প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কের উদ্দেশে আজ লন্ডন ত্যাগ করবেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্যে যোগদান শেষে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে লন্ডন ত্যাগ করবেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি নিউইয়র্ক যাচ্ছেন।
যুক্তরাজ্য সফরের চতুর্থ দিন সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর বাকিংহাম প্যালেসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও রাজাদের সম্মানে রাজা তৃতীয় চার্লস অয়োজিত সংবর্ধনায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি চার্টার্ড ফ্লাইট সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় স্ট্যানস্টেড আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে। ইউএনজিএ’র ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী ফ্লাইটটির একই দিনে নিউইয়র্ক সময় রাত সাড়ে ১০টায় নিউইয়র্কে জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মুহাম্মদ আবদুল মুহিত জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
শেখ হাসিনার ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আয়োজিত একটি সংবর্ধনা সভায় যোগদান এবং জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগদানের কথা রয়েছে। তিনি ইউএনএইচসিআর-এর ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এবং স্লোভেনিয়ার প্রেসিডেন্ট বোরুত পাহোরের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। তিনি ইউএনজিএ প্ল্যাটফর্ম অব উইমেন লিডারসেও যোগ দেবেন। দিন শেষে তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বিডেনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
এছাড়া তিনি ২১ সেপ্টেম্বর সহ-আয়োজক বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, স্লোভাক রিপাবলিক ও ইউএন হ্যাবিট্যাট আয়োজিত টেকসই আবাসন সংক্রান্ত একটি উচ্চ-পর্যায়ের সাইড ইভেন্টে যোগ দেবেন। একই দিনে তিনি ডব্লিউইএফ-এর নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর শোয়াব ক্লাউসের সাথে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন এবং গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরজি) চ্যাম্পিয়নস মিটিংয়ে যোগ দেবেন। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদরদপ্তরে পদ্মা সেতুর আলোকচিত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করবেন এবং এরপর কসোভোর প্রেসিডেন্ট ড. ভিয়োসা ওসমানী-সাদ্রিউ, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট গিয়ারমো লাসো মেন্ডোজা এবং ইউএসজি ওএইচআরএলএসএস-এর রাবাব ফাতিমার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর)-এর ওপর একটি প্রাতঃরাশ বৈঠকের মাধ্যমে ২২ সেপ্টেম্বর দিনটি শুরু করবেন এবং আইওএম মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিতোরিনোর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তিনি ইউএস বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সাথে একটি উচ্চ পর্যায়ের পলিসি গোলটেবিল বৈঠকেও যোগ দেবেন। পরে, তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী সামদেচ আক্কা মোহা সেনা পাদেই টেকো হুন সেন এবং আইসিসির প্রসিকিউটর নিক ক্লেগ এবং করিম খানের সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
২৩ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্কে ভাষণ দেবেন। এছাড়া ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেবেন।