ইইউর পর্যবেক্ষক না এলেও নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পর্যবেক্ষক দল না পাঠালেও নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতায় কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এখনও কিছু জানানো হয়নি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে মুহূর্তে জানাবে, আপনাদের জানিয়ে দেয়া হবে। এসময় তিনি বলেন, ইইউর পর্যবেক্ষক না এলেও নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতায় কোনো প্রভাব পড়বে না। অতীতের নির্বাচনগুলো তাই বলে।

মানবাধিকার সংস্থা ‘অধিকার’ এর সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের (এলান) কারাদণ্ডের রায়ের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিবৃতি দিয়েছে। এখন বলছে, তারা নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না। এ বিষয়ে সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, টানা গত কয়েক বছর ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গভীর হয়েছে। এনরিকে মোরার সঙ্গে সেই সংলাপ হওয়ার পর গত মার্চে আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নে গিয়েছি। তাদের পাঁচটি বিভাগের ভাইস-প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। ফিরতি সফরে, আমরা দুয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করেছিলাম, এরমধ্যে দুয়েকজন এসে ঘুরে গেছেন।

তিনি আরও বলেন, আপনারা দেখেছেন, সার্বিক অর্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক গভীর। গত নভেম্বরে বাংলাদেশ-ইইউ সম্পর্কের ৫০ বছরের মাথায় এসে প্রথম রাজনৈতিক আলোচনা হয়েছিল পদ্মায়। এরসঙ্গে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠানোকে অতি সরলীকরণ করে কোনো সিদ্ধান্তে আসার সুযোগ নেই। 

এ সময় প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সত্যতা নির্ণয়ের আহবান জানিয়ে বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিজস্ব চ্যালেঞ্জ আছে। তাঁরা নির্বাচনে আসবেন কি, আসবেন না, এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি পাঠানোর একটি বড় ক্রাইটেরিয়া বলে আমরা আগে থেকে জানি।

 
   

‘টাকা জমাচ্ছি, আল্লাহর কাছ থেকে বাবাকে কিনে আনবো’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

'টাকা জমাচ্ছি, আল্লাহর কাছ থেকে বাবাকে কিনে আনবো' কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন ২৮ অক্টোবর নিহত কনস্টেবল আমিরুল পারভেজের ৫ বছরের অবুঝ শিশু তানহা।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা অডিটোরিয়ামে 'মায়ের কান্না ও অগ্নি-সন্ত্রাসের আর্তনাদ' এর যৌথ উদ্যোগে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও এর বিচারের দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভা হয়ে উঠে এমনই নানা দুঃসহ ঘটনার সাক্ষী। পুরো পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসে নিহত পরিবারের স্বজনদের কান্না ও আহাজারিতে।

নিহত কনস্টেবলের স্ত্রী বলেন, যদি আমার মেয়েকে কেউ টাকা দেয়, সে টাকা জমায়। আমি যদি জিজ্ঞেস করি, এই টাকা দিয়ে কী করবে? মেয়ে বলে, এ টাকা দিয়ে আমি বাবাকে আল্লাহর কাছ থেকে কিনে আনবো। এই কথার পরে আমি তাকে কী উত্তর দিব? আমার কাছে তো কোনো উত্তর নেই।

গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর ফকিরাপুল এলাকায় বিএনপির সঙ্গে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য কনস্টেবল আমিরুল পারভেজ নিহত হন। এছাড়াও ২০১৩/১৪ সালে বিএনপি জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসে নিহত পরিবারের স্বজন ও ভিক্টিমরাও ছিলেন এ আলোচনা অনুষ্ঠানে। উপস্থিত হয়েছিলেন, ১৯৭৭ সালে সামরিক আদালতে বিচার হওয়া বিমান ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের স্বজনরা। ২১ এ আগস্টের গ্রেনেড হামলার স্বীকার মানুষজনও তাদের কষ্টের কথা বলে কাঁদিয়েছেন উপস্থিত দর্শনার্থীদের।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি গাড়ি নিয়ে যাবার সময় দিনাজপুরে জামায়াত-বিএনপির লোকজন পেট্রোল বোমা মেরে পুরো শরীরে আগুন ধরে যায় জানিয়ে গাড়ি চালক বিল্লাল হোসেন বলেন, আমি তো কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তি ছিলাম না। আমি তো কোনো রাজনৈতিক দলের সাথেও যুক্ত ছিলাম না। আমি আমার সংসার চালানোর জন্য গাড়ি চালায়। গাড়ি না চালালে আমার পরিবার খাবে কী? তাহলে কি আমি না খেয়ে থাকবো? আমি এখনো সুস্থ হয়ে হাঁটতে পারি না। আমার হাত, পা'সহ শারা শরীরে ব্যথা। আমার কী দোষ ছিল? আমাকে কেন পুড়তে হলো পেট্রোল বোমায়? এটাই আমার জানতে চাওয়া। 

