রংপুর অঞ্চলে বোরো চাষে বিঘায় খরচ বাড়বে সাড়ে ৪ হাজার টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সার, বীজ ও কীটনাশকসহ সব ধরনের কৃষি উপকরণের বাড়তি দামের কারণে গত মৌসুমের তুলনায় এবার বোরো উৎপাদনে খরচ বাড়ছে কৃষকের। প্রতি বিঘা জমিতে বোরো উৎপাদনে বাড়তি খরচ হবে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার টাকা। সেই হিসেবে রংপুর অঞ্চলের কৃষকদের অতিরিক্ত খরচ গুণতে হবে প্রায় ১৭২ কোটি টাকা। ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় শুধু সেচেই খরচ বাড়বে ১৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। এমন দুশ্চিন্তা মাথায় নিয়ে হাঁড় কাপানো শীতে চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে রংপুর অঞ্চলের চাষিরা।

পীরগাছা উপজেলার কান্দি কাবিলাপাড়ার কৃষক আজিজুল হক বলেন, যেভাবে সউগ কিছুর দাম বাড়ছে হামার মরা ছাড়া বাচন নাই। সার, বীজ ও পানি খরচ বাড়ছে। ডিজেলের দাম, বিদ্যুতের দামও বাড়ি গেইছে। সউগেরে দাম বাড়লেও মৌসুমের সময় ধানের দাম বাড়ে না।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দেশে উৎপাদিত ধানের প্রায় ৬০ শতাংশ আসে বোরো মৌসুম থেকে। আর এর প্রায় অর্ধেকের বেশি জোগান দেয় উত্তরাঞ্চল। এ বছর বোরো মৌসুমে রংপুর অঞ্চলে ৫ লাখ ৭ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত রোপণ হয়েছে সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে।

কৃষকরা জানান, গত বোরো মৌসুমে প্রতি বিঘা জমিতে সেচের খরচ ছিল ১২০০ টাকা, এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬০০ টাকায়। বীজ প্রতি কেজি ছিল ২০০ টাকা, এবার তা হয়েছে ৩৫০ টাকা। এছাড়াও জমি তৈরি ৯০০ থেকে ১৩০০ টাকা, সার খরচ ২০০০ থেকে ৩৫০০ টাকা, কীটনাশক ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা, ধান রোপণ ১০০০ থেকে ১৫০০ টাকা, ধান কাটা-মাড়াই ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকা হয়েছে। সঙ্গে যুক্ত হবে জমির ভাড়া ৫০০০ টাকা। সে হিসেবে গত মৌসুমে এক বিঘা জমিতে বোরো উৎপাদনের খরচ ছিল ১৪ হাজার ৯০০ টাকা। আর এ বছর তা দাঁড়াবে ১৯ হাজার ৪৫০ টাকায়। অর্থাৎ বিঘায় খরচ বাড়ছে ৪ হাজার ৫৫০ টাকা।

কাউনিয়া উপজেলার টেপা মধুপুর এলাকার কৃষক আউয়াল মিয়া বলেন, এসময় কৃষকের চোখে ঘুম নাই। প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে চারদিকে বোরোর জমি তৈরিতে কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। কৃষি উপকরণের দাম বাড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছে কৃষকরা। সরকারের উচিত ছিল কৃষি এবং কৃষকের কথা চিন্তা করে ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম নির্ধারণ করা। এখন ডিজেল-বিদ্যুতের দাম বাড়ায় কৃষকের ওপর দিয়েই ধকল যাচ্ছে। এমন করি যদি প্রতি বছর উৎপাদন খরচ বাড়তে থাকলে কৃষক বাঁচবে কেমন করি।

একই এলাকার কৃষক আবুল করিম জানান, ডিজেল ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় এবার সেচ খরচে বাড়তি টাকা যোগান দিতে হবে। আর এতেই বাড়বে উৎপাদন ব্যয়। সব কিছুর দাম বাড়ায় কোনোটাই আর আগের দামে পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া বোরো মৌসুমে রংপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে শুরুতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। গত কয়েক দিন ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং অব্যাহত থাকায় বাড়ছে অভিযোগ। ঠিকমতো বিদ্যুৎ সরবরাহ না হওয়ায় চাষাবাদসহ উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানগুলো পড়েছে বিড়ম্বনায়।

পীরগাছা উপজেলার কৃষক তাজরুল ইসলাম বলেন, এখনও পুরোপুরি চাষাবাদ শুরু হয়নি, তাতেই লোডশেডিং হচ্ছে। মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে কি অবস্থা হতে পারে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) সূত্রে জানা গেছে, রংপুর অঞ্চলে বিদ্যুৎচালিত গভীর সেচ পাম্প ৬২ হাজার ৭৫৩টি, অগভীর ২ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৪টি, ডিজেলচালিত গভীর ৩৩২টি এবং অগভীর সেচ পাম্প রয়েছে ১৭ লাখ ২৭ হাজার ১৮টি। বোরো ধান সেচনির্ভর হওয়ায় উৎপাদন খরচের একটি বড় অংশ ব্যয় হয় সেচে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, রংপুর অঞ্চলে বিদ্যুৎচালিত গভীর-অগভীর সেচ পাম্পের সংখ্যা ৩ লাখ ১২ হাজার ৫২৭টি এবং ডিজেলচালিত সেচ পাম্পের সংখ্যা ১ লাখ ৭৩ হাজার ৩০টি। শুধু সেচেই কৃষকের ব্যয় বাড়বে প্রায় ১৬ কোটি টাকা।

