হারুন-সানজিদা-মামুনের দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি

ছবি: সংগৃহীত
রাজধানীর শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে বেদম মারধরের ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাময়িক বরখাস্ত অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন-অর-রশিদের দায় পেয়েছে তদন্ত কমিটি। পাশাপাশি পুলিশের এডিসি সানজিদা আফরিন ও তার স্বামী রাষ্ট্রপতির সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) আজিজুল হক এবং ঘটনায় যুক্ত ছাত্রলীগ নেতাদেরও দায় পেয়েছে ডিএমপি।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে তদন্ত কমিটির একটি সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ঘটে যাওয়া এ ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে বলে মনে করছে তদন্ত কমিটি। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে কমিটি বলেও জানান তিনি।
জানা গেছে, এ ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি অন্তত ৪০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে এডিসি হারুন-অর-রশিদ, এডিসি সানজিদা আফরিন, পরিদর্শক মো. গোলাম মোস্তফাও রয়েছেন।
এর আগে, এই ঘটনায় ডিএমপির বিভাগীয় তদন্তের জন্য গত ১০ সেপ্টেম্বর কমিটি গঠনের পর দুই কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। তবে, তদন্ত শেষ করতে ১৩ সেপ্টেম্বর আরও পাঁচদিন সময় চাইলে বাড়ানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে ছাত্রলীগের তিন নেতাকে মারধর করা হয়। এর মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হল শাখার সভাপতি আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ।
ভুক্তভোগী ও তাদের সহপাঠীদের অভিযোগ, পুলিশের রমনা বিভাগের তৎকালীন এডিসি হারুন-অর-রশিদ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এই দুই নেতাসহ সংগঠনটির মোট তিনজন সদস্যকে থানায় নিয়ে বেদম মারধর করেন।
এ ঘটনায় এডিসি হারুনকে ১০ সেপ্টেম্বর রমনা বিভাগ থেকে সরিয়ে ডিএমপির পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্ট বিভাগে সংযুক্ত করা হয়। একইদিন সন্ধ্যায় তাকে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়। পরের দিন ১১ সেপ্টেম্বর বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এক প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি পুলিশ অধিদফতরে তাকে সংযুক্ত করা হয়।
আবার মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনে এডিসি হারুনকে রংপুরের ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করার বিষয়ে জানানো হয়।
এ ইস্যুতে হারুনের পাশাপাশি এডিসি সানজিদা আফরিনও আলোচনায় আসেন। ছাত্রলীগ নেতা নির্যাতনসহ ব্যক্তিগত বিষয়ের বিবাদে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে স্বামীর পক্ষে অবস্থান না নিয়ে হারুনের পক্ষে তাকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে।