কমলা চাষে সফল জয়পুরহাটের ইমরান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, জয়পুরহাট
কমলা চাষে সফল জয়পুরহাটের ইমরান

কমলা চাষে সফল জয়পুরহাটের ইমরান

  • Font increase
  • Font Decrease

জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের ভিকনী গ্রামে সমতল ভূমিতে কমলা চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন ও তার স্ত্রী সুমি বেগম। এরইমধ্যে বাগান থেকে কমলা বিক্রিও শুরু করেছেন এই দম্পতি। কমলার আকার বড় আর স্বাদেও বেশ মিষ্টি।

সমতল ভূমিতে কমলা চাষে এই দম্পতির সাফল্য দেখতে ও পরামর্শ নিতে প্রতিদিনই জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কৃষকরা আসছেন। ভালো ফলনে লাভজনক হওয়ার কারণে কমলা চাষে উদ্যোগও নিচ্ছেন অনেক কৃষক।


সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক বিঘা জমিতে রোপণ করেন কয়েকটি বারি-২ জাতের কমলার চারা। সেই চারাগুলো থেকে গ্রাফটিং করে আরও চারা বাড়ান। এখন ইমরানের বাগানে ১৩০টি কমলার গাছ রয়েছে। ১৩০টি গাছের মধ্যে ৬০টি গাছে কমলা ধরেছে। বেশির ভাগ কমলা পেকে হলুদ হয়ে গেছে। আবার বেশ কিছু কমলা সবুজ রয়েছে। প্রতিটি গাছে ১৫-৪০ কেজি পর্যন্ত কমলা ধরেছে। প্রতি কেজি কমলা পাইকারি ১৩০ টাকা করে দাম বলছেন ব্যবসায়ীরা।

উদ্যোক্তা ইমরান হোসেন বলেন, আমি এক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। করোনার সময় ব্যবসায় খুব মন্দা যাচ্ছিল, তো খুব সংকটময় অবস্থায় ছিলাম। কি করব ভেবে চিন্তা পাচ্ছিলাম না। তখন বাধ্য হয়ে কৃষিতে আসলাম। কৃষি আসার পর দেখলাম। সহজে আমি কিসে লাভবান হতে পারব। তখন আমি কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হই।

তিনি আরো বলেন, আমরা বাইরের দেশ থেকে কমলা আমদানি করে থাকি। এতে অনেক টাকা রিজার্ভ থেকে চলে যায়। সকলে যদি কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হই, তাহলে রিজার্ভের টাকা থেকে এসব ফল আমদানি করতে হবে না। এজন্য বেকার যুবক যারা আছেন, তারা কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হতে পারেন। এর চেয়ে আর সহজ কোনো চাষ নেই।


কৃষি বিভাগ থেকে সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এই উদ্যোক্তা বলেন, চাষের প্রথম দিকে অনেক ধরনের খারাপ মন্তব্য শুনতে হয়েছে। কমলা হবে না, হলেও ভালো হবে না, ছোট, তিতা হবে। তবে তা হয়নি। অনেক সুন্দর কমলা হয়েছে। এখন সেই মানুষরাই সাধুবাদ জানাচ্ছে।

ইমরানের স্ত্রী সুমি বেগম বলেন, কমলা বাগানের বয়স প্রায় তিন বছর। অনেক পরিশ্রমের ফলে সুফল আসছে। অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। কিন্তু এখন তারা প্রশংসা করছেন। কমলা অনেক ভালো এবং সুমিষ্ট। আমি সংসারে কাজের পাশাপাশি বাগান পরিচর্যা করি।

কমলার চারা কিনতে আসা ওই এলাকার বৃক্ষপ্রেমী এনায়েতুর রহমান আকন্দ বলেন, আমি কমলা বাগানের বিষয়টি জেনে এখানে এসেছি। বাগানটি দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ফলের বাগান আছে। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির ফলজ গাছ আছে, কিন্তু কমলার গাছ নেই। আমি এখান থেকে দশটি গাছ কিনেছি।


