সরকারকে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তেলের দাম বাড়ানোর ক্ষমতা দিয়ে বিল পাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন সংশোধন বিল ২০২৩ এর অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় সংসদ।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) এই বিল অনুমোদনের প্রস্তাব করেন জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। পরবর্তীতে সংসদ সদস্যদের ভোটে পাশ হয় জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের নতুন এই বিল।

এর আগে, সংসদে বিলের সংশোধনী নিয়ে সংসদ সদস্যরা আলোচনা করেন। জনমত যাচাই পর্বে সংশোধিত এই আইনের বিরোধীতা করেন কয়েকজন সংসদ সদস্য। তারা বলেন, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে বিদ্যুতের দাম সরকার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই আইনে সংশোধন আনা হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দুর্নীতি নিয়েও কথা বলেন বিরোধী দলের সংসদ সদস্যরা।

এক পর্যায়ে সিলেটের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান ওয়াক আউট করেন। পরে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন সমালোচনার উত্তর দেন। কণ্ঠ ভোটে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি বিল কমিশন আইনের সংশোধন করে নতুন আইনটির অনুমোদন দেয় সংসদ।

গত ২২ জানুয়ারি বিশেষ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও তেলের দাম সরাসরি বাড়ানো বা কমানোর ক্ষমতা সরকারের হাতে রেখে এই সংশোধনী বিল জাতীয় সংসদে উত্থাপন করা হয়। গত বছরের এক ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইনের এ ধারায় সংশোধন আনা হয়।

বিলে বলা হয়, এই আইনের অন্যান্য বিধানে যা কিছু থাকুক না কেন, বিশেষ ক্ষেত্রে সরকার প্রজ্ঞাপন দিয়ে ভর্তুকি সমন্বয়ের জন্য জনস্বার্থে কৃষি, শিল্প, সার, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গৃহস্থালি কাজের চাহিদা অনুযায়ী এনার্জির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করতে এসবের উৎপাদন বৃদ্ধি, এনার্জি সঞ্চালন, মজুতকরণ, বিপণন, সরবরাহ, বিতরণ এবং ভোক্তা পর্যায়ে ট্যারিফ নির্ধারণ, পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করতে পারবে।

এতদিন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গণশুনানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম নির্ধারণ করতো। এখন দাম বাড়ানোর জন্য এই শুনানির দরকার হবে না। সরকার প্রয়োজন মনে করলে দাম বাড়াতে পারবে।

প্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা দিয়ে প্রতিবন্ধিতা দূর করা সম্ভব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিবন্ধিতা যত কঠিনই হোক না কেন মানসিক দৃঢ়তা, ব্যবস্থাপনা ও প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে তা দূর করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা।

তারা বলেছেন, বিশ্বেও সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হলো প্রতিবন্ধী মানুষ। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় একশ’ মিলিয়ন মানুষ নানা ধরনের প্রতিবন্ধিতার শিকার। কিন্তু বাংলাদেশে এখনো প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর সঠিক সংখ্যা নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। তবে বিভিন্ন গবেষণা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী দেশে এই জনগোষ্ঠীর সংখ্যা গড়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ।

সোমবার (২০ মার্চ) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) ও সামাজিক সংস্থা ফ্রেন্ডশিপের উদ্যোগে আয়োজিক সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তারা এসব তথ্য জানান। ‘অক্ষমতা এবং ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি’ বিষয়ক দিনব্যাপী এই কর্মশালায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত প্রায় ২৫ জন সাংবাদিক অংশ নেন। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারীদের সনদপত্র দেয়া হয়।

প্রশিক্ষণ পর্বের প্রধান বক্তা ছিলেন এটুআই প্রকল্পের জাতীয় পরামর্শক ভাস্কর ভট্টাচার্য। তিনি জন্ম থেকেই দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতাকে জয় করা একজন সফল মানুষ। ২০১৮ তিনি ইউনেস্কো পুরস্কার লাভ করেছেন। আলোচনায় তিনি সাংবাদিকদের কাছে নিজের জীবনের নানা বাধা ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতাকে জয় করার নানা অভিজ্ঞতা ও সফলতা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম-গাইবান্ধার চরাঞ্চলে ‘ডিজঅ্যাবিলিটি প্রকল্পে’র কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন ফ্রেন্ডশিপের জ্যেষ্ঠ পরিচালক আয়শা তাহসিন খান। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, উত্তরের চরাঞ্চলে বসবাসকারী শারীরিক অক্ষমদের (প্রতিবন্ধী) জন্য জীবনযাত্রা খুবই চ্যালেঞ্জিং। প্রতিনিয়ত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিক্ষার হচ্ছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা। সাধারণ মানুষের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি লড়াই-সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হয় যমুনা-ব্রহ্মপুত্রের চরের প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের। তাই স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, স্বাস্থ্য, শিক্ষার মত মৌলিক অধিকারে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জকে গুরুত্ব দিয়ে নেয়া হয়েছে এ বিশেষ উদ্যোগ।

