গাবতলী থেকে ছাড়ছে না বাস, ভোগান্তি কমছে না যাত্রীদের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

মাওয়া ঘাট থেকে মোটরসাইকেল ভাড়া করে গাবতলি এসেছেন মো. বিল্লাল হোসেন। ভাড়া গুনেছেন চারশো টাকা। এবার গন্তব্য সাতক্ষিরা৷ তবে গাবতলি বাস টার্মিনালে এসে বিপাকে পড়েছেন এই যাত্রী। বাস ছাড়ছে না।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর গাবতলি বাস টার্মিনালে বিল্লালের সাথে কথা হয় বার্তা ২৪.কম এর সাথে।

বিজ্ঞাপন

দুশ্চিন্তাগ্রস্থ বিল্লাল হোসেন বলেন, 'মাওয়া থেকে গাড়ি ছিলো না। মোটরসাইকেল ভাড়া কইরা আসছি। ৪০০ টাকা নিছে। এখন যাবো সাতক্ষীরা। বাসই তো ছাড়ছে না।'

বাস না ছাড়ার কারণে বিপাকে পড়া যাত্রী কেবল বিল্লাল নয়। আরও বেশ কয়েকজন যাত্রীকে এদিন সকাল থেকে গাবতলি বাস টার্মিনাল এলাকায় দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

বাস না ছাড়ার কারণ জানতে চাইলে প্রতিদিনের মতো একই বক্তব্য পরিবহন সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে, যাত্রী সংকট। যাত্রী পেলে বাস ছাড়বেন তারা।

টার্মিনাল সংশ্লিষ্টদের মতে, গাবতলি থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছাড়তে অন্তত ৩০ জন যাত্রী প্রয়োজন। এর চাইতে কম যাত্রী নিয়ে বাস ছাড়লে লোকসান গুনতে হয় তাদের।

তবে চলমান অবরোধে ১০ জন যাত্রীও পাচ্ছে না কোনো পরিবহন। ফলে বাস ছাড়া সম্ভব হচ্ছে না।

বিএনপির ডাকা পঞ্চম ধাপের অবরোধের প্রথম দিন সকালে গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে কোনো দূরপাল্লার বাস ছেড়ে যায়নি। যাত্রী পেলে সন্ধ্যার পর বাস ছাড়ার প্রস্তুতি আছে বেশ কিছু পরিবহন প্রতিষ্ঠানের।

বাস ছাড়ার ক্ষেত্রে রয়েছে আতঙ্কও। ২৮ অক্টোবরের পর রাজধানীসহ সারাদেশে দেড়শতাধিক পরিবহনে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটেছে৷ যার বেশির ভাগই যাত্রীবাহী বাস। এসব আগুনের ঘটনায় যাত্রীরা হতাহত না হলেও জনমনে চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে পারত পক্ষে অবরোধ চলাকালে দূরপাল্লার যাত্রী হচ্ছেন না কেউ। তবে অতি প্রয়োজনে যাদের এক জেলা থেকে অন্য জেলার যেতে হচ্ছে, তারা শিকার হচ্ছেন ভোগান্তির।