রাতেই তীব্র ঝড়ের পূর্বাভাস জানাল আবহাওয়া অফিস 



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাতেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ২০ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। 

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়।

এতে বলা হয়, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, ঢাকা, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট জেলার ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে দক্ষিণ বিহার এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।

এর প্রভাবে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এ ছাড়া সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

   

দাম নিয়ন্ত্রণে শিগগির আসছে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর দেশে পেঁয়াজের বাজারে রীতিমতো অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারত থেকে আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এলক্ষ্যে রোববার (১০ ডিসেম্বর) ভারতে বাংলাদেশ দূতবাসকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিঠি পাঠিয়েছে। এছাড়া দেশে যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় নিশ্চিত করতে কঠোর মনিটারিং করার জন্য সকল জেলা প্রশাসক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার ভারত পেঁয়াজ রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার প্রেক্ষিতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তবে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে সেখান থেকে বাংলাদেশে ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়। এই পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ভারত রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগেই সেখান থেকে আমদানির জন্য ৫২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়। এই পেঁয়াজ দ্রুত দেশে আনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। কিভাবে বিকল্প দেশ থেকে পেঁয়াজের আমদানি বাড়ানো যায়, সে চেষ্টা চলছে। একইসঙ্গে টিসিবির মাধ্যমে স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে পেঁয়াজ বিক্রি অব্যাহত থাকবে। দেশের সর্বত্র যৌক্তিক মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রয় নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

দেশের মানুষ কষ্ট পায় এমন কিছু করা ঠিক হবে না উল্লেখ করে তিনি ব্যবসায়ীদের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার আহবান জানান। সরকারের এই জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, কেবল সরকার সব ঠিক করে দেবে এমন ভাবাটা ঠিক নয়। ব্যবসায়ীদের বুঝতে হবে দেশের জনগণের জন্যই ব্যবসা।

তিনি আরও বলেন, ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করল আর দেশে একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেলো! এটা ব্যবসায়ীদের দায়িত্বশীল আচরণ নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।

;

সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের বৈঠক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সীমান্তবর্তী সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে বিএসএফের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে বিজিবির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) দিনাজপুরের হিলি আইসিপি বিজিবি ক্যাম্পে সীমান্ত হত্যা নিরসন, অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদক ও নারী-শিশু পাচার এবং চোরাচালানসহ বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে এ বৈঠক হয়।

এর আগে সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবির আমন্ত্রণে বিএসএফের প্রতিনিধি দল হিলি সীমান্তের শূন্যরেখায় এসে পৌঁছায়। দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রাশেদ আসগর বিএসএফের রায়গঞ্জ সেক্টর কমান্ডার ডি আই জি মহেন্দ্র সিংকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

পরে আইসিপি ক্যাম্পে বিজিবি ও বিএসএফ'র সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফের ১৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ভারতের রায়গঞ্জ সেক্টর কামান্ডার ডিআইজি মহেন্দ্র সিং এবং বিজিবির ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রাশেদ আসগর। এ সময় বিজিবি ও বিএসএফের স্টাফ অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।

দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রাশেদ আসগর জানান, বৈঠকে বিভিন্ন ইস্যুর পাশাপাশি সীমান্ত হত্যা নিরসন, মাদক ও নারী-শিশু পাচার, চোরাচালান নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ প্রতিনিধি দলটি হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট গেইট দিয়ে ভারতে ফিরে যাবেন বলে জানান তিনি।

;

বিলীনের পথে কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের অপূর্ব লীলাভূমি পর্যটন নগরী কুয়াকাটা। পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত সাগরকন্যা নামে পরিচিত এই পর্যটন কেন্দ্রটি একযুগ আগেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা ছিল। ছিল হাজার হাজার একর জায়গা নিয়ে নারিকেল, শাল, তাল, আকাশমনি, কেওড়াসহ বিভিন্ন জাতের গাছের বাগান।

বালু ক্ষয়, অব্যবস্থাপনা, যথাযথ ডাস্টবিন ব্যবস্থা না থাকা, ব্যবসায়ীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন বিষয়ে সচেতনতার অভাব এবং অপরিকল্পিত উন্নয়ন ও সাগরের ভাঙ্গনে কুয়াকাটার সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখন ধূসর হয়ে গেছে। প্রতিনিয়ত সৌন্দর্য হারাচ্ছে পর্যটন নগরী কুয়াকাটা। দেখার মতন যেন কেউই নেই।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, কুয়াকাটা সৈকতে যাওয়ার মূল সড়কের দুই পাশের সৈকত এলাকা ভেঙে এবড়ো-থেবড়ো হয়ে গেছে। সৈকত লাগোয়া পর্যটন পার্ক, মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন স্থাপনা তীব্র ভাঙনের কবলে পড়েছে। তাছাড়া সাগরের প্রবল জোয়ারের কারণে সৈকতের পূর্ব পাশের বাগান, পূর্ব দিকের জাতীয় উদ্যান ও গঙ্গামতি সৈকত এলাকায় বন বিভাগ সৃজিত বাগানের বিভিন্ন প্রজাতির গাছ উপড়ে পড়েছে। যেটি সৌন্দর্য হারানোর পাশাপাশি পর্যটকদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

