প্রাইভেটকারের ওপর গার্ডার: ক্রেনচালকসহ গ্রেফতার ৯



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রাইভেটকারের ওপর গার্ডার

প্রাইভেটকারের ওপর গার্ডার

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ফ্লাইওভারের গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারের ৫ যাত্রী নিহতের ঘটনায় ক্রেন চালককে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

বুধবার (১৭ আগস্ট) রাতে র‍্যাব সদর দফতর থেকে পাঠানো ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আছেন দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ক্রেনচালক, চালকের সহকারী এবং ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী। সিরাজগঞ্জ ও বাগেরহাট থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র‌্যাব সূত্র জানিয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান বলেন, বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।

গত সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের এক্সপ্রেসওয়ের গার্ডার চাপায় পাঁচজন নিহত হন। হতাহতরা ঢাকায় একটি বৌভাতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ফিরছিলেন।

প্রাইভেটকারে থাকা সাতজনের মধ্যে পাঁচজান মারা যান। এরমধ্যে দুই শিশু, দুই নারী ও একজন পুরুষ মারা গেছেন। নিহতরা হলেন- রুবেল (৫০), ঝরণা (২৮), ফাহিমা (৪০), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)।

ভয়াবহ এ দুর্ঘটনায় হৃদয় (২৬) ও রিয়া মনি (২১) নামে নবদম্পতি আহত হন।

স্বজনরা জানান, ফাহিমা হলেন নববধূ রিয়া মনির মা। আর ঝরণা তার খালা। রুবেল সম্পর্কে ফাহিমা-ঝরণার বেয়াই। জান্নাত ও জাকারিয়া ঝরণার সন্তান। ফাহিমা-ঝরণাদের বাড়ি জামালপুরের ইসলামপুরে। আর রুবেলের বাড়ি মেহেরপুরে।

এ ঘটনায় সোমবার রাতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গ্যাঝুবা গ্রুপ করপোরেশনের (সিজিজিসি) বিরুদ্ধে অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে মামলা হয়েছে। এ মামলায় ক্রেনের চালক ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে দায়িত্বপ্রাপ্তদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। ব্যক্তি হিসেবে আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতদের।

   

প্রার্থীর এজেন্টের শক্ত ভূমিকা থাকলে কারচুপি ঠেকানো সম্ভব: সিইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা যথাযথ হলে কারচুপি পরাভূত করা সম্ভব মনে করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

বুধবার (৪ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় সিইসি এ কথা বলেন।

কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, আমরা সব কাজ নিষ্ঠার সঙ্গে আন্তরিকতা নিয়ে কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন সময় মিডিয়ার বক্তব্য শুনে থাকি। সেখান থেকে মনে হয়েছে পোলিং এজেন্টের ভূমিকা যদি যথাযথ হয় তাহলে কারচুপি পরাভূত করা সম্ভব।

তিনি বলেন, নির্বাচনে শক্তি প্রয়োগ করার বিষয় চিরকালই হয়ে আসছে। প্রদান উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোটাদের ভোটাধিকার। কী কী অনিয়ম হতে পারে সে বিষয়ে আমরা জানতে চাই। সেটা জানতে পারলে আমরা হয়তো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবো।

কর্মশালাটি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার এবং জুম অ্যাপের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সংযুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া অনুষ্ঠানটি জেলা নির্বাচন অফিসের সম্মেলন কক্ষে প্রজেক্টরের মাধ্যমে সম্প্রচার এবং সংশ্লিষ্ট জেলায় বিদ্যমান নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহের একজন করে প্রতিনিধি উপস্থিত থাকবেন। এতে আনুমানিক ৫০ জন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি উপস্থিতির কথা বিবেচনায় রেখে প্রস্তুতি রাখা হয়।

কর্মশালায় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে ইসি সচিবালয়ের সাবেক কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক বক্তব্য রাখবেন।

;

পাল্টা-পাল্টি হামলায় আরসার ও আরএসও'র ২ সদস্য নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা ২৪.কম কক্সবাজার
পাল্টা-পাল্টি হামলায় আরসার ও আরএসও'র ২ সদস্য নিহত

পাল্টা-পাল্টি হামলায় আরসার ও আরএসও'র ২ সদস্য নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক ঘটনায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসা ও আরএসও’র দু’জন সদস্য নিহত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) রাতে ও বুধবার ভোরে ওই ঘটনা ঘটে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী।

তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে ক্যাম্প-৮ ডব্লিউ এলাকায় সন্ত্রাসী গ্রুপ আরএসও ও আরসা’র মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে আরএসও'র ছোঁড়া গুলিতে আরসা’র কিলিং গ্রুপের শীর্ষ কমান্ডার চাকমাইয়া ইউসুফ গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে জবাই করে হত্যা করা হয়।’

১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তারের জেরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়, সেখানে চাকমাইয়া ইউসুফ নামে একজন নিহত হন। তিনি ক্যাম্প-৯ এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ৩ টি হত্যা মামলা রয়েছে।’

এদিকে এই ঘটনার জেরে আরসার সদস্যরা বুধবার ভোরে ১৫ নম্বর ক্যাম্পে আরএসও'র উপর হামলা চালায়। এসময় আরাফাত নামে আরএসও'র এক সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে আরসার সন্ত্রাসীরা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর।

