বিএনপির সাথে খেলেই আমরা জিততে চাই: তথ্যমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
বিএনপির সাথে খেলেই আমরা জিততে চাই: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির সাথে খেলেই আমরা জিততে চাই: তথ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, সেটাই চাই। তারা গতবার সব দল নিয়ে জোট করেছিলো, এবারও জোট করে অংশগ্রহণ করুক। আমরা খেলে জিততে চাই। বিএনপির সাথে খেলেই আমরা জিততে চাই।

শনিবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহী মহানগরীর কুমারপাড়ায় নগর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা উপলক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বিএনপির জয়ের আশা নেই। ২০১৮ সালে বিএনপি ডান, বাম, অতিবাম, অতিডান- সবাই মিলে ঐক্য করেছিলো। তারপর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলো। সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করে বিএনপির আসনসংখ্যা ৬টি। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর দেশে আরও উন্নয়ন হয়েছে। আগামী নির্বাচনেও তাদের আশা নেই। তাই নানা বাহানা উপস্থাপন করছে। নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা বলে না? বিএনপির অবস্থা হয়েছে তাই।

তিনি বলেন, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন হবে। আমরা চাই, সমস্ত রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসুক। বিএনপি পূর্ণ শক্তি নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক, সেটাই চাই। তারা গতবার সব দল নিয়ে জোট করেছিলো, এবারও জোট করে অংশগ্রহণ করুক। আমরা খেলে জিততে চাই। বিএনপির সাথে খেলেই আমরা জিততে চাই। যেভাবে জিতেছি ২০০৮ ও ২০১৮ সালে। কিন্তু নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়া রাজনৈতিক দলের নিজস্ব ব্যাপার।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি ২০১৪ সালে যে সহিংসতা করেছিল, এবার সেটির সুযোগ পাবে না। আমরা ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে তাদের মোকাবিলা করেছি। এবারও অপচেষ্টা চালালে জনগণ তাদের সমুদ্রে নিক্ষেপ করবে।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, নির্বাচন সরকারের অধীনে হয় না। নির্বাচন হয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে। তফসিল ঘোষণার পর সরকারের একজন ওসি, ইউএনও কিংবা দারোগা বদলি করার ক্ষমতাও থাকে না। এ সমস্ত চাকরি সবগুলো নির্বাচন কমিশনের হাতে ন্যস্ত হয়। সরকার শুধুমাত্র রুটিন কাজ করে। পৃথিবীর কোথাও এখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই, আছে শুধু পাকিস্তানে। বিএনপি তো পাকিস্তানকে অনুকরণ করে। আমাদের দেশে ভোট হবে সেইভাবে, যেভাবে অস্ট্রেলিয়ায় হয়, ইন্ডিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কন্টিনেন্টাল ইউরোপ, জাপানে হয়। সেখানে যখন ভোট হয়, সরকার রুটিন কাজ করে। তাদের অধীনে নির্বাচন হয় না। আমাদের দেশেও তাই হবে।

ইভিএমে ভোট প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশ ডিজিটাল হয়েছে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও ইভিএম চলছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, কন্টিনেন্টাল ইউরোপে ইভিএমে ভোট হয়। আমাদের দেশ প্রযুক্তির সাথে সঠিক সময়ে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটেই আমাদের দাবি ছিল, যেন ইভিএমে ভোট হয়। ইভিএমে ভোট মানে, ওই যে জিয়া আমলে শ্লোগান ছিল- “১০টি হোন্ডা, ২০টি গুন্ডা, নির্বাচন ঠাণ্ডা”- এটা জিয়ার সময়ের, এরশাদ সাহেবের সময়ের, খালেদা জিয়ার আমলের স্লোগান। ইভিএম হলে এই স্লোগান কারও দেওয়ার সুযোগ নেই। সেই জন্যই আমরা দাবি দিয়েছিলাম।’

তিনি আরও বলেন, আমরা অবশ্যই চাই ইভিএম। যে আধুনিক যন্ত্র দিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভোট হয়। এতে কারচুপি করার সুযোগ নেই। কিন্তু ইভিএম কিনতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন পৌনে ৯ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব দিয়েছিলো। অর্থাৎ এক বিলিয়ন ডলারের একটি প্রস্তাব। এ টাকায় ইভিএম মেশিন আমদানি করতে হবে। বিশ্ব প্রেক্ষাপটে এই সময়ে এত বড় প্রকল্প পাস করে ইভিএম কেনা সমীচিন নয়। বিশ্বমন্দার মধ্যে মানুষের অন্য কল্যাণগুলো আমাদের কাছে অগ্রাধিকার পেয়েছে। সে জন্য আমরা ইভিএম চাইলেও বর্তমান বাস্তবতার প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন যত আসনে ইভিএম করুক, আমরা সেটি মেনে নেব। কারণ, মানুষের কল্যাণই আমাদের কাছে প্রাধান্য পায়।

এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেগম আখতার জাহান, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল, নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, জেলার সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াদুদ দারাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট সূত্রনির্ভর: তথ্যমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট সূত্রনির্ভর: তথ্যমন্ত্রী

মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন পক্ষপাতদুষ্ট সূত্রনির্ভর: তথ্যমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

‘পক্ষপাতদুষ্ট সূত্র থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে করা মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদন একপেশে’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্স ও বাংলাদেশ সংবাদপত্র কর্মচারী ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকরা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদনে উল্লিখিত বাংলাদেশ বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘দেখুন একটি সূত্র থেকে নয়, সরকারিবিরোধী এবং পক্ষপাতদুষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে তারা তথ্যগুলো সংগ্রহ করেছে। সুতরাং সেই প্রতিবেদনটা একপেশে। অবশ্যই পুরো প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করছি না কারণ সেখানে অনেক ভালো কথাও বলা আছে। তবে সার্বিকভাবে আমাদের মানবাধিকার, নির্বাচন, গণতন্ত্র সংক্রান্ত যে সমস্ত বিষয়াদি আছে সেগুলো পক্ষপাতদুষ্ট।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েও তো অনেক প্রশ্ন আছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প তো এখনো নির্বাচনে পরাজয় মেনে নেননি। সেটির প্রেক্ষিতে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে যেভাবে ক্যাপিটল হিলে হামলা হয়েছে, সে ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা তো আমাদের দেশে কখনো ঘটে নাই। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার আগে তাদের নিজেদের নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে যে প্রশ্নগুলো আছে বা তাদের নির্বাচন হওয়ার পর ক্যাপিটল হিলে যে হামলা, সেই বিষয়গুলোর দিকে তাদের তাকানো প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।’ ‘ভবিষ্যতে অন্য কোনো বড় দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার কিম্বা নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে প্রতিবেদন দেয় কি না, সেটিও দেখার বিষয়’ বলেন তিনি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাঝেমধ্যে বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যা নিয়ে কথা বলে -এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী হাছান বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের দিকে তাকালে দেখা যায় ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে ৭ হাজার ৬৬৬ জন, ২০২০ সালে ৯৯৬ জন, ২০২১-২০২২ সালে গড়ে প্রায় ১ হাজার জন।’

তিনি বলেন, ‘যেই দেশে গড়ে প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার মানুষ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়, সেখানে অন্য দেশকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার নৈতিক অধিকার কতটুকু আছে, সেটিই হচ্ছে প্রশ্ন। আমাদের দেশে যে কখনো এমন হয় না আমি সেটি বলছি না। কিন্তু সেগুলোর তদন্ত হয় এবং তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তিও বিধান করা হয়।’

এর আগে সংবাদপত্র কর্মচারি ফেডারেশনের সভাপতি মতিউর রহমান তালুকদার এবং ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্সের সভাপতি মো: আলমগীর হোসেন খান সংগঠন দু’টির সদস্যদের কর্মক্ষেত্রের নানা বিষয় উত্থাপন করেন। সংবাদপত্র কর্মচারি ও নিউজপেপার প্রেস শ্রমিকদের জন্য করোনাকালীন সহায়তা, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, কল্যাণ ফান্ড গঠনসহ ১১ দফা দাবি তুলে ধরে মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি হস্তান্তর করেন তারা। মন্ত্রী বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সুবিবেচনার আশ্বাস দেন।

মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো: কাউসার আহাম্মদ, সংবাদপত্র কর্মচারি ফেডারেশনের সহসভাপতি মো: বজলুর রহমান মিলন, মহাসচিব মো: খায়রুল ইসলাম, সদস্য মো: তানভীর হোসাইন, মো: আমিনুল ইসলাম, মো: আব্দুল গফুর, মো: রফিকুল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ, মো: শাহাদাত হোসেন, আব্দুল কাদির, মো: হামিদুর রশিদ খান, আবিদা সুলতানা এবং ফেডারেল ইউনিয়ন অব নিউজপেপার প্রেস ওয়ার্কার্সের সহসভাপতি শামীম চৌধুরী, মহাসচিব মো: কামাল উদ্দিন, সদস্য মো: রাজ্জাক পাটোয়ারি, এ এইচ এম নাজমুল আহসান, মো: মোস্তাক আহমদ, তাজাম্মেল হক, মো: ইউসুফ আলী, মো: আবদুল মান্নান, মো: আতিউর রহমান, মো: লিয়াকত আলী ও সেলিনা আক্তার ইতি বৈঠকে অংশ নেন।