এছাড়াও সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার মূল সড়কটির অন্তত ৩০ ফুট সাগরে গিলে খেয়েছে। এককথায় কুয়াকাটা সৈকতে দাঁড়ালে মনে হবে- এ যেন এক বিধ্বস্ত নগরী।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সাগরের প্রবল জোয়ারের কারণে ভাটার সময় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের ওপরের স্তরের মিহি বালু গভীর সমুদ্রের দিকে চলে যাওয়ার কারণে সৈকতটি ক্রমেই ছোট ও সরু হয়ে যাচ্ছে। কুয়াকাটা সৈকত রক্ষায় ৭৫৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব পাউবোর পক্ষ থেকে তৈরি করে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদন হয়ে কবে নাগাদ ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে, তা পাউবো নিশ্চিত করে বলতে পারেনি।

বন বিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বার্তা২৪’কে জানান, ‘সমুদ্রের প্রবল জোয়ারে সৈকত এলাকায় প্রায় ১ হাজার ৫০০ গাছ উপড়ে পড়েছে। সর্বশেষ এ বছর বর্ষা মৌসুমে সমুদ্রের কয়েক দফা জোয়ারের কারণে এসব বাগানের বেশি ক্ষতি হয়েছে। খুব দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিমিষে হারিয়ে যাবে।’

ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) সভাপতি রুম্মান ইমতিয়াজ বলেন, ‘তিন বছর ধরে এমন পদ্ধতিতে সৈকতের ভাঙন রোধ করার চেষ্টা করা হলেও তা খুব একটা কাজে আসেনি। সবচেয়ে দুঃখজনক হলো, বর্ষার সময়ে এ কাজগুলো করা হয়। এতে কেবল অর্থের অপচয় হয়েছে বলে আমরা মনে করি।’


এছাড়াও তিনি এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে বার্তা২৪’কে বলেন, কুয়াকাটা সৈকতটি একসময় সাড়ে তিন কিলোমিটার প্রশস্ত ছিল। ২০১০ সাল থেকে কুয়াকাটা সৈকত বা পর্যটন এলাকা তুলনামূলক বেশি ভাঙনের কবলে পড়েছে। বছরে গড়ে ১৫০ মিটার করে ভাঙলে গত ১৩ বছরে কমপক্ষে ১ হাজার ৯৫০ মিটার সৈকত এলাকা সাগরগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এর ফলে সৈকতের কোথাও এখন ১ হাজার ৫৫০ মিটার, আবার কোথাও ১ হাজার মিটার এবং কোনো কোনো জায়গায় সৈকতের প্রশস্ততা ৫০০ মিটারে গিয়ে ঠেকেছে। যার কারণে সৈকতের বেলাভূমির কোনো কোনো অংশে এখন আর জোয়ারের সময় হাঁটার পথ (ওয়াকিং জোন) থাকে না।


কলাপাড়া উপজেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ বিন অলীদ বলেন, ‘কুয়াকাটা সৈকত রক্ষা ও উন্নয়ন প্রকল্প নামে ৭৫৯ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করে আমরা পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছিলাম। প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে তা থেকে কিছু সংশোধন করার জন্য বলা হয়। সংশোধন করে প্রকল্প প্রস্তাবনাটি আবার জমা দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্প অনুমোদন করা হলে স্থায়ীভাবে কুয়াকাটা সৈকত রক্ষার কাজ শুরু হবে।’

প্রকল্প অনুমোদিত হয়ে কবে নাগাদ ওই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি এ কর্মকর্তা।

;

নৌকার প্রার্থীদের ওপর চাপ বাড়ালেন তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এক শতাংশ ভোটারের তথ্য গরমিলের অভিযোগে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে ৩২ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই মনোনয়ন ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শুনানিতে তিন জন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া তিনজন হলেন চট্টগ্রাম-১ (মীরসরাই) আসনের মো. গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী, চান্দগাঁও ও পাঁচলাইশের একাংশ) আসনের আবদুচ ছালাম এবং চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের এম এ মোতালেব। তিনজনই আওয়ামী লীগ নেতা। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিন জনই শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় নৌকার প্রার্থীদের লড়াইটা কঠিনই হয়ে গেল মনে করছেন অনেকে।

গত ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইয়ের সময় ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষরের মধ্যে ত্রুটিপূর্ণ থাকায় গিয়াস উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। একইদিন একই কারণে আবদুচ ছালামের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়। পরদিন ৪ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রমে এম এ মোতালেবের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয় ওই একই ত্রুটি কারণে। পরে তারা নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন।

প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর ন্যায়বিচার পেয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীই।

মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, মীরসরাইয়ের মানুষের ভালোবাসা ও তাদের অনুরোধে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি। আমি বিশ্বাস করি ৭ জানুয়ারি তারা আমাকে বিপুল ভোটে জয়ী করবেন।’

আবদুচ ছালামও একই কথা বলেন, প্রার্থিতা ফিরে পেয়ে নৌকার প্রার্থীদের ওপর চাপ বাড়ালেন তিন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় সবাই আনন্দিত। এখন নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে।’

এদিকে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর রোববার বিকেলে ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এম এ মোতালেব।

সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সভাপতি বলেন, ‘অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। এরপরও ন্যায়বিচার পেয়েছি। এতে সবাই খুশি। আশা করছি ৭ জানুয়ারি আমাকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার মানুষ বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন।’

;