রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা দখলমুক্তের দাবিতে সাইকেল র‍্যালি মঙ্গলবার



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সংবাদ সম্মেলন

সংবাদ সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে ভূ-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা ওয়াহেদ মিয়া নামে এক ব্যক্তি দখল করে রেখেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই বসতিভিটা দখলমুক্ত করে সেখানে পাঠাগার ও বাইসাইকেল মিউজিয়াম গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছে রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ কমিটি।

রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, কলকাতায় রয়েছে ‘রামনাথ বিশ্বাস সড়ক’, অথচ নিজভূমে তিনি হয়ে গেছেন পরবাসী। বানিয়াচংয়ে রামনাথের স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটি দখল করে রেখেছেন আবদুল ওয়াহেদ মিয়া নামে আল-বদর পরিবারের এক সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ‘ভূ-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ কমিটি’র আহ্বায়ক ভূ-পর্যটক ও লেখক আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল, যুগ্ম-আহ্বায়ক কবি শাহেদ কায়েস ও রামনাথ বিশ্বাস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক টিপু চৌধুরী। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার রুমা মোদক ।

সংবাদ সম্মেলনে রুমা মোদক বলেন, হবিগঞ্জের মানুষের কাছে ভূ-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাসকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। তিনি আমাদের হবিগঞ্জের তো বটেই, বাংলাদেশের, গোটা বাংলার গর্ব। প্রায় শত বছর আগে হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার বিদ্যাভূষণ পাড়ার রামনাথ বিশ্বাস বাইসাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিলেন ভূ-পর্যটনে। তিনি হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সকলকে ভালোবাসতেন। ১৯৪৬ সালের গ্রেট কলকাতা দাঙ্গায় নিজের জীবন বাজি রেখে বাঁচিয়েছিলেন ৩৯ জন মুসলিমের জীবন।

দখলদার ওয়াহেদ মিয়া এক সময় জামায়াত-বিএনপি করতেন উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ওয়াহেদ মিয়া পরে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে রীতিমত ওয়ার্ড কমিটির সভাপতির পদও বাগিয়ে নিয়েছিলেন। দলীয় পরিচয়ের জোরে রামনাথের বাড়ি দেখতে যাওয়া পর্যটক, বাইসাইকেল রাইডার ও সাংবাদিকের ওপর বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়েছেন। সর্বশেষ গত ১১ সেপ্টেম্বর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের স্পেশাল অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর রাজীব নূরসহ চার সাংবাদিক নিগৃহীত হয়েছেন দখলদার ওয়াহেদ ও তার পুত্রদের হাতে। রাজীব নূরের সঙ্গে নিগৃহীতদের মধ্যে ছিলেন সাংবাদিক মোশাহেদ মিয়া, তৌহিদ মিয়া ও আলমগীর রেজা।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনারও নিন্দা জানানো হয় এবং এই হামলার ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।

আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, রামনাথ বিশ্বাস সাইকেলে করে পৃথিবী ঘুরে বেড়িয়ে আসার পর বানিয়াচংয়ে এক সভায় বলেছিলেন, বাইন্ন্যাইচং আমার দুইন্ন্যাই'। অথচ বানিয়াচং এ রামনাথের বাড়িটি দখল করে রাখা হয়েছে। আসুন আমরা সবাই মিলে রামনাথের বসতভিটা দখলমুক্ত করে রামনাথকে তার বানিয়াচং ফিরিয়ে দেই, রামনাথকে তার দুনিয়া ফিরিয়ে দেই।

কবি শাহেদ কায়েস বলেন, আমরা রামনাথ বিশ্বাসের বাড়ি দখলমুক্ত করার বিষয়টি সরকারের নজরে আনার জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি করতে যাচ্ছি। আশা করবো সরকার এই বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, আমরা সাইকেল র‍্যালি করার ঘোষণা তো আগেই করেছিলাম। সেই খবর গণমাধ্যমেও প্রকাশ হয়েছে। অথচ হবিগঞ্জে এসে জানতে পারলাম, স্থানীয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ মঙ্গলবার বানিয়াচং যাওয়ার পথে একটি সেতুর সংস্কার কাজ করবে। এই ঘটনাটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত কিনা? আমরা জানি না। তবে আমাদের সাইকেল র‍্যালি সুষ্ঠুভাবে করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন সহযোগিতা করবে বলেও আশা করছি। আমরা রামনাথের বসতভিটায় দাঁড়িয়ে সেই বাড়িটি পুনরুদ্ধার করে সেখানে ভ্রমণ বিষয়ক বইয়ের বিশেষায়িত পাঠাগার এবং সাইকেল মিউজিয়াম করার দাবি জানাবো।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কবি শাহেদ কায়েস বলেন, রামনাথের বসতভিটা উদ্ধারের জন্য আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে। আমাদের কমিটিতে কয়েকজন আইনজীবীও রয়েছেন, তারা বিষয়টির আইনি দিক নিয়ে কাজ করছেন। আমরা প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের কাছে যাব। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে রামনাথের বসতভিটা পুনরুদ্ধারের এই লড়াই অব্যহত রাখবো। আমাদের বিশ্বাস সরকার গুরুত্ব দিয়ে রামনাথের বসতভিটায় দ্রুত পাঠাগার এবং সাইকেল মিউজিয়াম করবে।

কর্মসূচি

নেতৃবৃন্দ জানান, সোমবার বিকেল ৪টায় বানিয়াচংয়ে ১ নম্বর ইউনিয়ন পরিষদ মিলনায়তনে সাংবাদিক ও সুধীজনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে মতবিনিময়। পরদিন মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হবিগঞ্জ টাউন হল থেকে রামনাথের বাড়ির পথে বাইসাইকেল শোভাযাত্রা হবে। ওইদিনই সকাল ১১টায় বানিয়াচং শহীদ মিনারে সাংবাদিক দেবব্রত চক্রবর্তী বিষ্ণু প্রতীকী অনশন করবেন। বাইসাইকেল শোভাযাত্রাটি রামনাথের বাড়ি বিদ্যাভূষণ পাড়া ঘুরে এসে বানিয়াচং শহীদ মিনারে বিকেল ৪টায় সমাবেশ শেষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবে।

এ আন্দোলকে সচল রাখার লক্ষ্যে মূলত লেখক, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা মিলে গঠন করেছে ‘ভূ-পর্যটক রামনাথ বিশ্বাসের বসতভিটা পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ কমিটি’।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আহমদ খান, দৈনিক ইত্তেফাকের জেলা প্রতিনিধি মনসুর উদ্দিন আহমেদ ইকবাল, ডিবিসি নিউজ'র মো. ফজলুর রহমান, হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল হালীম, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের প্রতিনিধি চৌধুরী মাসুদ আলী ফরহাদ, একাত্তর টেলিভিশনের প্রতিনিধি শাকিল চৌধুরী, দ্য ডেইলি স্টারের মাসুক হৃদয় ও দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইনের প্রতিবেদক ইফতেয়ার রিফাত।

   

পানির অভাবে প্রায় ২ লাখ হেক্টর জমির চাষ অনিশ্চিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘ এক মাস ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে)। ফলে পানিশূন্য হয়ে পড়েছে জিকে খাল। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সর্বশেষ পাম্পটি অকেজো হয়ে গেলে বন্ধ হয়ে যায় পানিপ্রবাহ। এতে এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ১ লাখ ৯৭ হাজার হেক্টর জমির চাষে সেচ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। স্থানীয়ভাবে স্যালোমেশিন দিয়ে পানি উঠালেও তাতে কৃষকের খরচ ও দুর্ভোগ দুটোই বেড়েছে।

