মোছলেম উদ্দিন আ. লীগের নিবেদিত প্রাণ কর্মী ছিলেন: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন।

তিনি বলেন, মানুষ মরণশীল একদিন সবাইকেই চলে যেতে হবে, তবে তার কর্মফলকেই মানুষ স্মরণ করে। মোছলেম উদ্দিন সাহেব আমাদের দল এবং দেশের জন্য নিবেদিতপ্রাণ কর্মী ছিলেন। তাকে জাতি চিরদিন স্মরণ করবে।

সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদের মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে আনীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, মোছলেম উদ্দিন আহমদ ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করে উঠে এসেছেন। ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে কখনো তার কোন ব্যত্যয় ঘটেনি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এবং তার পূর্বের আন্দোলনে চট্টগ্রামে তিনি সবসময় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি একটি অপারেশন চালানোর সময় মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ গ্রেফতার হন।সেখানে তিনি যথাযথ গেরিলার মতোই কাজ করেছিলেন এবং সেখান থেকে নিজেদের মুক্ত করতে সক্ষম হন। মুক্ত হয়ে তিনি আবারও মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এর মাধ্যমে দেশপ্রেম এবং দেশের জনগণের জন্য যে কর্তব্যবোধ সেটাই প্রকাশিত হয়।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সাল আমাদের জন্য একটি কলঙ্কময় অধ্যায়। মহিউদ্দিন চৌধুরী, মৌলভী সৈয়দসহ যারা সেদিন প্রতিবাদ করেছিলেন, মোছলেম উদ্দিন তাদের সাথেই ছিলেন, তারা সেদিন সকলে মিলে প্রতিবাদ করেছিলেন। ওই সময় মৌলভী সৈয়দকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে দিনের পর দিন টর্চার করে জিয়াউর রহমান তাকে হত্যা করে। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনসহ আমাদের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে তিনি সক্রিয় ছিলেন। খালেদা জিয়া যে ভোট চুরি করেছিল, তার বিরুদ্ধে আমরা যে, ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করেছিলাম, সেই আন্দোলনেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। আমাদের প্রতিটি আন্দোলনে তার উপস্থিতি আমরা উপলব্দি করেছি। লালদিঘির ময়দানে মিটিং করতে গেলে সেখানে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করা হয়েছিল, একবার না-দুই/তিনবার আমি গুলির মুখোমুখি হই। মোছলেম উদ্দিন ভাইকে সব সময় পাশে পেয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৭ সালে আমাকে দেশে আসতে বাধা দেয়া হয়েছিল। ওই সময় আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতন হয়েছিল। তারপরও তিনি সক্রিয় ছিলেন, পিছু হটেননি। আওয়ামী লীগের নিবেদিত প্রাণ একজন কর্মীকে আমরা হারিয়েছি। তিনি আমাদের প্রতিটি দুঃসময়ে দলের পাশে যেমন ছিলেন, জাতীয় স্বার্থেও তিনি যথেষ্ট অবদান রেখে গেছেন। ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন, কিন্তু তার সেই কষ্টের কথা তিনি ভুলে গেলেন, যখন চট্টগ্রামে জনসভা করার সিদ্ধান্ত নিলাম। সেই জনসভা আয়োজন করতে দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। ওই সময় তার একটা কেমো নেয়ার তারিখ ছিল। সেটাও তিনি নেননি, মনে করেছিলেন-মিটিংটা শেষ হবার পরই তিনি তা নেবেন। এই যে একটা আন্তরিকতা বা দলের প্রতি কর্তব্যবোধ, দেশের মানুষের প্রতি তার যে দায়িত্ববোধ সেটাই ছিল সব চাইতে বড় কথা।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা তাকে মনোনয়ন দেয়ার জন্য অনেকবারই চেষ্টা করেছি। দু’বার নমিনেশন দেয়ার পরও তিনি তখন জয়ী হতে পারেননি। পরে ২০২০ সালে মনোনয়ন দেয়ার পর তিনি জয়ী হয়ে আসেন। তিনি সংসদ সদস্য হয়ে আশায় খুবই খুশী ছিলেন যে, সংসদে তিনি তার জনগণের কথা বলতে পারবেন এই ভেবে। কিন্তু আজ তিনি না ফেরার দেশে চলে গেছেন। আওয়ামী লীগের জন্য এটা একটা বিরাট ক্ষতি। কারণ ছোট বেলা থেকে চট্টগ্রামের সাথে আমাদের যোগাযোগ। চট্টগ্রামের বহু নেতা একে একে চলে গেছেন। করোনার সময় অনেককে আমরা হারিয়েছি। আওয়ামী লীগের ২১ জন সংসদ সদস্যকে হারিয়েছি, আর জাতীয় পার্টির দুইজন। এছাড়া ধর্মমন্ত্রী আব্দুল্লাহ সাহেবকেও আমরা হারিয়েছি।’ প্রধানমন্ত্রী তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

