বিসিসি’র সঙ্গে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সমঝোতা স্মারক 



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিসিসি’র সঙ্গে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সমঝোতা স্মারক 

বিসিসি’র সঙ্গে বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সমঝোতা স্মারক 

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ট্র্যান্সজেন্ডারদের ডিজিটাল প্রযুক্তির আওতায় সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষে কার্যক্রম গ্রহণ করবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।

সমাজে বৈষম্য রোধ করতে দেশের নারী-পুরুষের পাশাপাশি ট্রান্সজেন্ডার মানুষদের নিয়ে আসা প্রয়োজন। ট্রান্সজেন্ডার বর্তমান প্রেক্ষাপটে তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প ২০২২-এর সফল বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার এখন ২০৪১ সালের মধ্যে উদ্ভাবনী ও জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতির স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। ট্রান্সজেন্ডার মানুষ সমাজের অর্থাৎ দেশের একটি অংশ। তাই তাদের বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করা যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনি ট্রান্সজেন্ডার-বান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরি ও সুযোগ সৃষ্টি করা দরকার। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যকে সামনে রেখে সমাজের ট্র্যান্সজেন্ডারদের ডিজিটাল প্রযুক্তির আওতায় সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে কার্যক্রম গ্রহণ করছে বিসিসি কর্তৃপক্ষ। এরই আলোকে অভিজ্ঞ এনজিও প্রতিষ্ঠান বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি, ঢাকা এর সাথে বিসিসি কর্তৃক ট্র্যান্সজেন্ডারদের কল্যাণে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে বিসিসি’র সভা কক্ষে আয়োজিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বিসিসি’র নির্বাহী পরিচালক (গ্র্রেড-১) রণজিৎ কুমার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এসময় বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ-সহ প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ট্র্যান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠিকে তথ্য প্রযুক্তির প্রশিক্ষণ দিয়ে সক্ষমতা উন্নয়নের এবং বিভিন্ন কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়নের মূলস্রোতে সম্পৃক্ত করতে প্রতিষ্ঠান দুটির প্রধানগণ একমত পোষণ করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রণজিৎ কুমার একটি দেশ ও সমাজের জন্য ট্রান্সজেন্ডারদের প্রয়োজনীয়তা এবং গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়’ সবাইকে নিয়ে একসাথে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ বির্নিমাণের মধ্য দিয়ে ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের দিকে বিসিসি কর্তৃক গৃহীত এই কার্যক্রমটি সহায়ক ভুমিকা রাখবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিসিসি’র পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) জনাব আবু সাঈদ, বিসিসি’র সচিব জনাব মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম এবং অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

রাজবাড়ীর চারটি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
রাজবাড়ীর চারটি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত

রাজবাড়ীর চারটি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর চারটি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হলো। উপজেলাগুলো হলো- কালুখালী, পাংশা, বালিয়াকান্দি ও রাজবাড়ী সদর। বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সারাদেশে মুজিববর্ষ উপলক্ষে চতুর্থ পর্যায়ে জমি ও গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে জানা যায়, সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী ‘ক’ শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার না থাকায় এ জেলার রাজবাড়ী সদর, পাংশা ও বালিয়াকান্দি ‘ক’ শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০২২ সালের জুনে কালুখালী উপজেলাকে 'ক' শ্রেণীর ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছিলেন।

এদিকে চতুর্থ ধাপে রাজবাড়ীতে মোট ঘর পাচ্ছেন ২৭৭ টি পরিবার। এরমধ্যে সদর উপজেলায় ৩৫টি, পাংশা উপজেলায় ১২০টি, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ১২০টি, গোয়ালন্দ উপজেলায় ২টি ভূমিহীন পরিবার এই ঘর পেলেন। রাজবাড়ী জেলায় ইতোমধ্যে ২১২২টি ঘর উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন রাজবাড়ী জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবুল কালাম আজাদ, বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসিবুল হাসানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, উপকারভোগী ও সংশ্লিষ্ট সকল ব্যক্তিবর্গ।

জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান তার বক্তব্য বলেন, ‘আমার দেশের প্রতিটি মানুষ খাদ্য পাবে, আশ্রয় পাবে, শিক্ষা পাবে, উন্নত জীবনের অধিকারী হবে-এই হচ্ছে আমার স্বপ্ন’। ১৯৭২ সালের ৩রা জুলাই বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়ন আয়োজিত সমবায় সম্মেলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই উক্তির উপর ভিত্তি করে বর্তমান সরকার ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় পরিবার পুনর্বাসন করে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না।’ এরই ধারাবাহিকতায় মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীন পুনর্বাসন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

;

এক স্কুলে পড়ে ১০ জোড়া যমজ ভাই-বোন



রবিউল এহ্সান রিপন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
এক স্কুলে পড়ে ১০ জোড়া যমজ ভাই-বোন

এক স্কুলে পড়ে ১০ জোড়া যমজ ভাই-বোন

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে একসাথে এক বিদ্যালয়ে এত যমজ ভাই-বোন পড়াশোনার বিষয়টি আলোড়ন ফেলেছে পুরো জেলাজুড়ে। তেমনি একসাথে এক বিদ্যালয়ে ১০ জোড়া যমজ ভাই-বোন পড়াশোনা করছেন। 

ভাই-বোনের সম্পর্কগুলো সবসময় মধুর হয়। একসাথে বেড়ে ওঠা আর খুনসুটি করেই পার হয়ে যায় পুরো সময়। তবে সে সম্পর্ক আরো মধুর হয়ে উঠে যমজ ভাই-বোনদের ক্ষেত্রে। একই সময়ে পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখা। আর জীবনের পথচলায় একই রকম দেখতে, একই ভাল লাগা আর খারাপ লাগা গুলো বেশ আকৃষ্ট করে সকলকে। একসাথে খাওয়া,খেলাধুলা করা ও পড়াশোনা করাসহ নিজেদের ভাল লাগার পাশাপাশি মুগ্ধতাও ছড়ায় আশপাশে। 

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলে এক সাথে বিভিন্ন শ্রেণীতে পড়াশোনা করেন ২০ জন যমজ ভাই-বোন। বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে তাহসিন-তাসনিম ও সান-মুন, সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে কার্তিক-গণেশ, হাবিব-হাফিজ ও সুমাইয়া-সাদিয়া, অষ্টম শ্রেণিতে শুভ-সৌরভ, নবম শ্রেণিতে হাসি-খুশি ও তাহবি-তাসবি এবং দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করেন আবিদ-অমিত ও রাহুল রাহা- চঞ্চল রাহা যমজ ভাই বোন৷ যমজ ভাই-বোনদের চেহারায় মিল থাকায় তাদের নিশ্চিত করতে খানিকটা বিড়ম্বনা হলেও তাদের সাথে নিয়ে বেশ উপভোগ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীরা। দুইজন একসাথে বেড়ে ওঠাকে বেশ গর্বের সাথে দেখছেন যমজ ভাই-বোনেরা৷

ষষ্ঠ শ্রেণীর যমজ দুই ভাই সান ও মুন বলেন, আমরা দুই ভাই একসাথে সব কাজ করি। খাওয়া, খেলাধুলা ও স্কুলে আসা যাওয়া একসাথে করি৷ আমাদের দুজনের পছন্দ মাংস ভাত৷ শুধু দুজনের দুই রঙ পছন্দ৷ একজনের লাল আরেকজনের নীল৷ আমরা একই পোশাক পরে বিভিন্ন জায়গায় যায়৷ শুধু পোশাক না আমাদের জুতা, চশমা, প্যান্ট সব একরকম। আমাদের খুব ভালো লাগে৷ তবে অনেকজনে আমরা কে কোনটা চিনতে পারেনা। আমরা এ বিষয়টাকে আরো বেশি উপভোগ করি। আমরা দুই ভাই অনেক আনন্দ করি একসাথে। বাড়িতে একসাথে পড়তে বসি। আমাদের বাবা-মা ও পরিবার সকলে খুশি আমাদের নিয়ে৷

সপ্তম শ্রেণীর যমজ দুই বোন সুমাইয়া ও সাদিয়া বলেন, আমাদের সবকাজগুলো আমরা একসাথে করি। আমাদের দুজনের প্রিয় রঙ হল নীল৷ আমরা একসাথে স্কুলে আসি। একসাথে ক্লাশে বসি৷ টিফিনের সময় আবার একসাথে খেলাধুলা করে থাকি। সব কাজগুলো আমরা একসাথে করি৷ ক্লাসের সময় একজনকে বকা দিলে আমাদের আরেকজনকে খুব খারাপ লাগে৷ আবার কেউ যদি আমরা ভালো কিছু করি তাহলে মন থেকে ভালো লাগা কাজ করে৷ স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরা আমাদের চিনতে পারেনা৷ তখন একসাথে দুজনকে ডাকে তখন আমাদের খুব ভালো লাগে।