তিনি বলেন, বাগানে কমলার ফলন দেখার মতো হয়েছে। আসলে বাংলাদেশের আবহাওয়াতে আমাদের অঞ্চলে এমন কমলা হবে তার ধারণা ছিল না। এই কমলা মিষ্টিও বটে। যারা কমলা চাষে উদ্বুদ্ধ হতে চান তারা এখান থেকে চারা সংগ্রহ করে চাষ করতে পারেন। এতে অন্তত বাইরের দেশ থেকে আমাদের কমলা আমদানি করতে হবে না।

এ ব্যাপারে আক্কেলপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম হাবিবুল হাসান বলেন, সমতলে ইমরানের কমলা চাষ একটি বিপ্লব। কমলা সাইট্রাস জাতীয় ফল, এটি পাহাড়ে হয়। কিন্তু এটি এখন সমতলেও হচ্ছে। অনেক বেকার যুবক চাইলে কমলা চাষ করতে পারেন। উপজেলা কৃষি বিভাগ, প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে উদ্বুদ্ধ হয়ে কমলা চাষের সুযোগ রয়েছে। যারা তরুণ উদ্যোক্তা আছে তারা এগিয়ে আসুন। চাকরির সোনার হরিণের পেছনে না ছুটে আপনিই উদ্যোক্তা হয়ে অন্যদের চাকরি দেওয়ার কথা ভাবুন।

 

   

ব্রহ্মপুত্রে নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সন্তানের জীবন বাঁচিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর রিমি আঞ্জুম (৩৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে গফরগাঁওয়ের আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ সেতুর নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে নিখোঁজ গৃহবধূ রিমি আঞ্জুমের লাশ উদ্ধারের জন্য ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের একটি দল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। ডুবুরি দলের উদ্ধার অভিযানের এক পর্যায়ে রিমি আঞ্জুমের মরদেহ বরশিতে আটকা অবস্থায় আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ সেতুর পিলারের কাছে ভেসে উঠে। শুক্রবার ঘটনার পর স্থানীয় ও গফরগাঁও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ২ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান করে আলো স্বল্পতা ও অক্সিজেনের অভাবে অভিযান স্থগিত করে। শনিবার সকালে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্যের একটি দল দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে মরদেহ উদ্ধার করে গফরগাঁও থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান গফরগাঁও থানার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক আহমেদ।

উল্লেখ্য, গফরগাঁওয়ের রাওনা ইউনিয়নের কৃষ্ণবাজার এলাকার আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে এসে নৌকা ভ্রমণ করতে নিহত রিমি আঞ্জুম, তার মেয়ে রোজা (১০), ছেলে সাদ(৩), শাশুড়ি ফাহিমা (৫০), ভাগনি তিথি (২০) ও আলামিন (২০) ব্রহ্মপুত্র নদে কাঁশবন দেখতে যান। ভ্রমণ শেষে ফিরে আসার সময় রিমি আঞ্জুমের কোলে থাকা শিশু সাদকে নিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পানিতে পড়ে যায়। এসময় রিমি আঞ্জুম শিশু সন্তানকে পানির উপরে তুলে ধরলে সঙ্গে থাকা আত্মীয় আলামিন ও নৌকার মাঝি সাদকে নৌকায় তুললেও তিনি পানিতে তলিয়ে যান।

;

‘প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতায় ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন খালেদা জিয়া’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন খালেদা জিয়া।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার বিষয়ে আমার কাছে কোনো আবেদন আসেনি। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে হবে। এরপর আমাদের কাছে মতামত চাওয়া হবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হয়েও এখন যে মুক্ত হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন সেটাও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় ও মহানুভবতায়।

বিএনপির হরতাল কর্মসূচির হুঁশিয়ারি বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেউ আইন ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

বগুড়ায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্থিতিশীল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া জেলায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত ২৪ ঘণ্টায় বগুড়া জেলায় নতুন করে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ২২ জন।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন ৪৮ জন। এরমধ্যে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ জন, বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ৬ জন উপজেলা হাসপাতাল গুলোতে ২১ জন। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বগুড়া জেলায় এক হাজার ৭৫ জন ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এরমধ্যে মারা গেছেন ছয় জন।

