স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান শতাধিক জঙ্গি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান শতাধিক জঙ্গি

স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান শতাধিক জঙ্গি

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীতে নেতিবাচক জীবন ছেড়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চান ১১১ জন জঙ্গি সদস্য। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) উদ্যোগে এ সুফল ভোগ করতে চলেছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) বিকেলে নগরীর বেলপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামানের কাছে বিভিন্ন সময় অভিযুক্ত ও জামিনপ্রাপ্ত ৩৩ জন জঙ্গি হাজিরা দেন। এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে জামিনপ্রাপ্ত জঙ্গিরা স্বাভাবিক জীবনে ফেরার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।

আরএমপির দেয়া তথ্যমতে, রাজশাহী নগরীর ১২টি থানার মধ্যে ৬টি থানা যথাক্রমে বোয়ালিয়া, রাজপাড়া, মতিহার, বেলপুকুর, পবা ও চন্দ্রিমা থানায় জঙ্গি সংক্রান্তে ২৬টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি মামলার বিচার সম্পন্ন হয়েছে, ১৪টি বিচারাধীন ও ৩টি তদন্তাধীন রয়েছে। ২৬টি মামলায় ১১১ জন আসামির মধ্যে জেএমবির ৮৬ জন, হিযবুত তাহরীরের ১৫ জন, শাহাদৎ আল হিকমার ১ জন, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ১ জন এবং আনসার আল ইসলামের ৮ জন জঙ্গি রয়েছে।

জঙ্গিদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসা প্রসঙ্গে আরএমপি কমিশনার আনিসুর রহমান বলেন, এটি আরএমপির প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম। থানায় নিয়মিত হাজিরার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জামিনে মুক্ত জঙ্গি মামলার আসামিরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছেন এবং আমরাও চাই জঙ্গি মামলার আসামিরা জঙ্গিবাদ হতে মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক।

প্রসঙ্গত, এতসংখ্যক জঙ্গিবাদ মামলার আসামিকে এ ধরনের কর্মসূচির আওতায় আনা আরএমপির একটি নজিরবিহীন উদ্যোগ। আরএমপির বেলপুকুর থানায় মোট ৩৮ জন তালিকাভুক্ত জঙ্গি রয়েছে। এর মধ্যে ৩৩ জন নিয়মিত থানায় হাজিরা দিচ্ছে ও ১ জন জেল হাজতে রয়েছে। থানায় হাজিরা দেওয়া ৩৩ জনের মধ্যে ৩ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হাইকোর্টের আদেশে জামিনে মুক্ত রয়েছে। বাকি ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জন বিচারাধীন আদালত হতে জামিনে মুক্ত আছে এবং একজনকে মামলা তদন্তকালে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।

তবে ৪ জন জঙ্গির তথ্য সংগ্রহ সংক্রান্তে গৃহীত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পরীক্ষামূলক বেলপুকুর থানায় ৩৩ জনের হাজিরার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হলো। এপ্রিল থেকে আরও চার থানায় এ কর্মসূচি শুরু করা হবে। আরএমপির এ মহতি উদ্যোগ অভিযুক্ত ও জামিনপ্রাপ্ত জঙ্গি মামলার আসামিরা এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ নগরবাসীর কাছে প্রশংসিত হয়েছে।

   

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ডিভাইসসহ আটক ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অবৈধ নকল করার ডিভাইসসহ ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৯ মার্চ) জেলার সিটি কলেজ কেন্দ্রে সমাজ বিজ্ঞান ভবনের ৪০২ নম্বার কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃত দুজন হলেন, খুরুশকুলের নুরুল হক ও চকরিয়ার তৌহিদুল ইসলাম।

কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্য থিং অং বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি জানার পর পুলিশের মাধ্যমে সন্দেভাজন দুই জনকে তল্লাশি করলে হাতের বাহুর নিচে লুকানো অবস্থায় একটি টু ওয়ে কানেক্টেড ডিভাইস পাওয়া যায়। এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) তাপ্তি চাকমাসহ পুলিশের সহযোগিতায় তাদেরকে আটক করা হয়।

ক্য থিং অং আরও বলেন, ঘড়ি মোবাইল বা ইলেকট্রনিকস কোনো কিছু নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা এ কাজ করেছে। এটা খুবই অন্যায়।

;

সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ গ্রেফতার ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার সাভারে ৪০ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা জেলা উত্তর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব।

এর আগে, ২৮ মার্চ দিবাগত রাতে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- দিনাজপুরের সদর থানার কুতইড় এলাকার বাসিন্দা ও আশুলিয়ার জামগড়া মধ্যপাড়া এলাকার ভাড়াটিয়া মো.ফরিদুল ইসলাম (৪৪) এবং একই এলাকার বাসিন্দা মো. মিজানুর রহমান (৪৫)।

ডিবি পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্য এনে আশুলিয়াসহ আশপাশের এলাকায় তা বিক্রি করত তারা। ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, আটকদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

;

বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযান, ৪ ব্যবসায়ীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান উপলক্ষে বাজার মনিটরিং ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বরিশালে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় ৪ ব্যবসায়ীকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরিশাল শহিদুল ইসলামের নির্দেশনায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন, বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মারজানুর রহমান, মোঃ শহীদ উল্লাহ ও শাহরুখ আলম শান্তনু।

এ সময় তারা নগরীর পোর্ট রোড পাইকারী ও খুচরা বাজারে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে কৃষিপণ্য বিপণন আইন ও ভোক্তা অধিকার আইনে মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রয়ের বিষয়ে বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়।

এছাড়াও, মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা, ভাউচার সংরক্ষণ না করা এবং নির্ধারিত মূল্যের অধিক মূলে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে ৪টি মামলায় ৪ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ ও র‌্যাব-৮ এর ৩টি টিম।

অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

;

চট্টগ্রামে জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রামের বায়োজিদ থানাধীন টেক্সটাইল গেট এলাকায় জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট কাজ করছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকল ৪টার দিকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। তবে কিভাবে এই আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম অঞ্চলে কন্ট্রোল রুম থেকে বার্তা২৪.কমকে জানায়, ৪টা ১০ মিনিটে খবর পেয়ে প্রথমে দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও তিনটিসহ ৫টি ইউনিট যোগ দেয়। বর্তমানের ইউনিট বাড়িয়ে মোট ৯টি ইউনিট কাজ করছে। তবে আগুন লাগার কারণ এখনো জানা যায়নি এবং এ ঘটনায় হতাহতের কোনো খবরও পায়নি।

কারখানাটির পাশের একটি কুলিংকর্ণারে ব্যবসায়ী সুজন বার্তা২৪.কম বলেন, আজ শুক্রবার আমি বাসায় ছিলাম। আগুন কিভাবে লাগছে জানি না। এটি মূলত রগদা নামের একটি কারখানা। এখানে জুতার সোল তৈরি করা হয়। ৫-৬ মাস আগে কারখানাটি চালু হয়। এর আগে এটি সীমস ফ্যাশন লিমিটেড লামের একটি প্রতিষ্ঠানের কারখানা ছিল।

বায়েজিদ থানার ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বার্তা২৪.কমকে বলেন, জুতার সোল তৈরির কারখানায় আগুন লেগেছে। পোশাকের কারখানা নয়। আমি ঘটনাস্থলে আছি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসও কাজ করছে। 

;