নবম শ্রেণির যমজ দুই বোন হাসি ও খুশি বলেন, আমাদের একটা বড় সুবিধা হল কেউ কোন ভুল করলে একজন আরেক জনকে চাপিয়ে দেওয়া যায়৷ পরে আবার আমরা একসাথে মিলে যায়৷ আর পরিবারের কাছে, আত্নীয় স্বজনদের কাছে ও শিক্ষকদের কাছেও আমরা বেশ আদর পায়৷ আমরা আমাদের পুরো সময়টা একসাথে কাঁটায়। আমরা জমজ হয়ে অনেক খুশি৷ পড়াশোনা করার সময় আমরা একজন আরেকজনের সহযোগিতা নেয়৷ সবমিলিয়ে আমরা একজন আরেকজনের পূর্ণ পরিপূরক। একজন আরেকজন ছাড়া চলতে পারিনা। রাগারাগি হলে আবার কিছুক্ষণের মধ্যে মিলে যায়। আমরা জমজ হয়ে অনেক খুশি৷

বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষিকা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, যমজ বিষয়টি আমি বেশ উপভোগ করি৷ তারা যখন পাশাপাশি বসে তখন তাদের দেখতেও ভালো লাগে। তাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ অনেক বেশি। তারা যাতে ভালো কিছু করে আমরা সবসময় তাদের উৎসাহিত করি৷

বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক মামুনুর রশিদ বলেন, আমাদের প্রত্যেকটি শ্রেণীতে যমজ শিক্ষার্থী আছে৷ ক্লাস নেওয়ার সময় একজন পড়া দিতে পারলে অপরজন খুশি হয়। আবার একজন না পারলে অপরজন মন খারাপ করে৷ তাদেরকে বুঝার কোন উপায় নেই যে কে কোনটা৷ সে কারনে একজনের নাম আরেকজনকে বলতে হয়৷ তবে তারা বেশ মেধাবী৷ আমরা আশা রাখছি তারা তাদের কর্মজীবনে ভালো কিছু করবেন৷

মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে ২০ জন যমজ ভাই-বোন পড়াশোনা করেন৷ তাদের নাম গুলো প্রায় একই রকম ও চেহারার মিলও দেখা যায়। সে কারনে কোনটা কে সেটা বুঝতে বিড়ম্বনায় পরতে হয়। তবুও আমরা যমজ বিষয়টি বেশ উপভোগ করছি৷ এ ছাড়াও আমি লক্ষ করেছি তাদের মেধাও প্রায় সমান হয়৷ একজনের শ্রেণীর রোল নাম্বার দুই হলে অপরজনের তিন হয়। তাদের আচার-আচরণ, পোশাক পরিচ্ছদ একই রকম৷ তারা একসাথে থাকতে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। আর আমরাও বিষয়টি উপভোগ করি।

;

জেনেভায় মানবাধিকার রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জেনেভায় মানবাধিকার রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

জেনেভায় মানবাধিকার রক্ষায় সরকারের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে মানবাধিকার সুরক্ষা ও প্রসারে জাতিসংঘের সাথে একযোগে কাজ করতে দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) জেনেভায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তার্ক এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

বৈঠকে আইনমন্ত্রী হাইকমিশনারকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে তাঁর অফিসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার কথা উল্লেখ করেন।সরকারের কার্যকর উদ্যোগের কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার অনেক কমেছে বলে আইনমন্ত্রী হাই কমিশনারকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, সরকার এ আইনের অপব্যবহার বন্ধের ব্যাপারে সজাগ রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের এ সংক্রান্ত আইনের গুড প্রাকটিস নিয়ে সরকার আলোচনা করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আইনটি নিয়ে সরকার সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথেও পরামর্শ করছে বলে জানান আইনমন্ত্রী ।

এছাড়া তিনি জানান তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকার তথ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি প্রস্তাবিতআইনেরএকটি খসড়াপ্রকাশিত হয়েছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আইনটি নিয়ে সরকার বিভিন্ন অংশীজনদের নিয়ে পরামর্শ করছে।

বৈঠকে হাই কমিশনার জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্রের পঁচাত্তর বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে তাঁর অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে এ ব্যাপারে বাংলাদেশর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।

বৈঠকে আইনমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রচেষ্টাকে সফল করতে জাতিসংঘের অধিকতর শক্তিশালী ও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান বৈঠকে জেনেভাস্থ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোঃ সুফিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

;

বন্ধ ডলু বালু মহালের হঠাৎ ইজারা, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বন্ধ ডলু বালু মহালের হঠাৎ ইজারা

বন্ধ ডলু বালু মহালের হঠাৎ ইজারা

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতকানিয়ায় ডলু বালু মহাল-৪ আবার ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। স্থানীয় জনমত উপেক্ষা করে প্রশাসনের হঠাৎ এমন সিদ্ধান্তে হতবাক ও ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

