রূপপুর প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে পণ্য খালাস না করেই রাশিয়ার জাহাজ ‘উরসা মেজর’ চলে যাওয়ায় রূপপুর প্রকল্পের কাজে কোনো ব্যাঘাত ঘটবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালায় এ ঘটনা ঘটে।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ইয়াফেস ওসমান। মন্ত্রী ২৮ মিনিট ধরে কথা বলার পর একজন সাংবাদিক বলেন, ‘মাননীয় মন্ত্রী আমরা দু-একটা প্রশ্ন করে চলে যেতে চাই।’

মন্ত্রী বলেন, ‘বলো ভাই। তোমাদের তো আবার সময়ের দাম আছে। এতোগুলো কথা বললাম, এগুলো কি একটাও কাজের কথা হয়নি। আচ্ছা বলো।’

তখন এক সাংবাদিক বলেন, রাশিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালামাল সরবরাহে কত দেরি হতে পারে?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ওই ব্যাপারে এখন কিছু বলবো না। এতো কথার মধ্যে তোমরা চলে গেলে রূপপুরে…।’

এসময় অনুষ্ঠানের সভাপতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান বলেন, আজকের ওয়ার্কশপের সঙ্গে এ প্রশ্ন সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

পরে মন্ত্রী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি বুঝি না, তোমরা প্রফেশনাল না? আর ইউ প্রফেশনাল? লেট মি দিস অ্যানসার? ইউ আর প্রফেশনাল, লাইক মি আর্কিটেকচার। তোমরা তো প্রফেশনাল। তোমাদের রেগুলার প্রফেশনাল স্ট্যাডির ব্যবস্থা আছে, নাই।

এসময় দু-তিনজন সাংবাদিক বলেন, ‘আছে আছে।’

তখন মন্ত্রী বলেন, ঘোড়ার ডিম আছে তোমাদের। আমাদের একটা ইনস্টিটিউট আছে ওখান থেকে যদি সার্টিফিকেট না পাও, ইউ ক্যান নট প্র্যাকটিস। কারণ, ওটার (ইনস্টিটিউট) শুরুটা হয় আমার হাত দিয়ে। ওইগুলো করো আগে। বিকজ আমরা বাংলাদেশকে ওই জায়গায় নিতে চাই।

এক সাংবাদিক বলেন, বাধ্যবাধকতা নাই যে সনদ ছাড়া সাংবাদিকতা করা যাবে না।

জবাবে মন্ত্রী বলেন, ওইটাই তো প্রবেলম। তোমার যদি একটা ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকে, কাল বলে দিলা তুমি সাংবাদিক। তুমি তো প্রফেশনালিজমের কিছু বোঝোই না। একটা প্রফেশন মাস্ট নো দ্যাট সাবজেক্ট, তার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড থাকতে হবে। একটা কথা বলে দিলা যে কোনো জায়গা থেকে, তার মানে তোমাদের কোনো স্ট্যান্ডার্ড নেই।

মন্ত্রী বলেন, তোমার যদি প্রফেশনালি জ্ঞান-গরিমা থাকে, ন্যাচারালি তখন তুমি একভাবে বলবা, আর যদি না থাকে অন্যভাবে বলবা। তারপরও তুমি বলছো...। আমি তোমার এই কথায় যেতে চাই না। একদিন আইসো, তোমাদের বসদের সঙ্গে কথা হয় তো, উনাদের সঙ্গেই কথা বলবো। তোমাদের সঙ্গে বলে আর লাভ নেই।

এরপর তিনি বলেন, আচ্ছা, এই সাবজেক্ট বাদ দিয়ে দাও। আমি সেজন্যই বলছি তোমরা এই সাবজেস্টের ওপর ধরো না কেন? এটা বাদ দিয়ে তুমি চলে গেলে অন্য জায়গায়। এটা নিয়ে আর কোনো কথাই হবে না। তুমি এখানে আসছো কী জন্য? তুমি রূপপুরের ব্যাপারে কথা বলতে আসছো? এখান থেকে তোমার প্রশ্ন বের করতে হবে, উত্তর নিতে হবে। সেটা হলে তুমি প্রোপার জিনিসটা করলা।

তখন একজন সাংবাদিক বলেন, আমরা যারা সাংবাদিকতায় কাজ করি তাদের সাবজেক্টের বাইরেও প্রশ্ন করতে হয়। আপনাকে আমরা পাই না, গত ৮-৯ মাসে আপনার প্রোগ্রামে আসিনি, এই প্রথম এলাম। তাও আবার জরুরি ভিত্তিতে আসতে বলেছেন। ১১টার প্রোগ্রাম, ১১টা ১০ মিনিটে আমাদের জানিয়েছেন। আমরা বড় জিনিস মনে করে চলে এসেছি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে জনগণের জানার আগ্রহ আছে। জনসাধারণের ভিউ থেকে আমাদেরও অনেক কিছু জানতে হয়।

