রাজধানীর বঙ্গবাজারে ২০২৩ সালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ( ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনের নামে মামলা করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) শাহবাগ থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। এ বিষয়ে শনিবার (২৩ নভেম্বর) আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ওসি মুহাম্মদ খালিদ মুনসুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, রাজধানীর বঙ্গবাজার দুই বছর আগে পরিকল্পিতভাবে আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছিল ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে মিরপুর এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেন রিপন নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ৫০০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ এনে শুক্রবার শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
পুলিশ শনিবার আদালতে মামলার প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। যাতে মামলা দায়েরে বিলম্বের কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ফজলে নূর তাপস , দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য আফজাল হোসেন, সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরিদ উদ্দিন রতন, আওয়ামী লীগ নেতা আতিকুর রহমান, জহিরুল ইসলাম, মোহন ঢালী, মনোয়ার হোসেন মনু, লোকমান খান, বেলায়েত হোসেন, রুবেল, হুমায়ুন কবির, শাহাবুদ্দিন , আব্দুল হান্নান, হাসানসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল ভোররাতে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা পরস্পরের জোগসাজসে পরিকল্পিতভাবে অগ্নি সংযোগ করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ায় লরির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী ২ যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাৎক্ষণিক নিহতদের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাং ভিলেজার পাড়া দ্বীনিয়া মাদ্রাসার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আরিফুল আমিন জানান, আজিজনগরের নিকটে দুর্ঘটনা স্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিচয় শনাক্তে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। মোটরসাইকেলটি দুমড়ে মুচড়ে গেছে, লরিটি জব্দ করা হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের আত্মমর্যাদা নিয়ে দাঁড়াতে শিখিয়েছে। এই আত্মবিশ্বাস নিয়ে আমরা বাংলাদেশকে নতুনভাবে গড়তে পারব। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সুফল যেন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ পায় সেই কাজটি আমাদের করতে হবে। যদি জাতির প্রয়োজন পড়ে আমরা আবারও রাস্তায় নামব।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) সরকারি বিজ্ঞান কলেজে ১১তম জিএসসি ন্যাশনাল সাইনটিস্ট ম্যানিয়ার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, আমাকে স্যার বলার দরকার নেই আমি আপনাদের ভাই। গণঅভ্যুত্থানের মতো কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যাব। ভুল করলে শুধরে দেবেন।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদান করার পাশাপাশি শহীদের পরিবারকে পুনর্বাসন এবং আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরা সবাই যেন এই বিষয়ের সচেতন থাকি, দায়িত্বশীল আচরণ করি। ছাত্রদের মধ্যে বিবাদ-সংঘাত শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে দেশবাসীর কাছে উপস্থাপন করতে সহায়তা করছে। শিক্ষার্থীদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা গেলে জুলাই অভ্যুত্থানকেও নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা সহজ হবে। এ সুযোগ যেন কেউ নিতে না পারে।
তিনি বলেন, আমরা এতদিন বিক্ষোভ করেছি রাজপথে থেকেছি, আমাদের এখন রাষ্ট্র গঠনের সময়। আমাদের এখন মেধাকে কাজে লাগাতে হবে, সৃজনশীলতাকে কাজে লাগাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, জেন জি পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছে তারা আন্দোলন সংগ্রামে রক্ত দিয়ে দেশকে স্বৈরাচার মুক্ত করতে পারে, তারা অলস নয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের ছাত্রদের অংশগ্রহণ এবং আত্মত্যাগের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান উপদেষ্টা।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট পরমাণু বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ শমশের আলী বলেন, বিজ্ঞানে বাতিক না থাকলে বিজ্ঞান এগোয় না। গণ-আন্দোলনে আহতরা যেন আজীবন স্বাস্থ্যসেবা পায়। আন্দোলনকারীদের স্বপ্ন যেন সত্য হয়।
নিউ এইজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবিরকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি বিশিষ্ট সম্পাদক ( দ্য নিউ এইজ) নূরুল কবির হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। অন্তর্বর্তী সরকার দেশের কোনো সাংবাদিককে হয়রানি বরদাস্ত করবে না। নূরুল কবির তার দীর্ঘ কর্মজীবনে আমাদের সবচেয়ে সম্মানিত সম্পাদকদের একজন, যুক্তি ও সাংবাদিকতার প্রধান কণ্ঠস্বর। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস উক্ত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে এদিন এক ফেসবুক পোস্টে নূরুল কবির জানান, ‘দেশের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ গত দুই দশকের বেশি সময় ধরে প্রতিবার বিদেশে যাওয়ার সময় আমাকে হয়রানি করছে।’
নূরুল কবির তার পোস্টে অতীতের হয়রানির উদাহরণ টেনে বলেন, সঠিক নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও তাকে বিদেশ ভ্রমণের কারণ নিয়ে জেরা করা হয়েছে। কখনো পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে, আবার কখনো তার পাসপোর্টের পাতা স্ক্যান করে ছবি তোলা হয়েছে, যা তার গোপনীয়তার লঙ্ঘন। এমনকি ফ্লাইট উড্ডয়নের কিছুক্ষণ আগে তা ফেরত দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, এসব হয়রানি মূলত দেশ ছাড়ার সময় ঘটে, দেশে ফেরার সময় নয়।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এবার ১৮ নভেম্বর যখন আমি একটি মিডিয়া কনফারেন্সে যোগ দিতে যাচ্ছিলাম, তখন ভেবেছিলাম হয়রানির দিন হয়তো শেষ হয়েছে। কিন্তু আমার ধারণা ভুল ছিল। এবার হয়রানি দ্বিগুণ হয়েছে—প্রস্থানকালে এক ঘণ্টা এবং ২২ নভেম্বর দেশে ফেরার সময় আরও এক ঘণ্টা।’
তিনি তার পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘দেশপ্রেমিক হওয়া মানেই যেন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কাছে সন্দেহভাজন হওয়া। ফলে আমি সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এবং তাদের সুপারভাইজ করা সরকারের দেশপ্রেম নিয়েই প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হচ্ছি।’