সুষম সার ব্যবহারে সাশ্রয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সুষম সার ব্যবহারে সাশ্রয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা

সুষম সার ব্যবহারে সাশ্রয় হবে ২০ হাজার কোটি টাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

ফসল উৎপাদনে জমিতে পরিমিত ও লাভজনক মাত্রায় সুষম সার ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন গবেষকরা। গবেষকরা জানান, সুষম সার ব্যবহারে শতকরা ৮ থেকে ১৪ ভাগ ফসল উৎপাদন বাড়ে এবং এতে বছরে বিশ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। তাঁরা বলেন, বিগত বছরসমূহে প্রতি বছর সার বাবদ সরকার প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিয়েছে। সারের আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য বৃদ্ধিতে বর্তমানে এ খাতে সরকারের ভর্তুকির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে ‘সার নীতি সংলাপ’ অনুষ্ঠানে গবেষকরা এ আহবান জানান। কৃষককে সুষম সারের ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন করার পরামর্শ দিয়েছেন সার নীতি সংলাপের প্যানেল আলোচকরা।

সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার। তিনি বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিএপি সারের ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমিয়ে আনা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে ইউরিয়ার ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। আবার ডিএপির ব্যবহারও বাড়ছে। এতে করে সারের অপচয় হচ্ছে এবং সার আমাদনির খরচও বাড়ছে।

কৃষিসচিব আরও বলেন, জমিতে এক কেজি ডিএপি সার ব্যবহার বাড়ালে ৪০০ গ্রাম ইউরিয়া সার কম ব্যবহার করলে হয়। এক্ষেত্রে টিএসপি সার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। এ বার্তাটি মাঠ পর্যায়ে না পৌঁছানোর কারণে হাজার হাজার কোটি টাকা সরকারের অতিরিক্ত খরচ করতে হচ্ছে। এজন্য মাটি পরীক্ষার মাধ্যমে অঞ্চল ভিত্তিক সার সুপারিশমালা ব্যবহার করে ফসল আবাদে সুষম সার ব্যবহারে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। সরকার পরিমিত মাত্রায় সুষম সার ব্যবহারে গবেষণা ও ব্যবস্থাপনার উপর ‘নিউট্রিয়েন্ট ম্যানেজমেন্ট ফর ডাইভারসিফাইড ক্রপিং ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় অস্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং প্রকল্প লিডার ড. রিচার্ড ডব্লিউ বেল বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের সুপারিশসহ সুষম সার ব্যবহারে কৃষকরা কতটুকু সুফল পেতে পারে, তার একটি চিত্র তুলে ধরেন। তাঁর উপস্থাপনায় উঠে আসে কৃষকরা সুষম সার ব্যবহার করলে বছরে ধান উৎপাদন বেশি হবে ৭৫ লাখ টন। সার্বিকভাবে বছরে লাভ হবে ২০ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা।

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল কাউন্সিল (বিএআরসি) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের সভাপতিত্বে প্যানেল ডিসকাশনে আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিফ) এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ড. জীবনকৃষ্ণ বিশ্বাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এর মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর চেয়ারম্যান মো. আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার এবং কৃষি উন্নয়ন ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সদস্য পরিচালক ড. মোঃ বক্তীয়ার হোসেন।

ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও বক্তা রাজবাড়ীর জীম



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
কাজী জীম

কাজী জীম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা দ্বিতীয়বারের তো রাজবাড়ী জেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী নির্বাচনের পর সেই কাজী জীম এবার ঢাকা বিভাগের শ্রেষ্ঠ বক্তা (নির্ধারিত বক্তৃতা) নির্বাচিত হয়েছে। এবার সে দেশসেরা হওয়ার লড়াইয়ে প্রতিযোগিতা করবে।

কাজী জীম রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সে উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মেছুয়াঘাটা গ্রামের কাজী হুমায়ন ও ফেরদৌসি বেগমের ছেলে। তার মা আমতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং বাবা ব্যবসায়ী।

