তিস্তা ইস্যুতে নয়াদিল্লির জবাবের অপেক্ষায় ঢাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য অভিন্ন তিস্তা নদীর বিষয়ে ভারবাল নোটের জবাবের অপেক্ষায় আছে নয়াদিল্লির কাছ থেকে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে সাপ্তাহিক ব্রিফিংকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন বলেন, আমরা এখনও কোন জবাব (নোট ভারবাল) পাইনি। (নয়াদিল্লি থেকে) উত্তর পাওয়ার পর, আমরা আমাদের পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন মিডিয়াকে জানিয়েছিলেন, তিস্তায় প্রবাহ হ্রাস করার বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর ব্যাখ্যা চেয়ে বাংলাদেশ নয়াদিল্লিতে নোট ভারবাল পাঠিয়েছে। এর কয়েকদিন পর মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এ মন্তব্য করেছেন।

সাবরিন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের মাধ্যমে পানির প্রবাহ হ্রাসের বিষয়ে ভারবাল নোটটি পাঠিয়েছে এবং আন্তঃসীমান্ত অভিন্ন নদীর পানি বণ্টনের জন্য দীর্ঘ প্রত্যাশিত চুক্তি করার জন্য বাংলাদেশের বিশেষ আগ্রহরে কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

নিউইয়র্কে চলমান জাতিসংঘের পানি সম্মেলনে ঢাকা আন্তঃসীমান্ত নদীর পানি বণ্টনের বিষয়টি উত্থাপন করেছে কি না জানতে চাইলে সাবরিন বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ পানি সম্পদের টেকসই উন্নয়নের বিষয়ে দেশের জাতীয় নীতি তুলে ধরেছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়ে আলোচনায় রয়েছে। ২০১১ সালে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরের সময় ঢাকা এবং নয়াদিল্লি তিস্তা চুক্তিটি স্বাক্ষর করার জন্য নির্ধারিত ছিল। তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিরও তার সফরসঙ্গী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি চুক্তির বিরোধিতা করে শেষ মুহূর্তে সফরসঙ্গী হওয়া থেকে বিরত ছিলেন।চুক্তি না হওয়ায় হতাশা সঞ্চারিত হয় এবং সেই সময়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফর আশানুরূপ হয়নি। ভারত ও বাংলাদেশ চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্মত হলেও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের বিরোধিতার কারণে তা বাস্তবায়িত হতে পারেনি।

সাম্প্রতিক ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলায় সেচের উদ্দেশ্যে তিস্তার পানি সরানোর জন্য দুটি নতুন খাল খননের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

টেলিগ্রাফ সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার তিস্তার পানি ব্যবহার করে দুটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে, যা বাংলাদেশের ভাটির দিকে পানি প্রবাহকে প্রভাবিত করবে।

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নয়াদিল্লির সঙ্গে যে কোনো বিরোধ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।

১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা আগের মেয়াদে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা দূর করে গঙ্গার পানি বণ্টনের বিষয়ে একটি যুগান্তকারী ৩০-বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। তখন নয়াদিল্লিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন দেবগৌড়া এবং জ্যোতি বসু তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। ওই চুক্তিটি শুষ্ক মৌসুমে গঙ্গা নদীতে ন্যূনতম পানি প্রবাহ নিশ্চিত করেছিল।

   

মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধ বাণিজ্যে প্রভাব ফেলবে না: সালমান এফ রহমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা প্রদানে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধের কারণে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে উন্নয়ন পরিকল্পনা বিষয়ক একটি কনফারেন্সে অংশ নেওয়ার পর সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা সময়ে তিনি এ কথা বলেন।

মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধকে খুব ভালো বলে উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, আমি মনে করি, এটা খুব ভালো। যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে তাদেরকে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। সরকার পক্ষ থেকে আমরা সবসময় বলেছি, গতকাল প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে তার বক্তব্যেও এটা বলেছেন। তারা নিরপেক্ষ-সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে। আমরাও তাই চাই। আমরা তো বাধা দিতে চাই না। যারা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বাধা দেবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা স্যাংশন হবে।

এসময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) শুধু বাধা না, সহিংসতার কথাও বলেছে। আপনারা জানেন, প্রধান বিরোধী দল, তারা প্রকাশ্যে বলছে যে ‘আমরা নির্বাচন হইতে দিব না।’ গতকালও বলেছে যে, শেখ হাসিনার অধীন নির্বাচন হইতে দিব না। কেমনে হইতে দিবেন না? একটাই পথ, ভায়োলেন্স করে বাধা দিবেন। আমি মনে করি, যারা বাধা দিবে তাদের বিরুদ্ধে স্যাংশন দিবে। এটা খুবই ভালো। ডোনাল্ড লু যে ইন্টারভিউ দিয়েছেন সেখানে বলেছেন, বিরোধী দল, ক্ষমতাসীন দল ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য— যারা বাধা দিবে তাদের বিরুদ্ধেই নেবে

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর বলে দিয়েছে যে, স্যাংশন আসছে, সেটা বিরোধীদল, সরকারি দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। সুতরাং সবাই তালিকায় থাকছে। দেখা যাক, কাদের নাম আসে!

