কৃষিতে স্বাবলম্বী হচ্ছেন রাজশাহীর গ্রামীণ নারীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ও অবদান ক্রমে বাড়লেও এর সঠিক মূল্যায়ন ও স্বীকৃতি পাচ্ছে না বলে নারীদের আক্ষেপ থেকেই যাচ্ছে। নারীর অধিকার বিষয়ে কাজ করে এমন সংস্থাগুলোর অভিযোগ- নারী দিবস এলেই নারীর অবদান ও নিরাপত্তার বিষয়গুলো নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হলেও পরে আর এর রেশ থাকে না।

বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে কৃষিকে যেমন উপেক্ষা করা যায় না, তেমনি কৃষিক্ষেত্রে নারীর অবদানকেও অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। দেশের বিভিন্ন স্থানে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার প্রমাণ দিয়েছেন নারীরা। ব্যতিক্রম নয় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গ্রামীণ নারীরা। অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে কৃষি ও ক্ষুদ্র শিল্প খাতে পুরুষের পাশাপাশি গ্রামীণ নারীরা অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে। সীমান্তবর্তী উপজেলা হওয়ায় অত্র অঞ্চলে শিল্প প্রতিষ্ঠান তেমন একটা গড়ে উঠেনি। তবে হাতে গোনা যে দু’একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে সেখানে রাত-দিন সমানে কাজ করে যাচ্ছে নারীরা। এর ফলে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

স্থানীয়রা জানান, এ অঞ্চলের দরিদ্র শ্রেণির নারী এবং উপজাতীয় মেয়েরা কৃষি প্রকল্প যেমন- ধান, পাট, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মসুর, সরিষা, হলুদ, বরই ইত্যাদি ফসল উৎপাদনে পেটে-পিঠে সন্তান বহন করে সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে গৃহস্থ ঘরের বধূরা খেতে-খামারে কাজ না করলেও ঘরে বসে ওই সমস্ত ফসলের সকল কাজই তারা করছেন।

সৃষ্টির আদিকাল থেকে আজ পর্যন্ত সন্তান জন্ম দেয়া, গৃহশয্যা, ফসল উৎপাদন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীরাই ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রাচীনকালে নারীরাই কেবল কৃষিকাজ করতো। এখন তা বিভক্ত হয়ে গেছে নারী-পুরুষে। এদিক থেকে বাঘার নারীরা ভিন্ন কিছু নয়।

আদি সমাজের মেয়েদের মতো এ অঞ্চলের দরিদ্র ও উপজাতীয় মেয়েরা প্রচুর পরিশ্রম করে খাদ্য উৎপাদন ও তা রক্ষার নিমিত্তে মাঠে, ঘাটে কল কারখানায় কাজ করে চলেছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির লোকেরা সন্তান-কাঁধে ঝুলিয়ে অনেক শক্ত কাজ করছে। কৃষি ক্ষেত্রে এসব এলাকার গৃহস্থ ঘরের মেয়েরা যে বসে আছে তাও নয়, তারা ঘরে বসে ফসল মাড়ায়, শুকানো, নিড়ানো প্রভৃতি কাজে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

কথা হয় বাঘা উপজেলার আমোদপুর গ্রামের নারী শ্রমিক হাসিনা খাতুনের সাথে। তিনি বলেন, আমাদের জমি-জমা না থাকায় নিজেদের কর্মসংস্থানের কোন ব্যবস্থা নাই। এ কারণে বাধ্য হয়ে অন্যের কৃষি কাজ করে সংসার চালায়।

একই এলাকার অপর এক নারী শ্রমিক রোকেয়া বেগম বলেন, আমাদের ২ বিঘা নিজের জমিতে ফসল উৎপাদন করতে কৃষি শ্রমিকের পারিশ্রমিক দেয়ার মতো সামর্থ না থাকায় আমার স্বামীর কাজে সাহায্য করি।

নারীদের স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার লক্ষে বাঘার নারায়ণপুর গ্রামে অবস্থিত ‘আশার আলো’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের নারী উদ্যোক্তা ফাতেমা মাসুদ লতা। তিনি প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে স্বর্ণ পদকও পেয়েছেন। তার অধীনে কাজ করছেন শতাধিক নারী।

এ দিকে উপজেলার মীরগঞ্জে ব্রিটিশ আমলে গড়ে ওঠা সেরিকালচারে (রেশম শিল্প) নারী পুরুষ সমানে উৎপাদনমুখী কাজ করে চলেছে। এখানে কোন পোশাক তৈরি না হলেও তাদের উৎপাদিত পলু পোকার সৃষ্ঠ গুটি চলে যাচ্ছে বিভাগীয় শহর রাজশাহীর সিল্ক কারখানায়। তৈরি হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী রাজশাহী সিল্ক শাড়িসহ নানা রকমের পোশাক। আর এসব ক্ষেত্রে অত্র অঞ্চলের গ্রামীণ নারীদের ভূমিকাই অগ্রগণ্য।

কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, অবৈতনিক পারিবারিক কাজের পাশাপাশি ৭৭ শতাংশ গ্রামীণ নারী কৃষি-সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত। নারীরাও কৃষক, তারাও কৃষিকাজ করেন।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোজদার হোসেন বলেন, এ অঞ্চলের নারীরা শুধু কৃষিতেই নয়, ক্ষুদ্র কুঠির শিল্পেও তাদের প্রচুর অবদান রয়েছে। যেমন, সেরিকালচার প্রকল্পে পলুপোকা উৎপাদন ও সংরক্ষণ, এছাড়াও মৃত ও হস্থ শিল্পে গ্রামীণ নারীদের একক ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়। বর্তমানে অত্র অঞ্চলের নারীদের গড়া হস্তশিল্পের নানা পণ্য যেমন, নকশী কাঁথা, সূচি কর্ম, সেলাই ফোড়া, শাড়ি-পাঞ্জাবিসহ বিবিধ শিল্পের কাজ রাজধানী ঢাকা শহরের সুনাম খ্যাত আড়ং সহ দেশের বিভিন্ন মার্কেটে বিক্রি হচ্ছে।