তারা অবিলম্বে জনবিরোধী এ সিদ্ধান্তের পরিবর্তন ও বিতর্কিত বালু মহাল ইজারা প্রক্রিয়া দ্রুত বন্ধ চান। এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করা হয়েছে জেলা প্রশাসকের কাছে।

জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ করিম বলেন, আমরা অনেক বালু মহালের ইজারা বন্ধ রেখেছি। জেলা প্রশাসন কোন বালু মহাল ইজারা দেবে কোন মহাল ইজারা দেবে না তা ঠিক করে না। উপজেলা প্রশাসনের সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ইজারা প্রক্রিয়া শুরু এবং সম্পন্ন করে। তবু বিষয়টি নিয়ে যেহেতু আপত্তি ওঠেছে তা আমাদের বিবেচনায় থাকবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বিগত বছরগুলোতে ডলু নদীর ৩ ও ৪ নং বালু মহাল ইজারার কারণে নদীর দুই তীরে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়। এতে অনেকে বসত ভিটি ও ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। অসংখ্য পরিবার একমাত্র সহায় সম্বল হারিয়ে পথে বসেছে। তাই স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন গত বছর ডলু নদীর ৩ ও ৪ নং মহালের ইজারা বাতিল করে। ওই সময় ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর স্থানীয় সংসদ সদস্য ড. প্রফেসর আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামউদ্দীন নদভীর প্রচেষ্টায় জেলা প্রশাসন বালু মহাল দুটির ইজারা স্থাগিত করে। কিন্তু হঠাৎ জেলা প্রশাসন ডলু নদীর বালি মহাল ৪ ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অন্যান্য বালু মহালের সঙ্গে। তবে ৩ নং বালু মহালের ইজারা বিজ্ঞপ্তি এবার প্রকাশ করা হয়নি।

তাদের অভিযোগ, ৪ নং বালু মহাল ইজারা নেওয়ার জন্য স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র তৎপর। তারা দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ ড্রেজার মেশিনের সাহায্যে বালু উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকার বালু বিক্রি করেছে। তাদের ভয়ে তাদের বিরুদ্ধ কথা বলার সাহস পান না। তাদের বিরুদ্ধাচারণ করলেই বিভিন্নভাবে হয়রানি করা হয়। এর ফলে নদীর দুপাড়ে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের বাড়িঘর বিলীন হয়েছে।

অথচ এলাকাবাসীর বাড়ি ঘর রক্ষায় শিল্পগ্রুপ কেএসআরএমের কর্ণধার মোহাম্মদ শাহজাহান পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গা এলাকায় নিজস্ব অর্থায়নে কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছেন। বর্তমানে এটিও ঝুঁকির মুখে। এবার ডলু মহাল ৪ ইজারা দেওয়া হলে ভাঙনে এটিও বিলীন হতে পারে। এমন আশঙ্কা স্থানীয়দের। তারা মনে করেন, উপজেলা প্রশাসন সরেজমিন তদন্ত না করেই প্রভাবশালীদের চাপ কিংবা অর্থের কাছে নতি স্বীকার করেছেন। না হয় গণবিরোধী এমন সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই নিতে পারে না উপজেলা প্রশাসন।

নলুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ মিয়া ইজারা প্রক্রিয়া বন্ধের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। তিনি বলেন, স্থানীয় জনমত উপেক্ষা করে যদি কেউ হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলে তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমি প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নালিশ করব। বন্ধ বালি মহাল আবার ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়ার সাথে যারা জড়িত তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।

নলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লেয়াকত আলীও ডলু নদীর ৪ নং বালু মহাল ইজারা বন্ধের জন্য লিখিত আবেদন করেছেন জেলা প্রশাসকের কাছে। ওই আবেদনে সুপরিশ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নিজামউদ্দীন নদভী। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন- বর্তমান সরকার ডলু ভাঙন রোধে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছে। এছাড়া বালু মহালের ইজারা নিয়ে পুরো এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিস্তার হবে।

তিনি বলেন, ডালুর বালু উত্তোলন ও বিক্রি নিয়ে এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। প্রাণহানির আশঙ্কাও রয়েছে। অতীতে এমন ঘটনার নজির রয়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে এলাকার হাজারো মানুষ ভাঙনে তাদের বাপ দাদার ভিটিমাটি হারাবে। বিলীন হবে শত শত একর কৃষি জমি। তাই তিনি অনতিবিলম্বে জনস্বার্থে ডলুর ৪ নং বালু মহালের ইজার প্রক্রিয়া বাতিলের দাবি জানান প্রশাসনের কাছে।

;