ইউরোপীয় ইউনিয়ন যদি পর্যবেক্ষক না পাঠায় তাহলে নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‌‌‌‌‌‌‌মোটেও না। পর্যবেক্ষক পাঠাবে কিনা, সেটা তো তাদের ব্যাপার। আমার ইলেকশন আমি সংবিধান অনুযায়ী করবো।

;

এক কেজি ইলিশের দামে দুই কেজি গরু!



মোঃ আব্দুল হাকিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর বিভাগীয় শহরের অন্যতম মাছ বিক্রয় কেন্দ্র নগরীর সাহেববাজার। এ বাজারে এখন এক কেজি ইলিশের মূল্য ১৭৫০ থেকে ১৮০০ টাকা। আর গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৭৫০ টাকায়। সে হিসেবে এক ইলিশের দামে দুই কেজিরও বেশি গরুর মাংস পাওয়া যাবে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বাজারে গিয়ে দেখা যায় নিরবতা। আগের মতো সরগরম নেই। মাত্র কয়েকজন ব্যবসায়ী কিছু ইলিশসহ অন্যান্য জাতের মাছ বিক্রি করছেন। বিক্রির জন্য নেই আগের মত হাঁকডাক। ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। অনেক ব্যবসায়ী আর শ্রমিকরা অবসরে বসে আছেন, আবার কেউ আড়তেই ঘুমাচ্ছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নদীতে মাছের পরিমাণ কমে গেছে। জেলেদের জালে মাছ আটকা পড়ছে না। সারাদিন নদীতে মাছ শিকার করে অল্প পরিমাণে নিয়ে আড়তে ফিরছেন জেলেরা। ইলিশের পরিমাণ একেবারেই কমে গেছে। দু-একটি ধরা পড়লেও তা সাইজে খুবই ছোট। একারণেই মূলত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

নগরীর শিরোইল এলাকা থেকে কয়েকজন যুবক ইলিশ কিনতে এসেছেন। দরদাম করছেন। কিন্তু তাদের বাজেটের মধ্যে না হওয়ায় কিনতে পারছেন না। আড়ত ঘুরে ঘুরে দেখছেন। প্রায় প্রত্যেক আড়তেই ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায়।

নগরীর উপশহর এলাকা থেকে বাজার করতে এসছেন আব্দুল আজিজ মিয়া। তিনি বলেন, গরু খাবো নাকি ইলিশ, দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে আছি। এক কেজি ইলিশের বিনিময়ে দুই কেজির বেশি গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে ইলিশ না খেয়ে গরু খাওয়া তো অনেক ভালো।


রাজশাহী শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইলিশ প্রতিকেজি ১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় কেজি প্র্রতি ২০০ থেকে ৩০০ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। শুধু ইলিশ মাছ নয়; ছোট বড় প্রায় সব মাছ কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কাতলা মাছ বিক্রি ১৩০০ টাকা, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে, রুই ৪০০ টাকা, চিংড়ি ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছে দাম বাড়লেও মাংসের বাজার রয়েছে স্বাভাবিক। গরুর মাংস কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। আর খাসির মাংশ ১২০০ টাকা করে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগী ১৮০ ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা।

রাজশাহীর সাহেব বাজারের মাংস বিক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, গত এক বছর ধরে গরুর মাংস সাতশত থেকে আটশো টাকার মাঝেই আছে। আমরা সব সময় চেষ্টা করি মাংসের বাজার স্বাভাবিক রাখার। যাতে করে, নিম্ন থেকে উচ্চবিত্ত সব শ্রেণি-পেশার মানুষ মাংস খেতেও কিনতে পারে।

;

‘বিদেশ থেকে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে বিদেশ থেকে যদি কোনো প্রচেষ্টা নেওয়া হয় দেশের জনগণ তা মেনে নেবে না বলে উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে তার সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দফতরে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে তিনি বর্তমানে সেখানে অবস্থান করছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসী ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু বিদেশ থেকে নির্বাচন বানচালের কোনো পদক্ষেপ জনগণ মেনে নেবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দল সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। তিনি বলেন, যদি কোন কারণে নির্বাচন বানচালের কোনো পদক্ষেপের ক্ষেত্রে যারা উদ্যোগ নেবে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

নতুন ভিসা নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি আশা করেন, বিরোধী দলসহ নির্বাচন বানচালের প্রচেষ্টাকারীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। শেখ হাসিনা বলেন, আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য এটা ভালো হবে কারণ, বিএনপি জোট ২০১৩-১৪ সালের মতো নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে কোনো অগ্নিসংযোগ করতে পারবে না।

