ভারত এখন আ.লীগের প্রতি প্রসন্ন না: হাসনা মওদুদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভারত এখন আ.লীগের প্রতি প্রসন্ন না: হাসনা মওদুদ

ভারত এখন আ.লীগের প্রতি প্রসন্ন না: হাসনা মওদুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত এখন আওয়ামী লীগের প্রতি প্রসন্ন না বলে মন্তব্য করেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও উপ-রাষ্ট্রপতি এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সদস্য মরহুম ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের সহধর্মিণী সাবেক এমপি হাসনা জসীম উদ্দীন মওদুদ।  তিনি বলেন, আজকে দেশতো আমরা ভারতের হাতে দিয়েই দিয়েছি।  না চাইতে অনেক কিছু ভারত পেয়েও তারা এখন আওয়ামী লীগের প্রতি প্রসন্ন না। তারা জানে আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করেনা। একচেটিয়া ভাবে রাতের বেলা ভোটের অধিকার হরণ করে। মওদুদ সাহেবকে রাস্তায় বের হতে দেয়নি, বাজারে যেতে দেয়নি। এই কথা গুলো ভুলে গেলে চলবেনা।  এই কথা গুলো আওয়ামী লীগের আসল ইতিহাস।

মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুর ১টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব মোহাম্মদনগর গ্রামে মওদুদ আহমদের নিজ বাড়িতে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠন। 

আমেরিকার প্রসঙ্গ টেনে দলীয় নেতাকর্মিদের হাসনা মওদুদ বলেন, আমেরিকা থেকে আপনারা শুনেছেন, যদি কেউ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠানে বাধা দেয় তাহলে তার বংশধরকে কোন দিন আমেরিকায় ঢুকতে দিবেনা। এবং এটা বিরাট থাপ্পড়। কারণ এদের সবার ছেলে মেয়ে বিদেশে বাস করে।  গণতন্ত্রে কেউ যদি বাধা দেয় আপনারা শুধু ছবি তুলবেন,ভিডিও করবেন।  এ ছবি গুলো সব পশ্চিমা অ্যাম্বাসেডদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।  আমার (বাসা) ভাড়াটিয়া হলো আমেরিকান অ্যাম্বাসেডর। সুতারাং সে এ জায়গার খবর রাখবে। রাখবেনা,নিশ্চয় রাখবে। আমি আমার কাগজ পত্র সব সময় তার কাছে পাঠায়। আমার এলাকায় যদি কোন কিছু হয়। সব চেয়ে আগে খবর যাবে আমেরিকান অ্যাম্বাসেডরের কাছে।  আপনারা সবাই নির্বঘ্নে নির্দিদ্বায় ভোট করবেন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য। বাংলাদেশের গণতন্ত্র উদ্ধার প্রথম শুরু হবে নোয়াখালী ৫ আসন থেকে।   

সাবেক এমপি হাসনা মওদুদ বলেন,জিয়াউর রহমান তার জীবন দান না করলে এ দেশকে আমরা স্বাধীন ভাবে পেতাম না।  আজকে আমাদের কর্তব্য বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা। তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা। তার উপযুক্ত সন্তান তারেককে দেশে ফিরে এসে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেওয়া। এ সময় তারেককে কেন এত ভয়,এমন প্রশ্ন রাখেন হাসনা মওদুদ। 

জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ব্যক্তি গত স্মৃতিচারণ করে হাসনা মওদুদ বলেন, তিনি অত্যন্ত লাজুক হ্যান্ডসাম ছিলেন। মওদুদ আহমেদ জিয়াউর রহমানের একনিষ্ঠ-ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক বন্ধু ছিলেন এবং অনেক ভালোবাসতেন শ্রদ্ধা করতেন। অনেক রাতে জিয়াউর রহমান আমাদের ছোট্র বাসায় ফোন করতেন। আমাদের ছোট বাচ্চা ছিল। আমি একদিন ফোন ধরে বললাম আপনি এতো রাতে ফোন করেছেন। আমারও সাহস কমনা। ঊনি একটু লজ্জা পেয়ে আর ফোন করেন নাই।

হাসনা মওদুদ আরও বলেন, আজকে যে যাই বলুক অনেকে শুনেছে শহীদ জিয়া ঘোষণা দিয়েছেন স্বাধীনতার।  তার এক ডাকে পুলিশ,আর্মি সবাই  একত্রিত হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। ১৯৭১ সালের জুন মাস পর্যন্ত শহীদ জিয়া ছিলেন সেক্টর কমান্ডার-১। তারপর তিনি ছিলেন জিয়া ফোর্সের হেড। বাংলাদেশী ন্যাশনাল ইজমের প্রবক্তা ছিলেন জিয়াউর রহমান। সংবিধানে তিনি বিসমিল্লাহ সংযোজন করেছেন।  আর্মি-পুলিশে শৃঙ্খলা আনলেন। এরপর মুক্ত করলে খবরের কাগজ। চারটি খবরের কাগজ ছাড়া সব পত্রিকা শেখ মুজিবুর রহমানের সময় বন্ধ ছিল।  বাংলাদেশের সাংবাদিকেরা আজ প্রকাশ্যে সাংবাদিকতা করতে পারছে জিয়াউর রহমানর মুভমেন্টের কারণে।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের সংকটময় মুর্হূতে মওদুদ তার সাথে ছিলেন। রাতের বেলা তিনি ফোন করে করে সব খবর নিতেন। এমন একজন রাষ্ট্রপতি আমরা রাখতে পারলাম না। তাকে হারাতে হলো। আজকে জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ কোথায় উঠে যেত। শ্রমিকদের নিয়ে,কৃষি নিয়ে কথা বলতেন। ইন্ডাস্ট্রি গুলোকে মুক্ত করেছেন। তিনি সার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা।   

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ফোরকান ই আলমের সভাপতিত্বে ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ গোলাম মোমিত ফয়সাল, কবিরহাট উপজলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুর রহমান,কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু, কবিরহাট উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল হুদা ফরহাদ,বসুরহাট পৌরসভা বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন টিপু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ প্রমূখ।

 

   

পলাশে প্রাণিসম্পদ মেলা উপলক্ষে খামারিদের সম্মাননা প্রদান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, নরসিংদী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

"প্রাণি সম্পদে ভরবো দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ " এই প্রতিপাদ্যে নরসিংদীর পলাশে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ মেলা।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) এ লক্ষ্যে পলাশ উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেনারি হাসপাতালের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ শহীদ মিনার মাঠে মেলা উপলক্ষে উপজেলার খামারিদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পলাশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার মোঃ শফিকুল আলমের সভাপতিত্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল্লাহ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আয়েশা আক্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউসার আলম সরকার, প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ডাক্তার আবু তাহের, মৎস্য কর্মকর্তা শফিকুল আলম, উপজেলা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা বোরহানউদ্দিন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ সাজু আর রহমান সহ উপজেলার অন্যান্য কর্মকর্তা ও খামারীগণ উপস্থিত ছিলেন। পরে অতিথিরা মেলায় আগত খামারিদের স্টল পরিদর্শন করেন।

পরে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২০ জন খামারিদের মাঝে সম্মাননা স্বরূপ সনদপত্র প্রদান করা হয়।

;

রংপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
রংপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ

রংপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খাঁন সোহেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে রংপুরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে রংপুর মহানগর বিএনপি।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে গ্র্যান্ড হোটেল মোড়স্থ দলীয় কার্য্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামুর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সালাম, জেলা যুবদল সভাপতি নাজমুল আলম নাজু, মহানগর মহিলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রেজেকা সুলতানা ফেন্সি ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইমরান হোসেনসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এসময় বক্তারা অবিলম্বে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খাঁন সোহেলের সব মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবি জানান।

;

চিকিৎসকদের ওপর হামলা, চট্টগ্রামে ২ ঘণ্টা কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি বিএমএর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের দুই চিকিৎসকের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠন। এসময় পলাতক ও জামিনে থাকা সকল আসামিদের গ্রেফতার করে বিচারের আওয়ায় না আসনে আগামী রোববার (২১ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি সকল হাসপাতালে ২ ঘণ্টা কর্ম বিরতি পালনের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল (চমেক) কলেজ হাসপাতালে প্রধান ফটকে বিএমএর উদ্যোগে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে সভাপতিত্ব করেন বিএমএর চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি অধ্যাপক ডাক্তার মুজিবুল হক খান।

সমাবেশে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ ও চট্টগ্রাম চিকিৎসক সমিতিসহ ৯ টির বেশি সংগঠন অংশ নেয়।

সমাবেশে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. শাহীন আক্তার বলেন, গত সাতদিন ধরে আমাদের চিকিৎসকরা নানাভাবে হামলার বিচার চেয়ে আসছি। এ সময়ের মধ্যে আমরা কোনো সন্তোষজনক পদক্ষেপ দেখতে পাইনি। তাই আজকে আমরা এখানে দাঁড়িয়ে বিচার সমাবেশ করছি। আমরা চিকিৎসকরা তৈরি হয়েছি মানুষের সেবা করার জন্য। সরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও আমরা মানুষকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। না হয় আমাদের এত মানুষজনের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু সেটার জন্য আমরা যদি একটা উপযুক্ত পরিবেশ না পাই, তাহলে সব সময় আমাদের পক্ষে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে না। কারণ আমাদের সুরক্ষার প্রয়োজন এবং সুস্থ নিরাপদ পরিবেশের প্রয়োজন। আর এটা আমাদের চট্টগ্রামের সকল চিকিৎসকদের দাবি।

তিনি আরও বলেন, আমরা কখনোই রোগীদেরকে জিম্মি করে কর্মসূচি দিতে চায় না। সেজন্য আমরা এক সপ্তাহ অপেক্ষা করেছি। আমরা চাই রোগীদের সেবা করতে, আপনারা আমাদেরকে সুরক্ষা দিন। আমাদের চিকিৎসকদের উপর যারা হামলা করেছে আপনারা তাদের বিচার করুন।

সবশেষে আসামিদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল।

তিনি বলেন, আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করতে হবে। যদি তাদের গ্রেফতার না করা হয় আগামী শনিবার আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালের সামনে দুপুর ১২ টায় আয়োজিত সমাবেশে আমরা সকল চিকিৎসক উপস্থিত থেকে একাত্মতা প্রকাশ করব। আগামী ২১ এপ্রিল রোববার চট্টগ্রামের সর্বস্তরের সরকারি বেসরকারি ক্লিনিকসহ সব জায়গায় সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করা হবে। আমরা এই দুই ঘণ্টায় জরুরি সেবা বাদে কোনো প্রকার সেবা দেবো না।

তিনি আরও বলেন, এর ভেতরে যদি আমাদের দাবি মাননা হয়, আগামী মঙ্গলবার সমগ্র চট্টগ্রামে আমরা প্রাইভেট প্র্যাকটিস বন্ধ রাখবো। সেদিন শুধু বেসরকারি ক্লিনিক এবং হাসপাতালে যে রোগী ভর্তি থাকবে তাদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হবে। তবে কোনো ক্লিনিক বা বেসরকারি হাসপাতাল নতুন করে রোগী ভর্তি নেবে না। এর ভেতরেও যদি আমাদের দাবি মানা না হয় আমরা বসে পরবর্তী কর্মসূচি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।

প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল রাতে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রক্তিম দাশ ওপর এ হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এর দুই দিন পর ১৪ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে স্বজনদের হামলা শিকার হন ওই হাসপাতালের চিকিৎসক রিয়াজ উদ্দিন শিবলু।

;

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, চাঙ্গা তরমুজ ডাবের বাজার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, চাঙ্গা তরমুজ ডাবের বাজার

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, চাঙ্গা তরমুজ ডাবের বাজার

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখ শুরুর কদিন আগে থেকেই বাড়তে শুরু করেছে তাপমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরে সূর্য তার পূর্ণ উত্তাপ দিচ্ছে পৃথিবীতে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, বৈশাখের শুরু থেকে ৩৫-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করছে রাজধানী ঢাকায়। যা দাবদাহে রূপ নিয়েছে। তীব্র গরমে নাকাল হয়ে পড়ছে জনজীবন। পাশাপাশি প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের উপর পড়েছে বিরূপ প্রভাব।