জাতীয় কৃষক সমিতি রংপুরে সভাপতি অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম হক্কানি জানান, কৃষকরা চরম বিপকে পড়েছে। কৃষিতে খরচ বাড়লেও প্রান্তিক, বর্গা আর গরিব কৃষকদের হাতে কিন্তু টাকা-পয়সা নেই। অথচ তারাই প্রধান কৃষক। সরকারের উচিত সরাসরি মাঠে গিয়ে তাদের একটি তালিকা করে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করা। তারা যেন প্রণোদনা পান, তা নিশ্চিত করা। এটা সম্ভব হলে উৎপাদনের ধারাটা সচল রাখা সম্ভব হবে।

রংপুুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, কৃষকদের সবধনের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। যাতে খরচ কমাতে কৃষকরা পরিমিত সেচ এবং নিয়ম মেনে সার ও কীটনাশক ব্যবহারের করতে পারে। বোরো চাষে অতিরিক্ত সেচ দিতে হয় । সেচ দিতে যেন পানির অপচয় না হয় সেজন্য কৃষকদের লক্ষ্য রাখতে বলা হচ্ছে। আমাদের সুষম সারের ব্যবহারে উৎপাদন যাতে বৃদ্ধি পায় তার জন্যও কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

   

টাঙ্গাইলে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের বাসাইলে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাইকানীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঈশ্বরগঞ্জ বাজার বণিক সমবায় সমিতির উদ্যোগে এই লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাক-ঢোলের বাজনায়, গানের তালে তালে যেন এ আনন্দময় উৎসবের আয়োজন। ঢাক-ঢোল আর কাঁসার ঘন্টার তালে তালে চলে লাঠির কসরত। লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও পাল্টা আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন লাঠিয়ালরা। তাতে দেখে উৎসাহ দিচ্ছেন দর্শকরা। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই এসেছেন লাঠি খেলা দেখতে।

লাঠিয়াল সুভাষ বলেন,আমি ৪০ বছর ধরে লাঠি খেলা খেলি। লাঠি খেলার অনেক নাম আছে।এই খেলাটি আমরা ধরে রেখেছি।দর্শক লাঠি খেলা দেখে খুশি হয়। আমরা অনেক জায়গায় লাঠি খেলা খেলতে যাই। লাঠি খেলার মধ্যে দিয়ে আমরা দর্শকদের মাঝে হাসি খুশি ভাবে থাকি।

আরেক লাঠিয়াল পরেশ সরকার বলেন, আমার বাপ-দাদারা লাঠি খেলা খেলতো। তাদের কাছেই এই খেলা শিখেছি। শুধু পহেলা বৈশাখে লাঠি খেলা খেলি না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে লাঠি খেলায় অংশ নেই।

লাঠি খেলা দেখতে আসা বাসাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম মিয়া বলেন, লাঠি খেলা আগে গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে হতো। এখন সেই লাঠি খেলা বিলুপ্তির পথে। এই লাঠি খেলা দেখতে অনেক মানুষ এসেছেন। লাঠি খেলা আমাদের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনুক। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফিরে আসুক। আমরা এটাই আশা করি।

উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রাম বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতির একটি অন্যতম বাহন হলো লাঠি খেলা। শুধু লাঠি খেলা নয় বাঙ্গালী সংস্কৃতির প্রতিটি খেলায় আমাদের কাছে থেকে বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে। বাঙ্গালী সংস্কৃতি যুব সমাজের মাঝে তুলে ধরতে পারলে নেশা, মাদক, সন্ত্রাস মুক্ত থাকবে।

;

ধামরাইয়ে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মৎস খামারির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে আবু কাশেম (৪২) নামে এক মৎস ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের কিশোরী নগর এলাকায় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে নেওয়ার পথে গাড়িতেই তার মৃত্যু হয়। মৃত আবু কাশেম ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব বালিথা এলাকার মৃত সমেজ উদ্দিনের ছেলে।