বগুড়া শহরের চকসুত্রাপুর এলাকার বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন জানান, আগস্ট মাসে তার সাত বছর এবং এক বছর বয়সী দুই সন্তান ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ১২ দিনের চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছে।

তিনি বলেন,  হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় কোন অবহেলা করা হয়নি। ডেঙ্গু ইউনিটে চিকিৎসাধীন রোগীদের বিশেষ গুরুত্ব দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডাঃ শফিক আমিন কাজল বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের প্রয়োজন স্যালাইন আর সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ। তিনি বলেন, হাসপাতালে চিকিসাধীন রোগীরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে কোন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী মারা যায়নি।

বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, এই হাসপাতালে ৫০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি করার মত ব্যবস্থা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত একসঙ্গে এত রোগী আসেনি। তারপরেও রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে। ডেঙ্গু আক্রান্ত কোন রোগীকে চিকিৎসা না নিয়ে ফিরে যেতে হবে না।

তিনি বলেন, হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত স্যালাইন মজুদ রয়েছে। চিকিৎসা সামগ্রীর ঘাটতি নেই।

এদিকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়াতে চলতি মাসে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও পৌরসভার পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এরমধ্যে পৌরসভার পক্ষ থেকে মশক নিধন, লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের পক্ষে জেলা শহর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে পরিষ্কার পরিছন্নতা কর্মসূচি পালন করেছে।

;

সুন্দরবন ভ্রমণে নৌ বহরে যুক্ত হলো অত্যাধুনিক ৬ জলযান



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মোংলা (বাগেরহাট)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশি পর্যটক ও রাষ্ট্রীয় অতিথিদের ভ্রমণের জন্য সুন্দরবনের নৌ বহরে যুক্ত হয়েছে ৬টি অত্যাধুনিক জলযান। এরমধ্যে রয়েছে আবাসন সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন দুইটি লঞ্চও।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের জন্য এমভি বনবিহারিনী আর সুন্দরবন পশ্চিম বনবিভাগের জন্য এমভি বনমালা লঞ্চ দুইটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় মোংলার ফুয়েল জেটিতে লঞ্চ দুটি বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার।

এছাড়া সুন্দরবনের সকল ধরনের অপরাধ দমনে বনবিভাগের 'স্মার্ট পেট্রোলিং টিমের জন্য দুইটি ফাইবার বডি ট্রলার ও দুটি ওপেন টাইপ স্পিডবোট হস্তান্তর করেন উপমন্ত্রী। সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা সহায়তা (দ্বিতীয় পর্যায়ে) শীর্ষক কারিগরি প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা হয় এসব জলযান।

জলযান হস্তান্তর ও উদ্বোধনকালে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, সুন্দরবন সুরক্ষা ও পর্যটকদের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা প্রদানে সরকার নিরলসভাবে কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও সুন্দরবনকে অনেক ভালবাসেন। আমি এ মন্ত্রণালয়ে শপথ নেওয়ার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী আমাকে বনের রাণী বলে ডাকেন। তাই তার এই অনুপ্রেরণায় সুন্দরবন শব্দটা আমার কানে আসলেই সাথে সাথে ছুটে যাই সেখানে। আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি সুন্দরবন সুরক্ষা ও বন অপরাধ দমনে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে চলেছি।

তিনি আরও বলেন, ২০১১ সাল থেকে সুন্দরবন সুরক্ষা প্রকল্পের আওতায় বনের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিদেশি পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য আধুনিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি ও বনপ্রহরীদের জন্য আধুনিক জলযান তৈরি করা হয়েছে।

পরে উপমন্ত্রী সুন্দরবনে যুক্ত হওয়া নতুন লঞ্চ 'বন বিহারিনীতে' করে বনের করমজল ও ঢাংমারী যান। সে সময় উপমন্ত্রী বনের অভ্যন্তরে চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, সুন্দরবন বিভাগের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো, সুন্দরবন ব্যবস্থাপনা সহায়তা দ্বিতীয় পর্যায় শীর্ষক কারিগরি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন, সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম এবং করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবিরসহ অন্যান্যরা।

;