রংপুর অঞ্চলে বোরো চাষে বিঘায় খরচ বাড়বে সাড়ে ৪ হাজার টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সার, বীজ ও কীটনাশকসহ সব ধরনের কৃষি উপকরণের বাড়তি দামের কারণে গত মৌসুমের তুলনায় এবার বোরো উৎপাদনে খরচ বাড়ছে কৃষকের। প্রতি বিঘা জমিতে বোরো উৎপাদনে বাড়তি খরচ হবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা। সেই হিসেবে রংপুর অঞ্চলের কৃষকদের অতিরিক্ত খরচ গুণতে হবে প্রায় ১৭২ কোটি টাকা। ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় শুধু সেচেই খরচ বাড়বে ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। এমন দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে হাঁড় কাপানো শীতে চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে রংপুর অঞ্চলের চাষিরা।

পীরগাছা উপজেলার কান্দি কাবিলাপাড়ার কৃষক আজিজুল হক বলেন, যেভাবে সউগ কিছুর দাম বাড়ছে হামার মরা ছাড়া বাচন নাই। সার, বীজ ও পানি খরচ বাড়ছে। ডিজেলের দাম, বিদ্যুতের দামও বাড়ি গেইছে। সউগেরে দাম বাড়লেও মৌসুমের সময় ধানের দাম বাড়ে না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশে উৎপাদিত ধানের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে বোরো মৌসুম থেকে। আর এর প্রায় অর্ধেকের বেশি জোগান দেয় উত্তরাঞ্চল। এ বছর বোরো মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে ৫ লাখ ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত রোপণ হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে।

কৃষকরা জানান, গত বোরো মৌসুমে প্রতি বিঘা জমিতে সেচের খরচ ছিল ১২০০ টাকা, এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০০ টাকায়। বীজ প্রতি কেজি ছিল ২০০ টাকা, এবার তা হয়েছে ৩৫০ টাকা। এছাড়াও জমি তৈরি ৯০০ থেকে ১৩০০ টাকা, সার খরচ ২০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা, কীটনাশক ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, ধান রোপণ ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা, ধান কাটা-মাড়াই ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকা হয়েছে। সঙ্গে যুক্ত হবে জমির ভাড়া ৫০০০ টাকা। সে হিসেবে গত মৌসুমে এক বিঘা জমিতে বোরো উৎপাদনের খরচ ছিল ১৪ হাজার ৯০০ টাকা। আর এ বছর তা দাঁড়াবে ১৯ হাজার ৪৫০ টাকায়। অর্থাৎ বিঘায় খরচ বাড়ছে ৪ হাজার ৫৫০ টাকা।

কাউনিয়া উপজেলার টেপা মধুপুর এলাকার কৃষক আউয়াল মিয়া বলেন, এসময় কৃষকের চোখে ঘুম নাই। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে চারদিকে বোরোর জমি তৈরিতে কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। সরকারের উচিত ছিল কৃষি এবং কৃষকের কথা চিন্তা করে ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা। এখন ডিজেল-বিদ্যুতের দাম বাড়ায় কৃষকের ওপর দিয়েই ধকল যাচ্ছে। এমন করি যদি প্রতি বছর উৎপাদন খরচ বাড়তে থাকলে কৃষক বাঁচবে কেমন করি।

একই এলাকার কৃষক আবুল করিম জানান, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় এবার সেচ খরচে বাড়তি টাকা যোগান দিতে হবে। আর এতেই বাড়বে উৎপাদন ব্যয়। সব কিছুর দাম বাড়ায় কোনোটাই আর আগের দামে পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া বোরো মৌসুমে রংপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে শুরুতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং অব্যাহত থাকায় বাড়ছে অভিযোগ। ঠিকমতো বিদ্যুৎ সরবরাহ না হওয়ায় চাষাবাদসহ উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো পড়েছে বিড়ম্বনায়।

পীরগাছা উপজেলার কৃষক তাজরুল ইসলাম বলেন, এখনও পুরোপুরি চাষাবাদ শুরু হয়নি, তাতেই লোডশেডিং হচ্ছে। মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে কি অবস্থা হতে পারে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলে বিদ্যুৎচালিত গভীর সেচ পাম্প ৬২ হাজার ৭৫৩টি, অগভীর ২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৪টি, ডিজেলচালিত গভীর ৩৩২টি এবং অগভীর সেচ পাম্প রয়েছে ১৭ লাখ ২৭ হাজার ১৮টি। বোরো ধান সেচনির্ভর হওয়ায় উৎপাদন খরচের একটি বড় অংশ ব্যয় হয় সেচে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, রংপুর অঞ্চলে বিদ্যুৎচালিত গভীর-অগভীর সেচ পাম্পের সংখ্যা ৩ লাখ ১২ হাজার ৫২৭টি এবং ডিজেলচালিত সেচ পাম্পের সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৩০টি। শুধু সেচেই কৃষকের ব্যয় বাড়বে প্রায় ১৬ কোটি টাকা।

জাতীয় কৃষক সমিতি রংপুরে সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি জানান, কৃষকরা চরম বিপকে পড়েছে। কৃষিতে খরচ বাড়লেও প্রান্তিক, বর্গা আর গরিব কৃষকদের হাতে কিন্তু টাকা-পয়সা নেই। অথচ তারাই প্রধান কৃষক। সরকারের উচিত সরাসরি মাঠে গিয়ে তাদের একটি তালিকা করে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা। তারা যেন প্রণোদনা পান, তা নিশ্চিত করা। এটা সম্ভব হলে উৎপাদনের ধারাটা সচল রাখা সম্ভব হবে।

রংপুুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কৃষকদের সবধনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যাতে খরচ কমাতে কৃষকরা পরিমিত সেচ এবং নিয়ম মেনে সার ও কীটনাশক ব্যবহারের করতে পারে। বোরো চাষে অতিরিক্ত সেচ দিতে হয় । সেচ দিতে যেন পানির অপচয় না হয় সেজন্য কৃষকদের লক্ষ্য রাখতে বলা হচ্ছে। আমাদের সুষম সারের ব্যবহারে উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায় তার জন্যও কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিতের আহ্বান জাতিসংঘের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ স্থগিত করতে বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশি সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী এবং সমালোচকদের গ্রেফতার, হয়রানি ও ভয় দেখাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহৃত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।

তিনি আরও বলেন, আমি আবারও কর্তৃপক্ষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহারে অবিলম্বে স্থগিতাদেশ আরোপ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষায় এই আইনের বিধানগুলোতে ব্যাপকভাবে সংস্কার আনার আহ্বান জানাচ্ছি। আমার অফিস এরইমধ্যে এই সংশোধনে সব প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৮ সালে কার্যকর হওয়া এই আইনের অধীনে ২ হাজারেরও বেশি মামলা হয়েছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ গত বুধবার গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের বৃহত্তম দৈনিক প্রথম আলোতে কর্মরত সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করা হয় এবং ল্যাপটপ, ফোন ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। তার জামিন আবেদনও খারিজ করে দেয়া হয়। মামলা করা হয় প্রথম আলোর সাংবাদিক মতিউর রহমান ও এক আলোকচিত্রীর বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট নিয়ে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়। ফেসুবক পোস্টে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে এই আইনের অধীনেই গত ফেব্রুয়ারিতে পরিতোষ সরকার নামে একজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার অফিস জাতীয় নিরাপত্তা আইনের বিধানগুলো সম্পর্কে ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এই আইনের স্বেচ্ছাচারিতা বা অত্যাধিক প্রয়োগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা থাকবে কিন্তু এভাবে গ্রেফতার অব্যাহত থাকলে সেটি সম্ভব নয়। এই আইনের সঠিক সংশোধন প্রয়োজন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্তদের মুক্তির লক্ষে সব মুলতবি মামলা পর্যালোচনার জন্য একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় প্যানেল গঠনেরও আহ্বান জানান হাইকমিশনার।

;

প্রথম আলোর বিতর্কিত প্রতিবেদনটি মহান স্বাধীনতাকে হেয় করার শামিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত প্রথম আলোর বিতর্কিত প্রতিবেদনটি মহান স্বাধীনতাকে হেয় করার শামিল বলে মনে করে এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় সংগঠনের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু ও সাধারণ সম্পাদক ইনাম আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করা হয়।