এ প্রত্যন্ত অঞ্চলে শারীরিক অক্ষম ব্যক্তিদের সীমাবদ্ধতা গণমাধ্যমে তুলে ধরার আহবানও জানান ফ্রেন্ডশিপের জেষ্ঠ্য পরিচালক। সাংবাদিকদের সহযোগিতায় এমন কর্মসূচির মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা সম্পদ হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আশা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি- ডিআরইউ সভাপতি মুরসালিন নোমানী। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য এটুআই এবং ফ্রেন্ডশিপের মহৎ উদ্যাগকে সাধুবাদ জানান তিনি।

ফ্রেন্ডশিপের সহকারী পরিচালক আহমেদ তৌফিকুর রহমান জানান, প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সক্ষম হিসেবে গড়ে তোলা। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নে সমাজে তাদের অবদান আছে এবং তারাও গুরুত্বপূর্ণ অংশ- এটা প্রতিষ্ঠিত করা প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ্য।

এছাড়াও প্রশিক্ষণের বিভিন্ন পর্ব পরিচালনা করেন- ফ্রেন্ডশিপ নেদারল্যান্ড এর পরিচালক বেটেকে দ্য গাই ফোর্টম্যান, এটুআই প্রকল্পের কমিউনিকেশন এক্সপার্ট আদনান ফয়সাল, ফ্রেন্ডশিপের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার নুসরাত জেরিন, টিম লিডার আবু মোহাম্মদ শিহাব, টেকনিক্যাল লিডার নুসরাত জেরিন। পুরো প্রশিক্ষণটি সাংকেতিক ভাষায় উপস্থাপন করেন আরাফাত সুলতানা লতা।

;

ইন্টারপোলের রেড নোটিশের খবরে আরাভের খোলা চিঠি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সেটি ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।

ইন্টারপোলে রেড নোটিশের খবর শুনে সোমবার (২০ মার্চ) রাতে আরাভ খান তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে সবার কাছে দোয়া চান আরাভ। এর কয়েক ঘণ্টা পরই বাংলাদেশের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি দেন তিনি।

আরাভ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, খোলা চিঠি বাংলাদেশ, আসসালামু আলাইকুম। আমি আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন এবং সর্বদাই আমার দোয়া থাকবে আপনাদের ওপর। আপনারা যেভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমি বাঁচি আর না বাঁচি এ কথা আমার মনে থাকবে।

জানি না আমার জীবনে আমি জেনে না জেনে যে ভুলগুলো করেছি, আপনারা যারা আমার পাড়া-প্রতিবেশী এবং আমাকে যারা চিনেন, যাদের সঙ্গে আমার কোনো অন্যায় হয়ে থাকলে তারা আমাকে মাফ করে দিবেন।

তিনি আরও লেখেন, দেশবাসীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি আপনারা আমাকে মাফ করে দিবেন। আমি জানি না কাল আমার সঙ্গে কী হবে। কিন্তু আমি চাই ন্যায় বিচার, সেটা হয়তোবা সম্ভব না। যাইহোক, আল্লাহ একজন আছে। এই বিচার আমি আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিলাম।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি সূত্র বলছে, আরাভ খান আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পাচার চক্রের সদস্য। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে বাংলাদেশে স্বর্ণ পাচার চক্র নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন তিনি।

আরাভের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন। শ্বশুরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা আদায় করতেন। এ কারণে ২০১৫ সালে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া ক্যামেরা চুরির মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

;

‘শিশুর শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, খেলাধুলা শিশুদের মাঝে একধরনের প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং দায়িত্ববোধ তৈরি করে। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কেও অবহিত হওয়ার সুযোগ পাবে এবং তাদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চিন্তা-চেতনায় উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

;

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সাধিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির হার অর্জিত হয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সাধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, শিশুদের খেলাধুলায় আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে আন্তঃবিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এর অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। পুরুষদের পাশাপাশি আমাদের নারীরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, সেই ফুটবল টিমের ৫ (পাঁচ) জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে। আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি এই সফলতা আমাদের দূরদর্শী পরিকল্পনার ফসল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা-এর মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতে বেশি ভালবাসতেন। তিনি ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলতেন। মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সার্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ৩৬,১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১,৫৭,৭২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ, খাদ্যসামগ্রী এবং পোশাক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০১৩ সালে ২৬,১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১,০৫,৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছি। প্রধান শিক্ষকের পদ ২য় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল উন্নীত করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মা’র মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে সরাসরি উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করছি। তাছাড়া, স্কুল ফিডিং, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার পাশাপাশি আরো অনেক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ টুর্নামেন্ট দু’টির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী এ আয়োজন সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

;