   

সনদ জালিয়াতি: কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ডিবি কার্যালয়ে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সনদ ও নম্বরপত্র জালিয়াতির ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে হাজির হয়েছেন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া আলী আকবর খান।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে পৌঁছান তিনি। এরপর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ।

এর আগে সনদ ও নম্বরপত্র জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে স্ত্রী সেহেলা পারভীন গ্রেফতারের পর আকবরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে গোয়েন্দা পুলিশ।

জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পেলে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সাবেক এই চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আগেই জানিয়েছেন গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশীদ।

প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের সনদ জালিয়াতির অভিযোগে প্রথমে গ্রেফতার হন সিস্টেম অ্যানালিস্ট প্রকৌশলী এ কে এম শামসুজ্জামান। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে একে একে উঠে আসে এ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত বোর্ড সংশ্লিষ্ট অনেক ছোট-বড় কর্মকর্তা ও দেশের কয়েকটি কারিগরি স্কুল ও কজেলের প্রধান আর অধ্যক্ষদের নাম।

 

;

শ্যামবাজার ঘাটে লঞ্চে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর শ্যামবাজার ঘাট এলাকায় একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

বিস্তারিত আসছে...

;

বান্দরবানের তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত: ইসি সচিব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের থানচি, রুমা ও রোয়াংছড়িতে যৌথ অভিযান চলমান থাকায় এই ৩ উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা শেষে ইসি অতিরিক্ত সচিব জাহাংগীর আলম এই কথা জানান।

প্রসঙ্গত, ৮ মে প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি, থানচি ও রুমাসহ বান্দরবানের সাতটি উপজেলার মধ্যে ভোট হওয়ার কথা ছিল। 

;

পরিবহনে চাঁদাবাজি, গ্রেফতার ৭



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
পরিবহনে অবৈধ চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭

পরিবহনে অবৈধ চাঁদা আদায়, গ্রেফতার ৭

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরী ও অটোরিকশাচালিত সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়কালে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব ১০)।

রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন রেলগেট এলাকা হতে ৩ জন এবং যাত্রাবাড়ী থানার কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১০ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার এম.জে. সোহেল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এম.জে.সোহেল বলেন, সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে র‌্যাব-১০’র একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার শ্যামপুর থানাধীন জুরাইন রেলগেট এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহন হতে অবৈধভাবে চাঁদা আদায়কালে ৩ জন জনকে গ্রেফতার করা হয়। 

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন- মোঃ নাসির সরদার (৩৩), অয়ন দাস (২০), মোঃ নজরুল ইসলাম (২৫)। এসময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ১ হাজার ৩৫০ টাকা এবং ১টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

এছাড়াও রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন কোনাপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অপর একটি অভিযান পরিচালনা করে ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোঃ সজিব (২৮), মোঃ ইকবাল হোসেন (৩২), দিলদার (৪০), মোঃ রাজন (৩৩)। এসময় তাদের কাছ থেকে আদায়কৃত চাঁদা নগদ ৬ হাজার ৭৩০ টাকা এবং ২টি কাঠের লাঠি উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুরসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় আন্তঃজেলা ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরী ও সিএনজিসহ বিভিন্ন পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপারদের সাথে অশোভন আচরণের মাধ্যমে ক্ষয়ক্ষতি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে অবৈধভাবে জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল।

গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করতে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

;