নতুন মন্ত্রিসভার জন্য শুভ কামনা জানিয়ে বিদায় নিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। সোমবার (৭ জানুয়ারি) বেলা ১২ টায় মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় বীর চট্টলার এই নেতা।
মন্ত্রণালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ফুল নিয়ে আসেন তাকে বিদায় জানাতে। তিনি বলেন, সংসদীয় রীতি অনুযায়ী নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আওয়ামী লীগের ভিশন বাস্তবায়নে নতুন মন্ত্রিসভা গতিশীল ভূমিকা পালন করবে।
বিজ্ঞাপন
শুধু মন্ত্রিপরিষদ নয় এই ভিশন বাস্তবায়নে সংসদ সদস্যদেরও অনেক ভূমিকা থাকে। আমিও সেখান থেকে সহযোগিতা করতে সচেষ্ট থাকবো। কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, নতুন মন্ত্রিসভাকে সহযোগিতা করে মন্ত্রণালয়কে আরও গতিশীল করতে হবে।
তিনি বলেন, আমার মেয়াদে বেশ কিছু প্রকল্প এগিয়ে নিতে সফল হয়েছি। উত্তরা সেক্টর-১৮ প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছিলো, সেই প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সবার জন্য আবাসন ব্যবস্থা আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করতে হবে। আমি মনে করি এটা সম্ভব। এ জন্য জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী ভূমিকা পারন করতে হবে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন বস্তিবাসীদের জন্য মানসম্মত আবাসন। ৫০০ অ্যাপাটমেন্ট নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কাজটি এগিয়ে নিতে হবে। আমি বিশ্বাস করি, আপনারা আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করলে এটা সফল হবে।
উজানের পাহাড়ি ঢল আর কয়েক দিনের টানা ভারি বৃষ্টিতে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে বিপদ সীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও দুপুরে কমতে শুরু করে। সৃষ্ট বন্যায় তলিয়ে গেছে লালমনিরহাট সান্তাহার রেলরুটের অর্ধকিলোমিটার পথ।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বন্যার পানিতে ডুবে থাকা রেল লাইন সংস্কার করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। বিকেল ৩টা হাতীবান্ধা উপজেলার দোয়ানীতে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৭ মিটার। যা বিপদ সীমার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ মিটার) ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর আগে সকাল ৬টায় বিপদসীমার ২সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, শনিবার দুপুর থেকে বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে। রোববার সকাল ৬টায় বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। পরবর্তিতে দুপুর নাগাদ কমে বিপদসীমার নিচে নেমে আসে পানি প্রবাহ। বিকেল ৩টায় বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ডালিয়া পয়েন্টে। ফলে বামতীরের জেলা লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় ২৫ হাজার পরিবার। প্রতিমুহুর্তে বাড়ছে এর সংখ্যা। আতংকিত হয়ে পড়ে তিস্তাপাড়ের মানুষ।
পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাট সান্তাহার রেলরুটের লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের রতিপুর এলাকায় অর্ধকিলোমিটার রেলপথ ডুবে যায়। এ সময় পানির স্রোতে ভেসে যায় রেল লাইনের পাথর। ফলে দিনভর ঝুঁকি নিয়ে ধীর গতিতে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। একই সাথে জরুরী ভিত্তিতে সংস্কার করা হয় রেল লাইন। আপাতত রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।
টানা দুই দিনের বন্যায় নদী তীরবর্তি এলাকার বেশ কিছু রাস্তাঘাট ব্রীজ কালভার্ট ভেঙে গেছে পানির স্রোতে। উঠতি আমন ধান ও বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ডুবে আছে বন্যার পানিতে। দীর্ঘ সময় ডুবে থাকলে এসব ফসলের মারাত্বক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। একই সাথে বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে বেশ কিছু পুকুরে মাছ। মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছে সলেডি স্প্যার বাঁধসহ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো। শনিবার রাতভর সলেডি স্প্যার বাঁধ-২ এর উপর দিয়ে পানি ওভার ফ্লো প্রবাহিত হয়। বাঁধ ভেসে যাওয়ায় শঙ্কায় আতংকিত হয়ে পড়ে ভাটিতে থাকা শত শত পরিবার। স্থানীয়রা রাতে বালু ভর্তি বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষা করে।
বন্যার পানিতে বিদ্যালয় ডুবে থাকায় জেলার ১৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার স্বপন কুমার। গবাদি পশু পাখি নিয়েও নিদারুণ কষ্টে পড়েছেন খামাড়ি ও সাধারণ কৃষকরা। ঘর বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় রাস্তা বা বাঁধের উচু স্থানে পলিথিন সাঁটিয়ে রাখা হয়েছে এসব গৃহপালিত পশু পাখি। অনেক পরিবার বাড়ি থেকে উচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। বড় বিপাকে পড়েছেন শিশু বৃদ্ধ আর প্রতিবন্ধীরা।
পানি বেড়ে যাওয়ায় পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হলেও তা এখন পর্যন্ত বন্যা কবলিতদের মাঝে বিতরণ শুরু হয়নি। তবে খুব দ্রুতই ত্রাণ বিতরণ শুরু হবে বলে জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে।
সলেডি স্প্যার বাঁধ-২ এলাকার বাসিন্দা এমদাদুল হক বলেন, রাতে পানির গর্জনে ঘুমাতে পারিনি। সলেডি স্প্যার বাঁধে ব্রীজ অংশের উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়েছে। এ সময় বাঁধ কাঁপতেছিল। আমরা ভয় পেয়েছিলাম যে, স্প্যার বাঁধ বুঝি ভেসে যায়। স্থানীয়রা রাত জেগে বাঁধে বস্তা ফেলে রক্ষা করেছে। বন্যার সময় নির্ঘুম রাত কাটে তিস্তাপাড়ের মানুষদের।
গোবর্দ্ধন গ্রামের কৃষক মজিদুল ইসলাম বলেন, দুই রাত থেকে তিস্তা নদীতে পানি বাড়ছে। আমাদের গ্রাম পানিতে ডুবে আছে। নৌকা দিয়ে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ির যোগাযোগ করতে হচ্ছে। ডুবে থাকা আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। এ নিয়ে চিন্তায় পড়েছি। আমন ক্ষেত ডুবে গেছে বন্যায়। বেশি সময় এমন থাকলে ধান গাছ পঁচে নষ্ট হতে পারে।
হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম বিছনদই গ্রামের তমিজ উদ্দিন বলেন, আমাদের গ্রামে আড়াই/তিন শত পরিবার শুক্রবার থেকে পানিবন্দি। দিন যত যাচ্ছে পানিবন্দির সংখ্যা তত বাড়ছে। রোববার বিকেল নদীতে পানি কমলেও বন্যার পানি খুবই ধীরগতিতে নামছে। ফলে এখনও পানিবন্দি রয়েছি আমরা। বন্যার সময় শিশু বৃদ্ধ আর গবাদি পশুপাখি নিয়ে বড় বিপদে পড়তে হয়। বন্যা হলেই নির্ঘুম রাত কাটাতে হয় তিস্তাপাড়ের মানুষদের। আমরা ত্রাণ নয়, চাই তিস্তার মহাপরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন।
ডাউয়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নে তিন/সাড়ে তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বিষয়টি উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে। শুকনো খাবার এখন পর্যন্ত বরাদ্দ আসেনি। বরাদ্দ এলে পৌঁছে দেয়া হবে।
মহিষখোচা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ হোসত বলেন, আমাদের ইউনিয়নের ৩ হাজারের অধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাঁধগুলো রক্ষায় সাধারণ মানুষদের নিয়ে বস্তা ফেলে রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনিল কুমার বলেন, রোববার সকাল ৬টায় তিস্তা নদী ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ বেড়ে বিপদসীমার ২ সেন্টিমিটার ওপর প্রবাহিত হয়। দুপুরে তা কমে গিয়ে বিপদসীমার নিচে নেমে আসে। আশা করছি দ্রুতই বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক এইচ এম রকিব হায়দার বলেন, বন্যা কবলিতদের জন্য ১৩ লাখ টাকা ও ৯০ মেঃটন জিআর চাল বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে। আজকে স্বল্প পরিসরে বিতরন শুরু করেছি। সোমবার সকলের কাছে পৌছে যাবে ত্রাণ। বন্যা বাড়লে তা মোকাবেলা করতে জেলা উপজেলা প্রশাসন আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