;

ক্ষুদ্র শিল্পের স্বীকৃতি পেল সুপারির খোলে তৈরি নান্দনিক তৈজসপত্র



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ক্ষুদ্র শিল্পের স্বীকৃতি পেল সুপারির খোলে তৈরি নান্দনিক তৈজসপত্র

ক্ষুদ্র শিল্পের স্বীকৃতি পেল সুপারির খোলে তৈরি নান্দনিক তৈজসপত্র

  • Font increase
  • Font Decrease

চার বছর অপেক্ষার পর অবশেষে লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে সুপারি গাছের ঝরে যাওয়া খোল দিয়ে তৈরি গৃহস্থালির নান্দনিক তৈজসপত্র ক্ষুদ্র শিল্প হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

রোববার (১৯ মার্চ) সুপারির পাতা-খোল থেকে নান্দনিক তৈজসপত্র তৈরি করা প্রতিষ্ঠান মেসার্স ব্রাদার্স ইকো ক্রাফটকে ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) লক্ষ্মীপুর জেলা শাখা কর্তৃক প্রতিষ্ঠানটিকে এ নিবন্ধন দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) সকালে বিসিক লক্ষ্মীপুর জেলা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপব্যবস্থাপক মাকসুদুর রহমান এর স্বাক্ষর করা এ সংক্রান্ত পত্র প্রতিষ্ঠানটির কর্নধার মামুনুর রশিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

মেসার্স ব্রাদার্স ক্রাফটের স্বত্বাধিকারী মামুনুর রশিদ বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানটিকে নিবন্ধনের জন্য অনলাইনে আবেদন করি। ফরম পূরণ করে সাবমিট করার চার বছর পর খোলে তৈরি করা তৈজসপত্রকে ক্ষুদ্র শিল্প হিসেবে স্বীকৃতিস্বরূপ আমার প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন দেওয়া হয়। পরে জেলা কার্যালয়ের উপব্যবস্থাপক আমাকে নিবন্ধনের সনদ বুঝিয়ে দিয়েছেন।’ সুপারি গাছের খোল দিয়ে থালা, বাটি, নাস্তার ট্রে, ঘড়ি, ফটোফ্রেম, বিয়ের কার্ড, ওয়ালমেট ও জুতাসহ ১৪টি পণ্য তৈরি করছে ব্রাদার্স ইকো ক্রাফট। পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত এসব পণ্য যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। ইউটিউবে এসব পণ্য তৈরির ভিডিও দেখে আগ্রহী হয়ে উদ্যোক্তা মামুনুর রশিদ গড়ে তুলেছেন কারখানাটি।

২০১৯ সালের ৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় বহুমুখী পাট পণ্য মেলার স্টল পরিদর্শনকালে সুপারির খোলে তৈরি করা উদ্যোক্তা মামুনের নান্দনিক তৈজসপত্র হাতে নিয়ে দেখেন। একই বছরের আগস্টে নিউজিল্যান্ড থেকে জেরিক নামের এক বায়ার রায়পুর কারখানায় আসেন। এসময় গ্রামীণ পরিবেশে উৎপাদিত এসব পণ্য দেখে তিনি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ২০১৭ সালে ইউটিউবে ভিডিও দেখে সুপারির খোলে তৈজসপত্র তৈরিতে আগ্রহী হন রায়পুর পৌরসভার দক্ষিণ-পশ্চিম কেরোয়ার তুলাতলি এলাকার মামুনুর রশিদ। ২০১৯ সালের শুরুতে তিনি একটি টিনশেড ঘরে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসিয়ে খোল দিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরির কাজ শুরু করেন। দূর-দূরান্ত থেকে সৌখিন লোকজন কারখানাটি দেখতে আসেন।


বাসন-কোসনসহ ১৪ ধরনের পণ্য তৈরি করা হয় এ কারখানায়। এখানে ১০ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করেন। এরই মধ্যে ২০ লক্ষাধিক টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এটি লক্ষ্মীপুরের প্রথম কারখানা। শুকনো খাবার পরিবেশন ও পানির ব্যবহার না করলে কয়েক বছর এসব ব্যবহার করা যায়। এগুলো তৈরিতে কোনো ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয় না।