এক কথায় আর্থসামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের লক্ষে অত্র অঞ্চলের দরিদ্র শ্রেণির নারীরা পুরুষের পাশাপাশি কাজের সন্ধানে ছুটে চলেছে কৃষি থেকে শিল্প,বাসা-বাড়ি এমনকি কল কারখানা পর্যন্ত। তারা কাজের ক্ষেত্রে কোন কিছুকেই তোয়াক্কা করছে না। বেরিয়ে আসছে খোলা আকাশের নিচে। এর ফলে স্বাবলম্বী হচ্ছে তাদের পরিবার।

ইন্টারপোলের রেড নোটিশের খবরে আরাভের খোলা চিঠি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মামুন এমরান খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে ইন্টারপোল রেড নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সেটি ইন্টারপোল গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।

ইন্টারপোলে রেড নোটিশের খবর শুনে সোমবার (২০ মার্চ) রাতে আরাভ খান তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক পোস্টে সবার কাছে দোয়া চান আরাভ। এর কয়েক ঘণ্টা পরই বাংলাদেশের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি দেন তিনি।

আরাভ ফেসবুক পোস্টে লেখেন, খোলা চিঠি বাংলাদেশ, আসসালামু আলাইকুম। আমি আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন এবং সর্বদাই আমার দোয়া থাকবে আপনাদের ওপর। আপনারা যেভাবে আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, আমি বাঁচি আর না বাঁচি এ কথা আমার মনে থাকবে।

জানি না আমার জীবনে আমি জেনে না জেনে যে ভুলগুলো করেছি, আপনারা যারা আমার পাড়া-প্রতিবেশী এবং আমাকে যারা চিনেন, যাদের সঙ্গে আমার কোনো অন্যায় হয়ে থাকলে তারা আমাকে মাফ করে দিবেন।

তিনি আরও লেখেন, দেশবাসীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি আপনারা আমাকে মাফ করে দিবেন। আমি জানি না কাল আমার সঙ্গে কী হবে। কিন্তু আমি চাই ন্যায় বিচার, সেটা হয়তোবা সম্ভব না। যাইহোক, আল্লাহ একজন আছে। এই বিচার আমি আল্লাহর কাছে ছেড়ে দিলাম।

ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একটি সূত্র বলছে, আরাভ খান আন্তর্জাতিক স্বর্ণ পাচার চক্রের সদস্য। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই থেকে বাংলাদেশে স্বর্ণ পাচার চক্র নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন তিনি।

আরাভের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ জানতে পারে, তিনি একাধিক বিয়ে করেছেন। শ্বশুরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে টাকা আদায় করতেন। এ কারণে ২০১৫ সালে অবৈধ অস্ত্রসহ গ্রেফতারও হয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া ক্যামেরা চুরির মামলাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

;

‘শিশুর শারীরিক, মানসিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ

  • Font increase
  • Font Decrease

শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি একথা বলেন।

রাষ্ট্রপতি বলেন, খেলাধুলা শিশুদের মাঝে একধরনের প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং দায়িত্ববোধ তৈরি করে। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির ক্ষেত্রে অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কেও অবহিত হওয়ার সুযোগ পাবে এবং তাদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের চিন্তা-চেতনায় উদ্দীপ্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

;

প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সাধিত হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির হার অর্জিত হয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সাধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, শিশুদের খেলাধুলায় আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে আন্তঃবিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এর অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। পুরুষদের পাশাপাশি আমাদের নারীরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, সেই ফুটবল টিমের ৫ (পাঁচ) জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে। আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি এই সফলতা আমাদের দূরদর্শী পরিকল্পনার ফসল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন, সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা-এর মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতে বেশি ভালবাসতেন। তিনি ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলতেন। মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রের উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সার্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ৩৬,১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১,৫৭,৭২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ, খাদ্যসামগ্রী এবং পোশাক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা ২০১৩ সালে ২৬,১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১,০৫,৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছি। প্রধান শিক্ষকের পদ ২য় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল উন্নীত করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মা’র মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে সরাসরি উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করছি। তাছাড়া, স্কুল ফিডিং, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার পাশাপাশি আরো অনেক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২২’ টুর্নামেন্ট দু’টির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করে প্রধানমন্ত্রী এ আয়োজন সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

;

রাষ্ট্রপতির কাছে আইন কমিশনের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে আইন কমিশনের প্রতিনিধিদল কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন- ২০২২ পেশ করেছেন।

সোমবার সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে আইন কমিশনের বার্ষিক রিপোর্ট পেশ করা হয়।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জানান, কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। এ সময় কমিশনের সদস্য বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর উপস্থিত ছিলেন।

সাক্ষাৎকালে কমিশনের চেয়ারম্যান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

এ সময় রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইন প্রণয়নই যথেষ্ট নয়; প্রয়োজন আইনের যথাযথ প্রয়োগ।

তিনি আরও বলেন, তাই আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলে তা দূর করতে হবে। রাষ্ট্রপতি দেশের বিদ্যমান আইন কানুন যুগোপযোগী ও মানুষের জন্য কল্যাণকর করতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আইন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

এ সময় রাষ্ট্রপতির সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।

;