সংকটেও বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর কাজে কোন প্রভাব পড়বে না: রেলমন্ত্রী
রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ বা দেশে ডলার সংকটের কারণেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের কাজে কোন ধরণের প্রভাব পড়বে না।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে যদি কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে ২০২৪ সালের আগস্টে নির্ধারিত সময়ের আগে এ রেল সেতু নির্মাণ কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর ১২টি পিলারের ওপর প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশজুড়ে স্প্যান বসানো হয়েছে। আপাতত রেল সেতু নির্মাণ কাজের সময় ও ব্যয় বাড়ছে না বলেও জানান তিনি।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকেলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু সেতুর ৩০০ মিটার দূরে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেল সেতুর নির্মাণ কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের রেলমন্ত্রী এসব কথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রেলমন্ত্রী বলেন, সেতুর পূর্ব প্রান্তে প্রথম প্যাকেজের কাজ দ্রুত চলছে। কিন্তু দ্বিতীয় প্যাকেজের কাজ শুরু হতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রথম প্যাকেজটি যারা করছেন তাদের ইকুইপমেন্ট তৈরি ছিল। দ্বিতীয় প্যাকেজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে সেতু পূর্ব প্রান্ত থেকে সবকিছু সংগ্রহ করতে হয়েছে। ফলে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। তবে এখন কাজ দ্রুত চলছে। এখন আর কোন সমস্যা নেই।
তিনি বলেন, পদ্মা-যমুনা এ দুটি নদী আমাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে। পদ্মার ওপর রেল সেতু ও যমুনার ওপর রেল সেতু মাধ্যমে তা দূর হয়ে যাবে। সেতুর ওপর দিয়ে ১২০-১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে ডাবল লাইনে রেল চলবে। সাইড বা ক্রসিংয়ের জন্য বসে থাকতে হবে না। এছাড়া জাইকার অর্থায়নে গাজীপুরের জয়দেরপুর থেকে পাবনার ইশ্বরদী পর্যন্ত ডাবল লাইনের সমীক্ষা চলছে। ২০২৫ সালের মধ্যে কাজ শুরু হবে। বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের রেল লাইনের প্রকল্পের চুক্তি হয়েছে। ভারতের অর্থায়নে প্রকল্পের কাজটি হবে।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতু প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) আবু ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান, টাঙ্গাইল-২ (ভূঞাপুর-গোপালপুর) আসনের সংসদ সদস ছোট মনির, উপজেলা চেয়ারম্যান মোছা. নার্গিস আক্তার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. বেলাল হোসেন, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আলিফ নুর মিনি, ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম প্রমুখ।