কাপ্তাই হ্রদ দখল মুক্ত করতে রাঙামাটিতে চলছে উচ্ছেদ অভিযান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
কাপ্তাই হ্রদ দখল মুক্ত করতে রাঙামাটিতে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

কাপ্তাই হ্রদ দখল মুক্ত করতে রাঙামাটিতে চলছে উচ্ছেদ অভিযান

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ হিসেবে পরিচিত রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এবার হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ নিজেরা নেতৃত্ব দিয়ে রাঙামাটি শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে সতর্কীকরণ বিজ্ঞাপ্তি টানিয়ে দেন।

মঙ্গলবার থেকে রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের তীরবর্তী এলাকাগুলোতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বিভিন্ন বসতঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ড্রেজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া শুরু করেছে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা। হাইকোর্টের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার নিজেই। এই অভিযানের পাশাপাশি কাপ্তাই হ্রদ রক্ষায় হাইকোর্টের নির্দেশনা মোতাবেক জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বসানো হচ্ছে বিশেষ সাইনবোর্ড।

এদিকে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নির্দেশে মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমা বিনতে আমিনের নেতৃত্বে আসামবস্তী এলাকায় কাপ্তাই হ্রদের তীর ঘেসে গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে শহরের আসামবস্তী ব্রাহ্মণটিলা, আসামবস্তী ব্রীজ সংলগ্ন গড়ে উঠা অবৈধ দোকান পাঠ উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে ব্রাহ্মণটিলা এলাকায় ৩টি কাচাঘর, ও নির্মাণাধীন একটি ভবন ভেঙ্গে দেয়া হয়। পরে আসামবস্তী ব্রিজ এলাকায় ৪টি দোকান ভাঙার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মালামাল সরিয়ে নেয়ার জন্য সময় চাইলে রাত পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেয় প্রশাসন। ধারাবাহিকভাবে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটির ডিসি-এসপি।

এদিকে এই উচ্ছেদ অভিযানের সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের মালামাল সরিয়ে নিতে সময় দিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছে উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ প্রশাসনের পক্ষ থেকে উচ্ছেদের কোনো নোটিশ দেওয়া হয়নি এবং মাত্র আধা ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে করে তারা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

প্রসঙ্গত, রাঙামাটি শহর থেকে বিল বোর্ড সরিয়ে ফেলাসহ কাপ্তাই হ্রদের তীর ঘেসে গড়ে ওঠা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদে সম্প্রতি হাইকোর্ট বিভাগ থেকে নির্দেশনা জারি করা হয় বলে জানা গেছে। টানানো সতর্কিকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতদ্বারা সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের দায়রকৃত রিট পিটিশন নং-১১৮৮৫/২০২২ এর বিগত ১৭/১০/২০২২ খ্রিস্টাব্দের নোটিশের প্রেক্ষিতে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় অবস্থিত কাপ্তাই হ্রদের সকল প্রকার অবৈধ ভবন/স্থাপনা নির্মাণ নিষিদ্ধ করা হলো। কাপ্তাই হ্রদের তীরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযানের প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

এদিকে সদরসহ জেলাজুড়ে কাপ্তাই হ্রদের জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে অসংখ্য অবৈধ স্থাপনা। শুস্ক মৌসুমে হ্রদের পানি কমে গেলে ভেসে উঠা জায়গা ভরাট করে কাঁচা-পাকা স্থাপনা নির্মাণ করা হয়। রাঙামাটি শহরে বৈধ-অবৈধ জায়গার নিজ নিজ বাড়িঘরের সামনে পেছনে ব্যাপক হারে দখল করা হচ্ছে হ্রদের জায়গা। স্থানীয়দের মতে কেবল রাঙামাটি শহর এলাকায় কাপ্তাই হ্রদের পাড় দখল করে নির্মাণ করা হয়েছে কয়েক হাজার অবৈধ স্থাপনা। এসব স্থাপনা নির্মাণের ফলে রাঙামাটিতে দিন দিন বেড়ে উঠছে প্রচুর অপরিকল্পিত ও পরিবেশ বিরোধী বস্তি। যা পরিবেশের জন্য হুমকি বলে মনে করছে সচেতন মহল।

উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: হানিফ

উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: হানিফ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া- ৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। এ সরকার কৃষিবান্ধব বহুমুখী ব্যবস্থা নেয়ায় বাংলাদেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বুকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (২০ মার্চ) কুষ্টিয়ায় স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ১৯৭০ সালে দেশে সাড়ে ৭ কোটি মানুষ ছিল। সেই সময়ে আমাদের ভূখণ্ডের আয়তন একই ছিলো। ’৭০- এর আগে মানুষ দুই বেলার বেশি খেতে পারতো না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। দেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি ছাড়িয়েছে। প্রতি বছর হাজার হাজার একর কৃষি জমি শিল্প কারখানা, আবাসন খাতে চলে যাচ্ছে। তারপরও এই সাড়েৃ ১৬ কোটি মানুষ এখনও তিনবেলা খেতে পারছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে।

তিনি বলেন, খাদ্য সমস্যাকে সামনে রেখে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সেটার ধারাবাহিকতা রক্ষা করায় বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশকে এই জায়গায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।

হানিফ বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আর কেউ কৃষিখাতে মনোযোগ দেয়নি। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে কৃষি খাতে বিপ্লব এনেছেন। এরপর বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে দেশে ৬০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। কৃষকরা সময়মতো সার পেত না। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা চার বার সারের দাম কমিয়েছেন। যাতে কৃষকরা সহজে সার পায়। ৮৭ টাকা কেজির সার মাত্র ২২ টাকায় নিয়ে এসেছিলেন। কৃষকরা সহজমূল্যে কৃষি উপকরণ পাচ্ছে। কৃষি কার্ড সহায়তা পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি আমলে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিলো ৫০০ ডলার। আজ আমাদের মাথাপিছু আয় ২৯শ’ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকালে আমরা ২০৩১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো।

এবি ব্যাংক লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব তারিক আফজাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ কা ম সরোয়ার জাহান, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজগর আলী, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক কৃষিবীদ ড. হায়াত মাহমুদ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাধন কুমার বিশ্বাস ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সৌতম কুমার শীল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

;

রফতানি আয় বাড়াতে নতুন বাজার খুঁজতে হবে: প্রধানমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের রফতানি আয় বাড়াতে পণ্য বহুমুখীকরণ ও নতুন নতুন বাজার খোঁজার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২০ মার্চ) তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে রফতানি বিষয়ক ১১তম বৈঠকে এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে টেকসই রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্জনে পদেক্ষপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাহিদা বাড়ায় বাংলাদেশি পণ্যের জন্যে নতুন বাজার খোঁজার সুযোগ বিশ্বব্যাপী তৈরি হয়েছে। আমাদেরকে এসব বাজার ধরতে হবে।’

তথ্য-প্রযুক্তি পণ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হিসেবে চলে এসেছে। এর চাহিদাটাও বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি সেখানে গার্মেন্টস, ওষুধ, হালকা, ভারী শিল্প, মোটর গাড়ি, ইলেকট্রনিক মোটরগাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ আসছে।’

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ সাল নাগাদ মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া বিদ্যমান রফতানি নীতিমালার সংশোধন, পরিবর্তন ও উন্নয়ন করে আরো চার কিংবা পাঁচ বছরের জন্যে নতুন রফতানি নীতিমালা প্রণয়নেরও আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, যুদ্ধের নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরনের পর বাংলাদেশে যেসব চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ তৈরি হতে পারে তা বিশ্লেষণ করে নতুন রফতানি নীতি গ্রহণ করা উচিত।

;

তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর সেরা রাঁধুনি হলেন ঢাকার আইরিশ আতিয়ার



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর সেরা রাঁধুনী হলেন ঢাকার আইরিশ আতিয়ার

তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর সেরা রাঁধুনী হলেন ঢাকার আইরিশ আতিয়ার

  • Font increase
  • Font Decrease

চূড়ান্ত পর্বে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর সেরা রাঁধুনি ১৪২৯-এর বিজয়ী হলেন ঢাকার আইরিশ আতিয়ার। প্রথম রানারআপ ঢাকার সাদিয়া কামাল উর্মি এবং দ্বিতীয় রানারআপ রাজশাহীর ফেরদৌস আরা টুইনকে পেছনে ফেলে এ স্বীকৃতি অর্জন করলেন তিনি।

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ আয়োজিত সেরা রাঁধুনির এটি ছিলো সপ্তম আসর। ‘রান্নার জগতে হয়ে উঠুন উজ্জ্বল তারকা’- এই স্লোগান নিয়ে এবারের আসরের যাত্রা শুরু হয় ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকে। বিভাগীয় রাউন্ডের অডিশনের মাধ্যমে সারাদেশ থেকে ৪০ জন নির্বাচন করার পর শুরু হয় গ্র্যান্ড অডিশন। সেখান থেকে সেরা ২০ জনকে নিয়ে শুরু হয় মহামঞ্চ বা স্টুডিও রাউন্ড।

