পাঁচ বছর পর পুনরায় একীভূত হওয়া ব্যাংকের পর্ষদে ফেরত আসা ও ব্যবস্থাপনায় জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের পুনঃনিয়োগের সুযোগ রাখার বিধানের সমালোচনা করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ বিধান দুর্বল ব্যাংকের সংকটের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির বদলে পুরস্কৃত করা এবং এক ধরনের দায়মুক্তি দেবার বিধান। পাশাপাশি, দুর্বল ব্যাংকের নিরীক্ষাকালে নতুন কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির চিত্র উঠে এলে সে বিষয় গোপন রাখার যে বিধান নীতিমালায় রাখা হয়েছে, তা শুধু আর্থিক অনিয়মের চিত্রকেই ধামাচাপা দেবে না, একই সঙ্গে দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির মুখোমুখি করার প্রক্রিয়াও বাধাগ্রস্ত হবে। যা এক কথায় অন্যায়কে সুরক্ষা দেওয়ার শামিল। একীভূতকরণের নামে যা ঘটছে, তা হতাশাজনক এবং ঋণ খেলাপিদের হাতে ব্যাংকিং খাতের অব্যাহত জিম্মিদশার পরিচায়ক।

নীতিমালা অনুযায়ী, একীভূত দুর্বল ব্যাংকের খেলাপি ঋণ রাষ্ট্রীয় মালিকানার একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি কিনে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর ফলে জনগণের অর্থে ঋণ খেলাপিদের আরও এক দফা দায়মুক্তি দেওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ব্যাংক খাতের বিশাল ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা ও জন অস্বস্তি বিবেচনায় টিআইবি মনে করে, প্রত্যাশিত ফল পেতে সংশ্লিষ্ট খাতে সুখ্যাতিসম্পন্ন নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞগণের মতামতের ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যাংক একীভূতকরণ নীতিমালায় প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থাগ্রহণ জরুরি। পাশাপাশি, ইতোমধ্যে একীভূতকরণের নামে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন স্থগিত করার আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।

;