তবে গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হলেও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে তরমুজ ও ডাবের বাজার। গরমে পানি স্বল্পতা রোধের সক্ষমতা ও রসালো ফল হিসেবে মানুষের চাহিদার প্রথম পছন্দ হয় তরমুজ। তবে মৌসুম শেষ হওয়ায় তরমুজের সংকট দেখা দিয়েছে বাজারে। সংকটের সাথে চাহিদা বাড়ায় দামও বেড়েছে তরমুজের।

রাজধানীর কাওরান বাজার, মগবাজার, মহাখালীসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৪০০ টাকার নিচে মিলছে না প্রতি পিস তরমুজ। কেজি দরে হিসেব করলেও প্রতি কেজি তরমুজে দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। রোজার মধ্যে কেজি প্রতি তরমুজের ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া গেলেও, এখন ৬০-৭০ টাকা কেজি দর ধরে রাখছে বিক্রেতারা।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তীব্র তাপে প্রচুর তৃষ্ণায় একেবারে নিষ্ক্রিয় হয় ওঠে শরীর। এ সময় প্রচুর পানির চাহিদা তৈরি হয়। পানির চাহিদা মেটাতে সক্ষম ফল তরমুজ। পানি স্বল্পতা রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এই ফল। তরমুজ শরীর ঠান্ডা করে, আবার শরীরে পানির চাহিদাও মেটায়। তরমুজে ৯২ শতাংশই পানি, যা সহজেই গরমকালে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা মেটাতে কাজ করে।আর এসব গুণের জন্য তরমুজ মানুষের চাহিদার প্রথম পছন্দ হয় । হঠাৎ অতিরিক্ত গরম পড়ায় সুযোগ নিচ্ছে ব্যবসায়ীরা বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।

আরিফ নামের এক ক্রেতা বলেন, তরমুজ এখন পেঁয়াজের মত হয়ে গেছে। কখনো আকাশে কখনো মাটিতে। এটা তো ইচ্ছার বলি মাত্র। একটা তরমুজ ৪০০ টাকা নিচে নাই। তাহলে গরিব মানুষ খাবে কীভাবে?

মাহমুদা বেগম নামের এক সমাজ কর্মী বলেন, গরমে তরমুজ সবার প্রিয় খাবার।  আমরা স্বস্তির জন্য কিনিতে আসলেও দামের অস্বস্তিকর অবস্থা আমাদের ভোগায়৷ খেতে হবে তাই কিনছি। এই ইচ্ছার জন্য আমরা সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকার বাজারে এখন তরমুজের সরবরাহ কম, তাতে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বেড়েছে। আড়তে দাম বৃদ্ধিতে খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে দাবি বিক্রেতাদের।

কারওয়ান বাজারের তরমুজ ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান বলেন, একটা তরমুজের দাম আমাদের হাতে নাই। চাহিদা বেশি কিন্তু সরবরাহ নাই। আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তরমুজ শেষের দিকে। দাম কমার কথা থাকলেও গরমের বেড়েছে।


আবির হোসেন নামের আরেক বিক্রেতা বলেন, ১ হাজার কেজি তরমুজ কিনেছি ৪২ হাজার টাকায়। এখন বলেন কত টাকা লাভ করব? দাম বেশি তো আর আমরা করি না। চাষিরা দাম পায় না আড়ৎদারদের লাভ হয় আমরা তো বলির পাঠা।

অন্য দিকে ডাবের দাম আকাশচুম্বী। ৫০ টাকা মূল্যের ডাব পাওয়া যাচ্ছে না ১০০ টাকায়। গত দুইদিনের ব্যবধানে ডাব প্রতি দাম বেড়েছে ৪০-৫০ টাকা। এতে অতিষ্ঠ গরমে বাধ্য হয়েই ডাব কিনছেন ক্রেতারা।

সুকুমার রায় নামের এক ক্রেতা বলেন, একটা ডাব ঈদের আগেও কিনেছি ৬০ টাকা। একি ডাব আজ ১১০ টাকা। এটা তো মগের মুল্লুক হয়ে গেছে। কিছু করার নাই আমাদের বাধ্য হয়ে কিনতে হচ্ছে।

দেশের বিভিন্ন জেলায় তাপমাত্রা তীব্র তাপপ্রবাহ বইতে পারে । এছাড়া আগামী কয়েকদিনে তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরর।


আবহাওয়াবিদ খোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলা সমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং মৌলভীবাজার জেলাসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

;