দশ বছরে ঘুরে দাঁড়িয়েছে প্রশিকা



তরিকুল ইসলাম সুমন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভঙ্গুরদশা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র। ২০১৫ সালের ঋণ স্থিতি ছিল ৮০ কোটি টাকা যা এখন প্রায় ১২শ কোটি টাকায় এসে পৌঁছেছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্ধ থাকা অফিসগুলো চালু করা হয়েছে। সুবিধাভোগী তৃণমূলের মানুষদের ভীতি কাটিয়ে তাদের মাঝে আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যেখানে বছরের পর বছর বেতন বন্ধ থাকত, এখন সেখানে নিয়মিত বেতন হচ্ছে, চলছে নতুন জনবল নিয়োগ কার্যক্রম। এমনটাই জানিয়েছেন প্রশিকা মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্রের বর্তমান প্রধান নির্বাহী সিরাজুল ইসলাম।

সম্প্রতি প্রশিকার লিয়াজোঁ অফিসে এক আলাপচারিতায় এসব কথা তিনি বলেন।

সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০৮ সালে প্রশিকার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড. কাজী ফারুক আহম্মদ রাজনৈতিক সংশিষ্টতা এবং স্বেচ্ছাচারিতার কারণে প্রশিকার সর্বস্তরের কর্মীদের অসন্তোষের শিকার হন। এই অস্থিরতার সময়ে প্রশিকা চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়ে, শুরু হয় অস্তিত্ব সংকট। প্রতিষ্ঠানকে রক্ষার জন্য তৎকালীন গভার্নিং বডি প্রশিকার চেয়ারম্যান পদ থেকে কাজী ফারুক আহম্মদকে অপসারণ করে। এই অপসারণ প্রক্রিয়াকে অস্বীকার করে তিনি আদালতে আশ্রয় নেন। এভাবেই শুরু হয়েছিল বিভক্তি এবং আমাদের ওপর নেমে আসে ড. কাজী ফারুক ও তার অনুসারীদের মাধ্যমে নানান ধরনের মিথ্যা মামলা ও হামলা। সেই সময় এমন কোনো কেন্দ্রীয় কর্মী নাই যার বিরুদ্ধে মামলা ও হামলা করা হয়নি। এ ধারা এখনও চলমান। কিন্তু কর্মী ব্যবস্থাপকদের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে সারা দেশে প্রশিকার বিভিন্ন অফিসগুলো চালু করা হয়েছে। তবে ২০০৮-২০১৪ সাল পর্যন্ত সময় ছিল প্রশিকার জন্য ক্রান্তি কাল। এখন আমরা সারা বাংলাদেশে ২১৬টি অফিস, ৩৩৮টি শাখা অফিসের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করছি। কর্মরত কর্মী-ব্যবস্থাপকগণ নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন, কেন্দ্র ও বিভিন্ন এলাকার অফিসগুলোতে নিয়মিত অডিট হচ্ছে, এমনকি অবসরে যাওয়া কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া টাকা দেয়া হচ্ছে। এসময় পর্যন্ত আমরা প্রায় ৮ কোটি টাকা বকেয়া প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা পরিশোধ করেছি। এখনো প্রায় ২ শতাধিক আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এগুলোও পর্যায়ক্রমে পরিশোধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।


প্রশিকার কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আমাদের কাজ সারাদেশে সম্প্রসারিত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এই সকল গঠনমূলক কাজের পদক্ষেপ একটি বিশেষ মহল দ্বারা বার বার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সকল কাজে একটি বিশেষ মহল বাধা দেয়ার চেষ্টা করছে। এত কিছুর পরেও আমরা নিজস্ব সম্পদ ব্যবহার করে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছি। আমাদের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমের পরিচালনায় সুবিধাভোগীদের গচ্ছিত আমানতের একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার সকল প্রকার প্রাতিষ্ঠানিক অনুমোদন প্রাপ্তির পরেও বৈদেশিক অনুদান পাওয়া যাচ্ছে না প্রশিকার নামে কিছু মামলা থাকার কারণে। বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনায় আমরা কিছুটা আর্থিক সমস্যার মধ্যে রয়েছি। একাধিক হয়রানিমূলক মামলা থাকার কারণে সরকারি অথবা বৈদেশিক অনুদানে পরিচালনা করা যায় এমন প্রকল্প পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। তবে আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আর একটি বড় সমস্যা হচ্ছে প্রশিকার নামে থাকা জমি বিক্রির অপচেষ্টা। একাজ করছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান কাজী ফারুক নিয়ন্ত্রিত একটি মহল। প্রশিকার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি এই অপকর্ম রোধ করতেও আমাদের প্রচুর অর্থ ও সময় ব্যয় করতে হচ্ছে।

ঢাকার অদূরে মানিকগঞ্জের কামতা উন্নয়ন এলাকা পরিদর্শনকালে উপ-পরিচালক আমিনুল ইসলাম শাহীন জানান, তার এই অফিসে সুবিধাভোগীর সংখ্যা ৩৮৫৪ জন। এসব সুবিধাভোগী একদিকে নিজেরা নিজেদের মতো করে এই অফিসে সাপ্তাহিক সঞ্চয় জমা করেন। কেউ আবার ফিক্সড ডিপোজিট, কেউ বিশেষ আমানত জমা রাখেন। ব্যবসা সম্প্রসারণ বা অন্যান্য জরুরী প্রয়োজনের জন্য সমিতিভূক্ত সদস্যরা ঋণের জন্য আবেদন করলে যাচাই বাছাইয়ের পর ঋণ সুবিধা মঞ্জুর করা হয়। এই টাকা দিয়ে তারা যে ধরণের অর্থনৈতিক কর্মকা- করতে চান, সে বিষয়ে তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়। বিশেষ পরিস্থিতির কারণে যদি কেউ ঋণের টাকা ফেরত দিতে অপারগ হন, সেক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে মানবিক পদক্ষেপ নেয়া হয়। প্রয়োজন হলে পুনরায় ঋণের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।

তিনি আরো বলেন, কামতা উন্নয়ন এলাকার ঋণ স্থিতি প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে সুবিধাভোগীর আমানত প্রায় ১৩ কোটি টাকা। বাকি টাকা প্রশিকার নিজস্ব। ঋণ রিকভারি প্রায় শতভাগের কাছাকাছি।

সরেজমিন কামতা মধ্যপাড়া মহিলা সমিতির উঠান বৈঠকে গিয়ে দেখা গেছে, উঠানে পাটি পেতে বসে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছেন সমিতিভুক্ত সদস্যরা। তারা নিজেদের মধ্যে সুখ দু:খের আলাপ করছেন। কাছে যেতেই তাদের কথা থেমে যায়।

সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে সমিতির সভানেত্রী রওশন আরা (৫০) জানান, প্রশিকা এখন আস্থার প্রতীক। তাদের সমিতির সদস্য সংখ্যা ৫৪ জন। ৯০ ভাগ সদস্য নারী। প্রশিকার আভ্যন্তরীণ দ্বন্ধের বিষয়টি তারা জানেন। প্রশিকার মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও তাদের মধ্যে কোনো দ্বিধা নেই। তাদের এই অফিসটি কখনো বন্ধ হয়নি। তিনি ২৫ বছর ধরে এই সমিতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। নিজে ১৯ বার ঋণ নিয়েছেন। বর্তমানে সমিতিতে তার জামানত রয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ঋণ চলছে ৩ লাখ টাকার। প্রতিমাসে তাকে ১৫ হাজর ৯শ টাকা কিস্তি ফেরত দিতে হয়। ঋণের টাকায় তিনি এখন স্বাবলম্বী। কিনেছেন দুধের গরু, জমি জিরাত। তৃণমূল পর্যায়ের একজন সফল উদ্যোগক্তার স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন বেগম রোকেয়া স্বারক পদক।

সুবিধাভোগী শেফালী (৪০) জানান, ১২ বছর ধরে তিনি এই সমিতির সঙ্গে যুক্ত। ২ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ধানি জমি কিনেছেন। সমিতিতে তার সাধারণ সঞ্চয় হিসেবে জমা রয়েছে ৪০ হাজার টাকা। প্রশিকা কামতা অফিসে বিশেষ আমানত হিসেবে জমা রয়েছে ৭ লাখ টাকা। স্বামী ঢাকায় চাকরি করেন। এক সন্তান নিয়ে ভালো আছেন তিনি।

রওশন বেগম (৬০) বলেন, তিনি ৩৫ বছর ধরে প্রশিকার সাথে সংশ্লিষ্ট আছেন। যখন যা পারেন তাই সঞ্চয় হিসেবে সমিতিতে জমা রাখেন। কিছুদিন আগে তিনি প্রশিকা থেকে ১ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ছেলে আশরাফুলকে মিক্সার মেশিন কিনে দিয়েছেন। সেই মেশিন দিয়ে আখের রস করে বিক্রি করে নিয়মিত টাকা আয় করেন। প্রশিকা থেকে গৃহিত ঋণের কিস্তির টাকা ফেরত দিতে তার সমস্যা হয় না। তিনি বেশ ভালো আছেন।

   

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

নীলফামারীতে ২১ মামলার আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকায় ফরিদুল (৪০) নামে এক চোরকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে খুটামারার টেংগনমারী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি উপজেলার ছিটমহল বালাগ্রাম এলাকার ইউনূস আলীর ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত ফরিদুল দীর্ঘদিন ধরে মোটরসাইকেল, গরুসহ বিভিন্ন চুরি করে আসছিলেন। জেলাসহ বিভিন্ন জায়গায় তার বিরুদ্ধে ২১টি চুরির মামলা রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জলঢাকা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুক্তারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 

