বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীতে আ. লীগের বিক্ষোভ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীতে আ. লীগের বিক্ষোভ

বিএনপির নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে রাজবাড়ীতে আ. লীগের বিক্ষোভ

  • Font increase
  • Font Decrease

১০ ডিসেম্বর ঢাকাসহ সারাদেশে বিএনপির জঙ্গিবাদ ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজবাড়ীর কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় কালুখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার নেতাকর্মী। বিক্ষোভ মিছিল শেষে নেতাকর্মীরা সহস্রাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে কালুখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

নেতাকর্মীরা বলেন, আগামী ১০ ডিসেম্বর কেন্দ্র করে ঢাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় বিএনপি। সেই কর্মাকাণ্ড চালাতেই বিএনপির সন্ত্রাসীরা ঢাকায় আশ্রয় নিয়েছে। পুলিশের উপর হামালা চালিয়েছেন। আমাদের জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম নির্দেশনা দিয়েছেন রাজপথে থাকার জন্য। সেই নির্দেশনা মেনেই আমরা রাজপথে রয়েছি।

কালুখালীর বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান নবাব, সাধারণ সম্পাদক মো. খায়রুল ইসলাম খায়ের, কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলিউজ্জামান চৌধুরী টিটো, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের সদস্য মো. ইউসুফ হোসেন মোল্লা, মদাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মজনু।

একই সময় বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বালিয়াকান্দির শেখ রাসেল স্টেডিয়াম থেকে বিক্ষোভ বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়ক প্রদক্ষিণ করে। বিক্ষোভে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আব্দুল হান্নান মোল্লা, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. মনিরুজ্জামান, সহ-সভাপতি এ কে এম ফরিদ হোসেন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হাকিম সাধনসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভ সমাবেশ প্রসঙ্গে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিম বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা ঢাকাসহ সারাদেশে জ্বালাও-পোড়াও এবং সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে করছে। সেগুলো প্রতিরোধ করার জন্য রাজবাড়ী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। সেই নির্দেশনা মেনেই রাজবাড়ীতে হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে রয়েছে।

   

উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান, ৭ দালাল গ্রেফতার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান

উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে অভিযান

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এলাকায় অভিযান চালিয়ে দালাল চক্রের ৭ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে র‌্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের নির্বাহী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাজাহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন- সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান। অভিযানে গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, ফিরোজ আলম স্বপন (৪৬), মো. মোতালেব হোসেন (৩৩), জিয়াদ রহমান আয়স (২৯), ফিরোজ আলম (৩৬), মোহাম্মদ মিনহাজ হোসেন শান্ত (২৩), মোহাম্মদ মাহিনুল ইসলাম স্মরণ (২২), মো. স্বপন হোসেন (২৫)।

মাহফুজুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১১টা হতে ৩টা পর্যন্ত উত্তরা র‌্যাব-১ এর একটি অভিযানিক দল ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার উত্তরা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অবৈধ পন্থা অবলম্বনের দায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৮ ধারা মোতাবেক দালাল চক্রের সক্রিয় সদস্য ফিরোজ আলম স্বপন, মো. মোতালেব হোসেন, জিয়াদ রহমান আয়স, ফিরোজ আলমকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও মোহাম্মদ মিনহাজ হোসেন শান্তকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, মোহাম্মদ মাহিনুল ইসলাম স্মরণকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং মো. স্বপন হোসেনকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

;

সুন্দরবনে গাছের প্রজাতি ও পরিমাণ নির্ণয়ে জরিপ শুরু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবনে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ ও পরিমাণ নির্ণয়ে জরিপ শুরু হয়েছে। বনবিভাগের তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার (১৯মার্চ) থেকে শুরু হয় গাছ জরিপের কাজ। আগামী তিন মাসের মধ্যে জরিপ শেষ করবে বনবিভাগ।

সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই ম্যানগ্রোভ বনের ৪ হাজার ১৪২ দশমিক ৬ বর্গ কিলোমিটারের স্থলভাগে কত প্রজাতির ও কি পরিমাণ গাছপালা রয়েছে তা জানতে এই জরিপ চালানো হচ্ছে।

বনবিভাগের তথ্য মতে, ১৯০৩ সালের গবেষণায় সুন্দরবনে সুন্দরী, গেওয়া, গরান, পশুর, কাঁকড়া, কেওড়া, ধুন্দল, বাইন, খলসি, আমুর, সিংড়াসহ ৩৩৪ প্রজাতির গাছপালা, ১৬৫ প্রজাতির শৈবাল ও ১৩ প্রজাতির অর্কিড ছিলো। ১৯৮৫ সালের জরিপে সুন্দরবনে অরণ্য ও গুল্ম প্রজাতির সংখ্যা কমে তা দাঁড়ায় ৬৬ প্রজাতিতে। ১৯৯৭ সালের জরিপে সুন্দরবনে মাত্র ৪৮ প্রজাতির উদ্ভিদ ছিলো। এরপর ২০১৪-১৫ সালের সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনে গাছের প্রজাতির সংখ্যা বেঁড়ে দাঁড়ায় ১৮৪ টিতে। এরমধ্যে ৫৪ প্রজাতির গাছ, ২৮ প্রজাতির লতাপাতা, ১৩ প্রজাতির গাছড়া, ২২ প্রজাতির গুল্ম, ১৩ প্রজাতির ফার্ণ, ১২ প্রজাতির অর্কিড, ৩ প্রজাতির পরজীবী উদ্ভিদ, ২ প্রজাতির পাম, ২৮ প্রজাতির ঘাষ ও ৯ প্রজাতির ছত্রাক উদ্ভিদ রয়েছে সুন্দরবনে।