আমাকে কেন পুড়তে হলো পেট্রোল বোমায়? 

উপস্থিত দর্শনার্থীদের প্রতি প্রশ্ন রেখে বেসরকারি চাকরিজীবী নোমান বলেন, আমার কী দোষ ছিল? ২০১৫ সালে অফিস শেষে বাসা যাবার পথে যাত্রাবাড়ীতে আমাদের গাড়ির উপর জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা পেট্রোল বোমা মারে। এতে পুরো গাড়িতে আগুন ধরে যায়। আমার পুরো শরীরেও আগুন লেগে যায়। আমি তো সাধারণ মানুষ। তাহলে আমাকে কেন পুড়তে হলো? শরীর পুড়ে যাবার অসহ্য যন্ত্রণা আজও বেড়াতে হচ্ছে আমাকে।

এসময় ভুক্তভোগীরা বিএনপি-জামায়াতের এই নৈরাজ্য বন্ধে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান। তারা বলেন, আমরা যে অসহ্য যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যাচ্ছি তা যেন আর কোনো মানুষ ভোগ না করে। আমরা এর অবসান চাই। আমরা চাই এই আগুন-সন্ত্রাসীদের কঠিন থেকে কঠিনভাবে বিচার করা হউক। এই বাংলাদেশে এমন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে কেউ যেন কোনো মায়ের বুক খালি করতে না পারে। স্ত্রী যেন তার স্বামীকে না হারায়। সন্তান যেন পিতা হারিয়ে এতিম না হয়। 

কেউ যেন কোনো মায়ের বুক খালি করতে না পারে 

সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের শাসনামলে স্বামী হারানো এক স্ত্রী বলেন, আমি জানতেও পারলাম না আমার স্বামীর কী দোষ। কেন আমার স্বামীকে বিচারের নামে প্রহসন করে হত্যা করা হলো? আমার স্বামীর লাশটা পর্যন্ত আমি দেখতে পারিনি। আমার শিশু সন্তানকে তার বাবার একটা ছবি দেখাবো, সে ছবিটি পর্যন্ত আমাকে দেয়া হয়নি। কত কান্না করলাম, কিন্তু আমার স্বামীর একটা ছবিও পেলাম না।

ভুক্তভোগীদের অসীম দুঃখের এমন অবর্ণনীয় দুঃখগাথায় ভারী হয়ে উঠে পুরো অডিটোরিয়াম। চোখের কোনায় জল নিয়ে হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে দর্শনার্থীরা। এ যেন কষ্টের সাথে কাঁধ মেলানো। দুঃখ তাড়িয়ে একে অপরকে সান্ত্বনা দেয়ার অপচেষ্টা। তবুও একটুখানি দুঃখ তাড়ানোর উপায় পেয়ে, সেটাকেই সম্বল করে সমাপ্তি আসে অনুষ্ঠানের।

;

ছোট্ট ওমরকে এমনভাবে মারতে পারলেন?



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছোট্ট ওমরকে এমনভাবে মারতে পারলেন?

ছোট্ট ওমরকে এমনভাবে মারতে পারলেন?