;

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের ভালোবাসতেন, শিশুদের সাথে মিশে যেতেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নানাবিধ আয়োজন করতে হবে।

তিনি বলেন, শিশুর শারীরিক, মানসিক, সামাজিক ও নৈতিক বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা শিশুদের শরীর ও মনকে সুস্থ-সুন্দরভাবে গড়ে তোলে। শিশুদের মাঝে প্রতিযোগিতার মনোভাব এবং দায়িত্ববোধ সৃষ্টিতেও খেলাধুলা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

আগামীকাল ২০ এপ্রিল ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ উপলক্ষ্যে আয়োজক, অংশগ্রহণকারী, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট বাংলাদেশে ক্ষুদে ফুটবলার তৈরির পাশাপাশি শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশেও অনন্য ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমি আশা করি, এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতির পিতা এবং বঙ্গমাতার জীবন ও কর্ম সম্পর্কে জানার সুযোগ পাবে এবং তাঁদের জীবনাদর্শ অনুসরণ করে সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠবে।’

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শোষণ-বঞ্চনামুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ‘সোনার বাংলা’ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্ন পূরণে দেশের তরুণ প্রজন্ম কার্যকর অবদান রাখবে- এ প্রত্যাশা করি। আমি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্ষুদে খেলোয়াড়দের উত্তরোত্তর সাফল্য ও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করছি।

রাষ্ট্রপতি ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ ও ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

;

শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশে খেলাধুলায় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ: প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণ শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

আগামীকাল ২০ এপ্রিল ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ উপলক্ষে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দেয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী “বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এর অংশগ্রহণকারী সকল খেলোয়াড়কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ফুটবল খেলতে বেশি ভালবাসতেন। তিনি ছাত্রজীবনে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন। তিনি ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের হয়ে নিয়মিত খেলতেন। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা দেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন এবং আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।

সরকার প্রধান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন, অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করেন। তিনি ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ, খাদ্য সামগ্রী এবং পোশাক প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন করছে। আমরা ২০১৩ সালে ২৬ হাজার ১৯৩টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং ১ লাখ ৫ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেছি। প্রধান শিক্ষকের পদ ২য় শ্রেণিতে এবং সহকারী শিক্ষকের বেতন স্কেল উন্নীত করেছি। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে সরাসরি উপবৃত্তির টাকা বিতরণ করছি। এ ছাড়া, স্কুল ফিডিং, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, শিক্ষকদের দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ প্রদান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম স্থাপন করার পাশাপাশি আরো অনেক উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, আমাদের সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে প্রায় শতভাগ শিশু ভর্তির হার অর্জিত হয়েছে এবং প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন সাধিত হয়েছে। শিশুদের খেলাধুলায় আকৃষ্ট করার জন্য প্রতিটি উপজেলায় মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করে দিচ্ছি। সেই সঙ্গে আন্তঃবিদ্যালয় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি। পুরুষদের পাশাপাশি আমাদের নারীরাও ক্রীড়াক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ‘সাফ উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২’-এ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। আমি জেনে অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি যে, সেই ফুটবল টিমের ৫ জন খেলোয়াড় উঠে এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টের মাধ্যমে।

তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, সুস্থ দেহ ও সুস্থ মনের সমন্বয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্ম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছার মহৎ আদর্শে বলীয়ান হয়ে দেশ ও জাতি গঠনে পরিপূর্ণভাবে আত্মনিয়োগ করবে। ২০৪১ সালের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন, আধুনিক এবং স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।’

প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ এবং ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩’ টুর্নামেন্ট দুইটির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করেন।

;

রাঙামাটিতে মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটি শহরের অদূরে সদর উপজেলাধীন জীবতলীর আগরবাগান এলাকায় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে রাঙামাটি কোতয়ালী থানার পুলিশ স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সদর উপজেলার জীবতলী ইউনিয়নের এক নম্বর আগরবাগান এলাকার জঙ্গল থেকে এ মরদেহটি উদ্ধার করে।

এসময় নিহতের মাথা একটি গাছের সাথে রশিতে ঝুলে থাকলেও মরদেহের বিচ্ছিন্ন দেহটি মাটিতে পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধারকারী পুলিশ সদস্যরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এক অজ্ঞাত ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন মাথা রশিতে ঝুলছে এবং মরদেহটি নিচে পড়ে আছে।

তিনি জানান, মরদেহটি ২০-২৫ দিন আগের হতে পারে।

এদিকে, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডাঃ শওকত আকবর খান জানিয়েছেন, মরদেহটি সন্ধ্যার পরে হাসপাতালে আনা হয়েছে। মরদেহের শরীরে মাংস নেই বললেই চলে আর এটি বেশ কিছুদিন আগের। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

;