ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সনদে চাকরি: পুলিশ কনস্টেবলের ১৭ বছরের কারাদণ্ড

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীতে বাবার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়ের ভুয়া সনদ দিয়ে পুলিশে চাকরি নেওয়ার দায়ে এক পুলিশ কনস্টেবলকে ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৩ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরো ২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান এ রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

দণ্ডিতের নাম মো.আরিফুল ইসলাম (৩২। সে চাটখিল উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের নুরুল হকের ছেলে।

নোয়াখালী জেলা দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, দুপুরে মামলার শুনানি শেষে বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান অভিযুক্ত আসামিকে ৪০৯,৪২০, ৪৬৭,৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড ও চারটি ধারায় ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন। সব সাজা এক সাথে কার্যকর হওয়ায় আসামিকে ৫ বছর সাজা খাটতে হবে। তবে দণ্ডপ্রাপ্ত আরিফুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণ দিয়ে দুদকের পিপি অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ২০১২ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের সময় নিজের বাবাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে দাবি করে ভুয়া সনদ দেন। এরপর আসামি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরি নেয় এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে। নিয়োগের কিছু দিন পর বিষয়টি জানাজানি হয়। তদন্তে মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদের বিষয়টি প্রমাণিত হয়। এরপর ২০১৩ সালে পুলিশ লাইনের তৎকালীন রিজার্ভ অফিসার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে চাটখিল থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। সর্বশেষ মামলাটি তদন্তভার পায় দুদক। দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয় তদন্ত শেষে বরখাস্তকৃত পুলিশ কনস্টেবল আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।