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই বছরের ওমর ফারুক। গোলগাল মিষ্টি চেহেরা। দেখলেই আদর করতে ইচ্ছে করবে যে কারও। সেই একরত্তি বাচ্চাটাকেই দেয়ালে আছড়ে মেরে ফেললেন পাষণ্ড মো. ইয়ামিন। লোমহর্ষক এই ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রাম নগরের ইপিজেড এলাকায়।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকালে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানিয়েছেন নগর পুলিশের বন্দর জোনের উপকমিশনার শাকিলা সোলতানা।

এর আগে, শনিবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে পুলিশ নগরীর ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের পকেট গেট এলাকা থেকে ইয়ামিনকে গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার ইয়ামিন শিশুটির মায়ের তৃতীয় স্বামী। আর নির্মম মৃত্যুর শিকার ফারুক ছিল তার মায়ের দ্বিতীয় স্বামীর সন্তান। তাই তার মাকে বিয়ে করলেও আগের সংসারের ছেলেকে সহ্য করতে পারতেন না ইয়ামিন। মায়ের অগোচরে শিশুটিকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়ে নির্যাতন করতেন ইয়ামিন। একপর্যায়ে তাকে দেয়ালে আছড়ে মেরেই ফেললেন।

ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোসেন জানান, রওশনের ছেলেকে ইয়ামিন কোনোভাবেই সহ্য করতে পারতেন না। বিষয়টি আবার রওশন বুঝতে পারতেন না। তিনি যথারীতি ছেলেকে ইয়ামিনের কাছে রেখে কারখানায় কাজে চলে যেতেন। ৬ ডিসেম্বর রওশন কাজে যাওয়ার পর ইয়ামিন শিশুটির গায়ে সিগারেটের ছ্যাঁকা দিয়েছিলেন। সেটি বুঝতে পারেননি রওশন। পরদিন ইয়ামিন শিশুটিকে ধাক্কা দিলে দেয়ালের সঙ্গে লেগে মাথার পেছনে গুরুতর আঘাত পায়।

ওইদিন বিকেলে রওশন আরা বাসায় ফিরে সন্তানকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পান। পরে দ্রুত ইয়ামিনকে সঙ্গে নিয়ে শিশুটিকে প্রথমে মা ও শিশু হাসপাতালে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। শিশুটির অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তার আইসিইউ সাপোর্টের প্রয়োজন হয়। চমেক হাসপাতালে আইসিইউ বেড খালি না থাকায় ওমর ফারুককে বেসরকারি হলি হেলথ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মারা যায় ফারুক।

ওসি বলেন, শনিবার সকালে মৃত ওমর ফারুককে হাসপাতাল থেকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ইয়ামিন তার দাফনের ব্যবস্থা করছিলেন। তখন রওশন আরা চিৎকার করে কান্না শুরু করেন এবং ছেলের মৃত্যুর জন্য ইয়ামিনকে দায়ী করতে থাকেন। তখন প্রতিবেশীরা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ইয়ামিনকে আটক করে।

এ ঘটনায় রওশন আরা ইপিজেড থানায় ইয়ামিনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। গ্রেফতার মো. ইয়ামিনের বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। ইয়ামিন রঙ মিস্ত্রির কাজ করেন।

মৃত্যুর পর ছোট্ট ওমরের কয়েকটা ছবি তুলেছেন স্থানীয়রা। মুখে যেন তখনো লেগে আছে হাসি। নীরব-নিথর শরীরের এখানে ওখানে ছোপ ছোপ কালো দাগ। এই দাগ সিগারেটের ছ্যাঁকের!

;

খালাসের অপেক্ষায় বন্দরে বিস্ফোরক বোঝাই ৬ ট্রাক



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানিকৃত ৮৪ মেট্রিক টন বিস্ফোরকসহ ২ দিন ধরে খালাসের অপেক্ষায় ৬টি ট্রাক।

শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বিস্ফোরকের এ চালানটি আমদানি করেন দিনাজপুরের গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে খালাসের অপেক্ষায় ৬টি ভারতীয় ট্রাক বেনাপোল বন্দরের ৩১ নম্বর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ডে দাঁড়িয়ে আছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বেনাপোলের মেসার্স নাজমুল অ্যান্ড ব্রাদার্স নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান পণ্য চালানটি খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বেনাপোল কাস্টমসে দাখিল করেছে। কাজ সম্পন্ন হলে ভারতীয় ট্রাক থেকে এসব বিস্ফোরক দ্রব্য খালাস করে বাংলাদেশি ট্রাকে নেওয়া হবে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) ট্রাকগুলো দিনাজপুরের উদ্দেশ্যে বেনাপোল বন্দর থেকে ছেড়ে যেতে পারে বলে জানা গেছে।