রোববার (২৮ মে) দুপুরে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক কার্যালয়ের আয়োজনে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ঢাকা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর মো. মোনেয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ।

ঢাকা অঞ্চলের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও শ্রেষ্ঠ বক্তা কাজী জীম তার অভিব্যক্তিতে বলেন, আমার এই সফলতার জন্য আমি প্রথমেই মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। আমার এই প্রাপ্তিতে আমি বাবা-মা ও আমার শিক্ষাগুরুদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। উপজেলা পর্যায়ের বিদ্যালয়ে থেকেও যে দেশসেরা হওয়া যায় আমি সেটা অন্তরে ধারণ করে পথ চলছি এবং চেষ্টা করছি। এ সময় কাজী জীম সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।

;

ভালুকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার ৯



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের ভালুকায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২১ মামলার আসামি দুর্ধর্ষ ডাকাত সম্রাটসহ ৯ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।

শুক্রবার (২৬ মে) রাত থেকে শনিবার (২৭ মে) রাত পর্যন্ত উপজেলার একাধিক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এসময় তাদের সাথে থাকা ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ, প্রাইভেটকার ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের তথ্যমতে বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাতি করা চারটি গরুসহ উপজেলার উথুরা হাতিবেড় গ্রাম থেকে আরও দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার তারতাপাড়া গ্রামের দুলাল মন্ডলের ছেলে ২১ মামলার আসামী মো. সম্রাট (২৬), দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার মোল্লাপাড়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে মো. রাশিদুল (৩৪), পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার ধানোয়াঘাট গ্রামের মৃত আ. রহমান গোলজারের ছেলে মো. আল আমিন (৩০), সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বাকুয়া গ্রামের মৃত ঈমান আলী প্রমানিকের ছেলে আব্দুল আলিম (২২), রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলার বাগলপুর গ্রামের ইউনুছ আলী শেখের ছেলে মো. হযরত আলী শেখ (৩৪), শেরপুর জেলার শ্রীবন্দী থানার বালিয়াচন্ডি গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে মো. উকিল মিয়া (২২), জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার নতুন টুক্কারচর বড়বাড়ী গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে মো. হাবিবুর রহমান (৫৫), মাদারগঞ্জ উপজেলার সালাবান্দা গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে মো. শান্ত (৪৩), ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা গ্রামের আ. রহমানের ছেলে মো. আল আমিন (২৮)। পরে তাদের দেওয়া তথ্যমতে ভালুকা উপজেলার হাতিবেড় গ্রামের আসামী হোসেন আলীর গোয়াল ঘর থেকে চারটি গরুসহ ওই এলাকার মৃত আব্বাস আলীর ছেলে মো. হোসেন আলী (৬০) ও আব্দুল মতিন শিকাড়ীর ছেলে আল আমিনকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামাল হোসেন জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২১ মামলার আসামি দুর্ধর্ষ ডাকাত সম্রাটসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করার পর তাদের দেওয়া তথ্যমতে ডাকাতি করা ৪টি গরু সহ আরও দুই জনকে গ্রেফতার করেছি। গ্রেফতারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

;

পাঠ্যপুস্তকে ধুমপানের ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরার আহবান



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি অন্তরায় তামাক। তামাক ব্যবহারের জন্য দেশে তামাকজনিত অসংক্রামক রোগ এবং এর ফলে অপরিণত বয়সে মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তামাক সেবনজনিত রোগের চিকিৎসা বাবদ একদিকে যেমন সরকারকে স্বাস্থ্যখাতে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, অন্যদিকে তামাক চাষের ফলে উর্বর জমিতে খাদ্যশস্য চাষের সুযোগ কমে যাচ্ছে। 

রোববার (২৮ মে)  পিকেএসএফ ভবনে ‘বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩’ উপলক্ষ্যে তামাক বিরোধী জাতীয় প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত একটি সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। সেমিনারে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি, সাবেক উপাচার্য, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা. অরূপ রতন চৌধুরী, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মানস (মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা) এবং সদস্য, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটি ও জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কর্ফোস। 