প্রথম আলোর প্রতিবেদনের সমালোচনা করে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এটি সাংবাদিকতার নামে এজেন্ডা বাস্তবায়নের ধারাবাহিক চেষ্টার অংশ। বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ সাংবাদিকতা নয়, অপসাংবাদিকতা। এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তবে মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো প্রতিবেদনের ব্যাপারে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে মামলা দায়েরের আগে আমরা প্রেস কাউন্সিলের মতামত নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

;

মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০ মামলায় গ্রেফতার ৭



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্চ মাসে দেশে ৩৬১ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৭২টি, অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা একটি ও গণপিটুনির ঘটনায় সাতজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১০ মামলায় প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, দেশের ১২টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনার ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা। প্রায় প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই স্থানীয় হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারদের মাধ্যমে তা যাচাই করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতা কমলেও নির্বাচনী সহিংসতা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। বেড়েছে গণপিটুনির ঘটনাও।

প্রতিবেদনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রবলভাবে সমালোচিত। এ আইনে মামলার নামে হয়রানি কমেনি। ধারাবাহিকভাবে এর অপব্যবহার বেড়েই চলেছে। মার্চ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১০ মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ মাসে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নারী ও পুরুষসহ ২৭ টি অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সভা সমাবেশে বাধা দেওয়ার ৩১ টি ঘটনায় ৩৮৯ জন রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় ১৭০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এমএসএফ মনে করে, এ আইনে যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের মতপ্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে ও মুখ বন্ধ করার ভয়ংকর অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। এ আইনের বাতিল চেয়েছে সংগঠনটি।

;

টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ইইউ'র সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরবর্তী সময়ে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাহায্য-সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ হয়েই থাকবে।

ইইউ বাংলাদেশের একটি অপরিহার্য বাণিজ্য ও উন্নয়ন অংশীদার এবং জিএসপি স্কিমের অধীনে এর বাণিজ্য অগ্রাধিকার বাংলাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বড় রফতানি অংশ সুরক্ষিত করতে সাহায্য করেছে, যা এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রয়োজনীয় শর্তাদি পূরণে অনেক অবদান রেখেছে।

ইইউ’র জিএসপি’র অধীনে অব্যাহত বাণিজ্য অগ্রাধিকার এলডিসি-উত্তরণ লাভের প্রয়াস সহজ ও টেকসই করতে অবদান রাখবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস)-এর অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক সমস্যা বিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হেলেনা কোনিগ এবং ইইএএস-এর দক্ষিণ এশিয়া সংক্রান্ত ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন মনিকা বাইলাইটের সঙ্গে বৈঠককালে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ, ডেপুটি হেড অব মিশন প্রীতি রহমান, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, এমসিসিআই’র সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির এবং কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মো. সাইফুল আজম।

তারা পারস্পরিক স্বার্থ, বিশেষ করে এলডিসি থেকে উত্তরণ, বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে এর সম্ভাব্য প্রভাব এবং এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত স্থিতিশীলতা এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণের ক্ষেত্রে শিল্পের ব্যাপক অগ্রগতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন।

তিনি বলেন, আরএমজি শিল্পের সাফল্যের পেছনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি স্কিমের অধীনে বাণিজ্য অগ্রাধিকার অন্যতম।

তিনি আরও বলেন, এই খাতটি এখন টেকসই রাখার উপায় অবলম্বন করে এবং অর্থনীতি, পরিবেশ ও মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার প্রয়াসে প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পোশাক শিল্প প্রাক-ভোক্তা বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং ভোক্তা-পরবর্তী বর্জ্য আপসাইকেল করার ওপর দৃষ্টি রেখে কাজ করার পাশাপাশি বৃত্তাকার ধারায় বিনিয়োগ করছে।

ফারুক হাসান আরও বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর অব্যাহত বাণিজ্য অগ্রাধিকার বাংলাদেশের শিল্পকে তার টেকসই উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করতে এবং উন্নয়নের পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে।

;