‘যুবসমাজের সমস্যার সমাধানেই জাতির সম্ভাবনা নিহিত’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, যুবসমাজের সমস্যার সমাধান করলেই জাতির অনেক সমস্যা সমাধান হয়ে যায়। যুবসমাজের সম্ভাবনা বিকশিত হওয়ার মতো পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) ঢাকায় একটি অভিজাত হোটেলে সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) ও একশন এইড আয়োজিত "এড্রেসিং দ্যা ভালনারাবিলিটি এন্ড ফ্রেজিলিটি অব ইয়ং পিপল ইন বাংলাদেশ" শীর্ষক এক গোল টেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

গবেষণায় জানানো হয় বাংলাদেশের যুবকরা যেসব সমস্যার মোকাবিলা করে তা হচ্ছে গুণগত মান সম্পন্ন শিক্ষায় সুযোগ, পড়াশোনা ত্যাগ করার প্রবণতা, স্বাস্থ্য সেবার সীমিত সুযোগ, বেকারত্ব এবং কাঙ্খিত চাকরির সীমিত সুযোগ, দারিদ্রতা এবং আর্থিক অনিশ্চয়তা, লিঙ্গ বৈষম্য, প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল শিক্ষায় অপর্যাপ্ত সুযোগ, জলবায়ু ও পরিবেশ পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলা, সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবিলা ইত্যাদি। গবেষণায় যে চারটি যুবসমাজের মূল ভাবনার বিষয় হিসেবে উঠে এসেছে তা হচ্ছে বেকারত্ব, পারিবারিক কল্যাণ, গুণগত মান সম্পন্ন শিক্ষা এবং মানসম্পন্ন জীবন যাপনের সুযোগ।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ শতভাগ বিদ্যুৎায়ন এবং দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার দেশ। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ফলে। এখন যুবকরা প্রথাগত চাকরির পেছনে না ঘুরে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে তাদের জীবিকা খুঁজে নিয়েছে। তবে প্রযুক্তি শিক্ষার সুযোগ দেশের সকল অঞ্চলে সমানভাবে পৌঁছাতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকার সে লক্ষ্যে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

তাজুল ইসলাম বলেন, এই প্রকল্পগুলো যুবকদের বিভিন্ন সম্ভাবনা বিকশিত করার সুযোগ উন্মুক্ত করবে। সমস্যা মোকাবিলা করেই সামনে এগিয়ে যেতে হয়, কখনো হতাশ হওয়া যাবেনা। আজকের যুবকদের শক্তিশালী হাতই পারবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন একশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা। "এড্রেসিং দ্যা ভালনারাবিলিটি এন্ড ফ্রেজিলিটি অব ইয়ং পিপল ইন বাংলাদেশ" শীর্ষক গবেষণাটি উপস্থাপন করেন সানেমের জেষ্ঠ্য গবেষণা সহকারী ইসরাত শারমিন।