নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কুকি-চিন ইস্যু খুঁজছে বিএনপি: কাদের
জাতীয়
বিএনপি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য ইস্যু খোঁজে, মিয়ানমার ইস্যুতে তারা ব্যর্থ। এখন আবার কুকি-চিন নিয়ে তারা ইস্যু খুঁজছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (৭ মার্চ) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ওবায়দুল কাদের বলেন, কুকি-চিন পাহাড়ের শান্তি নষ্ট করতে পারবে না। সরকার এ ব্যাপারে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। সার্বিকভাবে পাহাড়ে শান্তি বিঘ্নিত হবে না।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা যাকে দেশনেত্রী বলে, তার মুক্তির জন্য কী আন্দোলন করেছে? ৫শ লোক নিয়ে আন্দোলন করতে পারেনি। চোখের পানি, কান্না, তাদের সম্বল। কোন অযুহাত দেখিয়ে লাভ নেই। তারা সীমান্ত নিয়ে অনেক কথা বলেছে। তাদের কথা যেন মিয়ানমার বাংলাদেশ দখল করে ফেলেছে।
বিজ্ঞাপন
এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ দপ্তর সায়েম খান প্রমুখ।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী বলেছেন, থানায় জিডি করার এক ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাথমিক তদন্ত করতে হবে। জিডি তদন্তের ক্ষেত্রে কোন প্রকার বিলম্ব করা যাবে না।
আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ডিএমপির প্ল্যানিং, রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ (পিআর অ্যান্ড এইচআরডি) আয়োজিত “জিডি অনুসন্ধান” বিষয়ক প্রশিক্ষণের ৩য় ব্যাচের সমাপনী অনুষ্ঠানে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, নগরবাসী থানায় জিডি করার পর তাদের প্রত্যাশিত সেবা যেন দ্রুত পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। জিডি করার এক ঘন্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত করে প্রতিবেদন ওসির কাছে জমা দিতে হবে। ওসি পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আপনারা জনসাধারণের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন। পেশাদারিত্ব বজায় রেখে জনগণের কাঙ্ক্ষিত সেবা দিয়ে তাদের আস্থা অর্জন করতে হবে।
প্রশিক্ষণ সমাপনী অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন।
উক্ত অনু্ষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এস এন মোঃ নজরুল ইসলাম, পিপিএম; যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (ট্রেনিং) মুহাম্মদ মাহাবুবুর রহমান; উপ-পুলিশ কমিশনার (সদরদপ্তর ও প্রশাসন) শাহ মোঃ আব্দুর রউফ; উপ-পুলিশ কমিশনার (প্ল্যানিং, রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ) মোহাম্মদ মাসুদ রানা।
উল্লেখ্য, ডিএমপি কমিশনার শেখ মোঃ সাজ্জাত আলী দায়িত্ব গ্রহণ করার পর ডিএমপির থানায় কোন অভিযোগ বা জিডি হলে পুলিশকে দ্রুততম সময়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া এবং প্রাথমিক অনুসন্ধানের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিটি পর্বে ৫০ জন করে চার টি পর্বে মোট ২০০ জন পুলিশ সদস্যকে জিডি অনুসন্ধান বিষয়ক প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ নেয় ডিএমপির প্ল্যানিং, রিসার্চ অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগ।
এই কোর্সের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্যরা ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী ডিএমপির প্রতিটি থানায় গিয়ে দ্রুততম সময়ে জিডি নিষ্পত্তির লক্ষ্যে কাজ করবেন।
ক্রিকেটের প্রতি মানুষের অনুরাগ আর উচ্ছ্বাস সর্বজনবিদিত। তবে এই বছরের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বরিশালবাসীর উন্মাদনা ছাপিয়ে যাচ্ছে নতুন মাত্রায়। ফরচুন বরিশাল অসাধারণ পারফরম্যান্স করে র্যাংকিংয়ের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করলেও হতাশার ছায়া রয়ে গেছে। সেটি হলো বরিশালের ঘরের মাঠে খেলা আয়োজন না হওয়া।
আন্তর্জাতিক মানের বরিশাল স্টেডিয়াম দীর্ঘদিন ধরে অচল। শহরের ক্রীড়া প্রেমীরা দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিপিএলের মতো আসরে নিজেদের মাঠে খেলা দেখার সুযোগ না পাওয়ায়।
বরিশালের ক্রীড়াপ্রেমী আশিকুজ্জামান বলেন, যদি আমাদের মাঠে ফরচুন বরিশালের ম্যাচ আয়োজন করা যেত, তাহলে স্থানীয় তরুণ খেলোয়াড়রা অনুপ্রাণিত হতো। আর মাঠে খেলা দেখার আনন্দই আলাদা।
বরিশালের প্রশিক্ষণরত নতুন ক্রিকেটার ফরহান আহমেদ জানান, বরিশালের সমর্থন আমাদের শক্তি। তাদের ভালোবাসা আমাদের আরও বেশি প্রেরণা দেয়। মাঠে খেলার সুযোগ না পেলেও, আমরা সবাই একসঙ্গে জিততে চাই।
আরেকজন ক্রিকেটার আরিফ হোসেন জানান, ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলা মানে এক স্বপ্ন। বরিশালবাসীর ভালোবাসায় অটুট বিশ্বাস রেখে আমরা শুধু জয়ের লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলেছি।
ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমান বলেন, বরিশালের স্টেডিয়ামটি দ্রুত সংস্কার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার সংস্কৃতি এবং নতুন প্রতিভার বিকাশের জন্য খেলা আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই।
খেলা মাঠে দেখতে না পারলেও বরিশালবাসী প্রিয় দলের জয় উদযাপনে কমতি রাখছে না। প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের রাজশাহীর বিপক্ষে জয়ের পর থেকেই পুরো শহর ক্রিকেট উম্মাদনায় ভাসছে। ৬ ও ৭ জানুয়ারির টানা দুই ম্যাচে জয় পাওয়ার পর এই উদ্দীপনা বেড়েছে আরও বহুগুণ।
নগরীর বিভিন্ন স্থানে প্রজেক্টরে খেলা দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোথাও খিচুরি পার্টি, কোথাও বারবিকিউ আয়োজন করে সমর্থকেরা উদযাপন করেছেন খেলার আনন্দ। বিএম কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল বারী বলেন, বরিশালে ক্রিকেট মানেই অন্যরকম এক আবেগ। ফরচুন বরিশালের খেলা হলে গোটা শহর জেগে ওঠে। এবারের দলটিও বেশ শক্তিশালী।
নিউটন নামের এক ব্যবসায়ী জানান, তার প্রজেক্টর ভাড়া নিয়ে নগরীতে কাড়াকাড়ি পড়েছে। বিপিএলের দিনগুলোতে সাউন্ড সিস্টেম ও প্রজেক্টরের ভাড়া নিয়ে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে তাকে।
বরিশাল জেলা ক্রীড়া অফিসার সাইদুল ইসলাম জানান, স্টেডিয়ামের সংস্কারকাজ দ্রুতই শেষ করার চেষ্টা চলছে। এটি শেষ হলে আমরা বিপিএলসহ আন্তর্জাতিক মানের খেলাগুলো আয়োজন করতে পারব। বরিশালের মানুষ এই কাজ দ্রুত শেষ হওয়ার প্রত্যাশা করছে।
বরিশালবাসীর আশা, স্টেডিয়ামের সংস্কার শেষ করে ঘরের মাঠে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খেলাগুলোর আয়োজন হবে। ক্রীড়াঙ্গনে বরিশালের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সরকারের সঠিক পদক্ষেপ ও দ্রুত উদ্যোগের অপেক্ষায় ক্রীড়ামোদীরা।
ফরচুন বরিশালের উজ্জ্বল পারফরম্যান্স, সমর্থকদের ভালোবাসা আর স্টেডিয়াম উন্নয়নের স্বপ্ন মিলে বরিশালে একটি নতুন ক্রীড়াযুগের সূচনা হবে এটাই বরিশালের প্রত্যাশা।
খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে অস্ত্রসহ একজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে মানিকছড়ি উপজেলার যোগ্যছোলা ইউনিয়নের গরমছড়ি এলাকায় যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় রাপ্রুচাই মার্মা (৩০) নামে একজনকে অস্ত্রসহ আটক করা হয়। আটককৃত রাপ্রুচাই উপজেলার ময়ূরখীল এলাকার মংপ্রু মার্মার ছেলে।
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মানিকছড়ির চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়কের গরমছড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩ রাউন্ড গুলি ও অস্ত্র সহ ১ জনকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান অভিযানের বিষয় নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলিসহ ১ জনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত ব্যক্তি মগ পার্টির সদস্য বলে স্বীকার করেছে।
চীনসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে আতঙ্ক ছড়ানো হিউম্যান মেটানিউমো ভাইরাস (এইচএমপিভি) থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ নির্দেশনা জারি করেছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দেশের সব এয়ারলাইন্স ও বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নির্দেশনার বিষয়ে চিঠি দিয়েছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বিশেষ ওই নির্দেশনায় বলা হয়, সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট সবাইকে এইচএমপিভির বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আপাতত আতঙ্কিত হওয়ার কিছু হয়নি। বিমানবন্দরের যাত্রী, স্টাফ ও দর্শনার্থীদের সবাইকে মুখে মাস্ক রাখা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হয়েছে। যদি কারো মধ্যে জ্বর, কফ, শ্বাস ছোট হওয়ার মতো এইচএমপিভির লক্ষণ দেখা দেয় সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।
এতে বলা হয়, দেশের বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনাকারী দেশি ও বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে এবং যেসব দেশে এইচএমপিভির আক্রান্ত রোগী রয়েছে সেসব দেশ থেকে যাত্রী আনার ক্ষেত্রেও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। প্লেনের ভেতর যদি কারো মধ্যে জ্বর, কফের মতো এইচএমপিভির লক্ষণ দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।
ফ্লাইটে এইচএমপিভির আক্রান্ত রোগী থাকলে তাদের কীভাবে হ্যান্ডেল করতে হবে সে বিষয়ে এয়ারলাইন্সের ক্রু ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত নির্দেশনাবলি জানার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা ৭টি নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে।