কথিত বাংলাদেশি ‘বিলিওনিয়ার’ডাবলু চৌধুরীর আসল পরিচয় পাওয়া গেছে!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কথিত বাংলাদেশি ‘বিলিওনিয়ার’ডাবলু চৌধুরীর আসল পরিচয় পাওয়া গেছে!

কথিত বাংলাদেশি ‘বিলিওনিয়ার’ডাবলু চৌধুরীর আসল পরিচয় পাওয়া গেছে!

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতালির ভেনিসে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়ে ভাইরাল হওয়া ‘কথিত’ বিলিওনিয়ার ডাবলু চৌধুরীর আসল পরিচয় পাওয়া গেছে! কয়েকদিন ধরে গণমাধ্যমে ‘কে এই বাংলাদেশি বিলিওনিয়ার’ বলে ডাবলু চৌধুরীর যে পরিচয় দেয়া হচ্ছে, বার্তা২৪.কমের অনুসন্ধানে তার পুরো সত্যতা মেলেনি। ভেনিসে ইলেকট্রিক মোটর গাড়ি কারখানা স্থাপনের প্রস্তাব দিয়ে হৈ চৈ ফেলে দেয়া ডাবলু চৌধুরী আসলে বাংলাদেশের একজন সাধারণ ব্যবসায়ী! যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক বছর থাকলেও তিনি বাংলাদেশের বাসিন্দা, তাঁর বিদেশি নাগরিকত্বের কোন প্রমাণ মেলেনি। এমনকি তার বাড়ি সিলেটে নয়, কুষ্টিয়ায়। কুষ্টিয়া, পাবনা ও সুইজারল্যান্ডে লেখাপড়া করা ডাবলু চৌধুরী প্রবাসী ভেঞ্চার ক্যাপিটাল সংগ্রহের আওতায় সবুজ জ্বালানির গাড়ি কারখানার বিনিয়োগ সম্ভাবনা যাচাই করে বিদেশে ঘুরে ফিরছিলেন। এরই মধ্যে তথাকথিত বিলিওনিয়ার হওয়ার খবর বেরিয়েছে!

খবরে প্রকাশ, ইতালির ভেনিসে এপসিলন মোটরস ইনৃকপ্রায় এক বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব দেয় সম্প্রতি।এই কোম্পানির চেয়ারম্যান ডাবলু চৌধুরী। এতে এই বাংলাদেশি বিলিওনারের কে এবং তার অর্থের উৎস নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়। জমি ও ইউটিলিটির সুযোগ পাওয়া গেলে গাড়ি কারখানার পাশাপাশি লিথিনিয়াম ব্যাটারি কারখানাও স্থাপন করা হবে বলে এসপিলনের প্রস্তাবে রয়েছে। এতে প্রবাসী বাংলাদেশীসহ এক হাজার মানুষের চাকরির ব্যবস্থা হবে। এই প্রস্তাবের আলোকে মিলানে অবস্থিত বাংলাদেশ কনসাল অফিসের সহায়তা নেয়া হয়। এই প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে প্রকাশিত ডাবলু চৌধুরীকে বিলিওনিয়ার হিসাবে উল্লেখ করে মিডিয়ায় খবর চাউর হয়।গণমাধ্যমে নানা রকম খবর প্রকাশিত থাকার প্রেক্ষিতে বার্তা২৪.কম প্রকৃত তথ্য জানতে নিবিড় অনুসন্ধান করে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডাবলু চৌধুরীর জন্ম কুষ্টিয়া শহরে। তার বাবা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী অবসর গ্রহণ করেন। তিনি কয়েক বছর আগে মারা যান। দু্ই বোনের পর ডাবলু চৌধুরী পিতার একমাত্র পুত্র। কুষ্টিয়া শহরের জেলখানা মোড়েতাদের দুটি ত্রিতল দালান রয়েছে। পঞ্চাশোর্ধ বয়সের ডাবলু দীর্ঘদিন ঢাকায় থাকেন। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের লেখাপড়া শেষ করার পর প্রবাসী হওয়ার লক্ষ্যে  সুইজারল্যান্ডে পাড়ি জমান এবং সেখানে লেখাপড়া ও চাকরি করেন। পরে আবার দেশে ফিরে এটিএন বাংলা ও চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে যুক্ত হন। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নানা পর্যায়ে ওঠ বসের সুবাদে ডাবলু চৌধুরী নানা রকম ব্যবসা বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করেন। এর আগে তিনি এভিয়েশন, নির্মাণ, বিদ্যুৎ ইত্যাদি খাতে অংশীদারি ব্যবসার চেষ্টা করেন। ২০০৭ সালের দিকে ডাবলু চৌধুরী স্লোভাকিয়ান এয়ারলাইন্সের জিএসএ নিয়ে এসে এভিয়েশন ব্যবসারও চেষ্টা করেছিলেন।

জানা গেছে, ডাবলু চৌধুরী ডরোথি চৌধুরীকে বিয়ে করে কিছুদিন ঢাকায় বসবাস করেন। পরে স্ত্রীর উচ্চতর পড়াশুনার জন্য ২০০৮ সালে লন্ডনে পাড়ি জমান। ২০০৯ সালে লন্ডনে তাঁদের একমাত্র পুত্রের জন্ম হয়। কয়েক বছর পর  লন্ডন থেকে দেশে ফিরে তিনি ঢাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চেষ্টা চালান।স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের উদ্দেশে ২০১৫ সালে সপরিবারে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় পাড়ি জমান তিনি। ক্যালিফোর্নিয়ায় বাড়িভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন বলে একটি সূত্র জানায়। ও্ই সূত্রমতে, স্ত্রীর ইচ্ছে অনুযায়ী ২০২১ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বসবাসের জন্য আসেন এবং লন্ডনের ইলফোর্ড এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। তাঁর স্ত্রী ও সন্তান বর্তমানে যুক্তরাজ্যেই বসবাস করছে।

জানা গেছে, ডাবলু চৌধুরী ২০২২ সালে চীন, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানির প্রবাসী ও বিদেশি নাগরিকদের একত্রিত করে এপসিলন মোটর কোম্পানি গঠন করে এই কোম্পানির চেয়ারম্যান হন। যুক্তরাষ্ট্রের দিলওয়ারে রাজ্য থেকে এর রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ করা হয়।কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৌরভ মোহাম্মদ প্রবাসী বাংলাদেশি ও  বিশ্বখ্যাত মোটর কোম্পানিতে কাজ করার অভিজ্ঞ সম্পন্ন। এপসিলনের ওয়েবসাইটে দেখা গেছে, এর পরিচালনা পর্ষদে মিসেস ঝ্যাং ইয়ানমেই, ট্রিসিয়া ব্রাউন প্লাঞ্জ ও আফজাল আনসারী প্রমুখ দেশি বিদেশি উদ্যোক্তরা রয়েছেন। তবে এখনও একটি ঝকঝকে ওয়েবসাইট, কোম্পানির প্যাড এবং বিদেশি ও প্রবাসী কিছু অভিজ্ঞ ব্যক্তিই এই কোম্পানির পুঁজি করে ধারণা করা হচ্ছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, এই কোম্পানির পক্ষে বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে ডাবলু চৌধুরী এ বছরের শুরু থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদার রেনো, লাসভেগাস, দুবাই, ক্যালফোর্নিয়ার লসএঞ্জেলেস, ইথিওপিয়ার আদিসআবাবা, জার্মানি, পর্তুগাল, হাঙ্গেরি ভ্রমণ করেন। একই প্রস্তাব নেভাদার রেনো ও লাসভেগাসেও দেয়া হয়। মাস দুয়েক আগে ঢাকা থেকে জনাব চৌধুরী আফ্রিকা হয়ে ইতালিতে যান বলে জানা যায়।

এ নিয়ে ডাবলু চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে বার্তা ২৪.কম। তিনি ইতালির বের্গামো শহরে আছেন বলে জানা যায়। অনলাইনে ডাবলু চৌধুরী এ প্রতিবেদককে জানান, এপসিলন মোটর্স ইনক এর আওতায় কারখানা স্থাপনে বিভিন্ন দেশে জায়গা খোঁজার খবর ঠিক। এতে আমাদের এক টাকাও বিনিয়োগ নেই, আমাদের এতো বিপুল অর্থও নেই। কোম্পানির প্রাথমিক অর্থের যোগান দিচ্ছে মোটরগাড়ি তৈরিতে আগ্রহী ও অভিজ্ঞ প্রবাসী এবং বিদেশি উদ্যোক্তাগণ। প্রকল্প প্রস্তাবের বিনিয়োগ আসার কথা ভেঞ্চার ক্যাপিটালের আওতায় নতুন ও উদ্ভাবনী শিল্পে মূলধন লগ্নীকারীদের কাছ থেকে। বিশ্ব জুড়ে ব্যবসা বাণিজ্যে এভাবেই বিনিয়োগের যোগান হয়। তিনি বলেন, আমাদের কোম্পানির স্লোগান হচ্ছে, এপসিলন শুধু কোম্পানি নয়, লাগসই জ্বালানিতে সবুজ পৃথিবীর স্বপ্ন। বাংলাদেশি হিসাবে আমার  মেধা, নানা দেশের অভিজ্ঞতা বিনিয়োগ করেছি মাত্র! আমাদের প্রস্তাবটি গ্রীন হাউজ গ্যাসের বিপরীতে টেকসই পৃথিবীর জন্য ইতিবাচক বলে মনে করি। এর বিপরীতে গণমাধ্যমে অনাকাঙ্খিত ও আজগুবি তথ্য ভেসে বেড়াচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

   

গণতন্ত্রী পার্টির সাবেক সভাপতি মো: নুরুল ইসলামের স্মরণসভা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

মঙ্গলবার(৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৪.০০ ঘটিকায় গণতন্ত্রী পার্টির সাবেক সভাপতি, প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা , সুবক্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা  মো: নুরুল ইসলামের ১৫তম প্রয়াণ দিবসে গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ৭৯, কাকরাইল (মায়াকানন),  ঢাকায় এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. শহীদুল্লাহ্ সিকদার। এতে প্রয়াত সভাপতি মো: নুরুল ইসলাম এর জীবন সংগ্রাম, ৪ র্থ শ্রেণির কর্মচারী দের আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলনে তাঁর অবদান তার পুত্র পুচির তাৎক্ষণিক মৃত্যু এবং ০৪ ডিসেম্বর  এম এইচ এ পার্টির সাবেক সভাপতির অগ্নিদগ্ধ হয়ে রহস্য জনক মৃত্যু নিয়ে আলোচনা ও শোক প্রকাশ করা হয়। স্মরণ সভায় প্রয়াত জননেতার জীবনের উপর আলোচনা করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক এবং কিশোরগঞ্জ- ১ আসনের এমপি পদ প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, যুগ্ম  সাধারণ সম্পাদক  ফরিদ আহাম্মদ, এ্যাড.  ফুয়াদ হোসেন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য কমল ঘোষ, মিরাজুল ইসলাম জামান, ফণীন্দ্র সরকার, মো : কামরুল ইসলাম, হরি প্রসাদ মিত্র,শফি রেজা নুর মজুমদার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গিয়াস উদ্দিন খান মিল্কি আরজু, আ. শাদীদ আহমেদ সাদী,মো: সোহরাব হোসেন, শরীফ ইকবাল হামিদ মো : শহীদুল্লাহ, শুভ আল মাহমুদ, মো: সাইফুল ইসলাম খান প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন পার্টির যুগ্ম সম্পাদক জনাব খায়রুল আলম।সভাশেষে মরহুমের মাগফেরাতের জন্য দোয়ার আয়োজন করা হয়।

 

;

