টিউবওয়েলের পানিতে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে চুরি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে টিউবওয়েলের পানিতে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দুই পরিবারের ৯ সদস্যকে অচেতন করে নগদ প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা, কাপড় ও চাউলসহ সর্বস্ব লুটে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সেই সঙ্গে ফ্রিজ থেকে মাছ-মাংস এমনকি ফল ও সবজিও নিয়ে গেছে বলে জানা যায়।

সোমবার (২০ মার্চ) বিকেলে মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিভাস সরকার নুপুর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। রোববার (১৯ মার্চ) রাতে উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের দেওভোগ গ্রামে হাতেম আলী খানের দুই ছেলের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত রোববার দুপুরের দিকে সাহায্য চাওয়ার জন্য দুই মহিলা ওই বাড়িতে যান। হাত-মুখ ধোয়ার কথা বলে তারা দুইটি টিউবওয়েল ব্যবহার করেন। সকলের আড়ালে তারা টিউবওয়েলের ভেতরে পানিতে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে দেন। পরবর্তীতে সেই টিউবওয়েলের পানি ব্যবহার করে দুই বাড়িতে দুপুরের রান্না ও পান করে।

এদিকে নেশামিশ্রিত পানি পান করায় বিকালে মো. মিলন খান, মোমিন খান, জিসান, মেহেদী, নিলুফা, ঝুমা, লিমা, মিথিলা, মিনাসহ দুই পরিবারের ৯ সদস্য অসুস্থ অনুভব করে। পরে রাতে অচেতন হয়। এ সুযোগে চোরচক্র সিঁধ কেটে তাদের ঘরে প্রবেশ করে নগদ প্রায় ৫০-৬০ হাজার টাকা, কাপড়, চাউলসহ সর্বস্ব লুটে নেয়াসহ ফ্রিজ থেকে মাছ-মাংস এমনকি ফল ও সবজিও নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

   

আজ ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

১৭৫৭ সালে পলাশির আম্রকাননে বাংলার স্বাধীনতার শেষ সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। ২১৪ পর একাত্তরের ১৭ এপ্রিল পলাশি থেকে ৭০ কি.মি দূরে বৈদ্যনাথতলা তথা মুজিবনগর আম্রকাননে বাংলার সূর্য় উদিত হয়েছিল।

আজ ১৭ এপ্রিল ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে তখনকার মেহেরপুর মহকুমার বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার শপথ নেয়। পাশাপাশি এ দিন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র অনুমোদিত হয়।

দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন নানা কর্মসুচী গ্রহণ করেছে।

জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপেুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন বলেছেন, বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রামের দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় ১৭ এপ্রিল এক স্মরণীয় দিন। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদ্‌যাপনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারবে এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে অবদান রাখবে।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যার পর বাংলাদেশের অস্থায়ী সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা সমবেত হন। যুদ্ধের গতি বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক মহলের সমর্থন আদায়ে একটি সরকার গঠনের প্রয়োজনীয়তা সর্বসম্ততিক্রমে অনুমোদিত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগের নিরষ্কুশ জয় পান। এ নির্বাচনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে ১০ এপ্রিল একটি সরকার গঠন করার সিদ্ধান্তে উপনীত হন বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচরেরা।

পাকিস্তানের কারাগারেবন্দি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেন। আরও সিদ্ধান্ত হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, যিনি বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করবেন। তাজউদ্দীন আহমদ যুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে থাকবেন। সেদিনই গভীর রাতে (১১ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের কোনো এক অজ্ঞাত স্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দীন আহমদের রেকর্ড করা একটি ভাষণ গোপন বেতার কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রচারিত হয়। এই বেতার ভাষণের মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের সরকার বিশ্ববাসীর সামনে আত্মপ্রকাশ করে। অস্থায়ী সরকারের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ও শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি হওয়ার কথা ছিল ১৪ এপ্রিল ১৯৭১, চুয়াডাঙ্গায়। কিন্তু সেই গোপন সিদ্ধান্তটি সংবাদপত্রে ফাঁস হয়ে যায়। ফলে পাকিস্তানি সেনারা প্রবল বোমাবর্ষণ করে ওই স্থানে। আর এতে ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা।

মুজিবনগরে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকারী ১২ মধ্যে বেঁচে আছেন মাত্র ২ আনসার সদস্য।

মেজর আবু উসমান চৌধুরীর পৌঁছাতে বিলম্ব হওয়ায় ক্যাপ্টেন মাহবুব উদ্দীন আহমেদ ইপিআর আনছারের একটি ছোট্ট দল নিয়ে নেতৃবৃন্দকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন।