এদিকে জিকে সেচ প্রকল্পের অকেজো পাম্প দ্রুত সচলকরণের দাবিতে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মানববন্ধন করেছে কৃষক জোট। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পানি শূন্য জিকে খালের মধ্যে অবস্থান নিয়ে এ মানববন্ধন করেন তারা। এতে অংশ নেন সেচ প্রকল্পের আওতাধীন কয়েকশ'  কৃষক। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচি থেকে এ অঞ্চলে প্রত্যেক কৃষকের বোরো ধানের জমিতে সেচের পানি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন কৃষক জোটের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী, আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষক জোটের সভাপতি এমদাদুল হক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক, সহসভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস উষা, মহাসিন আলী, কৃষক জোটের প্রকল্প সমন্বয়কারী মশিউর রহমান, প্রকল্প কর্মকর্তা আসমা হেনা চুমকি প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আলমডাঙ্গা ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার কৃষকেরা বোরো মৌসুমে ধান চাষে জিকে খালের পানির ওপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল। এই অঞ্চলের কৃষকদের দিনের পর দিন অবহেলা করা হচ্ছে। তারা ঠিকমতো পানি পাচ্ছে না। অতিকষ্টে তাদের ফসল ফলাতে হয়। মৌসুমের শুরুতেই সেচ পানির সংকট রয়েছে। দীর্ঘদিন সেচ পাম্প নষ্টের অজুহাতে কৃষকদের দুর্ভোগে ফেলে হয়রানির অভিযোগও করেন বক্তারা।


জানা যায়, গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের আওতায় কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলায় পানি সরবরাহ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। প্রতি বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ১০ মাস দিনরাত ২৪ ঘণ্টা পদ্মা নদী থেকে তিনটি পাম্পযোগে এ চারটি জেলায় পানি সরবরাহ করা হয়। বাকি দুই মাস রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পাম্প বন্ধ রাখা হয়।

পাম্প দিয়ে ওঠানো পানি চার জেলায় ১৯৩ কিলোমিটার প্রধান খাল, ৪৬৭ কিলোমিটার শাখা খাল ও ৯৯৫ কিলোমিটার প্রশাখা খালে যায়। জিকে সেচ প্রকল্পের প্রধান এবং শাখা খালগুলোতে পানি থাকলে সেচ সুবিধাসহ আশপাশের টিউবওয়েল ও পুকুরে পানি স্বাভাবিক থাকে। পদ্মায় পানির স্তর স্বাভাবিক থাকলে প্রতি পাম্পে প্রতি সেকেন্ডে গড়ে ২৮ হাজার ৩১৬ দশমিক ৮৫ লিটার পানি সরবরাহ হয়ে থাকে।

তিনটি পাম্পের মধ্যে ২০১৭ সালে প্রথমটি ও ২০২১ সালে দ্বিতীয়টি যান্ত্রিকত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে পড়ে। এরপর মাত্র একটি পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা চালু রাখা হয়। কিন্তু সেটিও চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি যান্ত্রিকত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে। ফলে বোরো মৌসুমের শুরুতেই পানি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের কৃষক আশাদুল হক জানান, বোরো মৌসুমের শুরুতে পানি না পাওয়ায় দেরিতে ধান রোপন করা হয়েছে। এ বছর সেচ খালের আওতাধীন ৯ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। কিন্তু হঠাৎ পানি শূন্য হয়ে গেছে খালটি। ধানি জমিতে দেখা দিয়েছে ফাটল। বিকল্প হিসেবে ডিজেল চালিত স্যালো মেশিনের সাহায্য পানি দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রতিদিন ৫শ' টাকার তেল কিনতে হচ্ছে। এ বছর পানির অভাবে ধানের ফলন কম হবে, খরচও বৃদ্ধি পাবে। এতে কৃষকদের ব্যাপক লোকসান গুণতে হবে।  

এ বিষয়ে ভেড়ামারা যান্ত্রিক পাম্প হাউসের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমানে জিকে সেচ প্রকল্পের তিনটি পাম্পই যান্ত্রিকত্রুটির কারণে অকেজো হয়ে রয়েছে। সবশেষ গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তিন নম্বর পাম্পটি অকেজো হয়ে যায়। ফলে বন্ধ রয়েছে পানি সরবরাহ। তিনি আরও বলেন, আমরা পাম্পগুলো সচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে কাজ চলছে। তবে কবে নাগাদ এটি সচল হবে তা এখনি বলা সম্ভব না।

চলতি মৌসুমে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তেমন সম্ভাবনা নেই। কারণ পাম্পটি চালু হলেও পদ্মা নদীতে বর্তমানে পানির লেভেল মোটামুটি অনেক কম। সব মিলিয়ে হয়ত এ মৌসুমে চালু করা সম্ভব হবে না।

