ইসলামী ব্যাংক ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ একাডেমি (আইবিটিআরএ) ২ অক্টোবর রোববার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে “ইফেক্টিভ ইন্টারনাল অডিট প্রসিডিউর” শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালার আয়োজন করে।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন।
আইবিটিআরএর প্রিন্সিপাল এস এম রবিউল হাসানের সভাপতিত্বে কর্মশালার বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ ওমর ফারুক খান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ নাইয়ার আজম ও মুহাম্মদ শাব্বির, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট কে এম মুনিরুল আলম আল মামুন, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সিরাজুল আলম ও মোঃ রুহুল আমিন ।
এ সময় ব্যাংকের অডিট অ্যান্ড ইনস্পেকশন ডিভিশনের ১০০ জন নির্বাহী ও কর্মকর্তা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
আংটিহারা, কয়রা (খুলনা) থেকে: ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা নৌরুটে পর্যটকবাহী নৌযান ‘রাজারহাট সি’ খুলনার কয়রা উপজেলার আংটিহারা শুল্ক স্টেশন অতিক্রম করে ভারতের পথে যাত্রা করেছে। গতকাল বুধবার সকালে ঢাকার অদূরে নারায়নগঞ্জের পাগলা বিআইডব্লিইটিএ ভিআইপি জেটি থেকে ছেড়ে আসা নৌযানটি বৃহস্পতিবার ভোরে আংটিহারায় পৌছায়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে নৌযানটি ভারতের পথে যাত্রা করে। এদিন বিকেল ৪টা নাগাদ ‘রাজারহাট সি’ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হেমনগর নৌ শুল্ক স্টেশনে পৌছাবে বলে জানিয়েছেন ক্রুজের মাস্টার জিয়া উদ্দিন।
জাহাজ মাস্টার জিয়া উদ্দিন বার্তা২৪.কম-কে জানান, পাগলা জেটি থেকে যাত্রা করে ‘রাজারহাট সি’ বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে শীতলক্ষ্যার মোহনা হয়ে মেঘনা, কীর্তনখোলা নদী অতিক্রম করে গাবখান চ্যানেল হয়ে পশুর, চালনাখাড়ি, বিডিআর খাল দিয়ে আংটিহারায় পৌছায়।
‘ভারতীয় অংশে হেমনগর শুল্কস্টেশন হয়ে কুমিরবাড়ি, পাখিরনালা, সাগরদি অতিক্রম করে বিদ্যা নদী দিয়ে ঝাড়খালি, ছোটমাতলা, মন্দির হয়ে এ-প্লট টেক, কে-প্লট চ্যানেল, বিরাটবাজার চ্যানেল দিয়ে পাথরপ্রতিমা, সাগররক্ষসখালি ঘাট, নামখানা, কাকদ্বীপ, ঘোড়ামারা, নিশ্চিন্তপুর, কুলফি, ডায়মন্ড হারবার, রায়চর, হুগলি পয়েন্ট পেরিয়ে গঙ্গা দিয়ে ফলতা, মায়াপুর, বজবজ হয়ে হাওড়ায় গিয়ে যাত্রা শেষ করবে রাজারহাট-সি’-বলেন জিয়া উদ্দিন। আগামীকাল শুক্রবার দুপুর নাগাদ নৌযানটি কলকাতায় পৌছাতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল বুধবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ঐতিহাসিক এই রুটে বহুল প্রতীক্ষিত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলের শুভসূচনা করেন নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামাল। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর কার্ণিভাল ক্রুজ লাইনের নৌযান ‘রাজারহাট সি’ পর্যটকদের নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে প্রথম যাত্রাটি শুরু করে।
ঢাকা-কলকাতা-ঢাকা ঐতিহাসিক নৌ-রুটে ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ২০১৯ সালে বিআইডব্লিউটিএ পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছিল একটি নৌযান। কিন্তু একটি মাত্র যাত্রা করেই তা বন্ধ হয়ে যায়।
নৌ-পথে পর্যটক পরিবহণের সমূহ সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে এই নৌ-রুটটিতে ক্রুজ চালুর পরিকল্পনা নেয় বেসরকারি নৌযান পরিচালনা প্রতিষ্ঠান কার্ণিভাল ক্রুজ লাইনস। কোভিডে সেই পরিকল্পনা বিলম্বিত হওয়ায় এ সংক্রান্ত অনুমতি পেতে দীর্ঘ সময় চলে যায়। অবশেষে বুধবার নৌযানটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা করতে সক্ষম হয়।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দিলেন স্ত্রী-সন্তানের হাত থেকে বাঁচতে। কিন্তু স্ত্রী সন্তানকে রেখে অভিযোগকারীকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ওয়ারির বিসিজি রোড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর পরিদর্শক (মিডিয়া) আনোয়ার সাত্তার।
তিনি বলেন, 'সম্পত্তি ও পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রথম স্ত্রী ও মেয়েকে আটক রাখার অভিযোগ করে এক ভুক্তভোগী ফোন করেন। স্ত্রী-মেয়ে জমি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে উল্লেখ করে একজন কলার ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ নম্বরে ফোন করেন। এ অবস্থা থেকে তাকে উদ্ধারের জন্য তিনি সাহায্য চান।'
এ তথ্যের ভিত্তিতে ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল বরকত শেখ ওয়ারী থানায় বিষয়টিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জানায়। পাশাপাশি ৯৯৯ ডেসপাচার এসআই রেজাউল করিম কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সাথে যোগাযোগ করে পুলিশি তৎপরতার খোঁজখবর নিতে থাকেন।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে ওয়ারী থানার একটি পুলিশ দল কলারকে উদ্ধারের জন্য ঘটনাস্থলে যায়। অন্যদিকে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার একটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা ভুক্ত একজন আসামি ওয়ারির বিসিজি রোডের ২৯ নম্বর বাসায় অবস্থান করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অন্য এক পুলিশ দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
এভাবে নিজের পাতা জালে ধরা পড়া আসামিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরবর্তীতে আইনী ব্যবস্থার জন্য মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানায় হস্তান্তর করা হয়। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া ওয়ারি থানার এস আই বিশ্বজিৎ ৯৯৯ কে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
রাজধানীর কমলাপুর এলাকায় ট্রেনে আগুন দেওয়ার সময় হাতেনাতে একজন নাশকতাকারীকে আটক করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হরতালে নাশকতার উদ্দেশে কমলাপুরে ট্রেনে আগুন দেওয়ার সময় নাশকতাকারীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ বিকেল ৩টায় একটি সংবাদ সম্মেলন করবে।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ঢাকা ৮ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী এম.এ.ইউসুফের মনোনয়ন দাখিল করতে মিছিল নিয়ে এসে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে আসেন তৃণমূল প্রার্থী এম এ ইউসুফ ও আবু হানিফ হৃদয়।
ঢাকা ৫ আসনের তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আবু হানিফ হৃদয়ের সঙ্গে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তৈমুর আলম খন্দকার।
সরেজমিনে দেখা যায়, দলটির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকারের নেতৃত্বে ৩০-৪০ জনের একটি মিছিল আসে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে। এসময় মিছিলে কর্মী ও সমর্থকদের হাতে ছিল পোস্টার ও ব্যানার।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৫ জনকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন ফরম জমা দিতে আসবেন। এক্ষেত্রে কোনো ধরনের মিছিল কিংবা শোডাউন করা যাবে না। এই আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকারের জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বেলা ১২টার দিকে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তৈমুর আলম খন্দকার। সে সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সরকার দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন ফরম জমা দিতে গিয়ে আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন।
এর ঠিক ২০ মিনিট পরই তিনি নিজে আচরণবিধি ভঙ্গ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কমিটমেন্টের ওপর ভিত্তি করে তৃণমূল বিএনপি নির্বাচনে যাচ্ছে বলেও জানান তৈমুর আলম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জাতির কাছে কমিটমেন্ট করেছেন আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু, প্রতিযোগিতামূলক, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক হবে। আমরা গতকালই দেখেছি বড় বড় শোডাউন করে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। রূপগঞ্জের সরকারি দলের প্রার্থী অস্ত্র প্রদর্শন করে নমিনেশনপত্র জমা দিয়েছে। তার পেপারকাটিং আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠাবো। সরকার প্রধান যে কমিটমেন্ট দিয়েছেন সেই কমিটমেন্টের ওপর ভিত্তি করে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি। আশা করি তিনি তার কমিটমেন্ট রক্ষা করতে সক্ষম হবে।