গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবিঃ বার্তা২৪.কম

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে দেশজুড়ে মাঠে নামে কৃষি বিভাগ। পেঁয়াজের ঘাটতি পূরণে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে বিপ্লব ঘটিয়েছেন বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকরা। চাহিদার সাথে সাথে বেড়েছে আবাদের পরিমান। তারপরও পেঁয়াজের দাম আকাশছোঁয়া। পেঁয়াজ আমদানি করতে গিয়ে ব্যয় হয় বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। তাই দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে চাচ্ছে কৃষি বিভাগ। পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে চাষ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন চাষ।

রাজশাহী জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ আবাদকৃত জমির পরিমাণ ৫৩৮ হেক্টর। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে দুর্গাপুরে। সেখানে ৭৯ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করা হয়। এছাড়া পবা উপজেলায় ৭০ হেক্টর, তানোর উপজেলায় ২০ হেক্টর, মোহনপুর উপজেলায় ৫৩ হেক্টর, বাগমারা উপজেলায় ৫৯ হেক্টর, পুঠিয়া উপজেলায় ৭৫ হেক্টর, গোদাগাড়ী উপজেলায় ৬৫ হেক্টর, চারঘাট উপজেলায় ৫৯ হেক্টর ও বাঘা উপজেলায় ৫৮ হেক্টর।

এরই মধ্যে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে মোট তিন হাজার জনকে কৃষি প্রদান প্রণোদনা দেওয়া হয়। এর মধ্যে পবা উপজেলায় পেয়েছেন ৩৫০ জন, তানোর উপজেলায় ২০০ জন, মোহনপুর উপজেলায় ৩০০ জন, বাগমারা উপজেলায় ৫৫০ জন, দুর্গাপুর উপজেলায় ৩৫০ জন, উঠিয়া উপজেলায় ৩০০ জন, গোদাগাড়ী উপজেলায় ৫০০ জন, চারঘাট উপজেলায় ২৫০ জন ও বাঘা উপজেলায় ২০০ জন। এদেরকে এই পেঁয়াজের বীজ, সার, বীজতলা করার পলিথিনসহ অন্য উপকরণ চাষীদের বিনামূল্যে দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ বলছে, অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে বীজতলা তৈরি করা। এরপর বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে রোপন করেছেন। আগামী জানুয়ারিতে বাজারে পাওয়া যাবে এই পেঁয়াজ।

কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৮ হাজার ১৪৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে জেলায় ১৬ হাজার ৭৯১ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়। উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৮২ হাজার ৭৯৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৯৯৩ হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ২০২১-২২ অর্থ বছরে ১৮ হাজার ৫৬৩ হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ৯০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছিল।

চাষীরা বলছেন, খুব অল্প খরচে ভালো ফলন পাওয়া যাচ্ছে। কৃষি বিভাগও এখন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষের বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছে। পেঁয়াজের দাম বেশি থাকায় এবার অনেকেই পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন তাই দাম বেশি। প্রতিটি মানুষ বাড়ির আশেপাশে নিজেদের খাবারের জন্য পেঁয়াজ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষীরা। দ্রুত ফলন দেওয়ায় চাষীরা এখন এই পেঁয়াজ চাষে ঝুঁকছেন। আর পেঁয়াজ চাষে ঠান্ডায় বিভিন্ন রকম রোগ-বালাই ঠেকাতে কাজ করছে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের কর্মকর্তারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে মাঠের পর মাঠজুড়ে পেঁয়াজের চারা রোপনে চাষিদের দম ফেলার সময় নেই। সারিবদ্ধভাবে পেঁয়াজ রোপন করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। মাঠে-মাঠে সবাই দল বেধে লাইন করে সকাল থেকে বিকেল অব্দি। সবাই একসাথে পেঁয়াজের জমিতে বসে পেঁয়াজের চারা রোপন করছেন। এবার পেঁয়াজের দাম ভালো হওয়ায় জেলা জুড়ে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য সব ফসলের পাশাপাশি পেঁয়াজ চাষের প্রতি গুরুত্ব দিচ্ছেন চাষীরা।

