তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর সেরা রাঁধুনি হলেন ঢাকার আইরিশ আতিয়ার



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর সেরা রাঁধুনী হলেন ঢাকার আইরিশ আতিয়ার

তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর সেরা রাঁধুনী হলেন ঢাকার আইরিশ আতিয়ার

  • Font increase
  • Font Decrease

চূড়ান্ত পর্বে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর সেরা রাঁধুনি ১৪২৯-এর বিজয়ী হলেন ঢাকার আইরিশ আতিয়ার। প্রথম রানারআপ ঢাকার সাদিয়া কামাল উর্মি এবং দ্বিতীয় রানারআপ রাজশাহীর ফেরদৌস আরা টুইনকে পেছনে ফেলে এ স্বীকৃতি অর্জন করলেন তিনি।

স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ আয়োজিত সেরা রাঁধুনির এটি ছিলো সপ্তম আসর। ‘রান্নার জগতে হয়ে উঠুন উজ্জ্বল তারকা’- এই স্লোগান নিয়ে এবারের আসরের যাত্রা শুরু হয় ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকে। বিভাগীয় রাউন্ডের অডিশনের মাধ্যমে সারাদেশ থেকে ৪০ জন নির্বাচন করার পর শুরু হয় গ্র্যান্ড অডিশন। সেখান থেকে সেরা ২০ জনকে নিয়ে শুরু হয় মহামঞ্চ বা স্টুডিও রাউন্ড।

রাজধানীর বনানীর শেরাটন ঢাকা হোটেলে আয়োজিত গ্র্যান্ড ফিনালেতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব অঞ্জন চৌধুরী। তিনি তাঁর বক্তব্যে বাংলার খাবার দিয়ে সারাবিশ্বের মানুষের মন জয় করবেন সেরা রাঁধুনিরা এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সেরা রাঁধুনি’র বিগত আসরগুলোর শীর্ষ প্রতিযোগী, দেশবরেণ্য রন্ধন বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং স্কয়ারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। এবারের আসরের বিভিন্ন পর্বে দেশি স্বাদ, পিঠা পার্বণ, স্বাদের বিশ্বভ্রমণ, উৎসবের স্বাদ, মায়ের রান্নার স্বাদ, সল্ট বেক চ্যালেঞ্জ-সহ বেশ কিছু অভিনব রান্নার পরীক্ষায় অবতীর্ণ হতে হয়েছে প্রতিযোগীদের। প্রতিটি পর্বই ছিল চমক ও নাটকীয়তায় ভরা। প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে ছিলেন আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিমান শেফ শুভব্রত মৈত্র, রন্ধন বিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা রীতা, অভিনয়শিল্পী ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। অডিশন রাউন্ডগুলোতে শেফ মৈত্র ও রাহিমা সুলতানা রীতার সাথে শেফ নাঈম আশরাফ বিচারকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রতিযোগিতায় এবারই প্রথমবারের মতো মেন্টর হিসেবে আগের আসরগুলোর শীর্ষ ৫ প্রতিযোগী দায়িত্ব পালন করেন। গ্র্যান্ড ফিনালে-র সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন শ্রাবণ্য তৌহিদা ও অভিনয়শিল্পী এফএস নাঈম। শ্রাবণ্য তৌহিদা এবারের পুরো সিজনেই উপস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন।

এবারের সেরা রাঁধুনিতে রেকর্ডসংখ্যক রেজিস্ট্রেশন হয়েছিলো। তাদের মধ্য থেকে অডিশনের পর স্টুডিও রাউন্ডের জন্য ২০ জন নির্বাচিত হন। সেরা রাঁধুনির মর্যাদা অর্জনকারী ঢাকার আইরিশ আতিয়ার পুরস্কার হিসেবে পেয়েছেন সম্মাননা স্মারক ও ১৫ লাখ টাকা। আর প্রথম ও দ্বিতীয় রানারআপ হিসেবে সাদিয়া কামাল ও ফেরদৌস আরা পাচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ টাকা ও ৫ লাখ টাকা। বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন স্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জনাব অঞ্জন চৌধুরী এবং তিন বিচারক। আর ‘সেরা বিশ’-এর অন্যান্য প্রতিযোগীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক তুলে দেনস্কয়ার ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার জনাব মোঃ পারভেজ সাইফুল ইসলাম,মাছরাঙা টেলিভিশনের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও মিডিয়াকম লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জনাবঅজয় কুমার কুন্ডু, বিশ্বনন্দিত জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ এবং জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও মিডিয়াব্যক্তিত্ব নুসরাত ইমরোজ তিশা। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যে ছিলো নাদিয়া আহমেদ ও তার দলের নৃত্য পরিবেশনা, দেশের অন্যতম নাট্যদল প্রাচ্যনাট-এর পরিবেশনায় ‘ভালোবাসার কিচেন’ শীর্ষক নাটিকা, আবু হেনা রনির কৌতুক পরিবেশনা এবং বিদ্যা সিনহা সাহা মিম ও ঈগল ড্যান্স কোম্পানির অংশগ্রহণে জমজমাট কোরিওগ্রাফি ইত্যাদি। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে আমন্ত্রিত দর্শকদের গান শোনান ইমন চৌধুরী অ্যান্ড ফ্রেন্ডস।

ক্রিয়েটিভ এজেন্সি হিসেবে সেরা রাঁধুনি ১৪২৯-এর পুরো আয়োজনটির সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধানে ছিলো মিডিয়াকম লিমিটেড। ব্রডকাস্ট পার্টনার মাছরাঙা টেলিভিশনের সাথে সেরা রাঁধুনি ১৪২৯ আয়োজনের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আরো আছে রাঙামাটি ওয়াটারফ্রন্ট রিসোর্ট।

   

নীলফামারীতে নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বিএনপি নেতা বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফয়সাল ফাহমিদ চৌধুরী কমেট ওরফে কমেট চৌধুরীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে জলঢাকা পৌরসভার মেয়র পদে উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন জলঢাকা পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কমেট চৌধুরীকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

কমেট চৌধুরী জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি হিসেবে ২০২১ সাল থেকে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এর আগে তিনি জলঢাকা পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। কমেট চৌধুরীর বাবা আনোয়ারুল কবীর চৌধুরীও জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন। বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে আসেন কমেট চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলু মারা যাওয়ায় মেয়র পদে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৮ এপ্রিল মেয়র পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;

বৈরুতে বাংলাদেশ দূতাবাসে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননের বৈরুতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় লেবাননে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এয়ার ভাইস মার্শাল জাভেদ তানভীর খান ও তার সহধর্মিনীর আমন্ত্রণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে লেবাননের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যমন্ত্রী আমিন সালাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া দেশটির তথ্যমন্ত্রী জিয়াদ মাকারি, বৈরুতের গভর্নর মারওয়ান আব্বুদ, লেবাননের জাতীয় সংসদের পররাষ্ট্র ও ইমিগ্রশন বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফাদি আলামে, অর্থনৈতিক, বাণিজ্য, শিল্প ও পরিকল্পনা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফরিদ বোস্তানি এবং লেবানন-বাংলাদেশ সংসদীয় ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের সভাপতি নাসের জাবের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া লেবাননে নিযুক্ত ৫০টির অধিক দেশের রাষ্ট্রদূত, বিভিন্ন কূটনীতিক, লেবানন সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, স্থানীয় গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও প্রবাসী বাংলাদেশিসহ দুই শতাধিক অতিথি সংবর্ধনায় যোগ দেন।

রাষ্ট্রদূত জাভেদ তানভীর খান স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসাধারণ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নানা উদাহরণ তুলে ধরেন। বিশেষ করে, তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী উদ্যোগে অর্জিত পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলসহ অন্যান্য মেগা প্রকল্পগুলো সম্পর্কে সংবর্ধনায় আসা অতিথিদের জানান।

রাষ্ট্রদূত ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প-২০৪১ সম্পর্কে সবাকে জানিয়ে দেশটির ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে লেবাননের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যমন্ত্রী আমিন সালাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের একটি রোল-মডেল হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

এ সময় বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়নের চিত্র বিশেষ করে, বাংলাদেশে বিদেশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি উপস্থাপন করে একাধিক প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়, যা অতিথিদের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

;

ময়লায় ছেয়ে গেছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত



কেএম শাহাবুদ্দিন শিহাব, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পটুয়াখালীর সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা সৈকত যেন ময়লার ভাগাড়। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলার কারণে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। এতে সৈকতের সৌন্দর্যও নষ্ট হচ্ছে। সৈকতের এমন অব্যবস্থাপনায় ক্ষোভ জানিয়েছেন ঘুরতে আসা পর্যটকরা। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সমুদ্র সৈকতে পড়ে আছে ছেঁড়া জিওব্যাগ, বোতল, পলিথিন ডাবের খোসা, প্লাস্টিকের বোতল, চিপসের প্যাকেট, সিগারেটের প্যাকেট ও খাবারের পচা অবশিষ্টাংশ সহ অসংখ্য আবর্জনা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঈদের পর থেকে পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম সঠিকভাবে চলমান না থাকা এবং পৌরসভা কর্তৃপক্ষের সঠিক তদারকির অভাবে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের এক কিলোমিটার এলাকা এখন পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। আর সৈকতের এসব ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে একটু প্রশান্তি পেতে ছুটে আসা পর্যটকরা ফিরছেন তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে। সৈকতের সৌন্দর্য ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীসহ ঘুরতে আসা পর্যটকদের।


