দশ বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রশিকা



তরিকুল ইসলাম সুমন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভঙ্গুরদশা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র। ২০১৫ সালের ঋণ স্থিতি ছিল ৮০ কোটি টাকা যা এখন প্রায় ১২শ কোটি টাকায় এসে পৌঁছেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ থাকা অফিসগুলো চালু করা হয়েছে। সুবিধাভোগী তৃণমূলের মানুষদের ভীতি কাটিয়ে তাদের মাঝে আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যেখানে বছরের পর বছর বেতন বন্ধ থাকত, এখন সেখানে নিয়মিত বেতন হচ্ছে, চলছে নতুন জনবল নিয়োগ কার্যক্রম। এমনটাই জানিয়েছেন প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের বর্তমান প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলাম।

সম্প্রতি প্রশিকার লিয়াজোঁ অফিসে এক আলাপচারিতায় এসব কথা তিনি বলেন।

সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালে প্রশিকার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. কাজী ফারুক আহম্মদ রাজনৈতিক সংশিষ্টতা এবং স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রশিকার সর্বস্তরের কর্মীদের অসন্তোষের শিকার হন। এই অস্থিরতার সময়ে প্রশিকা চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে, শুরু হয় অস্তিত্ব সংকট। প্রতিষ্ঠানকে রক্ষার জন্য তৎকালীন গভার্নিং বডি প্রশিকার চেয়ারম্যান পদ থেকে কাজী ফারুক আহম্মদকে অপসারণ করে। এই অপসারণ প্রক্রিয়াকে অস্বীকার করে তিনি আদালতে আশ্রয় নেন। এভাবেই শুরু হয়েছিল বিভক্তি এবং আমাদের ওপর নেমে আসে ড. কাজী ফারুক ও তার অনুসারীদের মাধ্যমে নানান ধরনের মিথ্যা মামলা ও হামলা। সেই সময় এমন কোনো কেন্দ্রীয় কর্মী নাই যার বিরুদ্ধে মামলা ও হামলা করা হয়নি। এ ধারা এখনও চলমান। কিন্তু কর্মী ব্যবস্থাপকদের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে সারা দেশে প্রশিকার বিভিন্ন অফিসগুলো চালু করা হয়েছে। তবে ২০০৮-২০১৪ সাল পর্যন্ত সময় ছিল প্রশিকার জন্য ক্রান্তি কাল। এখন আমরা সারা বাংলাদেশে ২১৬টি অফিস, ৩৩৮টি শাখা অফিসের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করছি। কর্মরত কর্মী-ব্যবস্থাপকগণ নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন, কেন্দ্র ও বিভিন্ন এলাকার অফিসগুলোতে নিয়মিত অডিট হচ্ছে, এমনকি অবসরে যাওয়া কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া টাকা দেয়া হচ্ছে। এসময় পর্যন্ত আমরা প্রায় ৮ কোটি টাকা বকেয়া প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পরিশোধ করেছি। এখনো প্রায় ২ শতাধিক আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এগুলোও পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।


প্রশিকার কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আমাদের কাজ সারাদেশে সম্প্রসারিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এই সকল গঠনমূলক কাজের পদক্ষেপ একটি বিশেষ মহল দ্বারা বার বার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সকল কাজে একটি বিশেষ মহল বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। এত কিছুর পরেও আমরা নিজস্ব সম্পদ ব্যবহার করে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছি। আমাদের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের পরিচালনায় সুবিধাভোগীদের গচ্ছিত আমানতের একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সকল প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন প্রাপ্তির পরেও বৈদেশিক অনুদান পাওয়া যাচ্ছে না প্রশিকার নামে কিছু মামলা থাকার কারণে। বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনায় আমরা কিছুটা আর্থিক সমস্যার মধ্যে রয়েছি। একাধিক হয়রানিমূলক মামলা থাকার কারণে সরকারি অথবা বৈদেশিক অনুদানে পরিচালনা করা যায় এমন প্রকল্প পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর একটি বড় সমস্যা হচ্ছে প্রশিকার নামে থাকা জমি বিক্রির অপচেষ্টা। একাজ করছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান কাজী ফারুক নিয়ন্ত্রিত একটি মহল। প্রশিকার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি এই অপকর্ম রোধ করতেও আমাদের প্রচুর অর্থ ও সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।

ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জের কামতা উন্নয়ন এলাকা পরিদর্শনকালে উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম শাহীন জানান, তার এই অফিসে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৩৮৫৪ জন। এসব সুবিধাভোগী একদিকে নিজেরা নিজেদের মতো করে এই অফিসে সাপ্তাহিক সঞ্চয় জমা করেন। কেউ আবার ফিক্সড ডিপোজিট, কেউ বিশেষ আমানত জমা রাখেন। ব্যবসা সম্প্রসারণ বা অন্যান্য জরুরী প্রয়োজনের জন্য সমিতিভূক্ত সদস্যরা ঋণের জন্য আবেদন করলে যাচাই বাছাইয়ের পর ঋণ সুবিধা মঞ্জুর করা হয়। এই টাকা দিয়ে তারা যে ধরণের অর্থনৈতিক কর্মকা- করতে চান, সে বিষয়ে তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে যদি কেউ ঋণের টাকা ফেরত দিতে অপারগ হন, সেক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে মানবিক পদক্ষেপ নেয়া হয়। প্রয়োজন হলে পুনরায় ঋণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

তিনি আরো বলেন, কামতা উন্নয়ন এলাকার ঋণ স্থিতি প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সুবিধাভোগীর আমানত প্রায় ১৩ কোটি টাকা। বাকি টাকা প্রশিকার নিজস্ব। ঋণ রিকভারি প্রায় শতভাগের কাছাকাছি।

সরেজমিন কামতা মধ্যপাড়া মহিলা সমিতির উঠান বৈঠকে গিয়ে দেখা গেছে, উঠানে পাটি পেতে বসে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন সমিতিভুক্ত সদস্যরা। তারা নিজেদের মধ্যে সুখ দু:খের আলাপ করছেন। কাছে যেতেই তাদের কথা থেমে যায়।

সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সমিতির সভানেত্রী রওশন আরা (৫০) জানান, প্রশিকা এখন আস্থার প্রতীক। তাদের সমিতির সদস্য সংখ্যা ৫৪ জন। ৯০ ভাগ সদস্য নারী। প্রশিকার আভ্যন্তরীণ দ্বন্ধের বিষয়টি তারা জানেন। প্রশিকার মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও তাদের মধ্যে কোনো দ্বিধা নেই। তাদের এই অফিসটি কখনো বন্ধ হয়নি। তিনি ২৫ বছর ধরে এই সমিতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। নিজে ১৯ বার ঋণ নিয়েছেন। বর্তমানে সমিতিতে তার জামানত রয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ঋণ চলছে ৩ লাখ টাকার। প্রতিমাসে তাকে ১৫ হাজর ৯শ টাকা কিস্তি ফেরত দিতে হয়। ঋণের টাকায় তিনি এখন স্বাবলম্বী। কিনেছেন দুধের গরু, জমি জিরাত। তৃণমূল পর্যায়ের একজন সফল উদ্যোগক্তার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন বেগম রোকেয়া স্বারক পদক।

সুবিধাভোগী শেফালী (৪০) জানান, ১২ বছর ধরে তিনি এই সমিতির সঙ্গে যুক্ত। ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ধানি জমি কিনেছেন। সমিতিতে তার সাধারণ সঞ্চয় হিসেবে জমা রয়েছে ৪০ হাজার টাকা। প্রশিকা কামতা অফিসে বিশেষ আমানত হিসেবে জমা রয়েছে ৭ লাখ টাকা। স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। এক সন্তান নিয়ে ভালো আছেন তিনি।

