এইচএসসিতে মাইলস্টোন কলেজের অসাধারণ সাফল্য, পাসের হার ৯৯.৯৭%



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
এইচএসসিতে মাইলস্টোন কলেজের অসাধারণ সাফল্য, পাসের হার ৯৯.৯৭%

এইচএসসিতে মাইলস্টোন কলেজের অসাধারণ সাফল্য, পাসের হার ৯৯.৯৭%

  • Font increase
  • Font Decrease

এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন কলেজ। এবছর মাইলস্টোন কলেজ থেকে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে ৩২২২ জন ছাত্রছাত্রী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং পাস করে ৩২২১ জন। পাসের হার ৯৯.৯৭%। পাসকৃতদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭৩৪ জন। জিপিএ-৫ অর্জনের হার ৮৪.৮৮%। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ ২৫৪৮ জন এবং পাস করে ২৫৪৭ জন। বিজ্ঞান বিভাগে পাসের হার ৯৯.৯৬%। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৪১৯ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ৩৮৪ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়, পাসের হার শতভাগ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৬৮ জন। মানবিক বিভাগ থেকে ২৯০ জন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, পাসের হার শতভাগ। মানবিক বিভাগে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪৭ জন।

এইচএসসি পরীক্ষায় নিয়মিতভাবে ভালো ফলাফলের ধারা অব্যাহত রাখার ব্যাপারে মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষাবর্ষের প্রথম দিন থেকেই একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করে আমরা নিরলসভাবে কাজ করি। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বপ্নগুলোকে বাস্তবে রূপায়ণের জন্য আমাদের অভিজ্ঞ একাডেমিক পর্ষদ বাস্তবায়ন করে গুণগতমানের একটা সুন্দর পাঠপরিকল্পনা।

এছাড়াও নিয়মানুবর্তিতা, গুণগতমানের শিক্ষা, নিয়মিত পাঠদান ইত্যাদি বিষয়ে আমরা সর্বদা সচেষ্ট। অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম জানান, গ্রাম থেকে অনেক শিক্ষার্থী মাইলস্টোন কলেজে পড়তে আসে; যাদের অনেকেরই এসএসসিতে জিপিএ-৫ থাকে না কিন্তু এইচএসসিতে তারাও জিপিএ-৫ অর্জন করে। এটি মাইলস্টোন কলেজের ভালো ফলাফলের অন্যতম সুন্দর বৈশিষ্ট্য। অধ্যক্ষ বলেন, মাইলস্টোন কলেজে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের নিয়মিত পড়াশুনার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা প্রদান করা হয় যাতে তারা সুশিক্ষা গ্রহণ করে মানবিক ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। তার মতে, শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতা ও পরিশ্রমের ফসল এই ভালো ফলাফল। এইচএসসি পরীক্ষায় আশানুরূপ ফলাফল অর্জনের জন্য মাইলস্টোন কলেজের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, কৃতকার্য শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন মাইলস্টোন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সহিদুল ইসলাম ।

 

প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘরে বদলে যাচ্ছে আশ্রয়হীনদের জীবন



আরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
বাসাইলে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘরে বদলে যাচ্ছে আশ্রয়হীনদের জীবন

বাসাইলে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণের ঘরে বদলে যাচ্ছে আশ্রয়হীনদের জীবন

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী কবি জসীম উদ্দীনের সেই বিখ্যাত উক্তি ‘আসমানী রে দেখতে যদি তোমরা সবে চাও/রহিমুদ্দীর ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও।/বাড়ি তো নয় পাখির বাসা-ভেন্না পাতার ছানি,/একটুখানি বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি’।

কবি'র সেই আসমানীরা এখন নিজের ঠিকানা পেয়ে স্বাবলম্বী হতে শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের জীবন-মানের এই পরিবর্তন শুরু হয়েছে টাঙ্গাইলের বাসাইলে।

সরেজমিনে বাসাইল উপজেলার কাউলজানি, বাসাইল পূর্বপাড়া, আশ্রয়ণ প্রকল্পে দেখা গেছে, সময়ের সাথে এখন বদলেছে ছিন্নমূল মানুষের জীবন। কবির ওই ভেন্না পাতার ছাউনি থেকে তারা এখন বসবাস করছে রঙিন টিন আর পাকা দেয়ালের আধাপাকা বাড়িতে। সেই বাড়িতেই করছেন শাক-সবজির আবাদ। কেউবা করছে হাঁস মুরগি-ছাগল-গরু পালন। সন্তানদের পাঠাচ্ছে স্কুলে। বসতির দুশ্চিন্তা ছেড়ে নিশ্চিন্ত মনে কাজ করে এগিয়ে নিচ্ছে সংসার। সংসারে এসেছে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা। বসবাসের জন্য সরকারের দেওয়া এই সুবিধাটি পেয়ে খুশি আশ্রয়হীন মানুষগুলো।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা গঠন করেছে সমবায় সমিতি। তারা নিয়মিত নিচ্ছে প্রশিক্ষণ, অনেকের একাডেমিক শিক্ষা না থাকলেও নানা প্রশিক্ষণে হয়ে উঠছেন স্বশিক্ষিত। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত তদারকিতে ক্রমেই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়নের নানা দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা।