নিষিদ্ধ পলিথিন ও পলিপ্রপাইলিন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) নির্দেশনা দিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় দেশের সব বিভাগীয় কমিশনার, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপাদের উদ্দেশ্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ১ অক্টোবর থেকে সুপারশপগুলোতে এবং ১ নভেম্বর থেকে ঢাকার ১০টি কাঁচাবাজারে পলিথিন বন্ধে কার্যক্রম শুরু হবে। ১ নভেম্বর থেকে দেশব্যাপী পলিথিন উৎপাদনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হবে। এ কাজে আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। উপদেষ্টা এ সময় পাহাড় কাটার পাশাপাশি নদী দখল ও দূষণ রোধেও তাদের জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা বলেন, প্লাস্টিক পলিথিনের অপ্রতিরোধ্য ব্যবহার পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি মাটির উর্বরতা কমিয়ে দিচ্ছে, নদী-নালা ও জলাশয় দূষিত করছে এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এসব কারণে পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধে সব পর্যায়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি।
তিনি উপস্থিত প্রশাসনিক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন নিজ নিজ এলাকায় পলিথিন ব্যাগের উৎপাদন, পরিবহন এবং ব্যবহার বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, প্রশাসনের সমন্বিত পদক্ষেপই পলিথিনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সহায়তা করবে।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা এ বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেন এবং নিজেদের এলাকায় সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কঠোর আইন প্রয়োগের অঙ্গীকার করেন।
চাঁদপুরে সম্পত্তিগত বিরোধের জের ধরে আপন ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মিঠুরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সাথে জড়িত ৬ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটককৃতরা হলেন, নিহতের ভাই আশিক বেপারী (২৩), রবি উদ্দিন (৪৫), মজনু প্রধানের ছেলে আজিজ প্রধান (২৮), সফিউল্লাহর ছেলে সিমা (৩০), রিনা (৩৮) ও লিপি আক্তার ৩৫)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মিঠুরকান্দি গ্রামের কলিম উল্লাহ বেপারীর ছেলে মো. সফিকুল ইসলাম বেপারী (৩০) এর সাথে তার ভাই বোনদের পৈতৃক সম্পত্তিগত বিরোধ চলছিল। তার সাথে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে সফিকুল ইসলামকে বেধর মারপিট করেন তার ভাই, বোন ও ভগ্নিপতি।
এতে করে সফিক গুরুতর আহত হলে ঢাকা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. রবিউল হক জানান, মৃতদেহে অনেক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নওগাঁ সদর উপজেলার দক্ষিণ কালিতলা এলাকায় এক যুবদল নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, ডাকাত দলটি বাড়ির সদস্যদের মারপিট ও ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় বাড়ির দুই সদস্য আহত হন।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) ভোর চারটার দিকে নওগাঁ পৌর যুবদলের যুগ্ন আহ্বায়ক সঞ্জয় কুমার দাসের বাড়িতে এ ডাকাতি হয়েছে। খবর পেয়ে সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফৌজিয়া হাবিবের নেতৃত্বে নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেছেন।
যুবনেতা সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, ভোর ৪টার দিকে তিনি ও তার স্ত্রী সন্তান নিয়ে ঘড়ে শুয়ে ছিলেন। প্রতিদিনের মতো বাবা (দ্বীনবন্ধু দাস) পূজার ফুল নিতে বাড়ির সামনে আঙিনায় যান। এ সময় ওঁত পেতে থাকা ডাকাত দল দরজা খোলা পেয়ে বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়ে। বাড়িতে ঢুকে ডাকাতেরা তার ছোট ভাই রাজিব দাস ও বাবা দিনবন্ধু দাসকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। একপর্যায়ে তার ভাই ও বাবাকে ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩০ হাজার টাকা ও তিনটি স্মার্টফোন লুট করে নিয়ে যায়। আহত ব্যক্তিদের নওগাঁ জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নওগাঁ সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল গফুর জানান, বাড়ির মালিক সঞ্জয় কুমার দাস থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।