এ বছর ২,৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রায় ২ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সরকারি দলের সদস্য মোরশেদ আলমের টেবিলে উপস্থাপিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার গত মেয়াদ ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫ হাজার ৯২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর বিদ্যুৎ খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে এ খাতের উন্নয়নে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে নিবিড় তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

ফলে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ইতিমধ্যে শতভাগ মানুষের নিকট বিদ্যুৎ সুবিধা পৌঁছে দেয়া সম্ভব হয়েছে।

তিনি বলেন, বিগত ১৪ বছরে মোট ২০ হাজার ৯৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে গ্রিড-অফগ্রিড ও ক্যাপটিভসহ মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে।

বৃষ্টিতে ঢাকার বায়ুমানের কিছুটা উন্নতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বস্তির বৃষ্টির কল্যাণে ঢাকার বায়ুর মানের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। সোমবার (২০ মার্চ) সকাল সাড়ে ৬টায় এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ১৪৬ স্কোর অর্জন করে ১২তম অবস্থানে উঠে এসেছে ঢাকা, যা সুস্থ মানুষের জন্য সহনীয়। তবে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ পর্যন্ত “অস্বাস্থ্যকর” হিসেবে বিবেচিত হয় বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য। একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

অন্যদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-এর এর মধ্যে থাকা একিউআইকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

এ তালিকায় ১৯০ একিউআই স্কোর নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচেন; ১৮৫ নিয়ে দ্বিতীয় পাকিস্তানের লাহোর। তৃতীয স্থানে থাকা চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের স্কোর ১৮৪ এবং পঞ্চম স্থানে থাকা ইরাকের বাগদাদের স্কোর ১৭৯।

মেগাসিটি ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে বায়ুদূষণে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা।

বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন।

;

‘মানুষের ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণে মাদরাসা শিক্ষার বিকল্প নেই'



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নৈতিকতা শিক্ষার জন্য মাদরাসায় পড়ালেখা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। শুধু মাদরাসায় পড়াশোনা করলেই হবে না। নিজেকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য শিক্ষকদের ভূমিকা রাখতে হবে। মানুষের ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণে মাদরাসা শিক্ষার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

রোববার (১৯ মার্চ) তাহেরিয়া সাবেরিয়া সুন্নি মডেল মাদসার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরষ্কার বিতরণে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও মানুষের ঈমান আক্বিদা সংরক্ষণে মাদরাসা শিক্ষার বিকল্প নেই। মাদরাসা শিক্ষার মধ্যেই মূলত মানুষের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সার্বিক বিষয়ে শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। আলেমগণ মাদরাসা-মসজিদে আদর্শ জাতি গঠন শৃঙ্খলাময়ী সমাজ বিনির্মাণ পরস্পরের প্রতি সৌহার্দ্য ভালোবাসা সহযোগিতা ও সহমর্মিতার শিক্ষা দেয়।

বক্তব্যে কাউন্সিলর মোবারক আলী বলেন, এ এলাকায় এটি একটি আধুনিক মডেল মাদরাসা, আরও আধুনিকায়ন করতে সকল সহযোগিতায় পাশে থাকবেন। নৈতিকতা শিক্ষার জন্য মাদরাসায় পড়ালেখা ছাড়া কোন বিকল্প নেয়।

আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত বাংলাদেশের মহাসচিব সৈয়দ মুহাম্মদ মছিহুদৌলা সভাপতিত্বে ও মাদরাসার পরিচালক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নোমান রনির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুহাম্মদ মোবারক আলী।

উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম কলেজের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ মুজিবুল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পাঁচলাইশ থানা শিক্ষা অফিসার আবদুল হামিদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সুন্নি নূরানি বোর্ড বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল আসাদ মুহাম্মদ জুবায়ের রজবী, চট্টগ্রাম মোজাহেদ আয়ুর্বেদীয় কলেজের প্রভাষক ড. নাছির আহম্মদ মুজিবুর হক, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলামসহ অনেকে।

;

উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় জনগণের সুস্বাস্থ্য অপরিহার্য পূর্বশর্ত: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বেগবান রাখতে জনগণের সুস্বাস্থ্য একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত।

সোমবার (২০ মার্চ) ওয়ার্ল্ড হেলথ ডে উদযাপন উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের মাঝে মুখ ও দাঁতের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির উদ্যোগে ২০ মার্চ জাতীয় পর্যায়ে ওয়ার্ল্ড হেলথ ডে উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের স্বাস্থ্যখাতের বিশাল সাফল্য জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে ইতিমধ্যে ফুটে উঠেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা দেশের ডেন্টাল সার্জনদের জন্যে পর্যায় ক্রমিক বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি পদ সৃজন, উন্নত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পেশাগত উন্নয়নের জন্যে নিয়মিত কর্মসূচি প্রণয়ন, তিনটি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ এই পেশার মানোন্নয়নে বিশেষ উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, সঠিক প্রচারণা, পলিসি নির্ধারণ এবং জনগণের দোরগোড়ায় আধুনিক চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিয়ে আমাদের সরকার স্বাস্থ্যখাতে এক যুগান্তকারী বিপ্লবের সূচনা করতে সক্ষম হয়েছে। জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি, বাংলাদেশ জনসংখ্যা নীতি, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন, রক্ত পরিসঞ্চালন আইন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন ইত্যাদি প্রণয়ন করে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী এবং জনগণের স্বার্থ সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতরসহ সকল দফতর নিজস্ব ওয়েব সাইটের মাধ্যমে তাদের যাবতীয় কার্যক্রম ও তথ্য জনগণকে পৌঁছে দিচ্ছে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যখাতের এই উন্নয়ন ও বৈপ্লবিক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে আমাদের সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও জনগণের সম্মিলিত অংশ গ্রহণের মাধ্যমে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে প্রতিনিয়ত অসংখ্য মানুষ শুধুমাত্র মুখগহবরের সঠিক যত্ন না নেওয়ার কারণে দাঁত, মুখসহ শারীরিক নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী উদ্যাপিত এই দিবসের মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ডেন্টাল ফেডারেশন এ ব্যাপারে যে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা ‘স্মার্ট বাংলাদেশ' তথা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।