তখন মন্ত্রী ধমকের সুরে ওই সাংবাদিককে বলেন, আমি একটা কথা পরিষ্কার বলে যাই, ইউ লিসেন টু মি। আপনারা যদি না আসতে চান, চলে যান। গেট গোয়িং।

মন্ত্রী ধমকের সুরে কথা বলায় সাংবাদিকরা বের হয়ে যেতে চাইলে তখন মন্ত্রী বলেন, ইউ শুড গো। আমি বললাম প্রশ্নটা ওটার ওপর না করে এটার ওপরে করেন। এটা বলতে পারবো না আমি?

রাশিয়ার পতাকাবাহী উরসা মেজর নামের এই জাহাজটি বাংলাদেশের বন্দরে ঢুকতে না পেরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে ভিড়তে চেয়েছিল। ভারত সরকারও তাতে অনাপত্তি জানায়। ভারতে পণ্য খালাস করে সেখান থেকে সড়কপথে সেসব পণ্য বাংলাদেশে আনার প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় গত ১৬ জানুয়ারি ভারতের জলসীমা ছাড়ে পণ্যবোঝাই সেই রুশ জাহাজ।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্থগিতের আহ্বান জাতিসংঘের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ স্থগিত করতে বলেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, বাংলাদেশি সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী এবং সমালোচকদের গ্রেফতার, হয়রানি ও ভয় দেখাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহৃত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।

তিনি আরও বলেন, আমি আবারও কর্তৃপক্ষকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহারে অবিলম্বে স্থগিতাদেশ আরোপ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষায় এই আইনের বিধানগুলোতে ব্যাপকভাবে সংস্কার আনার আহ্বান জানাচ্ছি। আমার অফিস এরইমধ্যে এই সংশোধনে সব প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ২০১৮ সালে কার্যকর হওয়া এই আইনের অধীনে ২ হাজারেরও বেশি মামলা হয়েছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ গত বুধবার গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশের বৃহত্তম দৈনিক প্রথম আলোতে কর্মরত সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস। তার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাকে আটক করা হয় এবং ল্যাপটপ, ফোন ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। তার জামিন আবেদনও খারিজ করে দেয়া হয়। মামলা করা হয় প্রথম আলোর সাংবাদিক মতিউর রহমান ও এক আলোকচিত্রীর বিরুদ্ধেও।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে জীবনযাত্রার ব্যয়-সংকট নিয়ে প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলাটি করা হয়। ফেসুবক পোস্টে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে এই আইনের অধীনেই গত ফেব্রুয়ারিতে পরিতোষ সরকার নামে একজনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার অফিস জাতীয় নিরাপত্তা আইনের বিধানগুলো সম্পর্কে ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এই আইনের স্বেচ্ছাচারিতা বা অত্যাধিক প্রয়োগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা থাকবে কিন্তু এভাবে গ্রেফতার অব্যাহত থাকলে সেটি সম্ভব নয়। এই আইনের সঠিক সংশোধন প্রয়োজন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযুক্তদের মুক্তির লক্ষে সব মুলতবি মামলা পর্যালোচনার জন্য একটি স্বাধীন বিচার বিভাগীয় প্যানেল গঠনেরও আহ্বান জানান হাইকমিশনার।

;

প্রথম আলোর বিতর্কিত প্রতিবেদনটি মহান স্বাধীনতাকে হেয় করার শামিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে প্রকাশিত প্রথম আলোর বিতর্কিত প্রতিবেদনটি মহান স্বাধীনতাকে হেয় করার শামিল বলে মনে করে এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) সন্ধ্যায় সংগঠনের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু ও সাধারণ সম্পাদক ইনাম আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করা হয়।

প্রথম আলোর প্রতিবেদনের সমালোচনা করে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, এটি সাংবাদিকতার নামে এজেন্ডা বাস্তবায়নের ধারাবাহিক চেষ্টার অংশ। বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ সাংবাদিকতা নয়, অপসাংবাদিকতা। এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। তবে মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশিত কোনো প্রতিবেদনের ব্যাপারে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে মামলা দায়েরের আগে আমরা প্রেস কাউন্সিলের মতামত নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

;

মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ১০ মামলায় গ্রেফতার ৭



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্চ মাসে দেশে ৩৬১ নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ৭২টি, অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা একটি ও গণপিটুনির ঘটনায় সাতজন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া মার্চে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১০ মামলায় প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ মার্চ) মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানায়, দেশের ১২টি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। ১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনার ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা। প্রায় প্রতিটি ঘটনার ক্ষেত্রেই স্থানীয় হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডারদের মাধ্যমে তা যাচাই করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতা কমলেও নির্বাচনী সহিংসতা ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। বেড়েছে গণপিটুনির ঘটনাও।

প্রতিবেদনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে বলা হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রবলভাবে সমালোচিত। এ আইনে মামলার নামে হয়রানি কমেনি। ধারাবাহিকভাবে এর অপব্যবহার বেড়েই চলেছে। মার্চ মাসে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ১০ মামলায় দৈনিক প্রথম আলোর একজন সাংবাদিকসহ সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ মাসে কথিত বন্দুকযুদ্ধে একজন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হেফাজতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। নারী ও পুরুষসহ ২৭ টি অজ্ঞাতপরিচয় মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সভা সমাবেশে বাধা দেওয়ার ৩১ টি ঘটনায় ৩৮৯ জন রাজনৈতিক সহিংসতার শিকার হয়েছেন। এছাড়া রাজনৈতিক মামলায় ১৭০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এমএসএফ মনে করে, এ আইনে যথেচ্ছ অপব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের মতপ্রকাশে বাধা দেওয়া হচ্ছে ও মুখ বন্ধ করার ভয়ংকর অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে। এ আইনের বাতিল চেয়েছে সংগঠনটি।

;

টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য ইইউ'র সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরবর্তী সময়ে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাহায্য-সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ হয়েই থাকবে।

ইইউ বাংলাদেশের একটি অপরিহার্য বাণিজ্য ও উন্নয়ন অংশীদার এবং জিএসপি স্কিমের অধীনে এর বাণিজ্য অগ্রাধিকার বাংলাদেশকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বড় রফতানি অংশ সুরক্ষিত করতে সাহায্য করেছে, যা এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রয়োজনীয় শর্তাদি পূরণে অনেক অবদান রেখেছে।

ইইউ’র জিএসপি’র অধীনে অব্যাহত বাণিজ্য অগ্রাধিকার এলডিসি-উত্তরণ লাভের প্রয়াস সহজ ও টেকসই করতে অবদান রাখবে।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস)-এর অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক সমস্যা বিষয়ক ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল হেলেনা কোনিগ এবং ইইএএস-এর দক্ষিণ এশিয়া সংক্রান্ত ডেপুটি হেড অব ডেলিগেশন মনিকা বাইলাইটের সঙ্গে বৈঠককালে এই পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন।

শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বেলজিয়ামে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব হাসান সালেহ, ডেপুটি হেড অব মিশন প্রীতি রহমান, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, এমসিসিআই’র সাবেক সভাপতি নিহাদ কবির এবং কমার্শিয়াল কাউন্সেলর মো. সাইফুল আজম।

তারা পারস্পরিক স্বার্থ, বিশেষ করে এলডিসি থেকে উত্তরণ, বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে এর সম্ভাব্য প্রভাব এবং এলডিসি-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বাংলাদেশের পোশাক শিল্প, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা, পরিবেশগত স্থিতিশীলতা এবং শ্রমিকদের অধিকার ও কল্যাণের ক্ষেত্রে শিল্পের ব্যাপক অগ্রগতি সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন।

তিনি বলেন, আরএমজি শিল্পের সাফল্যের পেছনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের জিএসপি স্কিমের অধীনে বাণিজ্য অগ্রাধিকার অন্যতম।

তিনি আরও বলেন, এই খাতটি এখন টেকসই রাখার উপায় অবলম্বন করে এবং অর্থনীতি, পরিবেশ ও মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলার প্রয়াসে প্রবৃদ্ধি অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। পোশাক শিল্প প্রাক-ভোক্তা বর্জ্য পুনর্ব্যবহার এবং ভোক্তা-পরবর্তী বর্জ্য আপসাইকেল করার ওপর দৃষ্টি রেখে কাজ করার পাশাপাশি বৃত্তাকার ধারায় বিনিয়োগ করছে।

ফারুক হাসান আরও বলেন, এলডিসি উত্তরণের পর অব্যাহত বাণিজ্য অগ্রাধিকার বাংলাদেশের শিল্পকে তার টেকসই উন্নয়ন দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করতে এবং উন্নয়নের পরবর্তী ধাপের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করবে।

;