নির্বাচনে কোন বাহিনীর কী দায়িত্ব, জানাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ভোটের আগে থেকে শুরু করে মোট ১৩ দিন মাঠে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় স্থানীয় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য মাঠে থাকবে এসব বাহিনী। এ সময়ে সশস্ত্র বাহিনী কী দায়িত্ব পালন করবে তা জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারি করা এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।  

বিজ্ঞাপন

যে দায়িত্ব পালন করবে সশস্ত্র বাহিনী

১। ফৌজদারি কার্যবিধি ও অন্য আইনের বিধান অনুসারে এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা ‌ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ারের ৭ম ও ১০ম অনুচ্ছেদের বিধান অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীর কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

২। রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে পরামর্শ মতে প্রয়োজন অনুসারে উপজেলা বা থানায় সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন হবে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনী অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবে।

৩। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা-উপজেলা-মেট্রোপলিটন এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে টহল ও অন্য অভিযান পরিচালনা করবে।

৪। রিটার্নিং কর্মকর্তার বা প্রিজাইডিং কর্মকর্তার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে কিংবা ভোটগণনা কক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে।

৫। সশস্ত্র বাহিনীর টিমের সঙ্গে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করা হবে এবং আইন, বিধি ও পদ্ধতিগতভাবে কার্যক্রম গৃহীত হবে।

৬। উপকূলবর্তী এলাকায় নৌ-বাহিনী প্রয়োজন অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে।

৭। ঝুঁকির বিবেচনায় রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনাক্রমে প্রতিটি জেলায় নিয়োজিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের সংখ্যা কম বা বেশি করা যাবে।

৮। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দেশক্রমে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক কিংবা মহাসড়কগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।

৯। বিমান বাহিনী প্রয়োজনীয় সংখ্যক হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় ও বাহিনীর অনুরোধে উড্ডয়নে সহায়তা করবে।

১০। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশনা অনুসারে এলাকাভিত্তিক মোতায়েন পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হবে।

১১। বাস্তবতা ও প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুরোধক্রমে চাহিদামত
আইনানুগ অন্য কাজগুলো করতে হবে। 

বিজিবি, কোস্ট গার্ড, আর্মড পুলিশ ও আনসারের দায়িত্ব

১। বিজিবি, কোস্ট গার্ড, আর্মড পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে।

২। জেলা, উপজেলা, থানাগুলোতে বিজিবি এবং উপকূলীয় এলাকায় কোস্ট গার্ড দায়িত্ব পালন করবে।

৩। রিটার্নিং কর্মকর্তার চাহিদা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবে।

৪। বিজিবি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ও ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করতে পারবে।

৫। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের ভেতের কিংবা ভোটগণনা কক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে।

র‍্যাবের দায়িত্ব

১। র‍্যাব মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং নির্বাচনী এলাকায় সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবে।

২। রিটার্নিং কর্মকর্তার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য অন্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহায়তা করবে।

৩। আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে হেলিকপ্টার ও ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করতে পারবে।

৪। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ভোটকেন্দ্রের ভেতর কিংবা ভোটগণনা কক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে।