একনেকে ৪৬০১ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
একনেকে ৪৬০১ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

একনেকে ৪৬০১ কোটি টাকার ৯ প্রকল্প অনুমোদন

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের নয়টি উন্নয়ন প্রকল্প উপস্থাপন করা হয়। এরমধ্যে নতুন প্রকল্প চারটি। বাকি পাঁচটি প্রকল্পই সংশোধিত। এই ৯ প্রকল্পে নতুন করে ১ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। ফলে ৯ প্রকল্পে মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৪ হাজার ৬০১ কোটি টাকা। এরমধ্যে ছয়টি প্রকল্পে ৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা ঋণ ও অনুদান হিসেবে দিচ্ছে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি), জাইকা, ইএনডিপি, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও বিশ্বব্যাংক।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) চলতি অর্থবছরের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) দশম সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে বিস্তারিত তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রকল্পগুলোর মধ্যে জননিরাপত্তা বিভাগের একটি, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একটি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি, স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের একটি, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের প্রকল্প রয়েছে একটি।

জননিরাপত্তা বিভাগের ‘সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রকল্পে ব্যয় বাড়ছে ২২৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। এটি মূল ব্যয়ের চেয়ে ২৮৮ দশমিক ৫০ শতাংশ বেশি। প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৩০৯ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। প্রকল্পটিতে ৩৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে দিচ্ছে জাপান।

জানা গেছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে ২০১৯ সালে একটি প্রকল্প নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল পুলিশের জন্য ৩৫টি বিশেষ যানবাহন কেনা। এজন্য ব্যয় ধরা হয় ৭৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। বাস্তবায়ন মেয়াদ ধরা হয় ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। দুই বছর মেয়াদি প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে শেষ না হওয়ায় পরবর্তী সময়ে আরও এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। তাতেও শেষ না হওয়া বাস্তবায়ন মেয়াদ আরও এক বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের ‘প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের তৃতীয় সংশোধনী প্রস্তাব করা হয়। প্রকল্পে ব্যয় বাড়বে ১৭৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৯২৮ কোটি টাকা। জাইকার ৮০৭ কোটি টাকা ঋণে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল)।

এছাড়া দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরির দ্বিতীয় সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পটি অনুমোদন পেয়েছে। এতে ব্যয় ৩৭ কোটি ৪৭ টাকা বেড়ে মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ১১১ কোটি টাকা।

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পে ব্যয় বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ঢাকা কারিগরি শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পে মূল অনুমোদিত ব্যয় ধরা হয় ৮৬ কোটি টাকা। প্রকল্পটির প্রথম ও দ্বিতীয় সংশোধনীতে ৯৮ কোটি টাকা ব্যয় অনুমোদন করা হয়। এখন তৃতীয় সংশোধন প্রস্তাবে দুই কোটি টাকা কমিয়ে ৯৬ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়। প্রকল্পটিতে ৬৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা দিচ্ছে ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (আইডিবি)।

পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প আজ একনেক সভায় অনুমোদন করা হয়েছে। প্রকল্পটির মূল অনুমোদিত ব্যয় ছিল ১৮৬৮ কোটি টাকা। এখন সংশোধনী প্রস্তাবে ৫৮৮ কোটি টাকা বাড়িয়ে ২৪৫৭ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। প্রকল্পটিতে ২ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক।

নতুন চারটি প্রকল্পের মধ্যে- দেশে ২৫০টি সেতুর সম্ভাব্যতা সমীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ‘পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণের সমীক্ষা, দ্বিতীয় পর্যায়’ শীর্ষক প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮০ কোটি টাকা।

সংসদ সচিবালয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১১২টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের গণপূর্ত অধিদপ্তর। এতে ব্যয় হবে ৯৭ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ‘প্রজেক্ট ফর দি ইম্প্রুভমেন্ট অব ইক্যুইপমেন্ট ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে ৭৪ কোটি টাকা দেবে জাইকা। আর বাকি ২৪ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে খরচ করা হবে।

বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ প্রকল্পে তৃতীয় ধাপে ৪২৬ কোটি টাকা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সরকার দেবে ১৫৭ কোটি টাকা। বাকি ২৬৮ কোটি টাকা ইইউ এবং ইউএনডিপি দেবে ঋণ হিসেবে।

জুনে সুইজারল্যান্ডে সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আগামী ১৪-১৫ জুন অনুষ্ঠিতব্য ‘ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল’-এ যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুইজারল্যান্ড যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

‘দ্য ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট-২০২৩: সকলের জন্য সামাজিক ন্যায়’ হলো সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত, সমন্বিত এবং সংগত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলার জন্য বিশ্বব্যাপী ভয়েসের জন্য একটি উচ্চ-স্তরের ফোরাম।

এটি সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য একটি গ্লোবাল কোয়ালিশন গঠনের প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা ও অবহিত করার সুযোগ দিবে। যা আন্তর্জাতিক শ্রম অফিসের ৩৪৭তম অধিবেশনে গভর্নিং বডি স্বাগত জানিয়েছে।

একটি কূটনৈতিক সূত্র ইউএনবিকে জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ১৩-১৬ জুন সুইজারল্যান্ডের জেনেভা সফর করবেন।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ফ্রাঁসোয়া ওলান্দ, পানামার প্রেসিডেন্ট জুয়ান কার্লোস ভারেলা এবং ২০১৪ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী কৈলাশ সত্যার্থী, সেইসঙ্গে নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিকদের প্রতিনিধিসহ বেশ কয়েকজন উচ্চ-পর্যায়ের অতিথি সম্মেলনে বক্তব্য দিবেন।

দুই দিনের এই শীর্ষ সম্মেলনটি আরও টেকসই এবং ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব তৈরিতে সামাজিক ন্যায়বিচারের মূল ভূমিকা তুলে ধরবে এবং সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে এবং নীতির সুসংগততা নিশ্চিত করার জন্য বর্ধিত এবং ভাল ও ধারাবাহিক যৌথ পদক্ষেপের কৌশল নিয়ে আলোচনা করবে।

এটি অংশগ্রহণকারীদের সামাজিক ন্যায়বিচার সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং অগ্রাধিকারগুলো ভাগ করে নেওয়ার জন্য এবং তারা যে পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করছে তা প্রদর্শন করার জন্য একটি ফোরাম প্রদান করবে।

এছাড়া তারা সামাজিক ন্যায়বিচারকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আশা করা হচ্ছে যে শীর্ষ সম্মেলনের ফলাফলগুলো বৃহত্তর সামাজিক ন্যায়বিচার অর্জনের জন্য কেন্দ্রীয়তা এবং কৌশলগুলোর অন্যান্য বহুপক্ষীয় ফোরামে আলোচনাকে অবহিত করবে।

যেমন, ২০২৩ সালে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য শীর্ষ সম্মেলন, জিটুও এবং বিআরআইসিএস দেশগুলোর শীর্ষ সম্মেলন।

শীর্ষ সম্মেলনে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, জাতিসংঘের মহাসচিব, আইএলও মহাপরিচালক এবং নিয়োগকর্তা ও শ্রমিক সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা ভাষণ দিবেন।

বহুপক্ষীয় ব্যবস্থা জুড়ে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি পদক্ষেপগুলো চিহ্নিত ও সম্প্রসারিত করতে, একটি যৌথ, সুসংগত এবং সমন্বিত সম্পৃক্ততার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার জন্য সরকার ও নিয়োগকর্তা এবং শ্রমিকদের সংগঠন, জাতিসংঘের সংস্থা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর উচ্চ-স্তরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে চারটি প্যানেল আলোচনা করবে।

;

জ্বালানি তেলে সরকার সরাসরি কোনো ভর্তুকি দেয় না: প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি তেলে সরকার সরাসরি কোনো ভর্তুকি দেয় না।

বুধবার (৩১ মে) সংসদে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান।,

তিনি বলেন, সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ২০২১-২২ অর্থবছরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এমনকি সরকার দাম সমন্বয় করার পরেও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) প্রায় ২ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা লোকসান করেছে।

তিনি আরও বলেন, সরকারের কাছ থেকে কোনো ভর্তুকি না নিয়ে বিপিসি তার আগের লাভ থেকে এই ক্ষতি করেছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ২০২২-২৩ অর্থ বছরেও বিপিসির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। বিপিসি এই অর্থ বছরেও সরকারের কাছ থেকে কোনো ভর্তুকি পায়নি, এবং এটি তার আগের লাভ থেকে লোকসান বহন করছে।

চট্টগ্রাম থেকে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে নসরুল বলেন, গ্যাস খাতের উন্নয়নে গত ১৪ বছরে সাতটি বিদেশি কোম্পানি বাংলাদেশে ৩ হাজার ৪৮৩ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।