সাতক্ষীরা তালা উপজেলা থেকে ঘুরতে আসা দম্পতি ইউসুফ ও রুবিনা বার্তা২৪.কম-কে জানান , সৈকতের পশ্চিম এবং পূর্ব দিকে যতদূর চোখ যায় শুধু ময়লা-আবর্জনা। অনেক স্থানে খাবারের পচা অবশিষ্টাংশ পড়ে আছে। এসব খাবার থেকে দুর্গন্ধ ভেসে আসছে। আজকে ২ দিন কুয়াকাটায়, কিন্তু কোনো পরিচ্ছন্ন কর্মী চোখে পড়ে নাই।

কুয়াকাটা সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি উল্লেখ করে এ দম্পতি আরও জানান, কুয়াকাটাতে এইবার ঘুরতে এসে খুবই হতাশ হলাম, এত ময়লা যা কুয়াকাটার সুনামকে ব্যহত করছে, দ্রুত সৈকতের সৌন্দর্যকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছি।


ঢাকার উত্তরা থেকে আসা জাকারিয়া জানান, সৈকতের চারদিকে নোংরা আবর্জনা। বিশেষ করে পূর্বপাশের বেঞ্চির পিছনে ডাস্টবিনগুলো অবস্থা একেবারে খাবার। চারপাশ ময়লায় সয়লাব। দুর্গন্ধে বেঞ্চে বসা দায় হয়ে পড়েছে। এর আগে এতো অপরিচ্ছন্ন ছিল না। কুয়াকাটা সৈকতটুকু সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার দাবি জানাচ্ছি।

কুয়াকাটা ফিস ফ্রাই মার্কেটের সভাপতি মোহাম্মদ মিজান জানান, ঈদের পর থেকে পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা পরিচ্ছন্নতার কাজ বন্ধ রেখেছে। যার কারণে উপায় না পেয়ে আমরা একটি ভ্যান ঠিক করে এখানের ময়লা দুরে ফেলতেছি। বিষয়টি আমরা মেয়রকে অবহিত করেছি।

কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম জানান, আমরা অচিরেই বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির পক্ষ থেকে কিছু পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দেব। বর্তমানে কুয়াকাটা পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা বীচের পরিচ্ছন্নতার কাজ করছে। বিষয়টি মেয়রকে অবহিত করা হবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচ পরিচ্ছন্ন করা হবে।

;

মোহাম্মদপুরে পানি-স্যালাইন হাতে পুলিশ, স্বস্তি পেল পথচারীরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
মোহাম্মদপুরে পানি-স্যালাইন হাতে পুলিশ, স্বস্তি পেল পথচারীরা

মোহাম্মদপুরে পানি-স্যালাইন হাতে পুলিশ, স্বস্তি পেল পথচারীরা

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। স্বস্তি ফেরাতে পরিবহনের চালক, যাত্রী ও পথচারীদের মাঝে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকায় খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ । 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ তিন রাস্তার মোড়, বাস স্ট্যান্ড, শিয়া মসজিদ ও টাউন হল এলাকায় তৃষ্ণার্ত পথচারী ও দিনমজুর মানুষের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের এ আয়োজনে প্রায় ৫ হাজার মানুষের মধ্যে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

পুলিশের এমন উদ্যোগে অনেকেই প্রশংসা করছেন। পথচারীরা বলছেন, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে রাস্তায় চলাচলে মানুষ খাবার পানি ও স্যালাইন পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন।


পুলিশের মানবিক উদ্যোগে সবাই খুশি। প্রতিটি দুর্যোগে পুলিশ জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দেয়। এছাড়াও, মোহাম্মদপুর তিন রাস্তার মোড়, বাস স্ট্যান্ড, টাউন হল ও শিয়া মসজিদ এলাকায় বাস, রিকশা, সিএনজি ও লেগুনা থামিয়ে পুলিশকে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করতে দেখা যায়।

মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা জানান, তীব্র দাবদাহের কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের সেই দিক খেয়াল করেই আমাদের ডিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশে এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চাই পথচারীরা যেন তীব্র এই রোদের মধ্যে কোনো রকম কষ্ট না হয়। সেজন্য আমরা ক্ষুদ্র এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চেষ্টা করে যাবো সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে।

এছাড়াও, খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণের সময় মোহাম্মদপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুল হক ভূঞা, ইনচার্জ (তদন্ত) তোফাজ্জল হোসেন,ইনচার্জ (অপারেশন) সবুজ রহমান ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

;