প্রধান দুদল মাঠে না থাকলে নির্বাচন ভাল হবে না: ইসি আনিছুর



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁদপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী নির্বাচনে সব দলই অংশগ্রহণ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনে প্রধান দুদল যদি মাঠে না থাকে নির্বাচন ভাল হবে না।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এম সফিউল্লা এমপির বাসভবন প্রাঙ্গণে শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা যতই মাঠ লেভেল প্লেয়িং করি, দুই পক্ষ না থাকলে সঠিক হবে না। এজন্য আমরা সকলের কাছ থেকে সহযোগিতা চাইবো, যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়।’

ইভিএম বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট করবো বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, এখন তা হচ্ছে না।আগের নির্বাচন কমিশন দেড় লাখ ইভিএম মেশিন কিনেছিল। গত ৪ বছর ধরে এসব মেশিনে বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচন হয়েছে। এতে কিছু সংখ্যক ইভিএম মেশিন অকেজো, ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এগুলো এখন আমরা গুণগত মান যাচাই করছি, কি পরিমাণ ব্যবহার করা যাবে। তার ওপর ভিত্তি করে কতটি আসনে ইভিএম ব্যবহার করা যাবে। সেটি ৫০টি কিংবা ৭০টিও হতে পারে। এটার জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করা লাগবে কতটি আসনে আমরা ইভিএমে নির্বাচন করব।

অনুষ্ঠানে পাঁচ শতাধিক অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়। এ সময় নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমানের সহধর্মিনী সালমা রুপালি, চাঁদপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ তোফায়েল আহমেদ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম রোমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

   

মোটরসাইকেল সড়কের বড় উপদ্রব: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ইদানিংকালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে। এটা (মোটরসাইকেল) এখন সড়কের বড় উপদ্রব।

তিনি বলেন, সড়কের জন্য এখন কোনো দুর্ঘটনা হচ্ছে এমন দৃষ্টান্ত নেই। সড়ক বাংলাদেশে সর্বকালের সবচেয়ে ভাল অবস্থায় রয়েছে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সাংবাদিক বিফ্রিংয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

এবছর ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইদানিংকালে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেড়েছে। এটা এখন সড়কের বড় উপদ্রব। এখন সড়কের জন্য কোন এক্সিডেন্ট হচ্ছে এমন কোন দৃষ্টান্ত নেই। সড়ক বাংলাদেশে সর্বকালের সবচেয়ে ভাল অবস্থায় রয়েছে। এখানে সমন্বয়ের সমস্যা আছে। বিভিন্ন রকমের স্টেক হোল্ডার আছে। এদের সকলের সমন্বয়টা জরুরি।

সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেশী দেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই হয় উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকে সৌদি আরবে, আমেরিকায় আমাদের চেয়েও বড় বড় দুর্ঘটনা হয়, সেটা নিয়ে সেখানে কোন উচ্চবাচ্চ হয় না। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এক সঙ্গে অনেক হতাহত হয়। এরকম দুর্ঘটনা আকাঙ্ক্ষিত নয়। আমরাও চাই না কিন্তু আমাদের এখানে কিছু সমস্যা আছে। সমন্বয়ের অভাব আছে সেটা আমরা মনিটর করছি। আজকে রাস্তা ভাল হয়েছে, সেখানে একটা স্পিড আছে, স্পিডটা সবাই যদি মেনে চলতো তাহলে হয়তো এমনটি হতো না।

বিএনপিকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত আমাদের এখনো হয়নি। তবে জনগণের কাছে আমরা বিএনপির সন্ত্রাসী রাজনীতির ব্যাপারে ঘৃণার আগুন ছড়িয়ে দিতে পারি। তাদেরকে জনগণ থেকে আরও বিচ্ছিন্ন, আরও অপ্রাসঙ্গিক করার বিষয়ে প্রয়াস আমরা চালাতে পারি। কারণ বিএনপি রাজনৈতিক দলের পরিচয় দেওয়ার মতো গ্রহণযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। বিএনপিকে কানাডার ফেডারেল আদালত পর্যন্ত সন্ত্রাসী দল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আসলে বিএনপি কোন রাজনৈতিক দলের কোন বৈশিষ্ট্য এখন প্রকাশ করে না। তাদের কর্মকাণ্ড সন্ত্রাসীদের মতো।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