গার্ড অব অনার শেষে স্থানীয় শিল্পীদের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। বাকের আলীর কোরআন তেলাওয়াত এবং ভবরপাড়া গ্রামের পিন্টু বিশ্বাসের বাইবেল পাঠের মাধ্যমে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম।

এরপর আওয়ামী লীগের চিফ হুইফ অধ্যাপক মো. ইউসুফ আলী বাংলার মুক্ত মাটিতে স্বাধীনতাকামী কয়েক হাজার জনতা এবং শতাধিক দেশি-বিদেশি সাংবাদিকের সামনে দাঁড়িয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

ঐতিহাসিক সেই স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে চিফ হুইফ অধ্যাপক ইউসুফ আলী রাষ্ট্রপ্রধান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্র প্রধান হিসেবে সৈয়দ নজরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান।

এরপর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজ উদ্দীন আহমেদের নাম ঘোষণা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শক্রমে মন্ত্রী পরিষদের সদস্য আইন, সংসদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে খন্দকার মোশতাক আহমদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এএইচএম কামরুজ্জামান এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং শপথ পাঠ করান।

মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে কর্নেল এম এ জি ওসমানী এবং সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ পদে কর্নেল আব্দুর রবের নাম ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী তাজ উদ্দীন আহমেদ উপস্থিত সকলের সামনে ৩০ মিনিটের এক উদ্দীপনাময় ভাষণ দেন।

তিনি বলেন, আজ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হবে এ বৈদ্যনাথতলা এবং এর নতুন নাম হবে মুজিবনগর। তিনি বিশ্ববাসীর কাছে নতুন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিদান ও সামরিক সাহায্যের আবেদন জানান। সেদিন থেকেই বৈদ্যনাথতলা মুজিবনগর নামে পরিচিত।

বক্তৃতা এবং শপথগ্রহণ পর্ব শেষে নেতৃবৃন্দ মঞ্চ থেকে নেমে এলে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতিকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন মেজর আবু উসমান চৌধুরী। উপস্থিত জনতার মূহুর্মূহু জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মুজিবনগরের আম্রকানন। সব মিলিয়ে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

মুজিবনগর সরকারের নেতৃত্বেই টানা ৯ মাস যুদ্ধ শেষে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলার স্বাধীনতা। বিশ্বের মানচিত্রে ঠাঁই করে নেয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

;

টাঙ্গাইলে ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের বাসাইলে গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নাইকানীবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ঈশ্বরগঞ্জ বাজার বণিক সমবায় সমিতির উদ্যোগে এই লাঠি খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাক-ঢোলের বাজনায়, গানের তালে তালে যেন এ আনন্দময় উৎসবের আয়োজন। ঢাক-ঢোল আর কাঁসার ঘন্টার তালে তালে চলে লাঠির কসরত। লাঠির আঘাত থেকে নিজেকে রক্ষা ও পাল্টা আঘাত করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন লাঠিয়ালরা। তাতে দেখে উৎসাহ দিচ্ছেন দর্শকরা। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই এসেছেন লাঠি খেলা দেখতে।

লাঠিয়াল সুভাষ বলেন,আমি ৪০ বছর ধরে লাঠি খেলা খেলি। লাঠি খেলার অনেক নাম আছে।এই খেলাটি আমরা ধরে রেখেছি।দর্শক লাঠি খেলা দেখে খুশি হয়। আমরা অনেক জায়গায় লাঠি খেলা খেলতে যাই। লাঠি খেলার মধ্যে দিয়ে আমরা দর্শকদের মাঝে হাসি খুশি ভাবে থাকি।

আরেক লাঠিয়াল পরেশ সরকার বলেন, আমার বাপ-দাদারা লাঠি খেলা খেলতো। তাদের কাছেই এই খেলা শিখেছি। শুধু পহেলা বৈশাখে লাঠি খেলা খেলি না। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে লাঠি খেলায় অংশ নেই।

লাঠি খেলা দেখতে আসা বাসাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম মিয়া বলেন, লাঠি খেলা আগে গ্রাম বাংলার আনাচে কানাচে হতো। এখন সেই লাঠি খেলা বিলুপ্তির পথে। এই লাঠি খেলা দেখতে অনেক মানুষ এসেছেন। লাঠি খেলা আমাদের ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনুক। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য ফিরে আসুক। আমরা এটাই আশা করি।

উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী অলিদ ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রাম বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতির একটি অন্যতম বাহন হলো লাঠি খেলা। শুধু লাঠি খেলা নয় বাঙ্গালী সংস্কৃতির প্রতিটি খেলায় আমাদের কাছে থেকে বিলুপ্তি হয়ে যাচ্ছে। বাঙ্গালী সংস্কৃতি যুব সমাজের মাঝে তুলে ধরতে পারলে নেশা, মাদক, সন্ত্রাস মুক্ত থাকবে।