রওশন বেগম (৬০) বলেন, তিনি ৩৫ বছর ধরে প্রশিকার সাথে সংশ্লিষ্ট আছেন। যখন যা পারেন তাই সঞ্চয় হিসেবে সমিতিতে জমা রাখেন। কিছুদিন আগে তিনি প্রশিকা থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ছেলে আশরাফুলকে মিক্সার মেশিন কিনে দিয়েছেন। সেই মেশিন দিয়ে আখের রস করে বিক্রি করে নিয়মিত টাকা আয় করেন। প্রশিকা থেকে গৃহিত ঋণের কিস্তির টাকা ফেরত দিতে তার সমস্যা হয় না। তিনি বেশ ভালো আছেন।

আমদানির পেঁয়াজে বাজারে স্বস্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একশ ছাড়িয়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম পড়তির দিকে। এতে কিছুটা স্বস্তি এলেও দাম এখনও আগের চেয়ে বেশি বলেছেন ক্রেতারা। ভারত থেকে আমদানি হওয়ার পর মানভেদে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ২০-২৫ টাকা কমলেও এখনো ৭০ টাকায় স্থির হয়ে আছে পেঁয়াজের দাম। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে।

শুক্রবার (৯ জুন) খুচরা বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।

রাজধানীর বাজারে খুচরায় বিক্রি হওয়া পণ্যের যে মূল্যতালিকা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) দিয়েছে, সেখানে কেজিপ্রতি ভারতীয় পেঁয়াজের দর দেওয়া হয়েছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়।

অপরদিকে এদিন ঢাকায় পেঁয়াজের পাইকারি বাজার শ্যামবাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে। খুচরায় কারওয়ান বাজারে দর ও টিসিবির দর একই।

খিলক্ষেতের বাসিন্দা রোজিনা ভারতীয় পেঁয়াজ কিনেছেন ৬০ টাকা কেজিতে। তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের জীবনধারণের ক্ষেত্রে বিরাট সমস্যা হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। সব কিছুর দাম অস্বাভাবিক ও আকস্মিকভাবে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, যেমন দুই দিন আগে হঠাৎ পেঁয়াজের কেজি ৯০ থেকে ৯৫ হল, যা জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আজকে যদিও পেঁয়াজের দাম কমে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, তবুও আমার মনে হচ্ছে বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে, কারণ ভারত থেকে লাখ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

মিরপুরের বাসিন্দা আনিসুর রহমান বলেন, দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ইন্ডিয়ানটা ৬০ টাকা। দাম খুব তো আর কমে আসেনি। পেঁয়াজ লাগে প্রতিদিন। এর দাম আরও কমা উচিত।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক সেলিম উদ্দিন জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ৫ জুন ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কমে মানভেদে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৬ টাকার মধ্যে। দাম আরও কমবে। আশা করছি কোরবানির ঈদে ৩০ টাকার মধ্যে চলে আসবে। আরেক পেঁয়াজ আমদানিকারক শহীদুল ইসলাম জানান, আমদানিকৃত পেঁয়াজ দেশে আসায় বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসছে।

;

আজ বাজারে আসছে রংপুরের ‘হাঁড়িভাঙা আম’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের খ্যাতি ছড়ানো অতি সুমিষ্ট আঁশহীন হাঁড়িভাঙা আম নির্দিষ্ট সময়ের ১০ দিন আগেই বাজারে আসছে। আবহাওয়া পরিস্থিতি কারণে ২০ জুনের পরিবর্তে আজ শনিবার (১০ জুন) গাছ থেকে আম পারা শুরু হবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

রংপুর জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর ৭ জুন এ সংক্রান্ত নোটিশ জারি করেছে। আম চাষিদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

রংপুরের জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন জানান, পদাগঞ্জ থেকে হাঁড়িভাঙা আম চাষিরা একটি স্মারকলিপি দিয়েছিলেন। তাতে তারা দাবি করেছিলেন হাঁড়িভাঙা আম বাজারজাতে ২০ জুনের পরিবর্তে ১০ জুন করা। কারণ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আম পাকা শুরু হয়েছে, আম পরিপুষ্ট হয়েছে। তবে আমের সাইজও ছোট হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আম বাগানে রাখা যাচ্ছে না। সে কারণে সরকার নির্ধারিত ২০ জুন যদি আম বাজারজাত শুরু হয়, তাহলে অনেক আম বাগানেই পেকে নষ্ট হয়ে যাবে। এতে আম চাষি, বাগানি ও ব্যবসায়ীরা লোকসানের মুখে পড়বে। ফলে তারা তারিখ এগিয়ে আনার দাবি জানান।