;

২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩১



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও ৩১ জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ নিয়ে করোনায় মোট মৃত্যু হলো ২৯ হাজার ৪৯৩ জনের। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৪৯ হাজার ২১৯ জনে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৮৮৫টি পরীক্ষাগারে ৬০২টি নমুনা পরীক্ষায় ৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে ২৮ জনই ঢাকার রোগী। বাকি তিনজন চট্টগ্রামের। করোনা শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তদের মধ্য থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২০ লাখ ১৬ হাজার ৪১৪ জনে। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪০ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

;

রাজউক-ইউডিডি-এইচবিআরআইর সমস্যা নিরসনের আহ্বান গণপূর্তমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজউক, ইউডিডি ও এইচবিআরআইয়ের বিদ্যমান সমস্যা নিরসন ও কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সচিবালয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংস্থা তিনটির সাথে পৃথক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

নগর উন্নয়ন অধিদফতর (ইউডিডি) ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহার ও পরিকল্পিত নগরায়নের লক্ষ্যে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কাজ করছে। ১৯৬৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানে জনবল সংকট, কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পদোন্নতিসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা। মন্ত্রী এসব সমস্যা দ্রুত সমাধানের জন্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। সেই সাথে অধিদফতরের কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য যা কিছু করা দরকার দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা নিস্পন্ন করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

হাউজিং এন্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক পরিবেশবান্ধব নির্মাণসামগ্রী উদ্ভাবন ও তৎসংশ্লিষ্ট শিল্পকারখানা স্থাপনে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সর্ম্পকে সভাকে অবহিত করেন। পোড়ামাটির ইটের বিকল্প হিসেবে ব্যবহারযোগ্য স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লক তৈরির আড়াইশোর বেশি কারখানা ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এসব নির্মাণসামগ্রী বিশেষ করে স্যান্ড-সিমেন্ট ব্লক ব্যবহারে সর্বস্তরে আরো সচেতনতা সৃষ্টির জন্য মন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেন। পরিবেশবান্ধব এসব নির্মাণসামগ্রী ডিকার্বানাইজেশনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনে সক্ষম এবং জাতীয় স্বার্থে এসব নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার বৃদ্ধি প্রয়োজন বলে মন্ত্রী মন্তব্য করেন।

তিনি এইচবিআরআইয়ের প্রাতিষ্ঠানিক সমস্যাসমূহ দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। একই দিনে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় রাজউকের বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পে পর্যাপ্ত বনায়ন, পার্ক, খেলার মাঠ, শিশুপপার্ক ও জলাধার সংরক্ষণের জন্য মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

মন্ত্রী বলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল দফতর/ সংস্থার কাজে গতিশীলতা বৃদ্ধি, ও যথাযথ নিয়ম মেনে দ্রুততম সময়ে কাজ নিষ্পন্ন করার মাধ্যমে আমরা একটি জনবান্ধব ও স্মার্ট মন্ত্রণালয় গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সুচারুরুপে দায়িত্ব পালন করতে হবে।

মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিববৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট দফতর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বিশ্ব পরিস্থিতির বিবেচনায় শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে তথ্য প্রযুক্তি ও বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশনা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বঙ্গভবনে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলিমুজ্জামানের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এই নির্দেশনা দেন।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, টেক্সটাইল বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অন্যতম প্রধান এবং সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাত। তিনি টেক্সটাইল খাতের আধুনিকায়ন ও বৈচিত্রকরণে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আচার্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের টেক্সটাইল পণ্যকে আরও বেশি জনপ্রিয় ও আকর্ষণীয় করতে ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

সাক্ষাৎকালে বুটেক্স উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয়াদি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

তিনি বলেন, ১৯৫৭ সালে তৎকালীন সরকারের মন্ত্রী থাকাকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটের একাডেমিক ও আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য তেজগাঁওয়ে জায়গা বরাদ্দ দেন এবং প্রতিষ্ঠানটির নির্মাণকাজ শুরু করেন।

বুটেক্স উপাচার্য বলেন, পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে এটিকে বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

;