রাজধানীর বনানীর শেরাটন ঢাকা হোটেলে আয়োজিত গ্র্যান্ড ফিনালেতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব অঞ্জন চৌধুরী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলার খাবার দিয়ে সারাবিশ্বের মানুষের মন জয় করবেন সেরা রাঁধুনিরা এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সেরা রাঁধুনি’র বিগত আসরগুলোর শীর্ষ প্রতিযোগী, দেশবরেণ্য রন্ধন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং স্কয়ারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। এবারের আসরের বিভিন্ন পর্বে দেশি স্বাদ, পিঠা পার্বণ, স্বাদের বিশ্বভ্রমণ, উৎসবের স্বাদ, মায়ের রান্নার স্বাদ, সল্ট বেক চ্যালেঞ্জ-সহ বেশ কিছু অভিনব রান্নার পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে প্রতিযোগীদের। প্রতিটি পর্বই ছিল চমক ও নাটকীয়তায় ভরা। প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান শেফ শুভব্রত মৈত্র, রন্ধন বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা রীতা, অভিনয়শিল্পী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। অডিশন রাউন্ডগুলোতে শেফ মৈত্র ও রাহিমা সুলতানা রীতার সাথে শেফ নাঈম আশরাফ বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রতিযোগিতায় এবারই প্রথমবারের মতো মেন্টর হিসেবে আগের আসরগুলোর শীর্ষ ৫ প্রতিযোগী দায়িত্ব পালন করেন। গ্র্যান্ড ফিনালে-র সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন শ্রাবণ্য তৌহিদা ও অভিনয়শিল্পী এফএস নাঈম। শ্রাবণ্য তৌহিদা এবারের পুরো সিজনেই উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন।

এবারের সেরা রাঁধুনিতে রেকর্ডসংখ্যক রেজিস্ট্রেশন হয়েছিলো। তাদের মধ্য থেকে অডিশনের পর স্টুডিও রাউন্ডের জন্য ২০ জন নির্বাচিত হন। সেরা রাঁধুনির মর্যাদা অর্জনকারী ঢাকার আইরিশ আতিয়ার পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন সম্মাননা স্মারক ও ১৫ লাখ টাকা। আর প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হিসেবে সাদিয়া কামাল ও ফেরদৌস আরা পাচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ টাকা ও ৫ লাখ টাকা। বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব অঞ্জন চৌধুরী এবং তিন বিচারক। আর ‘সেরা বিশ’-এর অন্যান্য প্রতিযোগীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক তুলে দেনস্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার জনাব মোঃ পারভেজ সাইফুল ইসলাম,মাছরাঙা টেলিভিশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও মিডিয়াকম লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জনাবঅজয় কুমার কুন্ডু, বিশ্বনন্দিত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মিডিয়াব্যক্তিত্ব নুসরাত ইমরোজ তিশা। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যে ছিলো নাদিয়া আহমেদ ও তার দলের নৃত্য পরিবেশনা, দেশের অন্যতম নাট্যদল প্রাচ্যনাট-এর পরিবেশনায় ‘ভালোবাসার কিচেন’ শীর্ষক নাটিকা, আবু হেনা রনির কৌতুক পরিবেশনা এবং বিদ্যা সিনহা সাহা মিম ও ঈগল ড্যান্স কোম্পানির অংশগ্রহণে জমজমাট কোরিওগ্রাফি ইত্যাদি। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে আমন্ত্রিত দর্শকদের গান শোনান ইমন চৌধুরী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস।

ক্রিয়েটিভ এজেন্সি হিসেবে সেরা রাঁধুনি ১৪২৯-এর পুরো আয়োজনটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে ছিলো মিডিয়াকম লিমিটেড। ব্রডকাস্ট পার্টনার মাছরাঙা টেলিভিশনের সাথে সেরা রাঁধুনি ১৪২৯ আয়োজনের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরো আছে রাঙামাটি ওয়াটারফ্রন্ট রিসোর্ট।

;

আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলকে রেড নোটিশ দেয়া হয়েছে: আইজিপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলকে রেড নোটিশ দেয়া হয়েছে: আইজিপি

আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলকে রেড নোটিশ দেয়া হয়েছে: আইজিপি

  • Font increase
  • Font Decrease

আরর আমিরাতে স্বর্ণের শো রুম উদ্বোধন নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খানের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলকে রেড নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং তারা সেটি গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

সোমবার (২০ মার্চ) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে সিএমপির কোতোয়ালি থানার এনায়েতবাজার পুলিশ ফাঁড়ির উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