বর্তমানে সুন্দরবনে এসব উদ্ভিদের মধ্যে ৭০ শতাংশই হচ্ছে সুন্দরী, গেওয়া ও গরান গাছ। তবে এসব উদ্ভিদের মধ্যে বিপন্ন প্রজাতির তালিকায় থাকা ৫ প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে লাহুর, বনবকুল, মহাজনি লাতা ও দুই প্রজাতির অর্কিড।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ নূরুল করিম বলেন, বাংলাদেশের সমগ্র সুন্দরবনের স্থল ভাগে কতো প্রজাতির ও কি পরিমাণ গাছপালা রয়েছে তা জানতে শুরু হয়েছে এই বনভূমির গাছ জরিপের কাজ। বনবিভাগের বন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা আগামী তিন মাসের মধ্যে এই জরিপ কাজ শেষ করবে। তখনই জানা সম্ভব হবে এখন সুন্দরবনে কতো প্রজাতির ও কোন কোন প্রজাতির কি পরিমাণ গাছপালা রয়েছে।

;

সিলেটে ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে ভিড়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে ভিড়

ন্যায্যমূল্যে পণ্য কিনতে ভিড়

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে ন্যায্যমূল্যের দোকানে নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য কিনতে ভিড় করছেন ভোক্তা সাধারণ। প্রথম রমজান থেকে শুরু হওয়া সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে সকাল ১১টা থেকে ন্যায্যমূল্যের দোকোনের সামনে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়াতে দেখা যায় ক্রেতাদের। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্যের মজুত শেষ হওয়ায় অনেকে ফিরেছেন খালি হাতে।

ভোক্তা সাধারণের সুবিধার কথা চিন্তা করে প্রথম রমজানে জেলা প্রশাসন ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় দ্য সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির আয়োজনে আলিয়া মাদরাসা মাঠে দোকানটির উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

সরেজমিনে নগরীর চৌহাট্টাস্থ সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ৬৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ, ২৫ টাকায় আলু ও ডাল ৯৫, ছোলা ৯০ টাকা, তেল ১২৫ টাকা, আদা ১৫০ টাকা ও রসুন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কম দামে পণ্য পেয়ে খুশি ক্রেতারাও।

সিলেট নগরীর কুয়ারপাড় থেকে বাজার করতে এসেছেন হিরন মিয়া। তিনি বলেন, বাজারের তুলনায় এখানে সবকিছুর দাম অনেকটা কম। বাজারে ছোলা ১১০ টাকা, এখানে ৯০ টাকা দিয়ে কিনেছি। এমন উদ্যোগ আমাদের জন্য ভালো হয়েছে।

পেঁয়াজ ও রসুন কিনে মিরের ময়দানের বাসিন্দা আমিনা আফরোজ বলেন, আমাদের মতো গরিব ও মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্য এই উদ্যোগ খুবই ভালো।বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম বেশি।

দ্য সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক শান্ত দেব বলেন, পুরো রমজান মাস আমাদের এই কার্যক্রম চলবে। আমরা চেষ্টা করছি ভোক্তাদের জন্য যতটুকু সহনীয় পর্যায়ে দাম রাখা যায়। সেই লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সহযোগিতায় ন্যায্যমূল্যের বাজার চালু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সব শ্রেণি পেশার লোকজন এখানে বাজার করছেন। প্রতিটি পণ্যে কমপক্ষে ১০-১৫ টাকা কম রাখা হচ্ছে। প্রতিদিন দুই থেকে তিন ট্রাক পণ্য বিক্রি করা হয়। ঈদ যত ঘনিয়ে আসবে পণ্যের চাহিদা আরও বাড়বে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, পবিত্র রমজান মাসে ভোক্তা সাধারণের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা যৌথভাবে ‘রমজান বাজার’ চালু করেছি। এই বিক্রয়কেন্দ্র থেকে ন্যায্যমূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী সরবরাহ করা হবে। এতে নগরবাসীর কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

;

নীলফামারীতে নববধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর ডোমারে এক নববধূকে ধর্ষণের অভিযোগে অনিল চন্দ্র রায় (৫০) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকালে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত অনিল চন্দ্র রায় উপজেলার চিকনমাটি দোলাপাড়া এলাকার হলহলিয়া গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, অনিল চন্দ্র রায়ের ছেলে রনি চন্দ্র রায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় ভুক্তভোগীর। পরে তার ছেলে কাজে বাইরে গেলে। অভিযুক্ত কৌশলে ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন।

ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;