উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অপরিহার্য: রাষ্ট্রপতি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে হলে কৃষি, শিল্প ও সেবাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি অপরিহার্য।

তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি দেশের বেসরকারি সকল শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) উদ্যোগে রোববার (২ অক্টোবর) সারাদেশে ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস’ পালনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, এবছর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের প্রতিপাদ্য ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উৎপাদনশীলতা’ বর্তমান প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান সরকার অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ‘রূপকল্প ২০৪১’ ও ‘জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট ২০৩০’ সামনে রেখে টেকসই অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নয়নে সরকার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বে মানুষের চিন্তার জগত, জীবনধারা থেকে শুরু করে পণ্য উৎপাদন, সেবা প্রদানসহ সকল ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ব্যাপক পরিবর্তন নিয়ে আসছে। শিল্প বিপ্লবের ব্যাপকতা, প্রযুক্তি নির্ভর আধুনিকতা ও সংশ্লিষ্ট পরিবর্তন আত্তীকরণ একটি বড় চ্যালেঞ্জ। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সঠিক নীতি ও পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

‘আমাদের জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির উদ্যোগ এ লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ’ এ কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস পালনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণের নিকট উৎপাদনশীলতার গুরুত্ব যথাযথভাবে তুলে ধরা সম্ভব হবে।

তিনি ‘জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস ২০২২’ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।

   

ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাত বন্ধে মানববন্ধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ ও ফুডগ্রেড বিহীন ড্রামে ভোজ্যতেল ব্যবহারের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা জানি, ভোজ্যতেল সংরক্ষণ বা সরবরাহের ক্ষেত্রে নীল রঙের কেমিক্যালের ড্রাম ব্যবহার করা হয়। যার ফলে ভোজ্যতেল বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো উপকরণ দিয়ে তৈরি প্যাকেট বা পাত্রে ভোজ্যতেল বাজারজাত করা যাবে না।’

তারা আরও বলেন, ‘ড্রামে বাজারজাতকৃত ৫৯ শতাংশ ভোজ্যতেলই সঠিকমাত্রায় ভিটামিন ‘এ’ নেই। ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে-অপরিণত শিশুর জন্ম, মহিলাদের গর্ভধারণে সমস্যা, শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, জন্মগত ত্রুটি, শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ, রাতকানা, চোখ শুষ্ক হয়ে অন্ধত্বের সৃষ্টি হয়, শিশু মৃত্যু বৃদ্ধি এবং চামড়া শুষ্ক হয়ে যাওয়া সহ নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে হৃদরোগ, কিডনি রোগসহ বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের প্রকোপ বেড়ে চলেছে। ড্রামের অস্বাস্থ্যকর এসব তেল গ্রহণের কারণে এই পরিস্থিতি আরো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে।’

তারা জানান, সরকার ১৬ মার্চ ২০২২ তারিখের মধ্যে অস্বাস্থ্যকর ননফুড গ্রেডেড ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাত ও পরিবহন বন্ধ করার জন্য নির্দেশ জারি করেন। কিন্তু কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতি এবং অন্যান্য সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এই সময়সীমা আরো বাড়ানো হয়। সয়াবিন তেল বাজারজাতকরণের সময়সীমা ৩১ জুলাই ২০২২ এবং খোলা পাম অয়েল বাজারজাতকরণের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়া হয়। এই সময় সীমার পর অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ ও ফুডগ্রেড বিহীন ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাত বন্ধকরণ শতভাগ নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও সরকার এটি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে।’’

ক্যাব’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও গ্রীন ভয়েস'র কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির সুমনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক যুগ্ম সচিব ও ক্যাব কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহা: শওকত আলী খান, ক্যাবের সম্মানিত সদস্য আবুল কালাম আজাদ, আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ নাগরিক সমাজের আহবায়ক ও মহিউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

;

বৃষ্টির জন্য পটুয়াখালীতে ইস্তিসকার নামাজ আদায়



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্রখড়া আর তাপদাহ থেকে বাচঁতে বৃষ্টির জন্য সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেছে মুসুল্লিরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে ওয়ালামা মাশায়েক পরিষদের উদ্যোগে পটুয়াখালী শহরের ঝাউবন এলাকার ফোরলেন সড়কে এ নাজাম আদায় করা হয়। এতে খোলা আকাশের নিচে তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসলমান অংশ নেয়।

নামাজের ইমামতি করেন পটুয়াখালী সরকারি কলেজ মসজিদের ইমমি ও খতিব মাওলানা মহতাসিন বিল্লা জুনায়েত।

নামাজ শেষে তীব্র তাপদাহ থেকে বাচঁতে দেশ ও জাতিসহ সকল প্রাণীকূলের শান্তির জন্য মহান আল্লাহর কাছে মুসুল্লিরা অশ্রুসিক্ত চোখে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন। গোটা দেশবাসী তাপদাহ থেকে বাচঁতে এ নামাজ আদায় করা হয়েছে বলে জানান নামাজের খতিব।

;

প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁস; ঢাবি শিক্ষার্থীসহ চক্রের সদস্যরা গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় তিন ঢাবি শিক্ষার্থী ও কয়েকজন পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 

;

পলাশে নামাজ পড়ে বৃষ্টির জন্য কাঁদলেন মুসল্লিরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহের কারণে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা ও রহমতের বৃষ্টির চেয়ে নরসিংদীর পলাশে বিশেষ নামাজ (সালাতুল ইসতিসকার) আদায় করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১০টায় পলাশ উপজেলার পলাশ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা ও বেলা ১১টায় ঘোড়াশালের করতেতৈল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও মুসল্লিদের উদ্যোগে এই নামাজ আদায় করা হয়।

পলাশ ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা মাঠে নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা মাসুদ করিম ও করতেতৈল আদর্য় উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মোহাম্মদ নাঈম।

নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লি এম এ কাইয়ুম জানান, আমরা এই তাপদাহ থেকে বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে বৃষ্টি প্রার্থনা করে বিশেষ নামাজ সালাতুল ইসতিসকার আদায় করেছি।

নামাজ শেষে মুসল্লিরা দুই হাত উপরে তুলে আল্লাহর কাছে দোয়া করেন। এসময় দোয়াতে অঝোরে কান্না করে মুসল্লিরা নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা চেয়ে তীব্র গরম থেকে মুক্তি চেয়েছেন।

;