মৃতের পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে নিজের চাষের পুকুরে মাছ ধরতে যান কাশেমসহ আরও চারজন। বিকেলের দিকে বৃষ্টি শুরু হলে আশ্রয় নিতে তারা পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা সোয়া ৩টার দিকে বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে হাঁটার পথেই ছিটকে পড়ে আহত হন কাশেম। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী শামীম আহমেদ বলেন, আমরা মাছ ধরছিলাম। তখন বৃষ্টি নামে। আশ্রয় নিতে আমরা পাশের একটি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। কাশেম ছিল সবার সামনে, ১০ গজ দূরে একজন আর ২০-২৫ গজ দূরে আমি আমার পেছনে অপরজর। তখনই বিকট শব্দে নীল রংয়ের একটা কিছু কাশেমের ঠিক কাছেই পড়ে। কাশেম মাটিতে পড়ে যায়। আমরাও পড়ে যাই। এরপর কয়েক মিনিট পর তাকে নিয়ে পাশের একটি বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেই। তারপর তাকে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মৃতের ছেলে মো. মাসুদ রানা বলেন, দুপুরের দিকে বাবা মাছ ধরতে পুকুরে যান। তিনটার দিকে শুনতে পারি বজ্রপাতের সময় তিনি পড়ে যান। হাসপাতালের নেওয়ার সময় জয়পুরা এলাকায় গাড়িতে তার মৃত্যু হয়। পরে বাড়ি ফিরে আসি।

৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবু তাহের সরদার বলেন, বজ্রপাতের সময় বিকট আওয়াজে সে ছিটকে পড়ে যায়। তখন তার সঙ্গে আরও চারজন ছিল। তারাই পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সে মারা যায়। বিষয়টি শুনে উপজেলা প্রশাসন তার পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরাও তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।

এ ঘটনায় খবর পেয়ে মৃতের বাড়ি গিয়ে পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ধামরাই উপজেলা প্রশাসন।

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খান মো. আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, এমন ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। কাল বৈশাখী ঝড়ের সময় কোনো দুর্ঘটনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে। এখানে বজ্রপাতে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা মর্মাহত। তাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতেও তাদের সব ধরনের সহযোগীতা দেওয়া হবে।

;

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ইউপি সদস্য আহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ইউপি সদস্য আহত

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ইউপি সদস্য আহত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের দুলালী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সাইফুল ইসলাম নান্নু (৪৮) নামে সাবেক এক ইউপি সদস্য আহত।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯ টার লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতকে নিয়ে আসেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এর আগে সন্ধ্যায় আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী বড় মালদি সীমান্তের ২১ নং পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত সাইফুল ইসলাম নান্নু উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের মৃত গনি মিয়ার ছেলে। তিনি বেলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য।

সীমান্তবাসী জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় ভারতীয় গরু পাচার করতে সন্ধ্যার পরে তালুক দুলালী বড় মালদি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে নিজের পরিচালিত চরকা বসাতে যান গরু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম নান্নুসহ কয়েকজন রাখাল। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়লে সাইফুল ইসলাম নান্নু গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। বাকিরা পালিয়ে এসে স্থানীয় জাওরানী বিজিবি ক্যাম্পের টহল দলকে খবর দিলে তারা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ভর্তি করে।

আহত সাইফুল ইসলাম নান্নুকে দেখে তাৎক্ষণিক আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভেলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, সাইফুল ইসলাম নান্নু বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছেন শুনে এসেছি। তিনি আমার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য।

আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. বিক্রম চন্দ্র বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আহত সাইফুল ইসলাম নান্নুকে পিঠের নিচে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসে বিজিবি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। তার নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

;

'শুধু কিশোর গ্যাং নয়, তাদের গডফাদারদেরও আইনের আওতায় আনা হবে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, আমরা কিশোর গ্যাং দেখতে চাই না। কিশোর গ্যাংয়ের অপতৎপরতা যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তাদের হাত থেকে নিরীহ মানুষ, চিকিৎসক, ব্যবসায়ী, শিক্ষক থেকে শুরু করে কেউ রক্ষা পাচ্ছে না। শুধু কিশোর গ্যাং নয়, তাদের গডফাদারদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে গত মাসের খাতওয়ারি অপরাধ চিত্র তুলে ধরেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একেএম গোলাম মোর্শেদ খান।

এসময় জেলা প্রশাসক উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এখানকার সীতাকুন্ড, মিরসরাই ও সন্ধীপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠাতব্য নির্বাচনে কোনো ধরনের প্রভার বিস্তার করতে দেওয়া হবে না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যেভাবে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ঠিক উপজেলা পরিষদ নির্বাচন একইভাবে অনুষ্ঠিত হব।

সভায় জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম শফিউল্লাহ বলেন, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ ও অস্ত্র উদ্ধারে মাদক রোধে পুলিশ কাজ করছে। যদি কোনো গোষ্ঠী বা দল অনুষ্ঠাতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে তাদের ছাড় নেই।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- এনএসআই’র যুগ্ম পরিচালক মো. মাজাহারুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. ওয়াজেদ চৌধুরী অভি, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর আহমদ, জেলার ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা একেএম সরওয়ার কামাল দুলু, চেম্বার পরিচালক অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল মান্নান, জেলা আনসার কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবিব প্রমুখ।

সভায় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, প্রতিনিধি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

;