একাধিক সুত্র থেকে জানা গেছে, ‘চাকমাইয়া ইউসুফ আরসার কিলিং স্কোয়াডের শীর্ষ কমান্ডার। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে অবস্থান করছিলেন। সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরসা বিরোধী অভিযান ও আরএসও'র হাতে একের পর এক সদস্য নিহতের ঘটনায় দুর্বল হয়ে পড়ে আরসা। ফলে ক্যাম্পে কিলিং মিশন চালানোর জন্য চাকমাইয়া ইউসুফকে সম্প্রতি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠায় আরসা প্রধান।’

;

ছিনতাইকারী ধরতে গিয়ে গাড়িচাপায় প্রাণ গেল আ.লীগ নেতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার আসাদগেট এলাকায় ছিনতাইকারীকে ধরতে গিয়ে গাড়িচাপায় তাজুল ইসলাম নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।

নিহত তাজুল ইসলাম মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন বলে জানা গেছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিস) রুবায়েত জামান।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা তাজুল ইসলাম মানিকগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় মোহাম্মদপুর থানার আসাদগেটের আড়ংয়ের সামনে থেকে তার মোবাইল ফোন টান দিয়ে নিয়ে যায় এক ছিনতাইকারী। এ সময় তিনি ধাওয়া দিলে গাড়িচাপায় আহত হন।

তিনি আরও বলেন, এ বিষয় আমরা তদন্ত করছি। এ ঘটনায় পৃথক মামলা হবে। মোহাম্মদপুর থানায় ছিনতাই ও শেরে বাংলা নগর থানায় সড়ক দুর্ঘটনা আইনে মামলা হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তাজুল ইসলামসহ কয়েকজন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক স্বপনের সঙ্গে দেখা করতে মানিকমিয়া এভিনিউ ন্যাম ভবনে এসেছিলেন। মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে রাত সাড়ে ১১টার দিকে গাড়িতে করে মানিকগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তাজুল ও তার রাজনৈতিক সহযোগিরা। গাড়িটি আাসাদগেইট আড়ংয়ের সামনে সিগনালে দাঁড়ালে, গ্লাস খোলা থাকায় ছিনতাইকারী মোবাইল ছো মেরে নিয়ে যায়। এ সময় ছিনাতাইকারীকে ধরতে গাড়ি থেকে নেমে পিছু নেয় তাজুল, মালেক ও গাড়িচালক ঝন্টু। ছিনতাইকারী মোবাইল নিয়ে রাস্তা পার হয়ে গেলে তাজুলও তাকে ধাওয়া করে। এ সময় রাস্তায় চলাচলকারী একটি গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন তাজুল। পরে তাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

;

৩ দিন ধরে বন্ধ রাজবাড়ী-ঢাকা বাস চলাচল, ভোগান্তিতে যাত্রীরা



সোহেল মিয়া, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা ৩ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে রাজবাড়ী-ঢাকা রুটের বাস চলাচল। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী-শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি বিপাকে পড়েছেন।

সোমবার (২ অক্টোবর) ভোর থেকে এই রুটে হঠাৎ বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেন রাজবাড়ী পরিবহন মালিক গ্রুপ।

বুধবার (৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে বালিয়াকান্দি বাস স্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা যাওয়ার জন্য সপরিবারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন একজন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা। কিন্তু রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় তিনি সরাসরি কোন পরিবহন পাচ্ছেন না। উপায়ন্তর না পেয়ে তিনি পরিবারসহ রাজবাড়ীর উদ্দেশ্যে রওনা হন মাহেন্দ্রায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, কি করবো বুঝতে পারছি না। শিশুদের নিয়ে কিভাবে ঢাকা যাব? আজ (৪ অক্টোবর) আমার ছুটি শেষ। ঢাকা যেতেই হবে। তাই ভেঙে ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করছি। আমার সাথে রয়েছে নারী ও শিশু। তারপর আবার গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। বুঝতে পারছি আজ চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে।


জানা গেছে, ফরিদপুরের গোল্ডেন লাইন বাসের সাথে দ্বন্দ্বের জেরে এই রুটে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একটি সূত্র জানায়, ঢাকার বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ফরিদপুর গোল্ডেন লাইনের দুটি বাস রাজবাড়ী-ঢাকা রুটে চলাচলের সিদ্ধান্ত দেয়। কিন্তু গোল্ডেন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রতিদিন দুটির পরিবর্তে পাঁচ থেকে ছয়টি বাস তারা চালাতে থাকে।

এক পর্যায়ে রাজবাড়ী পরিবহন মালিক গ্রুপ গোল্ডেন লাইনের বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে খালি বাস ঢাকায় পাঠিয়ে দেন। এরই জের ধরে গোল্ডেন লাইনের শ্রমিকরা রোববার (১ অক্টোবর) গাবতলী বাস টার্মিনালে রাজবাড়ীর সকল বাস কাউন্টার বন্ধ করে দেন। পাল্টাপাল্টি এ ঘটনায় সোমবার (২ অক্টোবর) ভোর থেকে রাজবাড়ী পরিবহন মালিক গ্রুপ বাস চলাচল বন্ধ করে দেন।

দ্রুতই এর একটি সমাধান চেয়ে সাধারণ যাত্রীরা বলেন, ইনাদের দ্বন্দ্বে আমরা কেন ভোগান্তিতে পড়ব। গোল্ডেন লাইন যদি নিয়ম মেনে বাস চালায়, তাহলে সমস্যা কি? যত বাস চলবে তত যাত্রীরা উপকৃত হবে। আমরা চাই- দ্রুতই প্রশাসন এর একটি সমাধান করে দিবেন।

;