কুষ্টিয়ায় অস্ত্র-গুলিসহ সাবেক চেয়ারম্যান আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার মিরপুরে অস্ত্র ও গুলিসহ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) রাতে মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের খাদিমপুর স্কুলমাঠ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ তাকে আটক করা হয়।

আটককৃত সোহেল রানা বিশ্বাস (৪৭) বহলবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার রাতে বহলবাড়ীয়া এলাকায় মাদক অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় খাদিমপুর স্কুলমাঠ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ সোহেল রানাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মিরপুর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।’

এদিকে, সোহেল রানা বর্তমানে যুবলীগের কোনো দায়িত্বে নেই বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক স্বপন। তিনি বলেন, ‘সোহেল রানা বর্তমান কমিটির কেউ নন। তিনি উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।’

;

স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা: পুলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পারিবারিক কলহের জের ধরে সাতক্ষীরার কলারোয়ায় এক গৃহবধূ স্বামীর পুরুষাঙ্গ কেটে নিজেও আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গৃহবধূ ওই ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন।

শনিবার (২০ এপ্রিল) ভোররাতে কলারোয়ার পাঁচপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আজহারুল ইসলাম উপজেলার পাঁচপোতা গ্রামের বাসিন্দা।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, আজহারুল ইসলামের দুই স্ত্রী। তার প্রথম স্ত্রীর নাম রাশিদা খাতুন ও দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম ঝর্না খাতুন। প্রথম স্ত্রীকে নিয়ে গত কয়েকদিন দিনে ধরে স্ত্রী ঝর্ণা খাতুনের সঙ্গে আজহারুল ইসলামের দ্বন্দ্ব চলছিল। তার জের ধরে শনিবার রাতে আজহারুল ইসলামকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান ঝর্না খাতুন। পরে ঘুমন্ত স্বামী আজহারুল ইসলামের হাত-পা বেঁধে তার পুরুষাঙ্গ কেটে ফেলেন তিনি। এ সময় ঝর্না খাতুনও ঘুমের ওষুধ খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ভোররাতে ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাদেরকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রেজিস্টার ডা. মানস কুমার জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেই ঝর্না খাতুনের মৃত্যু হয়। এছাড়া আজহারুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

;

১৯৭১ স্মরণে 'রোড টু বালুরঘাট'

১৯৭১-এর শরণার্থীদের ক্লান্তি, দুর্ভোগ ও দুর্দশার চিত্র নওগাঁয়



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর সামাজিক সংগঠন ‘একুশে পরিষদ নওগাঁ’র উদ্যোগে ১৯৭১ সালের অসহায় শরণার্থীদের দুর্ভোগ স্মরণে 'রোড টু বালুরঘাট' প্রতীকী পদযাত্রায় ফুটে উঠেছে, নওগাঁর রোড ধরে ভারতে পাড়ি দেওয়া শরণার্থীদের দুর্দশার চিত্র!

১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ২০ এপ্রিল স্মরণে ‘রোড টু বালুরঘাট'-এর চিত্র তুলে ধরলেন নওগাঁবাসী। প্রায় ৬০ মিনিটে ৩ কিলোমিটার পদযাত্রায় যুদ্ধকালীন নওগাঁ রোডের শরণার্থীদের যুদ্ধের বিভীষিকা ও অবর্ণনীয় দুর্দশা তুলে ধরা হয়, এই প্রতীকী পদযাত্রার মাধ্যমে।

শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টায় মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পর প্রতীকী পদযাত্রায় পাঁচ শতাধিক বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নওগাঁ রোডে শরণার্থীদের অবর্ণনীয় দুর্দশা ও যুদ্ধচিত্র ঘটনাপ্রবাহ ফুটিয়ে তোলেন।