জেলা প্রশাসক জানান, স্মারকলিপি পাওয়ার পর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরকে বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তাদের প্রকাশ করা প্রতিবেদনের আলোকে ২০ জুনের পরিবর্তে এবার হাঁড়িভাঙা আম ১০ জুন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারজাত করা হবে। আবহাওয়ার কারণেই মূলত আগেই হাঁড়িভাঙা আম এবার পেকেছে এ কারণে এই সিদ্ধান্ত।

জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণের এ সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আমচাষি, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা।

কৃষি বিভাগ জানায়, হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি করে অর্থনৈতিক খাতে যুক্ত হবে ২৫০ কোটি টাকারও বেশি। জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার আখিরাহাট, পদগঞ্জ, মাঠেরহাট, বদরগঞ্জের গাপোলপুর, লাগেরহাট, সর্দারপাড়া, রংপুর নগরের বড়বাড়ী, সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউপিরকাটাবাড়ি এলাকায় প্রায় তিন হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে সব জাতের আমের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে এক হাজার ৯০৫ হেক্টর জমিতে রয়েছে হাঁড়িভাঙা আম।

জেলায় আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ হাজার ৭৩০ মেট্রিক টন। এর মধ্যে হাঁড়িভাঙা আমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৯ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন আম।

;

পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

পঞ্চগড়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ে অজ্ঞাত গাড়িচাপায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৯ জুন) রাত ৯টার দিকে সদর উপজেলার সাতমেরা ইউনিয়নের সাড়ে নয় মাইল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- তেঁতুলিয়া উপজেলার শালবাহান ইউনিয়নের হাগুড়া গছ গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে শেখ ফরিদ (২৪) ও একই এলাকার জনাব আলীর ছেলে শরিফুল (২৫)।

জানা যায়, রোববার রাতে শেখ ফরিদ পঞ্চগড়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে শরিফুলকে মোটরসাকেল করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। একসময় সাড়ে ৯ মাইল এলাকায় মহাসড়কে পৌঁছালে অজ্ঞাত এক গাড়ি তাদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা রাস্তার ওপর মোটরসাকেলসহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।

তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্ত করা হয়।

;

জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দিল ডিএমপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অবশেষে জামায়াতে ইসলামীকে ঢাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দিল ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

শনিবার (১০ জুন) দুপুর ২টায় রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছে।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির যুগ্ম-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, মৌখিকভাবে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এখনো লিখিত কোনো অনুমতিপত্র দেওয়া হয়নি।

এর আগে, শুক্রবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর ধানমন্ডি লেকের রবীন্দ্র সরোবরে এক অনুষ্ঠানে ডিএমপির কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছিলেন, জামায়াতে ইসলামী ঢাকায় সমাবেশের অনুমতি পাবে কি না সে সিদ্ধান্ত শুক্রবার রাতে অথবা শনিবার সকালের মধ্যে জানাবে ডিএমপি।

জামায়াতের সমাবেশের অনুমতির বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, আপনারা জানেন, জামায়াতের অতীত ইতিহাস রয়েছে। তারা পুলিশের ওপর নানা নির্যাতন করেছে। বিভিন্ন বোমা হামলার ঘটনায় তাদের নাম এসেছে। দীর্ঘদিন তারা প্রকাশ্যে আসেনি। এখন তারা প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশ করতে চায়।’

গোলাম ফারুক বলেন, জামায়াত সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে আবেদন করেছে। তারা শনিবার বিকেলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ করতে চায়। আমরা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য চেয়েছি জামায়াত শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করবে কি না। আমরা তথ্য পেয়েছি।

উল্লেখ্য, মাঠের রাজনীতিতে আবারও সরব হতে পুরোদমে প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। এর অংশ হিসেবে ১০ জুন সমাবেশ করতে চায় দলটি।

;