আইজিপি বলেন, আরাভ খানের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ইন্টারপোলসহ বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ শুরু করেছি। আমি কিছুক্ষণ আগে জানতে পেরেছি যে তার যে নামে আমরা চার্জশিট দিয়েছি, ওই নামে রেড নোটিশ জারির একটা বিষয় (আবেদন/অনুরোধ) দিয়েছি, এটা বোধহয় ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে, এরকম একটা খবর আমি পেয়েছি। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি, কীভাবে কাজ করছি সেটা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাচ্ছিনা তদন্তের স্বার্থে।

পুলিশের সাথে তার একটা সমঝোতার বিষয়ে বিভিন্ন জায়গায় খবর প্রকাশ হয়েছে, এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের নলেজে আসছে, আমরা খতিয়ে দেখছি। খতিয়ে দেখে উপর্যুক্ত সময়ে আমরা জানাব। দেশ থেকে যদি কোনো আসামি পলায়ন করে, বিদেশে চলে যায়, যখন আমরা তার সম্পর্কে মোটামুটি কিছু তথ্য পাই, তখন আমরা একটা রেড নোটিশ জারি জরি। এটা ইন্টারপোল হেড কোয়ার্টারে যায়। আমি যেটা খবর পেয়েছি যে এটা তারা একসেপ্ট করেছে।

আরাভ খানের স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে তারকাদের যাওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘তারা কী কারণে গিয়েছেন তারা বলবেন। আমরা এটা খবর নিব। তারা আসলে পরে এটা জানব আমরা। অনেকসময় দেখা যায় বিজ্ঞাপনের জন্য যায়। একজন একটা অনুষ্ঠানে গেলেই যে সে তার সাথে জড়িত থাকবে এটা ঠিক কি বলা যায়? এরপরও আমরা এটা পর্যবেক্ষণ করছি, দেখছি আমরা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুটি পক্ষের বিরোধ নিয়ে লাগাতার রক্তপাত ও প্রাণহানি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে। যে ঘটনা ঘটছে, আপনারা জানন কক্সবাজারের জনসংখ্যা কত আর শুধুমাত্র ক্যাম্পের জনসংখ্যা কত। এখানে আমরা সবাই মিলে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা বিভিন্ন বাহিনী একযোগে কাজ করছি। তারা আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী কারী যেসকল কাজ করছে, প্রতিটি ঘটনায় জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এমন না যে আমরা ছাড় দিচ্ছি৷ যে ঘটনাগুলো ঘটছে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এখনো যে ঘটনা ঘটছে, আমরা একটা একটা ব্যবস্থা নিব, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নিব।

টানেলের দুপাশের দুটি থানার বিষয়ে তিনি বলেন, এখনো ওই বিষয়টা ইমপ্লিমেন্টেশনের পর্যায়ে যায়নি। আমরা একটা প্রস্তাব দিয়েছি, একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এটা হয়ে থাকে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এটা বিবেচনাধীন আছে।

মাহিয়া মাহির প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, ইতোমধ্যে তিনি জামিন পেয়েছেন। আমি এটা বলতে পারি যেহেতু মামলা হয়েছে, কারো প্রতি কোনো অন্যায় হবে না।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কতোয়ালী থানা এলাকায় ৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এনায়েত বাজার পুলিশ ফাঁড়ি। এই ভবনের মোট আয়তন ১০ হাজার ১৮০ বর্গফুট। চার তলার এই ভবনটি ছয় তলা ভিতের উপর তৈরি। ভবনের বেজমেন্টে রয়েছে রান্নাঘর, রিক্রিয়েশন রুম এবং এবাদত খানা। প্রথম তলায় অফিসকক্ষ আর ওয়্যারলেস রুমের সাথে আছে গাড়ি পার্কিং।

ভবনের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে ফাঁড়ির ইনচার্জের জন্য নির্ধারিত কক্ষ। একই ফ্লোরে থাকছে অস্ত্রাগার, লজিস্টিক রুম এবং পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা হাজতখানা। ভবনের তৃতীয় তলায় রয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনারের অফিস। এই ফ্লোরে রাখা হয়েছে একটি সভাকক্ষও। সবচেয়ে উপরের তলায় আছে ইন্সপেক্টর রুম। একই ফ্লোরে একটি ওয়েটিং রুম, অফিস রুম ও একটি এসিরুম রাখা হয়েছে। চারতলা ভবনের বেজমেন্ট সহ সব ফ্লোরে রাখা হয়েছে আলাদা শৌচাগার ব্লক।

;