সিরাজগঞ্জে পলিনেট হাউস পদ্ধতিতে ফুল ও ফলের চাষাবাদ

ছবি: সংগৃহীত
সিরাজগঞ্জে গ্রীন হাউসের আদলে স্থাপিত পলিনেটে হাউসে পরীক্ষামূলকভাবে ফুল, ফল ও সবজি চাষাবাদ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে এ থেকে ফুল, ফল, সবজির ভাল ফলন পেয়েছে কৃষক। এই সফলতায় দেশের কৃষি খাতে জেগেছে নতুন সম্ভাবনা। পলিনেটের সুবাদে এখন প্রায় সারা বছরই বাজারে মিলবে সব ধরণের সবজি ও ফলমূল।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার একডালা গ্রামের ফুলচাষী শহিদুল ইসলাম। তিনি সাড়া বছর বিভিন্ন ধরণের ফুল চাষাবাদ করেন। এই চাষাবাদে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছেন। পেয়েছেন বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক। বিভিন্ন দেশের উন্নত জাতের দামী ফুল চাষাবাদ করতে গিয়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মাঝে মাঝে ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে।
সিাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিস তার ২৫ শতক জমির উপর বিনামূল্য গ্রিনহাউসের আদলে আধুনিক ‘পলিনেট হাউস স্থাপন করে দিয়েছে। কৃষি ব্যবস্থাপনায় নতুন সংযোজন এই পলিনেট হাউজে কৃষক শহিদুল ইসলাম বিদেশি চন্দ্র মল্লিকা ফুল ও সবজি চাষাবাদ করেছেন। ইতিমধ্যে ফুল ও সবজির ভাল ফলন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে শহিদুল ইসলাম বলেন, পলিনেট হাউস থেকে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি লাখ টাকার চন্দ্র মল্লিকা ফুল বিক্রি করবে। একই সাথে অন্য ফুল ও সবজি চাষাবাদ করেছে। পলিনেট হাউস না থাকলে এটা সম্ভব ছিল না। এখন থেকে তিনি এর ভিতর সব ধরণের ফুল চাষাবাদ করতে পারবেন।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আনোয়ার সাদাত জানান, পলিনেট হাউস প্রযুক্তির মাধ্যমে ভারী বৃষ্টি, তীব্র তাপদাহ, ভাইরাসজনিত রোগ, কিটপতঙ্গের আক্রমণের মতো প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও নিরাপদ থাকবে শাক-সবজি এবং ফলমূল। কৃষকরা কোন ধরণের রোগ বালাই ছাড়াই বারো মাস ফুল, ফল, সবজি চাষাবাদ করতে পারবে। এই পলিনেট হাউসে আধুনিক মোটরের সাহায্য পানি দেয়া সহ রয়েছে নানা ধরণের সুবিধা। কৃষি বিভাগ থেকে এই প্রযুক্তি ব্যবহারে কৃষকদের সব ধরণের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে।