এক কেজি ইলিশের দামে দুই কেজি গরু!



মোঃ আব্দুল হাকিম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর বিভাগীয় শহরের অন্যতম মাছ বিক্রয় কেন্দ্র নগরীর সাহেববাজার। এ বাজারে এখন এক কেজি ইলিশের মূল্য ১৭৫০ থেকে ১৮০০ টাকা। আর গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৭৫০ টাকায়। সে হিসেবে এক ইলিশের দামে দুই কেজিরও বেশি গরুর মাংস পাওয়া যাবে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বাজারে গিয়ে দেখা যায় নিরবতা। আগের মতো সরগরম নেই। মাত্র কয়েকজন ব্যবসায়ী কিছু ইলিশসহ অন্যান্য জাতের মাছ বিক্রি করছেন। বিক্রির জন্য নেই আগের মত হাঁকডাক। ক্রেতা-বিক্রেতার সংখ্যা খুবই কম। অনেক ব্যবসায়ী আর শ্রমিকরা অবসরে বসে আছেন, আবার কেউ আড়তেই ঘুমাচ্ছেন।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, নদীতে মাছের পরিমাণ কমে গেছে। জেলেদের জালে মাছ আটকা পড়ছে না। সারাদিন নদীতে মাছ শিকার করে অল্প পরিমাণে নিয়ে আড়তে ফিরছেন জেলেরা। ইলিশের পরিমাণ একেবারেই কমে গেছে। দু-একটি ধরা পড়লেও তা সাইজে খুবই ছোট। একারণেই মূলত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

নগরীর শিরোইল এলাকা থেকে কয়েকজন যুবক ইলিশ কিনতে এসেছেন। দরদাম করছেন। কিন্তু তাদের বাজেটের মধ্যে না হওয়ায় কিনতে পারছেন না। আড়ত ঘুরে ঘুরে দেখছেন। প্রায় প্রত্যেক আড়তেই ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ থেকে ১৮০০ টাকায়।

নগরীর উপশহর এলাকা থেকে বাজার করতে এসছেন আব্দুল আজিজ মিয়া। তিনি বলেন, গরু খাবো নাকি ইলিশ, দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে আছি। এক কেজি ইলিশের বিনিময়ে দুই কেজির বেশি গরুর মাংস পাওয়া যাচ্ছে। তাহলে ইলিশ না খেয়ে গরু খাওয়া তো অনেক ভালো।


রাজশাহী শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ইলিশ প্রতিকেজি ১৮০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় কেজি প্র্রতি ২০০ থেকে ৩০০ বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। শুধু ইলিশ মাছ নয়; ছোট বড় প্রায় সব মাছ কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। কাতলা মাছ বিক্রি ১৩০০ টাকা, পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে, রুই ৪০০ টাকা, চিংড়ি ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

মাছে দাম বাড়লেও মাংসের বাজার রয়েছে স্বাভাবিক। গরুর মাংস কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায়। আর খাসির মাংশ ১২০০ টাকা করে কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগী ১৮০ ও দেশি মুরগি ৪০০ টাকা।

রাজশাহীর সাহেব বাজারের মাংস বিক্রেতা আফজাল হোসেন বলেন, গত এক বছর ধরে গরুর মাংস সাতশত থেকে আটশো টাকার মাঝেই আছে। আমরা সব সময় চেষ্টা করি মাংসের বাজার স্বাভাবিক রাখার। যাতে করে, নিম্ন থেকে উচ্চবিত্ত সব শ্রেণি-পেশার মানুষ মাংস খেতেও কিনতে পারে।

   

বিশ্ব মানবিক মর্যাদা দিবসে দলিত সম্প্রদায়ের ৮ দফা দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব মানবিক মর্যাদা ও মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ৫ ডিসেম্বর 'বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠী অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম)' কুড়িগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে সকাল ১১ টায় কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে ৮ দফা দাবিতে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

কর্মসূচিতে বিভিন্ন উপজেলার রবিদাস, হরিজন ও অন্যান্য দলিত সম্প্রদায়ের শতাধিক নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন থেকে সংগঠনের জেলা সভাপতি পরেশ রবিদাস ৮ দফা দাবি ঘোষণা করেন।

এসব দাবির মধ্যে রয়েছে জাতীয় সংসদে সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনে দলিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যানুপাতে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত, জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বৈষম্য বিরোধী বিল-২০২২ অবিলম্বে পাশ, পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের পেশাগত স্বাস্থ্যঝুঁকি সুরক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি চাকুরিতে ভর্তি কোটা চালু ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঝড়ে পড়া রোধ ও উপবৃত্তির পরিমাণ বৃদ্ধি।

মানবন্ধনে সংগঠনটির জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

‘চিকিৎসা সেবায় চিরদিন পথ দেখাবে ডা. আব্দুল মালিক’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. আব্দুল মালিক (অব.) এর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর ) এক শোক বার্তায় প্রয়াত ডা. আব্দুল মালিক এর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

শোকবার্তায় তিনি বলেন, গণমানুষের চিকিৎসা সেবায় ডা. আব্দুল মালিক অসামান্য অবদান রেখেছেন। ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার জন্য চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ডা. আব্দুল মালিক আজীবন বেঁচে থাকবেন তার কর্মের মাঝে। চিকিৎসা সেবায় চিরদিন পথ দেখাবে ডা. আব্দুল মালিক। তার মৃত্যুতে দেশের চিকিৎসা সেবায় যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা সহসাই পূরণ হওয়ার নয়।

জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ডা. আব্দুল মালিক এর মৃত্যুতে একইভাবে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।

;

গাইবান্ধায় খাবারে বিষক্রিয়ায় ১৬ মাদরাসা শিক্ষার্থী হাসপাতালে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধা শহরের ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসায় রান্না করা খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে ১৫ শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অসুস্থ শিক্ষার্থীরা গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ডায়রিয়া বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) এএসএম রুহুল আমিন। শিক্ষার্থীরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে একইদিন সকালে তাদের হাসাপতালে ভর্তি করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

আবাসিক মেডিকেল অফিসার এএসএম রুহুল আমিন বলেন, সকালে গাইবান্ধার ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার ১৫ থেকে ১৬ জন শিক্ষার্থী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে। অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে তাদের সবাইকে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে (বিভাগে) তাদের চিকিৎসা চলছে।

এ সময় জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের ফুড পঁয়জোনিং (খাবারে বিষক্রিয়া) হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে, বর্তমানে তারা আশঙ্কামুক্ত রয়েছে বলেও জানান এই চিকিৎসক।

ফোরকানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসার মোহতামিম মাওলানা মানসুর রাহমান মুঠোফোনে বলেন, "মাদরাসায় প্রায় ২০০ জন বাচ্চা সবাই আবাসিকে থাকে। তারা তিনবেলাই মাদরাসার রান্না করা খাবার খায়। প্রতিদিনের মতই গত রাতেও তারা স্বাভাবিক (সাদা ভাত, ডাল ও শিম ভাজি) খাবার খেয়ে শুয়ে পড়ে। এরপর রাত দুইটার দিকে হঠাৎ কয়েকটা বাচ্চার পাতলা পায়খানা হয় এবং কয়েকটা বাচ্চা পাতলা পায়খানার সাথে বমিও করে। পরে আমরা স্যালাইনসহ প্রাথমিক ওষুধ খাওয়াই। তারপরেও পায়খানা-বমির বিষয়টি কন্ট্রোল না হওয়ায় আমরা সকালে তাদেরকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে তাদের চিকিৎসা চলছে। আমরা প্রত্যেক বাচ্চার অভিভাবকে খবর দিয়েছি।

;

গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর খেপলেন শাহাজান ওমর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর খেপলেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর।

মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) বেলা আড়াই শাহাজান ওমর নির্বাচন কমিশন ভবনে আসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে। তবে কেন নির্বাচন ভবনে এসেছেন এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ইসিতে কেন এসেছি আপনাকে কেন বলবো। আমি কেন এসেছি এই বিষয়ে আপনাদের জবাবদিহিতা করতে হবে। আমি এমনিতেই ঘুরতে এসেছি আপনাদের দেখতে এসেছি।

সাংবাদিকরা ফটো তুলতে চাইলে রেগে যান তিনি। ছবি তোলা ও প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন শাহজাহান ওমর। এমনকি সাংবাদিকদের ক্যামেরায় থাবাও মারতে যান।

আপনি আইন ভঙ্গ করেছেন কিনা? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপনি আইন জানেন? কে বললো আমি আইন ভেঙেছি।

ঝালকাঠি-১ (কাঁঠালিয়া-রাজাপুর) আসনে এমপি পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি থেকে সদ্যবহিষ্কৃত ব্যারিস্টার এম শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি তাকে শোকজ করেছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঝালকাঠি-১ আসনে নির্বাচন কমিশনের গঠন করা অনুসন্ধান কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ পল্লবেশ কুমার কুন্ডু এ আদেশ দেন। ইসি জানায়, আপনি (শাহজাহান ওমর) নির্বাচনী এলাকায় সমাবেশে যোগদান করেন এবং বক্তব্য দেন। এ সময় আপনার পাশে বন্দুক হাতে একজনকে বসে থাকতে দেখা যায়। যা রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচারণ বিধিমালা ২০০৮ এর অধীনে ৬ (ক) (গ) ও বিধি ১২ লঙ্ঘনের সামিল। তার বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ নির্বাচন কমিশনে রিপোর্ট পাঠানো হবে না, সে মর্মে আগামী বুধবারের মধ্যে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এই সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে আগাম সাক্ষাৎ করতে ইসিতে এসেছিলেন শাহজাহান ওমর বলে জানা গেছে।

এর আগে, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সমাবেশের আয়োজন করেন শাহজাহান ওমর।

সভায় উপস্থিত লোকজন জানান, কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল জলিল মিয়াজী ও সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন কবির হাওলাদারের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পরিচয় করিয়ে দিতে সমাবেশের আয়োজন করেন শাহজাহান ওমর। এ সময় বন্দুক হাতে শাহজাহান ওমরের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন কাঁঠালিয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল জলিল মিয়াজী।

এ ব্যাপারে আব্দুল জলিল মিয়াজীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক (সদ্য সাবেক) জাকির হোসেন কবির বলেছেন, বন্দুকটি আওয়ামী লীগ প্রার্থী শাহজাহান ওমরের লাইসেন্সকৃত। তিনি বক্তব্য রাখার সময় পাশে বসে থাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আ. জলিল মিয়াজীর কাছে রাখেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা এর মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করতে পারবেন না। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি।

;