শহরের তাজের মোড় শহিদ মিনার পাদদেশ থেকে এই পদযাত্রা শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জলিল মুক্তমঞ্চ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।

একমাত্র সন্তানের অনাহারী চিত্র নিয়ে হেঁটে চলার দৃশ্যসহ নানান দিক ফুটিয়ে তোলা হয় এই আয়োজনে।

একুশে পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ডিএম আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে শরণার্থীদের প্রতীকী পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন উপদেষ্টা ডাক্তার মইনুল হক দুলদুল, সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, সিদ্দিকুর রহমান, অধ্যক্ষ বিন আলী পিন্টু, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, সাইমা ফেরদৌসী, নাইস পারভীন, গুলশানারা প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের বর্বরোচিত অত্যাচার-নিপীড়ন ও গণহত্যা থেকে বাঁচতে যুদ্ধের শুরু থেকে বিশেষ করে ২০ এপ্রিলের এই দিনে পায়ে হেঁটে নওগাঁর সড়ক পথে হাজার হাজার মানুষ শরণার্থী হিসেবে ভারতের বালুরঘাটে আশ্রয় নেন।

চলার পথে সেই সময় পাকিস্তানি হানাদার ও তাদের এদেশের দোসরদের হামলায় অনেকেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। সেই সব শরণার্থীদের ক্লান্তি ও দুর্ভোগ স্মরণে একুশে পরিষদ নওগাঁ 'রোড টু বালুরঘাট' প্রতীকী পদযাত্রার আয়োজন করা হয়।

একুশে পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারী, সভাপতি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসের ২২ তারিখে পাকিস্তানি বাহিনীর দস্যুরা নওগাঁ আক্রমণ শুরু করে এবং নওগাঁতে আক্রমণ শুরু করে দুইভাবে। এক- সান্তাহার হয়ে, আরেকটি হচ্ছে, রাজশাহী থেকে। ১৯৭১ সালের বাংলাদেশের মানুষেরা প্রিয় বাড়িঘর সংসার ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন জীবন রক্ষার কারনে এবং যাওয়ার সময় অত্যাচার, হেঁটে গিয়েছেন মাইলের পর মাইল, এই যে দুর্ভোগ, সেটি তরুণ প্রজন্মের কাছে জানাতে চাই। আমরা চাই, তারা জানুক ১৯৭১ সালে কী হয়েছিল, এটাই আমাদের মূল বার্তা’।

সংগঠনের উপদেষ্টা শরিফুল ইসলাম খান বলেন, ‘যুদ্ধচলাকালীন যে কষ্ট, আজকের এই প্রজন্মের কেউ জানেন না। এই প্রজন্মকে জানানোর জন্য আজকের এই প্রতীকী আয়োজন। আমাদের একটি জিনিস বুঝতে হবে, জানতে হবে যে, বাংলার মানুষ কত সহ্য করতে পারে! কত নিপীড়ন সহ্য করে তারা ভারতে ওই পাড়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাদের নিজেদের মা-বোনকে শিবিরে রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই যে একটা আদর্শ কাজ করেছিল দেশের প্রতি, সেটি একটি গর্বের বিষয় এবং এগুলো এই প্রজন্মের জানা উচিত’!

ডা. মঈনুল হক দুলদুল বলেন, ‘এ আয়োজন পুরোটাই তরুণ প্রজন্মের জন্য! কারণ, আমরা ১৯৭১ সালের অনেক কিছুই ভুলে যাচ্ছি। সে ভুলে যাওয়া বিষয়গুলি নাটকের মাধ্যমে, পথযাত্রার মাধ্যমে, অভিনয়ের মাধ্যমে আগামী প্রজন্মের কাছে যদি তুলে ধরতে পারি, তাহলে তারা প্রকৃত জিনিসটাকে মনের মধ্যে ধরে রাখতে পারবেন এবং পরবর্তী প্রজন্মের কাছে ফের তুলে ধরতে পারবেন। যুগ যুগ ধরে আমাদের কিছু কিছু পোগ্রাম নিতেই হবে’।

;