;

প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে অর্থনীতি প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে: স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রশংসনীয় অগ্রগতি অর্জন করেছে।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উন্নয়নের অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে 'অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়ন'।

বুধবার (৩১ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে 'বাজেট হেল্প ডেস্ক ২০২৩'- এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কারিগরি সহায়তায়, ডিটি গ্লোবাল ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের সহযোগিতায় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের বাজেট এনালাইসিস ও মনিটরিং ইউনিটের (বামু) বাস্তবায়নে তিনি বাজেট হেল্প ডেস্ক ২০২৩ এর উদ্বোধন করেন।

স্পিকার বলেন, সংসদ সদস্যদের বাজেট সম্পর্কিত বিভিন্ন জিজ্ঞাসার উত্তর তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে কার্যকরভাবে প্রদানে বাজেট হেল্প ডেস্ক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।

তিনি বলেন, বাজেট বিষয়ক সুনির্দিষ্ট তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে গঠনমূলক ও প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশগ্রহণের জন্য সংসদ সদস্যদের উদ্বুদ্ধ করতে এই হেল্প ডেস্ক অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।

জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং অতিরিক্ত সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডেলিগেশন অফ দি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন টু বাংলাদেশ এর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বক্তব্য প্রদান করেন।

এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্ট বিষয়ক মূখ্য বিশেষজ্ঞ ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বাজেট হেল্পডেস্কের ওপর সূচনা বক্তব্য রাখেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, সুদীর্ঘ তেরো বছর যাবৎ ধারাবাহিকভাবে বাজেট সেশনের পাশাপাশি বামু বাজেট সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যাদি প্রদান করে আসছে। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের 'স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম' প্রকল্পের আওতায় ফাইন্যান্সিয়াল ওভারসাইট কমিটি, স্থায়ী কমিটি ও বামু'র দক্ষতা উন্নয়নে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

তিনি বলেন, বামু'র সহযোগিতায় বাজেট ডিব্রিফিং সেশনে সংসদ সদস্যরা সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাজেট সম্পর্কে মূল্যবান মতামত প্রদান করতে পারে। এসময় তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নকে তাদের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।

রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাজেট প্রক্রিয়ায় সংসদের কারিগরি ও বিশ্লেষণমূলক দক্ষতার উন্নতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত বছরের মত এবছরও বাজেট হেল্প ডেস্ক সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, সুবিদ আলী ভূঁইয়া এমপি, এ বি তাজুল ইসলাম এমপিসহ সংসদ সদস্যবৃন্দ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

‘বাল্যবিয়ে নিরসনে চাই সমন্বিত উদ্যোগ’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
গোলটেবিল বৈঠক

গোলটেবিল বৈঠক

  • Font increase
  • Font Decrease

বাল্য বিয়ে হ্রাস এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে এক গোল টেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার (৩১ মে ) প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাশে (পিআইবি)র সম্মেলন কক্ষে ‘বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ: আমরা কী করছি, সমাজ ও রাষ্ট্র কী ভাবছে?’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকটি যৌথভাবে আয়োজন করে বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন ও দৈনিক সংবাদ।

বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি বলেন, অনেক সময় বাস্তবতার কারণে অভিভাবকরা সন্তানদের শিশু বয়সে বিয়ে দিয়ে দেন বা দিতে বাধ্য হন। বাল্য বিয়ে নিয়ে আইন আছে আইনে আবার কিছুটা শিথিল করা আছে, হয়তো সামনে এই শিথিলতা থাকবে না। তবে সবার সচেতনতা বাড়াতে হবে। সরকারি, বেসরকারি সংস্থা, প্রভাবশালী ব্যক্তির সমন্বয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। তবেই এ ধরনের সামাজিক ব্যধি থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।

বিভিন্ন সামাজিক বাস্তবতায় বাল্যবিয়ে নিরসনে আজো কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জন করা যাচ্ছে না। সারাদেশে বেড়েছে বাল্যবিয়ের হার। বাল্যবিয়ের কারণে শিক্ষাজীবনের শেষ হয়েছে অনেক শিক্ষার্থীর। স্কুল থেকে ঝড়ে গেছে বহু ছাত্র ছাত্রী।

করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে দেশে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পায়। মারাত্মক এই ভাইরাস শুধু জীবনকেই নয় বরং সমাজ এবং অর্থনীতিকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায়, অনেক মধ্যবিত্ত, দরিদ্র পরিবারই মেয়ে শিশুর বাল্যবিবাহের দিকে ঠেলে দিয়েছে।

বাল্যবিবাহ সবসময়ই বাংলাদেশের উন্নয়নে একটি বড় বাধা, যদিও এটি মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কিন্তু করোনাভাইরাস মহামারি সকল প্রচেষ্টার উপরই নেতিবাচিক প্রভাব ফেলছে বলে গোল টেবিল বৈঠকে বলেন বক্তারা।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, প্রতিটা অগ্রগতির মধ্যে সংকট থাকে। সেই সংকট কাটিয়ে উঠাই অগ্রগতি। বাল্যবিয়ে যে একটা সংকট এটাই আমরা আগে জানতাম না। এটা এখন আমরা জানি। এটাও আমাদের এগিয়ে যাওয়া।

বিশেষ অতিথি হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেন, বাল্যবিয়ে নিয়ে যেমন আইন আছে তেমন ফাঁকও আছে। এই ফাঁক যদি বন্ধ করা যায় তবেই বাল্য বিয়ে প্রতিরোধ করা সম্ভব। তিনি বলেন, প্রতিটা স্কুল কলেজে তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জুডো, কারাতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রাখা দরকার শুধু বাল্যবিয়ে ঠেকাতে নয়, আত্মবিশ্বাস বাড়াতে। আত্মবিশ্বাস বাড়লে এ ধরনের কর্মকাণ্ড কমে যাবে। তখন ছেলে মেয়েরা নিজেরাই নিজেরে রক্ষা করতে পারবে।

বিশেষ অতিথি মনোরগ বিশেষজ্ঞ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মাউশি) ড. সেলিম চৌধুরী বলেন, সন্তানের মনের খবর জানতে হবে। তাদের মনকে আগে বোঝাতে হবে এজন্য অভিভাবকদের গুরুত্ব অপরিসীম। বাল্যবিয়ে শুধু শারীরিক ক্ষতিই সাধন করে না, মানসিক ক্ষতিও করে। তাই শিশু কিশোরদের মনোজগত পরিচর্যা করতে হবে অভিভাবকদেরই।

বিশেষ অতিথি একুশে পদক প্রাপ্ত স্ত্রীরোগ বিশষজ্ঞ ডা, সায়েবা আক্তার বলেন, কিশোরী বয়সে শরীর মন কোনোটাই যখন তৈরি হয় না তখনই আমরা আমাদের বাচ্চাদের বিয়ে দিয়ে দেই বিশেষ করে শিশুদের। যাদের বয়স ১৮র নীচে। এ কারণে মাতৃমৃত্যু, শিশু মৃত্যু দুটোই বাড়ছে।

বিশেষ অতিথি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (রাজেট ও অডিট শাখা) মোসা. ফেরদৌসী বেগম বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাল্যবিয়ে নামক সামাজিক ব্যাধি নির্মূল করা সম্ভব হবে। এ নিয়ে প্রচুর কাজ করছে সরকার। প্রচুর কর্মসূচিও হাতে নিয়েছে। বাল্যবিয়ে আর থাকবে না।

বিশেষ অতিথি মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (পরিকল্পণা ও মূল্যায়ন) আয়শা সিদ্দিকী বলেন, বর্তমানে বাল্য বিয়ে অনেক কমেছে। কোভিডকালীন সময়ে কিছুটা বাড়লেও এখন এ বিষয়ে মানুষ সচেতন হয়ে গেছে। এখন যা হচ্ছে তা আগের তুলনায় কম।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রাণালয়ের নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রাম অফিসার হালিমা বেগম, ওয়ার্ল্ড ভিশনের পক্ষে রনেট লিও গোমেজ ও মানস বিশ্বাস টেকনিক্যাল কো-অর্ডিনেটর আরবান প্রোগ্রাম, মীর রেজাউল করিম এডভোকেসি কো-অর্ডিনেটর আরবান প্রোগ্রাম; এডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী সমন্বয়কারী, ব্লাস্ট, ফরিদপুর ইউনিট; বাল্যবিয়ের শিকার ভূক্তভোগী আফরোজা সরকার ও বিভিন্ন শিশু সংগঠনের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকবৃন্দ।

;