এদিকে সাধারণ ব্যবসায়ীরা জানান, মাঝেমাঝেই এসব বিস্ফোরক পণ্য এপথে আমদানি হয়ে থাকে। সাধারণ পণ্যের সাথে বন্দরে এসব বিস্ফোরকবাহী ট্রাক রাখা হয়। এসব পণ্য আরো নিরাপদ স্থানে নিয়ে দ্রুত খালাস করার ব্যবস্থা থাকা দরকার।

বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক (ট্র্যাফিক) রেজাউল করিম জানান, ভারত থেকে ৬টি ট্রাকে ৮৪ টন বিস্ফোরক আমদানি হয়। কাগজ পত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষ না হওয়ায় এখন পর্যন্ত এসব ট্রাক বন্দরে রয়েছে। খনন কাজ পরিচালনার জন্য ভারতের নাগপুর থেকে এ বিস্ফোরক দ্রব্য আমদানি করা হয়। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বন্দর এলাকায় প্রশাসনিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

;

‘মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরা মানবাধিকারের প্রেসক্রিপশন দেয়, এটিই দুর্ভাগ্য’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের দুর্ভাগ্য যে, চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই বেশি বেশি মানবাধিকারের কথা বলে, নানা প্রেসক্রিপশন দেয়।’

রোববার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে চিটাগাং জার্নালিস্ট ফোরাম ঢাকা (সিজেএফডি) আয়োজিত জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও সিজেএফডি’র সাবেক দুই প্রয়াত সভাপতি এম ওয়াহিদ উল্লাহ এবং শীলব্রত বড়–য়া’র স্মরণসভায় বিশ্ব মানবাধিকার দিবস প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'আজকে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এখন দেখা যাচ্ছে যে, যারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করে তারা মানবাধিকার নিয়ে বেশি কথা বলা শুরু করেছে। দেশে আগুনসন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা এবং অবরোধ ডেকে দিনের পর দিন মানুষকে যারা অবরুদ্ধ করে রাখতে চায়, মানুষ তাদেরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে যখন স্বাভাবিক কাজকর্ম চালায়, তখন চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে মানুষের অধিকার হরণ করে, মানবাধিকার হরণ করে তারা আবার প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে মানবাধিকারের কথা বলে। এটিই আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য।'

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ফিলিস্তিনে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, পাখি শিকার করার মতো করে মানুষ শিকার করছে, নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে ,১৮ হাজার নিহত মানুষের মধ্যে ১৩ হাজার নারী ও শিশু। সেখানে হত্যা বন্ধের বিপক্ষে যারা কথা বলে, সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালানোর জন্য যারা ইসরাইলকে অস্ত্র সরবরাহ করে, তারা আবার বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের প্রেসক্রিপশন দেয়, এটিই বিশ্ববাসীর জন্য দুর্ভাগ্য।’

প্রয়াত সাংবাদিক এম ওয়াহিদ উল্লাহ ও শীলব্রত বড়ুয়া সাংবাদিক সমাজের উজ্জ্বল মুখ ছিলেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তারা গণমাধ্যমের জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন। সাংবাদিক হিসেবে লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে থেকে পেশাগতভাবে তারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তাদের কাজ করে গেছেন।’

একটি রাষ্ট্রের বিকাশের জন্য ভালো সাংবাদিকতার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সময় রাষ্ট্র পথ হারিয়ে ফেলে। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে যারা থাকেন তারাও অনেক সময় পথ হারিয়ে ফেলে, সে ক্ষেত্রে একজন সাংবাদিক কিন্তু রাষ্ট্র যাতে সঠিকখাতে প্রবাহিত হয় এবং যারা দায়িত্বে থাকেন তারা যাতে খেই হারিয়ে না ফেলে সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। আজকে যারা সাংবাদিক সমাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা ভালো সাংবাদিক তৈরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবেন।’

;