গোদাগাড়ী উপজেলার মাদারপুর গ্রামের কৃষক জামসেদ জানান, গতবছর আমি এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম। কিন্তু পেঁয়াজের দাম না পেলেও এ বছরে পেঁয়াজের অনেক দাম থাকায় এবারে ৩ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ লাগাচ্ছি।

পবা উপজেলার পেঁয়াজ চাষী তৌহিদুল ইসলামের ছেলে মো. আলামিন বাবার কাজে সাহায্য করছেন। তিনি জানান, স্কুলের পাশাপাশি পেঁয়াজ লাগানোর কাজ করছি। পেঁয়াজ লাগিয়ে প্রতিদিন তিন থেকে চারশ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এই টাকা দিয়ে বই খাতা খরচ ও সেই সাথে পরিবারের কিছু সাহায্য করতে পারছি।

বাঘা উপজেলার দুর্গম পদ্মার চরে রোপন করা খায়েরহাট এলাকার কৃষক আবদুস সালাম পেঁয়াজের জমি দেখছিলেন। সালাম জানান, চলতি মৌসুমে পদ্মার পানি আগে নেমে যাওয়ায় পেঁয়াজ আগাম রোপন করা হয়েছে। চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের বাজারমূল্য ভালো পাবেন বলে আশা করছেন। পদ্মার চরে তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছেন। এবার পদ্মার পানি আগে নেমে যাওয়ার কারণে চলতি মৌসুমে আগাম পেঁয়াজ চাষ করা হয়েছে। গত বছর তিন বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে বাজারমূল্য ভাল পেয়েছিলেন। এবারও আশানুরূপ দাম পাবেন বলে জানান।

রাজশাহী জেলায় পেঁয়াজের চাহিদা মাত্র ৬০ থেকে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন। আর প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার টন পেঁয়াজ উদ্বৃত্ত থাকবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোজদার হোসেন বলেন, দেশে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানো এবং আমদানি নির্ভরতা কমানোর জন্য গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে জোর দেওয়া হচ্ছে। রাজশাহীতে এই পেঁয়াজ চাষের আগ্রহ বাড়ছে। এতে প্রত্যাশার চেয়েও ভালে ফলাফল পাওয়া গেছে। আগামীতে চাষ আরও বাড়বে। এ বছর জেলার সবখানেই কমবেশি পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। সমতল এলাকার চেয়ে বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপন্ন হয় পদ্মার চরে। তবে পেঁয়াজ চাষিদের সব সময় পরামর্শ দেওয়া হয়।

রাজশাহী কৃষি তথ্য সার্ভিসের এআইসিও মো. এমদাদুল হক বলেন, পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষের এবং পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত ভাল। আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁয়াজ চাষ করে ফলন ও মোট উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। আর এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ চাহিদা পূরণ করা যায় এবং বাড়তি আয়, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশে প্রায় সকল মসলা ফসলের চাহিদা দেশে উৎপাদনের চেয়ে অনেক বেশি। পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে হলে মৌসুম ভিত্তিক পেঁয়াজের পাশাপাশি গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদনে তৎপর হতে হবে।

তিনি বলেন, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করতে হলে জুলাই আগস্ট মাসে বীজ থেকে চারা তৈরি করতে হয়। এখন রাজশাহীতে কোন চাষীরা বীজ তলায় চারা তৈরি করেছে কেউ কেউ মূল জমিতে চারাগুলো রোপণ করছে। চারা রোপণের ৬০-৭০ দিন পর পেঁয়াজ উত্তোলনের উপযুক্ত হয় প্রয়োজনে ১০ দিন জমিতে বেশি রাখলে ফলন একটু বেশি হয়ে থাকে। উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষি সংশ্লিষ্ট বিভাগ তৎপর রয়েছে। এ জেলায় প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ না হলে লক্ষ্য মাত্রা অর্জন হবে বলে মনে করেন তিনি।

   

ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউমের’ প্রভাবেগুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউমের’ প্রভাবেগুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা

ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউমের’ প্রভাবেগুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউমের’ প্রভাবে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় আকাশ মেঘলা রয়েছে। কোথাও কোথাও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে কিছুটা শীত অনুভুত হচ্ছে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। কোথাও কোথাও হালকা বৃষ্টি কিংবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারী সংকেত এবং দেশের অভ্যন্তরীণ নদী বন্দর সমূহকে ১নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

;

গাজীপুরের তিন উপজেলায় ইউএনওদের রদবদল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের তিন উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের রদবদল হয়েছে। সম্প্রতি ইসির দেওয়া নির্দেশনার পর জেলার কালিয়াকৈর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া উপজেলার দায়িত্বরত ইউএনও এবং সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বদলির অনুমোদন হয়।

সূত্র জানায়, গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খানকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে এবং কিশোরগঞ্জ সদরের ইউএনও মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক'কে কাপাসিয়াতে রদবদল করা হয়েছে। ঢাকার ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকীকে কালিয়াকৈর উপজেলায় এবং কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদকে ধামরাই উপজেলায় রদবদল করা হয়েছে। এবং শ্রীপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলামকে কিশোরগঞ্জের সদরে বদলি করে টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিনকে শ্রীপুরে বদলি করা হয়েছে।

গাজীপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু ফাতেহ মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

;

কুষ্টিয়ায় চাচাতো ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ঘরের জানালা-দরজা বানানোকে কেন্দ্র করে আপন চাচাতো ভাইদের হাতে মনিরুল ইসলাম মনির মিস্ত্রি (৪৮) নামে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় নিহতের ছেলেও গুরুতর আহত হয়েছে। তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসাপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের হালসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মনিরুল ইসলাম মনির মিস্ত্রি উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের হালসা গ্রামের মৃত রহিম মিস্ত্রির ছেলে।

নিহতের মেয়ে মিলি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাই আব্দুল্লাহ ঘরের দরজা এবং জানালা তৈরি করতে দেয় চাচা আমিরুলের কাছে। গতকাল রাতে জানালা নেবে না বলে বাক-বিতণ্ডা বাঁধে। একপর্যায়ে মনিরুল ইসলামের চাচাতো ভাই আমিরুল তার ভাই নাজমুল, এনামুল, মিনা ও কালু লাঠি নিয়ে বাড়িতে এসে আমার ভাই আব্দুল্লাহকে মারধর করেন। এ সময় আমার বাবা ঠেকাতে গেলে তাকেও মারধোর করেন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই আমার বাবা মারা যান। এবং আমার ভাই আব্দুল্লাহকে (২৫) গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা করেন।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, চাচাতো ভাইদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা ও সংঘর্ষের ঘটনায় মনিরুল ইসলাম মনির মিস্ত্রি নামের একজন নিহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছেন।

;

চট্টগ্রামে ডাম্পার-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক-সহকারী নিহত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির নাজিরহাটে ডাম্পার-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত হয়েছে। এতে আরও একজন শুরুতর আহত হয়েছেন।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নাজিরহাট নতুনরাস্তা মাথা এলাকায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ট্রাকের চালক ভূজপুর থানার ঝিলতলী এলাকার মো. মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মো. রুবেল (২৬) এবং তার সহকারী ও একই এলাকার আব্দুর রশীদের ছেলে মো. আলমগীর (২৮)। এই ঘটনায় আহত হন ডাম্পারে চালক নূর মিয়া। তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন নাজিরহাট হাইওয়ের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘রাতে নাজিরহাট নতুন রাস্তার মাথা এলাকায় ডাম্পার-ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এরমধ্যে ডাম্পারটি খাগড়াছড়িমুখী ও অন্যটি চট্টগ্রাম শহরমুখী ছিল। দুর্ঘটনায় শহরমুখী ট্রাকের চালক ও তার সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। ডাম্পার চালক গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে তৎক্ষনাৎ স্থানীয়রা উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। ডাম্পার ও ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।'

;