‘পাকিস্তানি জেনারেলদের প্রেতাত্মা এদেশে রয়ে গেছে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মল হক

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মল হক

  • Font increase
  • Font Decrease

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, পাকিস্তানি জেনারেলরা পরাজিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে চলে গেছে কিন্তু তাদের প্রেতাত্মা স্বাধীনতা বিরোধীরা এদেশে এখনো রয়ে গেছে।

শনিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর বাংলা একাডেমিতে ১৯৭১: গণহত্যা নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর আয়োজিত 'বিদ্রোহী মার্চ' শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন ।

মোজাম্মেল হক বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা পরাজয়ের গ্লানি এখনো ভুলতে পারেনি। তাই সুযোগ পেলেই পাকিস্তানের প্রশংসা করতে কার্পণ্য করে না। এ জন্যই এখনও শোনা যায় এরা নাকি পাকিস্তান আমলে ভালো ছিল। যারা বলে পাকিস্তান আমল ভাল ছিল, ব্যালটের মাধ্যমে তাদের রাজনৈতিক কবর রচনা করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক ও ১৯৭১: গণহত্যা নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের সভাপতি মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন মানিক চৌধুরী, লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর সাধারণ সম্পাদক ড. মুর্শিদা বিনতে রহমান প্রমুখ ।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক শাহরিয়ার কবির রচিত 'আমার একাত্তর' ও 'আমাদের একাত্তর' শিরোনামে দু’টি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন৷

৩ দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলন শুরু হচ্ছে বুধবার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলনকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে দেশে এই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠেয় জাতীয় ভূমি সম্মেলন উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৭টি নতুন উদ্যোগও উদ্বোধন করবেন।

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা তুলে ধরা এবং ভূমিসেবা ডিজিটালাইজেশনের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জসমূহ খুঁজে বের করে তা মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণ করতে আগামী ২৯ থেকে ৩১ মার্চ জাতীয় ভূমি সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

জাতীয় ভূমি সম্মেলনের অন্যান্য লক্ষ্যের মধ্যে রয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে নাগরিক, সরকারি সংস্থা, অংশীজনদের অবহিত করানো, তাঁদের মধ্যে ভূমি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং ভূমি সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন ও বিধিবিধান সম্পর্কে ধারণা দেয়া।

৭টি উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে জাতির পিতার স্মৃতি বিজড়িত লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে স্থাপন করা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্মৃতিস্তম্ভ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব গুচ্ছগ্রাম কমপ্লেক্স। বাকি ৬টি উদ্যোগ হচ্ছে, রেজিস্ট্রেশন-মিউটেশন আন্তঃসংযোগ, স্মার্ট ভূমি নকশা, স্মার্ট ভূমি রেকর্ডস, স্মার্ট ভূমি পিডিয়া, স্মার্ট ভূমিসেবা কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন ভূমি অফিস।

প্রসঙ্গত, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন অপরাহ্নে ও পরবর্তী দুই দিন ‘স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থাপনায় মাঠ প্রশাসন’, ‘সায়রাত ও খাসজমি ব্যবস্থাপনা’, ‘অধিগ্রহণ ব্যবস্থাপনা, সরকারি মামলা ও সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা’ এবং ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপ’ শীর্ষক চারটি সেমিনার/প্যানেল ডিসকাশন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিনের কার্যক্রম রাজধানীর বিয়াম ফাউন্ডেশনে অনুষ্ঠিত হবে।

;

বাংলাদেশে অকাল মৃত্যুর ২০ শতাংশের জন্যই দায়ী বায়ুদূষণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে মোট অকালমৃত্যুর ২০ শতাংশ’র জন্যই দায়ী বায়ুদূষণ বলে জানিয়েছে বিশ্ব ব্যাংকের এক প্রতিবেদন।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) ঢাকায় প্রকাশিত 'স্ট্রাইভিং ফর ক্লিন এয়ার: এয়ার পলিউশন অ্যান্ড পাবলিক হেলথ ইন সাউথ এশিয়া' শীর্ষক গবেষণাপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন আরও বলা হয়েছে, বিশ্বের ১০টি সর্বাধিক বায়ু দূষণ শহরের মধ্যে নয়টিই দক্ষিণ এশিয়াতে, এবং ঢাকা এদের মধ্যে অন্যতম।

এতে বলা হয়, এই অঞ্চলের কিছু অতি ঘনবসতিপূর্ণ ও দরিদ্র এলাকার বায়ুকণা যেমন ঝুল এবং ধূলিকণা (পিএম২.৫) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত নিরাপদ মানদণ্ডের চেয়ে ২০ গুণ বেশি। দক্ষিণ এশিয়ায় এই বায়ু দূষণ প্রতি বছর আনুমানিক দুই মিলিয়ন লোকের অকাল মৃত্যু ঘটনায় ও এর কারণে অর্থনৈতিক ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পায়। মারাত্মক বায়ু দূষণের ফলে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ব্যহত হয়, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ দেখা দেয় এবং এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভুগে মানুষ দুর্বল হয়ে পড়ে। এটি একটি দেশের স্বাস্থ্যসেবা খরচ বাড়ায়, উৎপাদন ক্ষমতা কমিয়ে দেয় ও কর্মঘন্টা হ্রাস করে দেয়।

বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলায়ে সেক বলেন, বায়ু দূষণ জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। এমন অনেক নজির রয়েছে যে অঙ্গিকার, সঠিক পদক্ষেপ ও নীতিমালা গৃহিত হলে, এই বায়ু দূষণ মোকাবিলা করা সম্ভব। বাংলাদেশ বাতাসের গুণমান ব্যবস্থাপনা বাড়াতে ইতিমধ্যেই বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণ আইনসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। জাতীয় পর্যায়ে এই শক্তিশালী পদক্ষেপের পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত সমাধান এই বায়ুদূষণ হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার ছয়টি বড় এয়ারশেড চিহ্নিত করা হয়েছে- যেখানে স্থানিক বাতাসের গুণমানে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা বেশি। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমিতে বিস্তৃত একটি সাধারণ এয়ারশেডের আওতাভুক্ত। প্রতিটি এয়ারশেডের বায়ুকণা বিভিন্ন উৎস ও অবস্থান থেকে আসে। উদাহরণস্বরূপ- ঢাকা, কাঠমান্ডু এবং কলম্বোর মতো শহরে, শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট শহরের মধ্যে থেকেই এক-তৃতীয়াংশ বায়ু দূষণ সৃষ্টি হয়। এই বায়ু-দূষণের আন্তঃসীমান্ত প্রকৃতি বিবেচনায় নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার চারটি দেশ- বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও পাকিস্তান এই ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভুমি ও হিমালয় পাদদেশের বাতাসের মানউন্নয়নের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো একসাথে কাঠমা-ু রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে।

বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক সমন্বয় পরিচালক সিসিল ফ্রুম্যান বলেন, বায়ু দূষণ একটি শহর, রাজ্য বা জাতীয় সীমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অল্পকিছু সংখ্যক দেশ বাতাসের মানউন্নয়নে নীতি গ্রহণ করেছে। কিন্তু জেলা ও গ্রাম পর্যায়ে পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি, প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সমন্বয় করে পদক্ষেপ গ্রহণ করাও অতিজরুরি।

প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পাওয়ার প্ল্যান্ট, বড় কারখানা ও পরিবহনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে চলমান নীতিগত পদক্ষেপগুলো যদি দক্ষিণএশিয়াজুড়েও সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়, তাহলেও শুধুমাত্র পিএম২.৫ হ্রাসের মতো আংশিক সাফল্য আসবে। বৃহত্তর অর্জনের লক্ষ্যে অন্যান্য খাত- বিশেষ করে ছোট উৎপাদন, কৃষি, আবাসিক রান্না এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ওপরও নীতিনির্ধারকদের দৃষ্টি দেয়া উচিৎ।

;

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন রাষ্ট্রপতি

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুর গেলেন রাষ্ট্রপতি

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

আট দিনের এই সফরে রাষ্ট্রপ্রধানের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল আই সেন্টারে চোখের চিকিৎসা করার কথা রয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, কূটনৈতিক কোরের ডিন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তিন বাহিনীর প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানান।

সফরে রাষ্ট্রপতির পত্নী রাশিদা খানম এবং বঙ্গভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা আবদুল হামিদের সঙ্গে রয়েছেন।

কর্মসূচি অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির ৫ এপ্রিল দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

;

রাত পোহালেই অষ্টমীর স্নান, ব্রহ্মপুত্র তীরে লাখো পুণ্যার্থী



কল্লোল রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
পূণ্যস্নানে অটো, পিকআপ ভ্যান, রিকশা, ভ্যান, মাইক্রোবাস এবং বাসে করে লোকজন আসা শুরু করেছে ঘাটে

পূণ্যস্নানে অটো, পিকআপ ভ্যান, রিকশা, ভ্যান, মাইক্রোবাস এবং বাসে করে লোকজন আসা শুরু করেছে ঘাটে

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামীকাল (বুধবার) পূণ্যতোয়া খ্যাত ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী অষ্টমীর স্নান ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে। স্নান উপলক্ষ্যে কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার ব্রহ্মপুত্র তীরে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও স্নান উৎসব কমিটি। ইতোমধ্যে হাজারো পুণ্যার্থী ব্রহ্মপুত্র তীরে উপস্থিত হতে শুরু করেছেন। উপজেলার রাজারভিটা এলাকায় বুধবার ভোর চারটা থেকে শুরু হয়ে ভোর সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত স্নাননের উত্তম লগ্ন ধার্য করা হয়েছে। তবে দিনব্যাপী স্নান চলবে।

প্রায় ৪ শত বছর ধরে প্রতিবছর চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের অষ্টমী তিথিতে এ পূণ্যস্নান সম্পন্ন করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। চিলমারীর ব্রহ্মপুত্রের এ স্থানটিকে তারা তীর্থ স্থান হিসেবে বিবেচনা করেন। হিন্দু ধর্ম মতে, এটি একটি পূণ্য কর্ম এবং এই স্নানের মাধ্যমে তাদের পাপ মোচন ঘটে। এই পাপ মোচনের অভিপ্রায়ে লাখো পুণ্যার্থী সমবেত হন ব্রহ্মপুত্র তীরে।

প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও স্নান উদযাপনে জেলা ও জেলার বাইরে থেকে ব্রহ্মপুত্র তীরে পুণ্যার্থীরা আসতে শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে হাজার হাজার পুণ্যার্থী স্নান ঘাটের আশে পাশে অবস্থান নিয়েছেন। উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের বসতভিটায় তাদের আশ্রয়্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র তীরের রমনা ঘাটের উত্তর দিক থেকে শুরু করে রাজারভিটা ভায়া রুকুনুদৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত অষ্টমীর স্নান ঘাট হিসেবে নির্ধারণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। স্নান উপলক্ষ্যে ঘাট এলাকায় দিনব্যাপী মেলার আয়োজন থাকবে। স্নান ঘাট ইজারা গ্রহণকারীকে মেলার স্থানে এ বছর ছামিয়ানা টাঙানোর ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ঘাট এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

স্নান উৎসব কমিটির দেওয়া তথ্য মতে, অষ্টমী স্নান উপলক্ষে চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র তীরে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে পূণ্যর্থীদের বিচরণ হয়। লগ্ন অনুযায়ী নিজেদের সুবিধাজনক সময়ে ধর্মীয় এ স্নান সেরে নেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। স্নান উৎসব নির্বিঘ্ন করতে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি স্নান ও মেলা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। দুর-দূরান্ত থেকে আসা পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ, ও আনসার সদস্য ছাড়াও সেচ্ছাসেবী মোতায়েনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ঐতিহ্যবাহী এই পূণ্যস্নানে অটো, পিকআপ ভ্যান, রিকশা, ভ্যান, মাইক্রোবাস এবং বাসে করে লোকজন আসা শুরু করেছে ঘাটে। পিকাপ ভ্যানে পরিবারের লোকজনদের সাথে নিয়ে এসেছেন রাজারহাটের ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘেরবাজার থেকে পঞ্চম চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, প্রতি বছর আমি পরিবার আত্নীয় স্বজনদের নিয়ে এই উৎসবে আসি। রাতে তাবু করে এখানেই রান্না করে খাবো। বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসেছেন, তাদের সাথে পরিচিত হবো।

প্রায় দুই যুগেরও পর এবছর বুধবার স্নান অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি পুণ্যার্থীদের জন্য পবিত্র দিন বলে জানিয়েছে স্নান উৎসব কমিটি। কমিটির সহ সভাপতি তপন কুমার এনি বলেন, ‘ এ বছর দুই লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর আগমন ঘটবে বলে আমরা ধারণা করছি। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধি সহ স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদাায়ের লোকজন পুণ্যার্থীদের নানা ভাবে সহযোগিতা করছেন। এছাড়াও স্নান ঘাট এলকার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুণ্যার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ের সহযোগিতায় আমরা এই স্নান উৎসব নিরাপদে সম্পন্ন করি।’

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, অষ্টমীর স্নান উপলক্ষ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উৎসব নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে।

;