সরকারপ্রধান আশা প্রকাশ করেন, যে দেশ ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তারা উভয় পক্ষ থেকে বা নিরপেক্ষভাবে বিষয়টি বিবেচনা করবে। তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগকে টার্গেট করলে আমার কিছু বলার নেই। কিন্তু আওয়ামী লীগ কারো শক্তির ওপর নির্ভর করে ক্ষমতায় আসেনি। আমি জনগণের শক্তি এবং তাদের ভোটে ক্ষমতায় এসেছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তারা জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, কে নিষেধাজ্ঞা দেবে বা দেবে না তা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। শেখ হাসিনা বলেন, যারা নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছেন তাদের দেশের নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া বারবার তাকে হত্যার চেষ্টা করেছেন। তা সত্বেও সরকার প্রধান হিসেবে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি খালেদা জিয়াকে কারাদণ্ড স্থগিত করে বাড়িতে থাকার এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, তার সরকার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) এর আওতা থেকে বের করে এনে নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য প্রথম আইন প্রণয়ণের পাশাপাশি তাদের সম্পূর্ণ অর্থনৈতিক স্বাধীনতা দিয়েছে।

তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য তারা স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স এবং ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রবর্তনের প্রস্তাব করেছেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে কারচুপির জন্য ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার যুক্ত করেছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে উপনির্বাচন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অসংখ্য নির্বাচন করেছে যেখানে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে।

তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে কেউ ক্ষমতায় আসতে চাইলে তাদেরকে সংকটের মুখোমুখি হতে হবে। যারা বিশৃঙ্খলা বা দেশের সংবিধান লঙ্ঘনের মাধ্যমে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করতে চায় তাদের ব্যাপারে তিনি দেশবাসীকে সতর্ক করেন।

তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের কোনো সুযোগ নেই। দুর্নীতির বিষয়ে তিনি বলেন, ব্যাপক দুর্নীতি থাকলে বাংলাদেশ বিশাল উন্নয়নের রোল মডেল হতে পারতো না। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার শুধু মেগা প্রকল্পই তৈরি করেনি, উন্নয়নকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিয়েছে।

সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনো অপপ্রচারে কান দেবেন না। তিনি বলেন, কিছু লোক আছে যারা দেশের কল্যাণ চায় না। প্রবাসীরা সচেতন থাকলে এই স্বার্থান্বেষী মহল সফল হতে পারবে না।

;

ব্রহ্মপুত্রে নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে সন্তানের জীবন বাঁচিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে নিখোঁজের ১৭ ঘণ্টা পর রিমি আঞ্জুম (৩৫) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে গফরগাঁওয়ের আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ সেতুর নিচ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে নিখোঁজ গৃহবধূ রিমি আঞ্জুমের লাশ উদ্ধারের জন্য ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ৫ সদস্যের একটি দল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। ডুবুরি দলের উদ্ধার অভিযানের এক পর্যায়ে রিমি আঞ্জুমের মরদেহ বরশিতে আটকা অবস্থায় আলতাফ হোসেন গোলন্দাজ সেতুর পিলারের কাছে ভেসে উঠে। শুক্রবার ঘটনার পর স্থানীয় ও গফরগাঁও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ২ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান করে আলো স্বল্পতা ও অক্সিজেনের অভাবে অভিযান স্থগিত করে। শনিবার সকালে ময়মনসিংহ ফায়ার সার্ভিসের ৬ সদস্যের একটি দল দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে মরদেহ উদ্ধার করে গফরগাঁও থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।

পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিনা ময়নাতদন্তে মরদেহটি হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান গফরগাঁও থানার ইনচার্জ (ওসি) ফারুক আহমেদ।

উল্লেখ্য, গফরগাঁওয়ের রাওনা ইউনিয়নের কৃষ্ণবাজার এলাকার আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে এসে নৌকা ভ্রমণ করতে নিহত রিমি আঞ্জুম, তার মেয়ে রোজা (১০), ছেলে সাদ(৩), শাশুড়ি ফাহিমা (৫০), ভাগনি তিথি (২০) ও আলামিন (২০) ব্রহ্মপুত্র নদে কাঁশবন দেখতে যান। ভ্রমণ শেষে ফিরে আসার সময় রিমি আঞ্জুমের কোলে থাকা শিশু সাদকে নিয়ে ভারসাম্য হারিয়ে পানিতে পড়ে যায়। এসময় রিমি আঞ্জুম শিশু সন্তানকে পানির উপরে তুলে ধরলে সঙ্গে থাকা আত্মীয় আলামিন ও নৌকার মাঝি সাদকে নৌকায় তুললেও তিনি পানিতে তলিয়ে যান।

;