সম্মাননীয় অতিথির বক্তব্যে ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এমপি পাঠ্যপুস্তকে ধুমপানের ক্ষতিকারক দিকগুলো সম্পর্কে আরো বিশদভাবে তুলে ধরার আহবান জানান এবং এ তামাকের ক্ষতিকর দিক মোকাবিলায় পারিবারিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন গড়ে তোলার ব্যাপারে জোর দেন।

ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধন প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ে শেষ করার পাশাপাশি আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। তিনি তামাক রপ্তানিতে ২৫% শুল্ক পুনর্বহাল করার দাবি তোলেন। ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ কৃষি মন্ত্রণালয়কে তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহবান জানান। ড. আহমদ বলেন পিকেএসএফ বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের আওতায় তামাক বিরোধী কার্যক্রম বিশেষ করে তামাকের জমিতে বিকল্প ফসল উৎপাদনের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

ডা. অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, ধোঁয়াযুক্ত তামাকের ব্যবহারে যিনি সরাসরি খাচ্ছেন, তার চেয়ে তার আশপাশের পরোক্ষভাবে ধোঁয়া গ্রহণকারী মানুষেরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হন। তিনি বলেন, মহিলাদের স্তন ক্যান্সার এবং শিশুদের নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস এবং হুপিং কাশির অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে পরোক্ষ ধূমপান।  তিনি বলেন, সিগারেটের ধোঁয়ায় ৭,৩৬৫ রকমের রাসায়নিক থাকে, যার মধ্যে ৭০টি রাসায়নিক কারসিনোজেনিক (মানবদেহে ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে এমন)।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন পিকেএসএফ-এর সিনিয়র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম তৌহিদ। সেমিনারে ‘টেকসই উন্নয়নে শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন: পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রজ্ঞা-এর হেড অব প্রোগ্রাম মোঃ হাসান শাহরিয়ার এবং ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলাও: পিকেএসএফ-এর প্রচেষ্টা’ শীর্ষক উপস্থাপনা প্রদান করেন ড. শরীফ আহম্মদ চৌধূরী, প্রকল্প পরিচালক, পিপিইপিপি, পিকেএসএফ। এছাড়া, অনুষ্ঠানে ‘কৃষি জমিতে আর নয় তামাক’ শীর্ষক একটি প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

পিকেএসএফ-এর সিনিয়র উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম তৌহিদ তার বক্তব্যে বলেন পিকেএসএফ-এর সমন্বিত কৃষি ইউনিট-এর মাধ্যমে কুষ্টিয়া, লালমনিরহাট ও কক্সবাজার জেলাসমূহে তামাকের পরিবর্তে বিকল্প ফসল চাষ করা হচ্ছে। এছাড়া, পিকেএসএফ-এর PACE প্রকল্পের আওতায় হালদা নদীর উজানে বিদ্যমান তামাক চাষীদেরকে বিকল্প জীবিকায়নে যুক্ত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্তকরণের কাজ করা হচ্ছে।

;

পুলিশকে আরও জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে তাদের কার্যক্রমে আরও জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন আজ রোববার (২৮ মে) দুপুরে বঙ্গভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ নির্দেশনা দেন রাষ্ট্রপ্রধান।

বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির বরাত দিয়ে প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘পুলিশ সদস্যদের কাজ যাতে জনবান্ধব হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে কাজ করতে হবে।’ জনস্বার্থে বিভিন্ন মামলার নিষ্পত্তিতে যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলেরও নির্দেশ দেন তিনি।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের ফলে সাইবার ক্রাইম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাইবার ক্রাইম মোকাবিলায় পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে প্রযুক্তি-জ্ঞানে প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে।’

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে ভবিষ্যতেও এই তৎপরতা অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক বাংলাদেশ পুলিশের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বডুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ও সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান।

;