কে যাচ্ছেন বঙ্গভবনে, জানা যাবে মঙ্গলবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কে হচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি! এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর আলোচনা চলছে। এজন্য মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সংসদীয় দলের বৈঠক ডেকেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় জাতীয় সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভা কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।

জাতীয় সংসদ সচিবালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সংসদ সচিবালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন।

ইতিমধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে আগ্রহী প্রার্থীদের।১৯ ফেব্রুয়ারি দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আগামী ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে।

১৯৯১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন সংসদ সদস্যদের ভোটে। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) তাতে নির্বাচনী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

ওই আইনের সপ্তম ধারায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী কর্মকর্তা নির্ধারিত দিন, সময় ও স্থানে মনোনয়নপত্র পরীক্ষা করবেন। প্রার্থী একজন হলে এবং পরীক্ষায় তার মনোনয়নপত্র বৈধ বিবেচিত হলে কমিশন তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করবেন। তবে একাধিক প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হলে নির্বাচনের জন্য তাদের নাম ঘোষণা করবে ইসি।

আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সবশেষ ষষ্ঠ সভা হয় ১২ জানুয়ারি। ওই সভায় প্রবীণ রাজনীতিক মতিয়া চৌধুরীকে সংসদ উপনেতা করার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।

রুমায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৬ জনের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের রুমায় দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনয় আহত হয়েছেন আরও ১১ জন।

সোমবার (২০ মার্চ) বেলা দেড়টার দিকে উপজেলার বগা লেক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলমগীর হোসেন।

তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় হতাহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুমার বগা লেক সীমান্ত সড়কে একটি খালি ট্রাক রুমা সদরের উদ্দেশে আসছিল। এ সময় চুনচুনপাড়ার কিছু নারী-পুরুষ ওই গাড়িতে করে রুমা সদর ইউনিয়নের দুস্থ নারীদের ভিজিডি চাল সংগ্রহের জন্য যাচ্ছিলেন। এ সময় ট্রাকটি বগা লেক ঢালু রাস্তায় নামার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ট্রাক দুটি রাস্তায় দুই পাশে ছিটকে খাদে পড়ে। ঘটনাস্থলে চার বম নৃগোষ্ঠীর নারীর মৃত্যু হয়। পরে আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রুমা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে পাঠায়। এর মধ্যে আটজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়। এ প্রতিবেদন লেখার পর্যন্ত হতাহতদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

;

‘সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে সক্ষম করে গড়ে তোলা হচ্ছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনীকে তার সরকার এমনভাবে গড়ে তুলছে যাতে বাংলাদেশ কোনভাবে আক্রান্ত হলে তারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করবো না। তবে, যদি কখনও তেমন পরিবেশ-পরিস্থিতি হয় তাহলে যেন আমরা দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারি সেইভাবে আমাদেরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং সেইভাবেই আমরা আমাদের বাহিনীগুলোকে তৈরি করে দিচ্ছি।

সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নবনির্মিত ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ সাবমেরিন ঘাঁটির কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন তিনি। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজারের পেকুয়ায় নবনির্মিত ঘাঁটির সঙ্গে তিনি ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

জাতির পিতার দিয়ে যাওয়া পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়,’ এর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সেই নীতিতেই বিশ্বাস করি, আমরা কারো সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। তবে আমাদের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক, তারা সকল ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করুক সেটাই আমরা চাই।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনেও আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশাল ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। সেখানে কর্তব্য পালনে তারা যেন কোনভাবেই পিছিয়ে না থাকে সেভাবেই আমরা এই বাহিনীগুলোকে প্রস্তুত করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি আশা করি দেশপ্রেমের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে নৌবাহিনীর প্রতিটি সদস্য পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যে স্বপ্ন-সেই ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, এই সমুদ্র সীমায় আমাদের যে বিশাল সম্পদ রয়েছে তা যেনও আমাদের অর্থনীতিতে কাজে লাগে সেজন্য ‘ব্লু ইকোনমি’ নীতি বাস্তবায়ন করছে সরকার। তাছাড়া, এক্ষেত্রে আমাদের পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা থেকে শুরু করে অনেক সুযোগ রয়েছে কাজ করার।

সরকারপ্রধান দৃঢ় আস্থা প্রকাশ করে বলেন, বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি সংযোজনের মাধ্যমে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা সুরক্ষিত রাখতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সক্ষমতা আরও জোরালো হবে।

অনুষ্ঠানে বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটি থেকে নৌবাহিনীর একটি সুসজ্জিত একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়।

নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে নৌবাহিনী প্রধান বানৌজা শেখ হাসিনা ঘাঁটির প্রধান কমোডর এম. আতিকুর রহমানের কাছে কমিশনিং ফরমান হস্তান্তর করেন। এরপরই ঘাঁটিতে প্রথমবারের মতো পতাকা উত্তোলন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সাবমেরিন ঘাঁটির ওপর একটি সংক্ষিপ্ত অডিও ভিজ্যুয়াল প্রেজেন্টেশনও প্রদর্শিত হয়।

;

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘরে বদলে যাচ্ছে আশ্রয়হীনদের জীবন



আরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
বাসাইলে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘরে বদলে যাচ্ছে আশ্রয়হীনদের জীবন