প্রকল্পে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পাওয়া মোনজু রানী শীল, মুক্তি রানী দাস, মরিয়ম বেগম, শালেহা, ইব্রাহিম মিয়া, বকুলসহ আরো অনেকেই জানান, ‘কিছু দিন আগেও ভাবিনি নিজের ভালো একটা ঠিকানা হবে। এখন সেটি হয়েছে, বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে পারছি। নিজের হাঁস-মুরগি পালনসহ নানা কাজ করার সুযোগ পেয়েছি- সত্যিই এটা স্বপ্নের। এমনটি হবে ভাবিনি, সৃষ্টিকর্তার কাছে হাসিনার জন্য দোয়া করি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বলেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে উপজেলার হতদরিদ্র যাদের বসবাসের কোন ঠিকানা ছিল না, তাদের স্থায়ী আশ্রয়ের ব্যবস্থা করেছেন। এটা সত্যিই বিস্ময়কর। ওই মানুষগুলো তাদের ভাগ্যের চাকা নতুনভাবে ঘুরাতে শুরু করেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া আক্তার বলেন,আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দারা তাদের জীবন মান উন্নয়নে নিজেরাই এগিয়ে এসেছে, আমরা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তাদের সহযোগিতা করছি। এই প্রকল্প পৃথিবীতে একটি রোল মডেল। কারণ এভাবে কোন দেশে আশ্রয়হীনদের জন্য সরকারিভাবে নিরাপদ ছাদ তৈরি করা হয়নি।

তিনি আরও বলেন, উপজেলায় মোট ৬৮ পরিবারকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়া হয়েছে। এবং ৪২ টি ঘরের কাজ চলমান আছে। এই প্রকল্পের বাসিন্দাদের স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করতে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ এবং ঋণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে যোগ্যদের চিহ্নিত করে ঘর দেওয়া হয়েছে।

;

রাজবাড়ীতে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের দুই আসামি গ্রেফতার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
রাজবাড়ীতে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের দুই আসামি গ্রেফতার

রাজবাড়ীতে ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের দুই আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের অল্প সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের শামসু মাষ্টার পাড়ার শহিদ শেখের ছেলে মোঃ নিরব শেখ (১৭) এবং সাহাদৎ মেম্বার পাড়ার মোঃ মাদার কাজীর ছেলে মোঃ হায়াত কাজী (১৭)।

সোমবার (২০ মার্চ) বেলা ১১ টার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ ইফতেখারুজ্জামান।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ১৬ মার্চ গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া পূর্বপাড়ায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি মহিলা সমিতির নির্মানাধীন ভবনে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এক অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার করেন থানা পুলিশ। পরবর্তীতে সে লাশ শনাক্ত হয়। তার নাম ছিলো মোঃ সোহান শেখ (২০)। সে দৌলতদিয়া সিদ্দিক কাজীর পাড়া আলামীন শেখের ছেলে। তার মা দৌলতদিয়া পতিতা পল্লীর একজন যৌনকর্মী।

এ ঘটনায় নিহত সোহানের চাচা মোঃ সেলিম শেখ বাদী হয়ে পরদিন গোয়ালন্দ ঘাট থানায় কারো নাম উল্লেখ না করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ গুপ্তচর ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে গত রবিবার গভীর রাতে কালুখালি থানার হরিণাবাড়িয়া প্রামাণিক পাড়া থেকে জড়িত সন্দেহে দুই আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।

গোয়ালন্দ ঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, ঘটনার পর থেকেই গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশের একটি দল তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামীদের গ্রেফতারসহ হত্যা মামলায় ব্যবহত চাকু উদ্ধার করতে করা হয়।

এ বিষয়ে রাজবাড়ী জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইফতেখারুজ্জামানের যথাযথ দিক নির্দেশনা দিয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ দিবাগত রাতে দর্জি দোকানী সোহান শেখকে যৌনপল্লির জাহাঙ্গীরের দোকানে বসে থাকতে দেখে আসামিরা গাঁজা সেবনের কথা বলে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর তারা প্রথমে কাঠের বাটাম ও ইট দিয়ে সোহানকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। তাদের কাছে থাকা ধারালো চাকু দিয়ে তার বুকে ও পেটে এলোপাতাড়ি আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যান।