;

ভেঙে ফেলা হলো চট্টগ্রামের সেই আয়ান শর্মার রেস্টুরেন্ট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর খেলার মাঠ দখল করে মেলাসহ নানা আয়োজন চলত বছরজুড়েই। এতে খেলাধুলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত শিশু-কিশোররা। নগরীর কাজির দেউড়ি এমএ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন আউটার স্টেডিয়ামে এক সময় নিয়মিত খেলার চর্চা হতো। পরবর্তী সময় মেলা ও নানা কৌশলে দখলের কারণে সেটি অকার্যকর মাঠে পরিণত হয়। পাশাপাশি মাঠের জায়গা দখল করে আশপাশে গড়ে ওঠে অবৈধ স্থাপনা।

সম্প্রতি এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং মাঠে খেলার সুযোগ সৃষ্টি করতে সব ধরনের মেলা বন্ধের ঘোষণা দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও সিজেকেএস সভাপতি আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। এরপর গত ২ মার্চ আউটার স্টেডিয়ামে সংবাদ সম্মেলন করে মাঠ উদ্ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কথা জানান। নিজেদের স্থাপনা সরিয়ে নিতে ১৫ দিন সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়, কিন্তু দখলদাররা তা আমলে না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছিলেন। এ পরিস্থিতিতে গতকাল রবিবার বেলা ১১টার দিকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে জেলা প্রশাসন। মাঠের পূর্বপাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বাগান বিলাস গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, গোধূলি বেলাসহ একাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন। বাগান বিলাস রেস্টুরেন্টের মালিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক ও প্রকাশক আয়ান শর্মাসহ পাঁচজন। অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নু-এমং মারমা মং।

অভিযান শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, সিদ্ধান্ত হয়েছে এখানে খেলা ছাড়া অন্য কোনো কিছু চলবে না। এই পরিপ্রেক্ষিতে ডিসি ওসাধারণ সম্পাদক পরিদর্শন করেন। দুই মাস আগে নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, এরপর একাধিকবার তাদের জায়গা ছেড়ে দিতে নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তারা অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়নি। তাই আজকের উচ্ছেদ অভিযান। তিনি বলেন, আউটার স্টেডিয়াম চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী একটি খেলার মাঠ, এখান থেকে অনেক জাতীয় খেলোয়াড় ওঠে এসেছেন। তাই মাঠটি আমরা খেলার জন্য ফিরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। মাঠের চারদিকে দেওয়াল দিয়ে রক্ষার পাশাপাশি খেলার উপযোগী করে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন ২০১৯ সালে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের আওতায় ফিউশন ডিজাইন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডকে মাঠের পূর্ব ও উত্তর অংশ পাঁচ বছরের জন্য ইজারা দেন। নাগরিক সুযোগ সুবিধার উন্নয়ন ও শোভাবর্ধনের শর্তে লিজ দেওয়া হয়। মাঠের দক্ষিণ-পূর্ব পাশে শর্তের বাইরে গিয়ে গড়ে তোলা হয় বাগান বিলাস নামে একটি রেস্টুরেন্ট। ইজারাদার এমএ হোসাইন বাদলসহ পাঁচ ব্যক্তি সেটি গড়ে তোলেন। পাবলিক টয়লেট সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকার কথা। কিন্তু সেটিও দখল করে রেস্তোরাঁর ভেতরে ঢুকিয়ে ফেলা হয়। এমনকি পথচারীর হাঁটার জন্য তৈরি করা সড়কের ফুটপাত দখল করে নেয় রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষ। রেস্টুরেন্টের বাকি চার অংশীদার হলেন- আয়ান শর্মা, অসিত সেন, হোসাইন তৌফিক ইফতেখার ও চৌধুরী হাসান মাহমুদ আকবরী।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, বাগান বিলাস রেস্টুরেন্টের ভেতরে ঢুকিয়ে ফেলার কারণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পাবলিক টয়লেট হওয়া সত্ত্বেও সাধারণ মানুষ সেটি ব্যবহার করতে পারত না। রেস্টুরেন্টের সামনের ফুটপাতে দাঁড়ালে সাধারণ মানুষকে নানাভাবে লাঞ্ছিত করা হতো। কোন ধরনের যানবাহন সেখানে পার্কিংও করতে পারত না।

এর বাইরেও সৌন্দর্যবর্ধনের নামে নির্মিত একাধিক রেস্তোরাঁ ও আশপাশের জায়গা সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে পরিণত হয় বখাটে ও মাদকসেবীদের আখড়ায়। সড়কের অপর পাশে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসের অবস্থানের কারণে পুরো বিষয়টি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে প্রশাসনের জন্য।

জেলা প্রশাসক জানান, চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার ১৯১টি ইউনিয়নে এক বছরের মধ্যে ১৯১টি খেলার মাঠ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

;