বাসাইলে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘরে বদলে যাচ্ছে আশ্রয়হীনদের জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের সেই বিখ্যাত উক্তি ‘আসমানী রে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও/রহিমুদ্দীর ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।/বাড়ি তো নয় পাখির বাসা-ভেন্না পাতার ছানি,/একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি’।

কবি'র সেই আসমানীরা এখন নিজের ঠিকানা পেয়ে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জীবন-মানের এই পরিবর্তন শুরু হয়েছে টাঙ্গাইলের বাসাইলে।

সরেজমিনে বাসাইল উপজেলার কাউলজানি, বাসাইল পূর্বপাড়া, আশ্রয়ণ প্রকল্পে দেখা গেছে, সময়ের সাথে এখন বদলেছে ছিন্নমূল মানুষের জীবন। কবির ওই ভেন্না পাতার ছাউনি থেকে তারা এখন বসবাস করছে রঙিন টিন আর পাকা দেয়ালের আধাপাকা বাড়িতে। সেই বাড়িতেই করছেন শাক-সবজির আবাদ। কেউবা করছে হাঁস মুরগি-ছাগল-গরু পালন। সন্তানদের পাঠাচ্ছে স্কুলে। বসতির দুশ্চিন্তা ছেড়ে নিশ্চিন্ত মনে কাজ করে এগিয়ে নিচ্ছে সংসার। সংসারে এসেছে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা। বসবাসের জন্য সরকারের দেওয়া এই সুবিধাটি পেয়ে খুশি আশ্রয়হীন মানুষগুলো।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা গঠন করেছে সমবায় সমিতি। তারা নিয়মিত নিচ্ছে প্রশিক্ষণ, অনেকের একাডেমিক শিক্ষা না থাকলেও নানা প্রশিক্ষণে হয়ে উঠছেন স্বশিক্ষিত। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত তদারকিতে ক্রমেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়নের নানা দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।

প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া মোনজু রানী শীল, মুক্তি রানী দাস, মরিয়ম বেগম, শালেহা, ইব্রাহিম মিয়া, বকুলসহ আরো অনেকেই জানান, ‘কিছু দিন আগেও ভাবিনি নিজের ভালো একটা ঠিকানা হবে। এখন সেটি হয়েছে, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে পারছি। নিজের হাঁস-মুরগি পালনসহ নানা কাজ করার সুযোগ পেয়েছি- সত্যিই এটা স্বপ্নের। এমনটি হবে ভাবিনি, সৃষ্টিকর্তার কাছে হাসিনার জন্য দোয়া করি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উপজেলার হতদরিদ্র যাদের বসবাসের কোন ঠিকানা ছিল না, তাদের স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এটা সত্যিই বিস্ময়কর। ওই মানুষগুলো তাদের ভাগ্যের চাকা নতুনভাবে ঘুরাতে শুরু করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া আক্তার বলেন,আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা তাদের জীবন মান উন্নয়নে নিজেরাই এগিয়ে এসেছে, আমরা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করছি। এই প্রকল্প পৃথিবীতে একটি রোল মডেল। কারণ এভাবে কোন দেশে আশ্রয়হীনদের জন্য সরকারিভাবে নিরাপদ ছাদ তৈরি করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, উপজেলায় মোট ৬৮ পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়া হয়েছে। এবং ৪২ টি ঘরের কাজ চলমান আছে। এই প্রকল্পের বাসিন্দাদের স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ এবং ঋণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যোগ্যদের চিহ্নিত করে ঘর দেওয়া হয়েছে।

;

রাজবাড়ীতে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের দুই আসামি গ্রেফতার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
রাজবাড়ীতে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের দুই আসামি গ্রেফতার

রাজবাড়ীতে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের দুই আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের শামসু মাষ্টার পাড়ার শহিদ শেখের ছেলে মোঃ নিরব শেখ (১৭) এবং সাহাদৎ মেম্বার পাড়ার মোঃ মাদার কাজীর ছেলে মোঃ হায়াত কাজী (১৭)।

সোমবার (২০ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ ইফতেখারুজ্জামান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ১৬ মার্চ গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পূর্বপাড়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি মহিলা সমিতির নির্মানাধীন ভবনে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করেন থানা পুলিশ। পরবর্তীতে সে লাশ শনাক্ত হয়। তার নাম ছিলো মোঃ সোহান শেখ (২০)। সে দৌলতদিয়া সিদ্দিক কাজীর পাড়া আলামীন শেখের ছেলে। তার মা দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীর একজন যৌনকর্মী।

এ ঘটনায় নিহত সোহানের চাচা মোঃ সেলিম শেখ বাদী হয়ে পরদিন গোয়ালন্দ ঘাট থানায় কারো নাম উল্লেখ না করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ গুপ্তচর ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত রবিবার গভীর রাতে কালুখালি থানার হরিণাবাড়িয়া প্রামাণিক পাড়া থেকে জড়িত সন্দেহে দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ঘটনার পর থেকেই গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের গ্রেফতারসহ হত্যা মামলায় ব্যবহত চাকু উদ্ধার করতে করা হয়।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইফতেখারুজ্জামানের যথাযথ দিক নির্দেশনা দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ দিবাগত রাতে দর্জি দোকানী সোহান শেখকে যৌনপল্লির জাহাঙ্গীরের দোকানে বসে থাকতে দেখে আসামিরা গাঁজা সেবনের কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তারা প্রথমে কাঠের বাটাম ও ইট দিয়ে সোহানকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। তাদের কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে তার বুকে ও পেটে এলোপাতাড়ি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান।

;