;

উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: হানিফ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: হানিফ

উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ: হানিফ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া- ৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। এ সরকার কৃষিবান্ধব বহুমুখী ব্যবস্থা নেয়ায় বাংলাদেশ আজ খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের বুকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্র হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে।

সোমবার (২০ মার্চ) কুষ্টিয়ায় স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ১৯৭০ সালে দেশে সাড়ে ৭ কোটি মানুষ ছিল। সেই সময়ে আমাদের ভূখণ্ডের আয়তন একই ছিলো। ’৭০- এর আগে মানুষ দুই বেলার বেশি খেতে পারতো না। স্বাধীনতার ৫০ বছর পেরিয়ে গেছে। দেশের জনসংখ্যা সাড়ে ১৬ কোটি ছাড়িয়েছে। প্রতি বছর হাজার হাজার একর কৃষি জমি শিল্প কারখানা, আবাসন খাতে চলে যাচ্ছে। তারপরও এই সাড়েৃ ১৬ কোটি মানুষ এখনও তিনবেলা খেতে পারছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার কারণে।

তিনি বলেন, খাদ্য সমস্যাকে সামনে রেখে জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে যে পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সেটার ধারাবাহিকতা রক্ষা করায় বঙ্গবন্ধুকন্যা দেশকে এই জায়গায় নিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছেন।

হানিফ বলেন, ১৯৭৫ সালের পর বঙ্গবন্ধুকে হত্যার আর কেউ কৃষিখাতে মনোযোগ দেয়নি। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে কৃষি খাতে বিপ্লব এনেছেন। এরপর বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে দেশে ৬০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। কৃষকরা সময়মতো সার পেত না। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা চার বার সারের দাম কমিয়েছেন। যাতে কৃষকরা সহজে সার পায়। ৮৭ টাকা কেজির সার মাত্র ২২ টাকায় নিয়ে এসেছিলেন। কৃষকরা সহজমূল্যে কৃষি উপকরণ পাচ্ছে। কৃষি কার্ড সহায়তা পাচ্ছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি আমলে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিলো ৫০০ ডলার। আজ আমাদের মাথাপিছু আয় ২৯শ’ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল রাষ্ট্র। বিশ্বের অর্থনীতিবিদরা বলছেন, উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকালে আমরা ২০৩১ সালের আগেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো।

এবি ব্যাংক লিমিটেড-এর প্রেসিডেন্ট এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব তারিক আফজাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য আ কা ম সরোয়ার জাহান, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আজগর আলী, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান. কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক কৃষিবীদ ড. হায়াত মাহমুদ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাধন কুমার বিশ্বাস ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা কৃষি অফিসার সৌতম কুমার শীল।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

;

রফতানি আয় বাড়াতে নতুন বাজার খুঁজতে হবে: প্রধানমন্ত্রী



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের রফতানি আয় বাড়াতে পণ্য বহুমুখীকরণ ও নতুন নতুন বাজার খোঁজার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২০ মার্চ) তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে রফতানি বিষয়ক ১১তম বৈঠকে এ আহ্বান জানান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা থেকে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে টেকসই রফতানি প্রবৃদ্ধি অর্জনে পদেক্ষপ নিতে হবে।

তিনি বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে চাহিদা বাড়ায় বাংলাদেশি পণ্যের জন্যে নতুন বাজার খোঁজার সুযোগ বিশ্বব্যাপী তৈরি হয়েছে। আমাদেরকে এসব বাজার ধরতে হবে।’

তথ্য-প্রযুক্তি পণ্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ পণ্য হিসেবে চলে এসেছে। এর চাহিদাটাও বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা যে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি সেখানে গার্মেন্টস, ওষুধ, হালকা, ভারী শিল্প, মোটর গাড়ি, ইলেকট্রনিক মোটরগাড়িসহ বিভিন্ন ধরনের বিনিয়োগ আসছে।’

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ২০২৪ সাল নাগাদ মেয়াদ শেষ হতে যাওয়া বিদ্যমান রফতানি নীতিমালার সংশোধন, পরিবর্তন ও উন্নয়ন করে আরো চার কিংবা পাঁচ বছরের জন্যে নতুন রফতানি নীতিমালা প্রণয়নেরও আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা, যুদ্ধের নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞা এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে উত্তরনের পর বাংলাদেশে যেসব চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ তৈরি হতে পারে তা বিশ্লেষণ করে নতুন রফতানি নীতি গ্রহণ করা উচিত।

;