;

ধামরাইয়ে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে মৎস খামারির মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা জেলার ধামরাইয়ে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে আবু কাশেম (৪২) নামে এক মৎস ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের কিশোরী নগর এলাকায় এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।

হাসপাতালে নেওয়ার পথে গাড়িতেই তার মৃত্যু হয়। মৃত আবু কাশেম ধামরাইয়ের সুতিপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব বালিথা এলাকার মৃত সমেজ উদ্দিনের ছেলে।

মৃতের পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে নিজের চাষের পুকুরে মাছ ধরতে যান কাশেমসহ আরও চারজন। বিকেলের দিকে বৃষ্টি শুরু হলে আশ্রয় নিতে তারা পার্শ্ববর্তী একটি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা সোয়া ৩টার দিকে বিকট শব্দে বজ্রপাত হলে হাঁটার পথেই ছিটকে পড়ে আহত হন কাশেম। উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী শামীম আহমেদ বলেন, আমরা মাছ ধরছিলাম। তখন বৃষ্টি নামে। আশ্রয় নিতে আমরা পাশের একটি বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। কাশেম ছিল সবার সামনে, ১০ গজ দূরে একজন আর ২০-২৫ গজ দূরে আমি আমার পেছনে অপরজর। তখনই বিকট শব্দে নীল রংয়ের একটা কিছু কাশেমের ঠিক কাছেই পড়ে। কাশেম মাটিতে পড়ে যায়। আমরাও পড়ে যাই। এরপর কয়েক মিনিট পর তাকে নিয়ে পাশের একটি বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেই। তারপর তাকে পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মৃতের ছেলে মো. মাসুদ রানা বলেন, দুপুরের দিকে বাবা মাছ ধরতে পুকুরে যান। তিনটার দিকে শুনতে পারি বজ্রপাতের সময় তিনি পড়ে যান। হাসপাতালের নেওয়ার সময় জয়পুরা এলাকায় গাড়িতে তার মৃত্যু হয়। পরে বাড়ি ফিরে আসি।

৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আবু তাহের সরদার বলেন, বজ্রপাতের সময় বিকট আওয়াজে সে ছিটকে পড়ে যায়। তখন তার সঙ্গে আরও চারজন ছিল। তারাই পরবর্তীতে তাকে উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় সে মারা যায়। বিষয়টি শুনে উপজেলা প্রশাসন তার পাশে দাঁড়িয়েছে। আমরাও তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো।

এ ঘটনায় খবর পেয়ে মৃতের বাড়ি গিয়ে পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে ধামরাই উপজেলা প্রশাসন।

ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) খান মো. আব্দুল্লা আল মামুন বলেন, এমন ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। কাল বৈশাখী ঝড়ের সময় কোনো দুর্ঘটনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে। এখানে বজ্রপাতে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, তাতে আমরা মর্মাহত। তাদেরকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতেও তাদের সব ধরনের সহযোগীতা দেওয়া হবে।

;

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ইউপি সদস্য আহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ইউপি সদস্য আহত

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে ইউপি সদস্য আহত

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটের দুলালী সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সাইফুল ইসলাম নান্নু (৪৮) নামে সাবেক এক ইউপি সদস্য আহত।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯ টার লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতকে নিয়ে আসেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

এর আগে সন্ধ্যায় আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী বড় মালদি সীমান্তের ২১ নং পিলার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত সাইফুল ইসলাম নান্নু উপজেলার ভেলাবাড়ি ইউনিয়নের তালুক দুলালী গ্রামের মৃত গনি মিয়ার ছেলে। তিনি বেলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য।

সীমান্তবাসী জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সহায়তায় ভারতীয় গরু পাচার করতে সন্ধ্যার পরে তালুক দুলালী বড় মালদি সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে নিজের পরিচালিত চরকা বসাতে যান গরু ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম নান্নুসহ কয়েকজন রাখাল। এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) তাদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছুড়লে সাইফুল ইসলাম নান্নু গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যান। বাকিরা পালিয়ে এসে স্থানীয় জাওরানী বিজিবি ক্যাম্পের টহল দলকে খবর দিলে তারা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে ভর্তি করে।

আহত সাইফুল ইসলাম নান্নুকে দেখে তাৎক্ষণিক আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভেলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী বলেন, সাইফুল ইসলাম নান্নু বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছেন শুনে এসেছি। তিনি আমার ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য।

আদিতমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক ডা. বিক্রম চন্দ্র বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আহত সাইফুল ইসলাম নান্নুকে পিঠের নিচে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে আসে বিজিবি। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ(বিজিবি) লালমনিরহাট ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোফাজ্জল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে একজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। তার নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

;