চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত যুবলীগ
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে যুবলীগ প্রস্তুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রযুক্তি ও দূরদর্শি নির্ভর নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশও রয়েছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে।
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা’র ৭৬তম জন্মদিন উপলক্ষে রাজধানীর উত্তরায় ফ্রেন্ডস্ ক্লাব মাঠে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও অসহায় দুঃস্থদের মাঝে শাড়ী-লুঙ্গি বিতরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-আলহাজ্ব মোহাম্মদ হাবিব হাসান এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ। সভাপতিত্ব করেন-ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, সঞ্চালনা করেন-সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন।
ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কার্যক্রমে যুবলীগের ডাক্তারদের সমন্বয়ক টিম প্রায় ৬০০ মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি হয়েছে শিল্প বিপ্লবের ফলে। বর্তমান বিশ্বও টিকে আছে শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির উপর। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে তিনটি শিল্পবিপ্লব ঘটেছে। যা বদলে দিয়েছে বিশ্বের গতিপথ, বিশ্ব অর্থনীতির গতিধারা। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব হচ্ছে ম্যানুয়াল জগৎ ছেড়ে ভার্চুয়াল জগতের আরও বিস্তৃত পরিসর। যেখানে মানুষের আয়ত্তে থাকবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং ইন্টারনেট অব থিংস। যা সম্পূর্ণরূপেই মানব সম্পদের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। প্রযুক্তিনির্ভর ও ডিজিটাল বিপ্লবকেই বলা হচ্ছে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শি নেতৃত্বের কারণেই করোনা মহামারি সফলভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছে বাংলাদেশ। করোনা মহামারিকালে আর্থিক খাতকে সচল রাখতে তিনি বেশ কিছু প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। তিনি খাদ্য উৎপাদনকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা তার মানবিক গুণাবলি দিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরেছেন। বঙ্গবন্ধু যেমন আজীবন শোষিত-বঞ্চিত মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। ঠিক একইভাবে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা শোষিত-বঞ্চিতদের নেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন-আমাদের মনে রাখতে হবে, আমরা এমন এক নেত্রীকে অনুসরণ করি যিনি আজীবন এদেশের মানুষের জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা করে যাচ্ছেন। আমাদের প্রজন্মের তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আমি আশা করি এদেশের যুবসমাজ জননেত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথ অনুসরণ করে জনগণের অধিকার আদায়ের প্রশ্নে সর্বদা সোচ্চার থাকবে। এটাই হোক বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জন্মদিনে আমাদের অঙ্গিকার।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন-এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য একটি মানুষ দিনরাত পরিশ্রম করছেন। তারই অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। আজকে আমাদের প্রিয় নেত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জন্মদিন। জন্মদিন পালন তো দূরের কথা, তিনি কখনো জন্মদিন বিষয়টা নিয়ে ভাবেন না। অথচ এদেশের আর একজন নেত্রী আছেন, যিনি এতিমের টাকা আত্মসাৎকারী, দুর্নীতিবাজ সেই নেত্রী ৫টি ভূয়া জন্মদিন পালন করে। জন্মদিনে কেক কেটে জাতির সাথে তামাশা করেন। তারা খুনি, মিথ্যাবাদী। এদেশের জনগণের উপর জুলুম-অত্যাচার করা যাদের নেশা।
তিনি উপস্থিত সুবিধাবঞ্চিতদের উদ্দেশ্যে বলেন-জিয়াউর রহমান যেমন ছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকারী, তার ছেলে তারেক রহমানও ২১ শে আগস্টের হত্যাকারী। এদের বিরুদ্ধে আপনাদের রুখে দাঁড়াতে হবে। যেন বাংলার বুকে আর কোন আগুন সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও করার সুযোগ না পায়। তারা যেখানেই জনগণের জানমালের ক্ষতি করার চেষ্টা করবে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা সেখানেই তাদের প্রতিহত করবে।