জাবি শাখা ছাত্রদলের মশাল মিছিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ডাকা দশম দফায় অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে মশাল মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। সাভারের সি অ্যান্ড বি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মশাল মিছিল করে তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জানান, আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সাভারের সি এন্ড বি বাস স্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হন। পরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে মশাল মিছিল করেন।

এসময় তারা বর্তমান সরকারের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। মিছিলটি সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে সংহতি জানিয়ে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও বর্তমান জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গালিব ইমতেয়াজ নাহিদ।

এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান সোহান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহিম সৈকত, কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল বিপ্লব, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের রফিক জব্বার হল শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মার্জুক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান শুভ, মীর মশাররফ হোসেন হল শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসাইনসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী।

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গালিব ইমতেয়াজ নাহিদ জানান, দেশের অভ্যন্তরে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এ সরকার ব্যাপকভাবে অজনপ্রিয় ও নিন্দিত। নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে গিয়ে একতরফা নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা দেশকে কঠিন অর্থনৈতিক সংকটের দিকে ধাবিত করছে,অর্থনীতির মূল ভিত্তি রপ্তানিমুখী শিল্পকে হুমকির দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, স্বৈরচারী বর্তমান সরকারের ভয়াবহ এ ভয়াল করাঘাত থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্ত করতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত চলমান আন্দোলন কর্মসূচি জাতির মুক্তির ব্যবস্থাপত্র।

;

৫ বছরে বার্ষিক আয় বাড়লেও সম্পদ কমেছে হানিফের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ৫ বছরে বার্ষিক আয় বাড়লেও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এর সম্পদের পরিমাণ কমেছে।

ঋণ রয়েছে ১০২ কোটি ৮৬ লাখ ১১ হাজার ৭০০ টাকা। বার্ষিক আয় ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৪ হাজার ১০ টাকা। স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ২০ কোটি ৯৯ লাখ ১৬ হাজার ১১১ টাকা। নগদ টাকা রয়েছে ২ কোটি ১৬ হাজার ৪৫২ টাকা। তবে হানিফের হলফনামায় তার স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের কোনো তথ্য নেই।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হানিফের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় থেকে জানা যায়, চারটি ব্যাংকে ১০২ কোটি ৮৬ লাখ ১১ হাজার ৭০০ টাকা ব্যাংক ঋণ রয়েছে তার। ‘দায়’-এর ঘরে তিনি উল্লেখ করেছেন, প্রিমিয়াম ব্যাংকে লোন ৪৭ কোটি ৪২ লাখ ৭৮ হাজার ৩২৪ টাকা। ক্রেডিট কার্ডসহ ন্যাশনাল ব্যাংকে লোন ৫ কোটি ৩৮ লাখ ৭৭ হাজার ৩৪৫ টাকা, সিকিউরিটি ডিপোজিট ফার্ম হাউস প্রোপার্টিতে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এনসিসি ব্যাংকে লোন ৫০ কোটি ৩ লাখ ৬ হাজার ৩১ টাকা।

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করছেন। এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮৬ কোটি ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ১৬১ টাকা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী- তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ২০ কোটি ৯৯ লাখ ১৬ হাজার ১১১ টাকা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী- হানিফের ১২ কোটি ২২ লাখ ৮৮ হাজার ৫৮০ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে গাজীপুর দক্ষিণ বড়ই বাড়ি এলাকায় অকৃষি জমি আছে ৩ একর। যার দাম উল্লেখ করা হয়েছে ১ কোটি ৯৮ লাখ। কুষ্টিয়ার চৌড়হাস এলাকায় ০.১২৩১ একর জমি ও তৃতীয় তলা বাড়ি রয়েছে। যার দাম উল্লেখ করা হয়েছে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। ঢাকার গুলশানে ৫ কাঠা ৯ ছটাক ২৫ স্কয়ার ফিট জমি রয়েছে। যার দাম ৩ কোটি ৩৯ লাখ ১৭ হাজার ১৮০ টাকা। নয়াপল্টনে একটি বাড়ি আছে যার মূল্য ৮ লাখ টাকা। শেয়ার বাজারে ৬ প্রতিষ্ঠানে হানিফের বিনিয়োগ আছে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৬ হাজার ৪০০ টাকা।