উল্লেখ্য,২০১৯ সালের ৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকায় বহুমুখী পাট পণ্য মেলার স্টল পরিদর্শনকালে সুপারির খোলে তৈরি করা উদ্যোক্তা রায়পুরের মামুনের নান্দনিক তৈজসপত্র হাতে নিয়ে দেখেন এবং মুগ্ধ হন।

;

কুমারখালীতে শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল বিতরণ   



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
কুমারখালীতে শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল বিতরণ   

কুমারখালীতে শিক্ষার্থীদের বাইসাইকেল বিতরণ   

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৫ জন শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে।

একই সাথে স্কুলের জন্য ৫০ জোড়া বেঞ্চ দেওয়া হয়েছে।  বুধবার (২২ মার্চ) দুপুরে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বিদ্যালয়ের পাঠদানে মানসম্মত পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে উপজেলার পাঁচটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২৫ শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল ও শিক্ষকদের ৫০ জোড়া বেঞ্চ দেওয়া হয়। 

উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অর্থায়নে ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) প্রকল্পের আওতায় এসব সাইকেল-বেঞ্চ দেওয়া হয়।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিতান কুমার মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ। 

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- পৌরসভার মেয়র সামছুজ্জামান অরুন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি হারুন অর রশিদ ও প্রচার সম্পাদক চঞ্চল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাসেল হোসেন প্রমুখ।

;

মিথী পেল মেডিকেলে চান্স, কেক কেটে ভূরিভোজ গ্রামবাসীর



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
মিথী পেল মেডিকেলে চান্স, কেক কেটে ভূরিভোজ গ্রামবাসীর

মিথী পেল মেডিকেলে চান্স, কেক কেটে ভূরিভোজ গ্রামবাসীর

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়ে প্রশংসায় ভাসছেন মেধাবী শিক্ষার্থী ফারযানা আফরিন মিথী। মেয়ের এমন সাফল্যে আনন্দিত হয়ে গ্রামবাসীর জন্য ভূরিভোজের আয়োজন করেছেন মিথীর বাবা এম এম মালেক।

মেয়ের শিক্ষাজীবন সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য সবার কাছে দোআ চেয়েছেন মা তাসলিমা আক্তার লাভলী। অন্যদিকে মিথীর মেডিকেল ভর্তির সুখবর উৎসবমুখর পরিবেশে কেক কেটে উদযাপন করেছেন গ্রামবাসী।

মিথীর বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সিধলা ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামে। দুই বোনের মধ্যে মিথী সবার বড়। ছোট বোন সাদিয়া আফরিন অবন্তি ময়মনসিংহের প্রগ্রেসিভ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে।

মিথী ২০২০ সালে ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর ২০২২ সালে ময়মনসিংহের মুমিনুন্নিসা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে জিপিএ ৫ পেয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

চলতি বছর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান মিথী। মিথীর মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় মঙ্গলবার তার গ্রামের বাড়ি বালিয়াপাড়ায় সহ¯্রাধিক লোকজনকে ভূরিভোজ করানো হয়। আয়োজন করা হয় দোআ মাহফিলের। ওই অনুষ্ঠানে এলাকাবাসী ও স্বজনরা ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত করেন মিথীকে।

মিথীর বাবা এমএ মালেক বলেন, আমার মেয়ে রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় আমি খুব আনন্দিত। সেই আনন্দ পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও গ্রামের মানুষের সাথে ভাগাভাগি করতে আনন্দ ভোজের আয়োজন করেছি। মেয়ে ডাক্তারি পাস করে গ্রামের মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিবে সেই দিনটির আশায় আছি।

ফারযানা আফরিন মিথী বলেন, ছোটবেলা থেকেই আমার স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। সেজন্য সবসময় মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করেছি। আমার বাবা-মা আমাকে সবসবময় উৎসাহ দিয়েছেন। ডাক্তারি পাস করে মানবিক ডাক্তার হতে চাই।

সিধলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন বলেন, এবছর আমাদের ইউনিয়ন থেকে মিথীই একমাত্র মেডিকেলে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। সে ভালো ভাবে পড়াশোনা করে ডাক্তারি পাস করে মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করকে গ্রামের মানুষকে চিকিৎসা সেবা দিবে এটাই প্রত্যাশা।

;