হানিফের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৮ কোটি ৭৬ লাখ ২৭ হাজার ৫৩১ টাকার। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে হানিফের নগদ টাকা রয়েছে ২ কোটি ১৬ হাজার ৪৫২ টাকা। কোম্পানির শেয়ার বা বন্ড ৪ কোটি ৮১ লাখ ৬ হাজার ৪০০ টাকা। রয়েছে তিনটি গাড়ি। যার মূল্য এক কোটি ৭৩ লাখ ৪১ হাজার টাকা। ৩০ তোলা স্বর্ণ রয়েছে, যার মূল্য ৮ লাখ টাকা। টিভি, ফ্রিজ, এসি ৯ লাখ ১৫ হাজার ৬০০ টাকা। ২ লাখ টাকার খাট, সোফা ও অন্যান্য আসবাবপত্র রয়েছে। এ ছাড়া ২ লাখ ৪৮ হাজার ৭৯ টাকা মূল্যের এনপিবি পিস্তল, ২২ বোর রাইফেল এবং ১২ বোর রাইফেল রয়েছে তার।

সম্পদ কমলেও হানিফের বার্ষিক আয় বেড়েছে। তার বার্ষিক আয় ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৪ হাজার ১০ টাকা। এর মধ্যে বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান ভাড়া বাবদ আয় ৯ লাখ টাকা, ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৩৬ টাকা। চাকরি (এমপি ভাতা) ৬ লাখ ৬০ হাজার, ব্যাংক ইন্টারেস্ট ৯৭৪ টাকা।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার বার্ষিক আয় ছিল ২ কোটি ৩২ লাখ ৫৬ হাজার ৭৩৮ টাকা।

১৯৯৬ সালে ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে (মিরপুর-ভেড়ামারা) দলীয় সংসদ প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। ২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে পুনরায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। ২০০৭ সালের সংসদ নির্বাচনে পার্শ্ববর্তী কুষ্টিয়া-১ আসনে (দৌলতপুর) দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্ত হলেও দেশের তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে উক্ত নির্বাচন স্থগিত করা হয়। ২০০৮ সালে ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী হলেও জোটগত নির্বাচনের স্বার্থে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন।

২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ আসন থেকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

;

থানার ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চোরের পলায়ন, তদন্ত কমিটি গঠন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
থানার ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চোরের পলায়ন

থানার ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে চোরের পলায়ন

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটের জকিগঞ্জ থানা হাজতের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে রাসেল নামে এক আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সিলেট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ মামুন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন- সিলেট জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা মো.সম্রাট তালুকদার।

সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো.সেলিমকে সভাপতি করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন জকিগঞ্জ সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুন ও জেলা গোয়েন্দা শাখা( প্রশাসন) মো.জামশেদ আলম।

তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়।

এর আগে বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জকিগঞ্জ থানা হাজতের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে পালিয়ে যায় আসামি রাসেল।

রাসেল আহমদ রাসু জকিগঞ্জ পৌর এলাকার বিলের বন্দ গ্রামের আলকাছ মিয়ার ছেলে।

পলাতক রাসেল আহমদ রাসু (২৪) দুর্ধর্ষ চোর বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে চুরির মামলায় বুধবার ভোর ৭টায় বিলেরবন্দ এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানা হাজতে রাখে পুলিশ। ১০টার দিকে পুলিশ টের পায় হাজতের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে রাসু পালিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাসেল আহমদ রাসু চোর চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। রাসেল ঘরের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ছোট ছিদ্র দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও ওয়ারেন্ট রয়েছে।

এব্যাপারে সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো.সেলিম বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পলাতক আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

;